স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:
মঙ্গলবার বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের (বিপিসি) ব্যাংকুয়েট হলে বিপিসি ও বেস ক্যাম্পের মধ্যে গড় স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, তারুণ্য আমাদের অদম্য শক্তি। সাহসী তারুণ্যই আগামীর পাথেয় বিনির্মাণ করে। দেশের জনসংখ্যার ৬০ ভাগই তরুণ। তাই পর্যটন শিল্পের দ্রুত বিকাশ ও প্রসারের জন্য তরুণদের মাঝে পর্যটনের আবেদন তৈরি করতে হবে। তাদেরকে পর্যটন মনস্ক করতে হবে। এ জন্য অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। কক্সবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে সারফিং, প্যারাসেলিং. প্যারাগ্রাইডিং, ট্র্যাকিংসহ বিভিন্ন ইভেন্ট সংযোজন করতে হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী পর্যটন এখন অন্যতম শিল্পের মর্যাদা পেয়েছে। নেপাল, মালদ্বীপসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রপ্তানি আয়ের একটি বিরাট অংশ আসে পর্যটন খাত থেকে। এ ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি। আমদের ট্যুরিস্ট স্পটগুলোকে ট্যুরিস্ট প্রোডাক্ট হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরো বলেন, পর্যটনের ক্ষেত্রে আমাদের নিরন্তর প্রয়াসের স্বীকৃতি আমরা পেতে শুরু করেছি। এই প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের পর্যটন বিষয়ক সংগঠন ইউএনডব্লিউটিএ এর ২৯তম সিএপি-সিএসএ সম্মেলন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ওআইসির পর্যটন বিষয়ক সম্মেলন ২০১৭ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
অনুষ্ঠানে বিপিসির পরিচালক (বাণিজ্যিক) এবং বেস ক্যাম্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তামজিদ সিদ্দিকী স্পন্দন নিজ নিজ পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
বিপিসির চেয়ার ড. অপরূপ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তৃতা করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রফিকুজ্জামান।
0 coment rios: