তিনি বলেন, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর একই সঙ্গে সখি, একই সঙ্গে সঙ্গিনী। অসাধারণ এই গুণসম্পন্ন মহিলাকেও পঁচাত্তরের ঘাতকরা হত্যা করে। শুধু তাকেই নন, ঘাতকরা শেখ মণির স্ত্রী আরজু মণি অন্তসত্ত্বা ছিলেন, ঘাতকরা তাকেও হত্যা করেছিল। আর জঙ্গিরা সম্প্রতি সময়ে হোটেল আর্টিজানে হামলা চালিয়েও একজন জাপানি অন্তঃসত্ত্বা নারীকে হত্যা করেছে। ওই পঁচাত্তরের ঘাতক আর হোটেল আর্টিজানের জঙ্গিবাদ একই শক্তি।
তিনি বলেন, একাত্তরের ঘাতক, জঙ্গিবাদ ও মানবতাবিরোধীদেরকে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছার আদর্শের শপথ নিয়ে মোকাবিলা করতে হবে। তার আদর্শের সাহস ও শক্তি দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জঙ্গিবাদ রুখে দিতে হবে।
প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন দলীয় নেতা-কর্মীদের বঙ্গমাতার জীবনী পড়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনার তার জীবনী থেকে শিক্ষা নেবেন। তার আদর্শে আদর্শিত হয়ে রাজনীতিতে এগিয়ে আসবেন। তার সুকন্যা শেখ হাসিনা গতকালকে তার মাকে নিয়ে অনেক স্মৃতিচারণ করেছেন। আমাদেরকেও সেইভাবেই এগিয়ে যেতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন দেখে আজকে অনেকের কাছে ভাল লাগে না। কারণ তারা চায় দেশে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলার সুযোগ করে দিতে।
তিনি আরো বলেন, আপনি কখনো জামায়াত ছাড়তে পারবেন না। যে কারণে আপনার কমিটিতে যুদ্ধাপরাধীর ছেলেদের স্থান দিয়েছেন। রাজনীতি করতে চাইলে মিথ্যা জন্মদিন পালন করা ছেড়ে দেন। দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়িয়েছে।
দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে যারা বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ভাবধারায় নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই অশুভ শক্তির অশুভ চক্রান্ত আবার শুরু হয়েছে। আজকে আমাদেরকে বঙ্গমাতার আদর্শের শপথ নিয়ে অঙ্গীকার করতে হবে।
মহিলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাফিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন দলের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণ ও উত্তরের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ ও সাদেক খান, মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদা বেগম প্রমুখ।
0 coment rios: