স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:
শুক্রবার রাতে হুমায়রা বিনতে মাহবুব তাকিয়া (৬) ও মাশরাফি ইবনে মাহবুব আবরারের (৭) লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যায় পুলিশ।
স্থানীয় লোকজন জানায়, শুক্রবার রাত ১০টার পর `ষড়ঋতু` নামের ১৫৭/২ নম্বর বাসা থেকে দুই ভাই-বোনের গলাকাটা লাশ দেখতে পেয়ে তাদের বাবা চিৎকার করতে থাকেন। পরে পুলিশ এসে তাদের লাশ উদ্ধার করে।
ঢাকা মেট্রাপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার শেখ মো. মারুফ হাসান ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, ‘একটি লাশ বেডরুমের বিছানায়, অন্যটি পাশের রুমে ছিল। শিশু দুটির বাবা মাহবুব রহমান ওয়াসার কম্পিউটার অপরেটর পদে চাকরি করেন। তিনি সন্ধ্যার পর বাড়ির বাইরে যান। পরে ফিরে এসে এ অবস্থা দেখতে পান। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে একাধিক লোক জড়িত থাকার সন্দেহ উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। শিশুদের মা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত, তা ধারণা করা হচ্ছে। বাসা থেকে একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। হয়ত এটা দিয়ে হত্যাকারীরা শিশু দুটিকে হত্যা করে থাকতে পারে।’
স্বজন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপে জানা গেছে, আট মাস আগে পরিবারটি এ বাসায় ভাড়া আসে। বাড়িটি এক বছর আগে তৈরি হয়েছে। ২০০৮ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় এই দম্পতির। বিয়ের পরপরই শিশুদের মায়ের মানসিক সমস্যা বুঝতে পারেন স্বজনেরা। এরপর ফার্মগেটের গ্রিন রোডের ডক্টরস চেম্বারে ড. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে দেখানো হয়। শিশুদের মা সবসময় নামাজ রোজা করতেন, কোরআন তেলাওয়াত করতেন।
নিহত শিশুদের ফুফু লাইলা নূর আরো বলেন, ‘তাদের মা সাধারণত চুপচাপ থাকতেন, কারও সঙ্গে কোনো কথা বলতেন না। সন্তান বা স্বামীর প্রতি কোনো খেয়াল রাখতেন না। তবে যখন ওষুধ দেওয়া হতো তখন তিনি ভাল থাকতেন। আর যখন ভাল থাকতেন তখন সমস্যা জানতে চাইলে বলতেন, তিনি (শিশুদের মা) স্বপ্নে তার দুই সন্তানকে মেরে ফেলেছেন।’
0 coment rios: