স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:
শনিবার সকালে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের একটি দল ঢাকা থেকে গিয়ে পাইকপাড়ার বড় কবরস্থানের পাশের একটি তিনতলা ভবনে এ অভিযান শুরু করে।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে প্রথমে অভিযানে চারজন নিহত হওয়ার খবর বলা হয়েছিল। অভিযান শেষে তামিমসহ তিনজনের নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এ বিষয়ে আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ‘পুলিশের ইন্টেলিজেন্স বাহিনীর কাছে তথ্য ছিল তামিম চৌধুরী নারায়ণগঞ্জে অবস্থান করছেন। কল্যাণপুরে অভিযানের পর নারায়ণগঞ্জে আশ্রয় নেয় তারা। এর ভিত্তিতে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট, সোয়াত টিম ঘটনাস্থলে যায়। নারায়ণগঞ্জ পুলিশও সেখানে যায়। অভিযান শুরুর এক ঘণ্টার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গি আস্তানায় ঢুকে দেখে সেখানে তিনজন জঙ্গির মৃতদেহ পড়ে আছে। তাদের মধ্যে একজনের চেহারা আমাদের কাছে জঙ্গি মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরীর যে ছবি আছে, তার সঙ্গে হুবহু মিল যায়। এতে স্পষ্ট, সে-ই নিও জেএমবির শীর্ষ নেতা তামিম চৌধুরী।’
এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, নিহতদের মধ্যে একজনের চেহারা গুলশানে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী তামিম চৌধুরীর সঙ্গে মিল রয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, ‘শনিবার ভোর থেকে তিনতলা ওই ভবনটি ঘিরে রাখা হয়। অভিযানের বিষয় বুঝতে পেরে ভবন থেকে গুলি ছোড়ে জঙ্গিরা। ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। জঙ্গিরা তাদের কাছে থাকা নথিপত্র পুড়িয়ে দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভবনটির আশপাশে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ভবনের দিকে যাওয়ার সড়কও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মাঈনুল হক বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত এক জেএমবি সদস্যের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চলছে।’
0 coment rios: