স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার সকাল ৮টায় নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় বাজার থেকে ডোমার থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ডোমার থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আহমেদ রাজিউর রাজু জানান, মঙ্গলবার রাতে ওবায়দুল তার দুলাভাইয়ের ছোটভাই খুশবুর খোঁজে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার ব্র্যাক অফিসে না গিয়ে ভুল করে ডোমার সোনারায়ের পাশে ডোমার ব্র্যাক অফিসে আসে। ডোমার অফিসে খুশবুকে না পেয়ে ওবায়দুল ওই অফিসের সহকারীর মোবাইল ফোন থেকে তার সঙ্গে কথা বলে। এরপর খুশবু ডোমার ব্র্যাক অফিসের অফিস সহকারীকে ফোন দিয়ে বলেন, ওবায়দুলকে দেখে রাখতে। এদিকে খুশবু ওবায়দুলের অবস্থান জানিয়ে বীরগঞ্জ থানায় খবর দেন।
খবর পেয়ে ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহমেদ রাজিউর রহমানের নেতৃত্বে ঢাকার রমনা থানার উপপরিদর্শক মোশারফ হোসেনসহ একদল পুলিশ ডোমার ব্র্যাক অফিসে হানা দেয়। পুলিশের আসার খবর বুঝতে পেরে ওবায়দুল পালিয়ে যায়।
ওবায়দুলকে না পেয়ে পুলিশ ওই এলাকার চারদিকে অবস্থান নেয় এবং ঘাতক ওবায়দুলের ছবি এলাকার সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়। সারারাত অনেক খোঁজখুঁজি করেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। সারারাত একটি বাঁশঝাড়ে থাকার পর ওবায়দুল বুধবার সকালে নীলফামারী পালানোর জন্য ডোমার-নীলফামারী সড়কের সোনারায় বাজারে এলে এলাকাবাসী তাকে আটক করে এবং পুলিশের দেওয়া ছবির সঙ্গে মিল খুঁজে পায়। এ সময় ওই এলাকার মাংস ব্যবসায়ী দুলাল হোসেন ডোমার থানা পুলিশকে ওবায়দুলের অবস্থানের কথা জানালে সঙ্গে সঙ্গে ডোমার থানার এসআই ফজলুর হক তাকে গ্রেপ্তার করে।
এ সময় ডিএমপি পুলিশ, ডোমার থানা পুলিশ ও র্যাব-১৩ সদস্যরা তাকে ডোমার থানায় নিয়ে আসে। এরপর সংবাদ সম্মেলন শেষে দুপুর ১২টায় ওবায়দুলকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য মাইক্রোবাসে রওনা হয়।
উল্লেখ্য, ২৪ আগস্ট রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের সামনের ফুটওভার ব্রিজের কাছে রিশাকে ছুরিকাঘাত করে ওবায়দুল। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ভর্তি করা হয়। ২৮ আগস্ট রোববার সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিশা মারা যায়।
এ ঘটনায় রিশার মা তানিয়া হোসেন বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ওবায়দুলের বাড়ি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মিরাটঙ্গী গ্রামে। তার বাবা মৃত আব্দুস সামাদ।
0 coment rios: