মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

সৈয়দ শামসুল হকের প্রস্থান

সৈয়দ শামসুল হকের প্রস্থান

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটক

বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

বরিশালে লঞ্চডুবি, ১৩ লাশ উদ্ধার

বরিশালে লঞ্চডুবি, ১৩ লাশ উদ্ধার

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম

ফাইল ফটোবরিশালের বানারীপাড়ায় সন্ধ্যা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় ১৩ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে ১৩ জন।

বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সন্ধ্যা নদীর দাসেরহাট এলাকায় এ লঞ্চডুবি ঘটে।

এদিকে, এ ঘটনায় ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ড. গাজী সাইফুজ্জামান।

নিহতরা হলেন- কোহিনুর বেগম, মনোয়ারা বেগম, সুখ দেব, রাজ্জাক হাওলাদার, শান্তা, ফিরোজা, রেহেনা বেগম, মোজাম্মেল, রাবেয়া খাতুন, জয়নাল, শাহনাজ, আব্দুস সাত্তার ও হিরা বেগম।

বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. ফারুক হোসেন বিকেল ৫টার দিকে গণমাধ্যমের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউল আহসান জানান, এমএল ঐশী নামের ওই লঞ্চটিতে অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিল। এখন পর্যন্ত এক শিশু ও পাঁচ নারীসহ ১৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে ১৩ জন। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

লঞ্চটি থেকে উদ্ধার হওয়া যাত্রী আসলাম মিয়া বলেন, ‘অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে মসজিদবাড়ি ঘাট থেকে বানারীপাড়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায় লঞ্চটি। কিন্তু সন্ধ্যা নদীর মোহনায় লঞ্চটি ডুবে যায়।’

বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. ফারুক হোসেন জানান, এ পর্যন্ত ১৩টি লাশ ও ১৫ থেকে ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে ১৩ জন। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

তিনি আরো বলেন, প্রায় দু’ঘণ্টা চেষ্টার পর বিকেলে সাড়ে ৩টার দিকে ৬০ ফুট পানির নিচে ডুবে যাওয়া লঞ্চটির সন্ধান পাওয়া যায়। ডুবুরি দল নিখোঁজদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে।

বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার এসএম আক্তারুজ্জামান জানান, এ পর্যন্ত নিখোঁজদের স্বজনদের মাধ্যমে ১৩ জনের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, লাশগুলো মসজিদবাড়ি দারুস সুন্নত আলীম মাদ্রাসা টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের মাঠে রাখা হয়েছে।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট তালুকদার মোহাম্মাদ ইউনুচসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
যেভাবে উচ্চতর গ্রেড পাবেন চাকরিজীবীরা

যেভাবে উচ্চতর গ্রেড পাবেন চাকরিজীবীরা

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম

যেভাবে উচ্চতর গ্রেড পাবেন চাকরিজীবীরা জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী অবসরোত্তর ছুটিভোগীদের বেতন নির্ধারণ, সন্তোষজনক চাকরি এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার বিষয়ে বেতন স্কেল ২০১৫ এর স্পষ্টীকরণ করেছে সরকার। এর ফলে বিদ্যমান জটিলতা দূর হবে বলে দাবি করছে অর্থ বিভাগ।

এ বিষয়ে বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে একটি পরিপত্র জারির কথা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সূত্র জানায়, পরিপত্রটি জারি হলে অনেক জটিলতা দূর হবে। জাতীয় বেতন স্কেলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অস্পষ্টতার কারণে নানা ধরনের সমস্যা হচ্ছে। এটা দূর করতেই পরিপত্রটি তৈরি করা হয়েছে।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, অবসরোত্তর ছুটি (পিআরএল) ভোগরত কর্মচারী অবসরোত্তর ছুটির সময়ে শুধু একটি বর্ধিত বেতন (ইনক্রিমেন্ট) পাবেন, যা কেবলমাত্র তার পেনশন নির্ধারণের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।

সন্তোষজনক চাকরির ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, সন্তোষজনক চাকরি বোঝাতে কর্মচারীদের পদোন্নতিসহ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে যেভাবে সন্তোষজনক চাকরি বিদ্যমান বিধিবিধান অনুসৃত হয়ে থাকে বিবেচ্য উচ্চতর গ্রেডে বেতন পাওয়ার ক্ষেত্রে অনুরুপ বিধি-বিধানসহ প্রযোজ্য হবে।

স্বয়ংক্রিয় পদোন্নতির ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি (ডিপিসি) ছাড়া প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের সচিব/নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অথবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুমোদন গ্রহণপূর্বক অফিস আদেশ জারির মাধ্যমে উচ্চতর গ্রেড দেওয়ার বিষয়টি নিস্পত্তি করতে হবে।

উচ্চতর গ্রেডের প্রাপ্যতা সম্পর্কে পরিপত্রে বলা হয়েছে, একই পদে কর্মরত কোনো কর্মচারী দুই বা ততোধিক উচ্চতর স্কেল (টাইম স্কেল)/ সিলেকশন গ্রেড (যে নামেই অভিহিত করা হোক) পেয়ে থাকলে তিনি এই অনুচ্ছেদের অধীন উচ্চতর গ্রেডপ্রাপ্ত হবেন না।

একই পদে কর্মরত কোনো কর্মচারী একটি মাত্র উচ্চতর স্কেল (টাইম স্কেল)/ সিলেকশন গ্রেড (যে নামেই অভিহিত হোক) পেয়ে থাকলে উচ্চতর স্কেল (টাইম স্কেল)/সিলেকশন গ্রেড পাওয়ার তারিখ থেকে পরবর্তী ৬ (ছয়) বছর পূর্তির পর ৭ম বছরে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড পাবেন।

এ ছাড়া একই পদে কর্মরত কর্মচারী কোনো প্রকার উচ্চতর স্কেল (টাইম স্কেল )/ সিলেকশন গ্রেড (যে নামেই অভিহিত হোক) না পেয়ে থাকলে সন্তোষজনক চাকরির শর্তে তিনি ১০ (দশ) বছর চাকরি পূর্তিতে ১১তম বছরে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড এবং পরবর্তী ৬ বছরে পদোন্নতি না পলে ৭ম বছরে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড পাবেন। এ ছাড়া জাতীয় বেতনস্কেল, ২০১৫ এর ৭(১) ও ৭(২) এ প্রদত্ত সুবিধা কোনো অবস্থাতেই ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বরের আগে দেওয়া যাবে না।

 

মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

সমৃদ্ধির অংশীদার হতে মার্কিন ব্যবসায়ীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

সমৃদ্ধির অংশীদার হতে মার্কিন ব্যবসায়ীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম

ফাইল ফটোডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্ব আরো জোরদার করতে পারস্পরিক মুনাফা ও সমৃদ্ধির পথে ঢাকার সঙ্গে অংশীদার হতে মার্কিন ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সম্প্রসারণ ও একটি আধুনিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করতে এদেশের পোশাকের শুল্ক ও কোটমুক্ত প্রবেশাধিকারের সুযোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ তার কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে আপ্রাণ চেষ্টা করছে। এ প্রেক্ষাপটে আমি পারস্পরিক মুনাফা ও সমৃদ্ধির পথে আমাদের অংশীদার ও এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, এ ধরনের লাভজনক অংশীদারিত্ব দুই দেশের বন্ধুত্ব আরো জোরদার করবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার নিউ ইয়র্কের হোটেল ওয়ালডর্ফ অ্যাসটোরিয়ায় বিজনেস কাউন্সিল অব ইন্টারন্যাশনাল আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের(বিসিআইইউ) উদ্যোগে আয়োজিত এক মধ্যাহ্ন ভোজসভায় আমন্ত্রিত অতিথিদের সামনে বক্তব্য রাখছিলেন।

তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ নীতি রয়েছে। এর মধ্যে আইনের মাধ্যমে বৈদেশিক বিনিয়োগের সুরক্ষা, উদার কর অবকাশ, যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক হ্রাস, রেমিট্যান্স অব রয়েলিটি, শতভাগ বিদেশি ন্যায্যতা, উদার প্রত্যাহার নীতি এবং লভ্যাংশ ও মূলধনের পূর্ণ প্রত্যাবসনের সুবিধা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশি বেসরকারি শ্রমঘন শিল্পের জন্য প্রায় ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি প্রস্তুত হয়ে গেছে। এ সময় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র একটি দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ নীতি এবং দ্বৈত কর এড়ানো সংক্রান্ত সম্মেলনে স্বাক্ষর করেছে।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি বিশেষত নবায়নযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানি, জাহাজ নির্মাণ ও পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ, অটোমোবাইল ও হালকা প্রকৌশলী, রাসায়নিক সার, কৃষি-প্রক্রিয়াকরণ, ফার্মাসিউটিক্যালস, সিরামিকস ও প্লাস্টিক পণ্য, আইসিটি, নৌসম্পদ অন্বেষণ, পর্যটন, মেডিক্যাল যন্ত্রাংশ, টেলিযোগাযোগ ও জ্ঞানভিত্তিক উচ্চ প্রযুক্তির শিল্প খাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত।

তিনি বলেন, এসব পণ্যের বেশিরভাগই ৫২টি দেশে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশের সুযোগ পাবে যার ফলে বাংলাদেশ সুবিধা পাবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সম্প্রসারণ, এ শিল্পে আরো বেশি নারীদের নিয়োগ ও নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি ও একটি আধুনিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পোশাকের শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার দেওয়া ওয়াশিংটনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে।

তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, চীন, জাপান, ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর মত ৫২টি দেশ বাংলাদেশকে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা দেয়। যুক্তরাষ্ট্র ৫২টি দেশের মত এ সুযোগ দিতে পারে।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক অনেক উচ্চতার দিকে এগুচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের দুই দেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক বিরাজ করছে। বাংলাদেশে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সাম্প্রতিক সফর এর প্রমাণ। এমনকি আমাদের কৌশলগত সম্পর্ক সময়ের সাথে সাথে আরো বিস্তৃত ও গভীর হচ্ছে। এ ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক দুদেশের  বাণিজ্যিক সম্পর্কে প্রভাব রাখছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, এখন পর্যন্ত আমেরিকান কোম্পানিগুলোই সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী। গত বছর তারা বাংলাদেশে অর্ধ বিলিয়ন ডলার অথবা মোট এফডিআইয়ের ২৫ শতাংশ বিনিয়োগ করেছে।

বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশি পণ্যের আমদানিকারক একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এখনো শীর্ষে রয়েছে। ‘আমাদের দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য গত বছর দাঁড়িয়েছে ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। উচ্চ শুল্ক এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের ব্যাপারে শর্তারোপের ইস্যুগুলো যদি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় তাহলে এই বাণিজ্য আরো বৃদ্ধি পাবে।’

তিনি বলেন, এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এলডিসিভুক্ত অন্যান্য দেশের মত সুবিধা পাওয়ার কথা, কিন্তু বাংলাদেশ তা পায় না। এলডিসিভুক্ত অন্যান্য দেশকে যুক্তরাষ্ট্র আরোপিত সংরক্ষণ ব্যবস্থার সম্মুখীন হতে হয় না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর পরিবর্তে ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য ডিএসপি সুবিধা স্থগিত করে। এমনকি ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার সবগুলো দেশের জন্য জিএসপি সুবিধা পুনর্বহাল করে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির পর থেকে এই শিল্পে ৪০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এই শ্রমিকদের ৯০ শতাংশই নারী এবং তারা দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছে। তাদের আয় তাদের ক্ষমতায়ন করেছে। এর ফলে এখন তারা পুষ্টিকর ভাল খাবার পাচ্ছে, সন্তানদের স্কুলে পাঠাচ্ছে এবং পরিবারে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে।

তাদের ক্ষমতায়ন দারিদ্র্য হ্রাসে সহায়ক হয়েছে, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে এবং শিক্ষার হার বাড়ছে।

বিশেষভাবে এই অগ্রগতি সমাজকে প্রগতিশীল করে তুলছে- যা সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়ক হচ্ছে। এই প্রচেষ্টা সফল করতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে বাংলাদেশের পোশাক খাত সম্প্রসারিত হবে, আরো কর্মসংস্থান হবে, আরো নারীর ক্ষমতায়ন হবে এবং এটি আধুনিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সহায়ত হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, গত বছর বাংলাদেশে মোট সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) প্রথমবারের মতো দুই বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে, বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের এই আস্থা দেশটির সামষ্টিক অর্থনীতি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং বাস্তব অবকাঠামো উন্নয়নের সূচক। তাদের আস্থা বৃদ্ধির কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনা এবং ২০২১ সাল নাগাদ মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত দেশে পরিণত করার সক্রিয় প্রচেষ্টা।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে তার দল সরকার গঠন করার পর বার্ষিক জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারের গড় দাঁড়ায় ৬.২ শতাংশের বেশি। চলতি বছর তা ৭ শতাংশ অতিক্রম করেছে, মাথাপিছু আয় বেড়েছে ৬৫ শতাংশ, মূল্যস্ফীতি ৫.৪৫ শতাংশে রাখা সম্ভব হয়, রপ্তানি আয় দ্বিগুণ বেড়ে দাঁড়ায় ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি এবং রেমিট্যান্স বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়ায় ৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বার্ষিক মানব উন্নয়ন সূচক দাঁড়ায় ১.৬ শতাংশ।

তিনি বলেন, এসব অর্জন এমডিজির লক্ষ্যসমূহ অর্জনে সহায়ক হয়েছে এবং বাংলাদেশ এখন একটি বাণিজ্যনির্ভর দেশ। বৈদেশিক সাহায্য এখন বার্ষিক জিডিপির ১.৫ শতাংশ। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন প্রায়শই বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিক উন্নয়নের রোল মডেল’।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ প্রগতিশীল সেকুলার গণতান্ত্রিক দেশ। জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের বয়স ৪০ বছরের নিচে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে গ্যাস, কয়লা, পানি উর্বর জমি এবং দ্রুত বিকাশমান মধ্যবিত্ত শ্রেণি রয়েছে এবং এতে ক্রয় ক্ষমতা বাড়ছে।

প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক, জাতিসংঘে বাংলাদেশের দূত এবং স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন, এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ এবং প্রথম সহ-সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট ফর সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়া বিষয়ক সহকারি সেক্রেটারি নিশা দেশাই বিসওয়াল, আমেরিকান টাওয়ার করপোরেশন, ওয়ালমার্ট, মেটলাইফ, বোয়িং, শেভরন করপোরেশন, জিই, কোকা কোলাসহ বিভিন্ন কোম্পানি থেকে ব্যবসায়ী নেতারা বৈঠকে অংশ নেন।

তথ্যসূত্র : বাসস
 

বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

২০১৮ সালের মধ্যে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ

২০১৮ সালের মধ্যে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম

২০১৮ সালের মধ্যে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ একসময় শহরে সন্ধ্যা নামলেই ঝিঁঝি পোকার ডাক শোনা যেত। শহর থেকে সেই ডাক হারিয়ে গেছে অনেক আগেই। আর এখন সেই ঝিঁঝি পোকার ডাক শুনতে হলে সীমান্তের কাছাকাছি কোনো গ্রাম বা পাহাড়ে যেতে হয়। কারণ এখন দেশের অধিকাংশ গ্রামে রাত হলেই বৈদ্যুতিক আলো জ্বলে।

বর্তমান সরকারের লক্ষ্যমাত্রা আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি গ্রামকে বৈদ্যুতিক আলোতে উজ্জ্বল করা। অর্থাৎ, আগামী দুই বছরের মধ্যে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানোর লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। যদিও এ বিষয়ে দায়িত্বশীল মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য হচ্ছে, ‘এখনই আমাদের চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের অভাব নেই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বিদ্যুতের ডিস্ট্রিবিউশনে। দেশের সব জায়গায় এখনো ট্রান্সমিশন হয়নি। প্রয়োজনীয় ট্রান্সমিশন করা গেলে, আগামী দুই বছরের আগেই ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানো শতভাগ সম্ভব।’

এমনকি এর একটি সুন্দর সমাধানের কথাও বলেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, এখন থেকে নতুন যেসব বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে, সেগুলো দুই ধরনের জ্বালানির মাধ্যমে চলবে। ভবিষ্যতে দেশে যে গ্যাস উৎপাদন হবে, তা থেকে আর বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহার করা হবে না। এর পরিবর্তে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ব্যবহার করা হবে। আর সুষ্ঠু ট্রান্সমিশনের লক্ষ্যে মেগা কাজ চলছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মপরিকল্পনা : ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানো ছাড়াও সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগ আরো কিছু কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এসব কর্মপরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, ২০২১ সালের মধ্যে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার এবং ২০৩০ সালে ৪০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করা, ২০২১ সালের মধ্যে প্রায় ৬ হাজার কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন এবং ১ লাখ কিলোমিটার বিতরণ লাইন ও প্রয়োজনীয় উপকেন্দ্র নির্মাণ বা ক্ষমতা বর্ধন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রাথমিক জ্বালানির সরবরাহ নিশ্চিত এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা।

এ ছাড়া সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০২১ সালের মধ্যে প্রায় ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সংস্থান, ২০২১ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ন্যূনতম ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদন, আঞ্চলিক গ্রিডের মাধ্যমে ৬ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি নিশ্চিত, ২০২১ সালের মধ্যে ৬ হাজার মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ এবং ২০২২ সালের মধ্যে প্রায় ২ হাজার মেগাওয়াট নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করা।

তা ছাড়া সিস্টেম লস সিঙ্গেল ডিজিটে হ্রাস, ২০১৭ সালের মধ্যে দেশব্যাপী প্রি-পেইড মিটার স্থাপন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে ১৫ শতাংশ জ্বালানি অপচয় হ্রাস, গ্রাহকসেবার মান বৃদ্ধিতে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ও ডিজিটাল পদ্ধতির প্রবর্তন এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিদ্যুৎ খাতের দক্ষ জনবল সৃষ্টি করা।

বিদ্যুতের বিদ্যমান অবস্থা : বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি মিলে শতাধিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্থাপিত ক্ষমতা প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ উৎপাদনের রেকর্ড হচ্ছে ৮ হাজার ৭৭৬ মেগাওয়াট। গত ১৫ জুন প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন এই রেকর্ড হয়।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সূত্র বলেছে, উৎপাদিত বিদ্যুতের অন্তত ৫ শতাংশ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতেই ব্যবহৃত হয়, যাকে বলা হয় ‘অক্সিলিয়ারি’। উৎপাদন ৮ হাজার মেগাওয়াট হলে ‘অক্সিলিয়ারি’ হিসেবে ব্যবহৃত হয় অন্তত ৪০০ মেগাওয়াট। বাকি ৭ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট থেকে সঞ্চালন লস (লোকসান) হয় অন্তত ৩ শতাংশ, অর্থাৎ ২২৮ মেগাওয়াট। সে হিসাবে বিতরণ লাইনে ঢোকে ৭ হাজার ৩৭২ মেগাওয়াট। এখান থেকে বিতরণ লোকসান হয় অন্তত ১০ শতাংশ, অর্থাৎ ৭৩৭ মেগাওয়াট। সবশেষে গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছায় ৬ হাজার ৬৩৫ মেগাওয়াট।

বর্তমানে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় সাড়ে ৮ হাজার মেগাওয়াট। এর মধ্যে পল্লী বিদ্যুতের দেড় কোটিরও বেশি গ্রাহকের চাহিদা প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মেগাওয়াট। ঢাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী দুটি প্রতিষ্ঠান ডিপিডিসি ও ডেসকোর মোট চাহিদা প্রায় আড়াই হাজার মেগাওয়াট। পিডিবি এবং পশ্চিমাঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির মোট চাহিদা প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট।

এই হিসাবে গ্রাহক পর্যায়ের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হচ্ছে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট। এই ঘাটতি পূরণের মতো উৎপাদনক্ষমতা আছে। কিন্তু জ্বালানিস্বল্পতা, বিশেষ করে গ্যাসের অভাবে সেই ক্ষমতা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। যদিও সরকার এখন কয়লাভিত্তিক জ্বালানির দিকে এগোচ্ছে। জ্বালানি নিশ্চিত করা গেলে গ্রাহক পর্যায়ে ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বিতরণে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না সরকারকে।

বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। সে হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বিদ্যুৎ খাতে জোর দেয় সরকার। পরিকল্পনামাফিক হাতে নেওয়া হয় বেশ কিছু পদক্ষেপ। যার ফল এরই মধ্যে সরকার পেয়েছে।

এর আগে বিএনপি সরকারের আমলে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ৩ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। সেখান থেকে গত সাত বছরে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯ হাজার মেগাওয়াটে। এ ছাড়া বাস্তবায়নাধীন রয়েছে আরো কিছু পরিকল্পনা।

ভবিষ্যৎ কর্মসূচি : বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) হিসাবে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত সাত বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। চলছে আরো কিছু কাজ, প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বেশ কিছু পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত।

গত ২ জুন বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, গত মে মাস পর্যন্ত দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা উন্নীত হয়েছে ১৪ হাজার ৫৩৯ মেগাওয়াটে। ভিশন ২০২১ অর্জনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে আরো ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের।

এ লক্ষ্যে ২৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন, ২০টির দরপত্র প্রক্রিয়াধীন এবং আটটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন সরকারের পরিকল্পনায় রয়েছে। এ ছাড়া উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা কার্যক্রমের আওতায় ২০৩০ সালের মধ্যে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো হতে সাড়ে ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

সাড়ে ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রকল্প : দেশের তিনটি বিদ্যুৎ উৎপাদন অঞ্চল (হাব) থেকে আরো সাড়ে ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রকল্প গ্রহণ করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। ১০ বছর মেয়াদি প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) অধীনে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, তিনটি বিদ্যুৎ উৎপাদন অঞ্চলে তিন হাজার একর জমি রয়েছে। এসব অঞ্চলে যে পুরোনো বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো আছে, সেগুলো সংস্কার করা হবে। এসব অঞ্চলে আরো বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। সব মিলিয়ে এসব অঞ্চল থেকে আরো সাড়ে ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিদ্যুৎ অঞ্চল তিনটি হলো—নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালের বিদ্যুৎ উৎপাদন অঞ্চল, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ীর বিদ্যুৎ উৎপাদন অঞ্চল  ও খুলনা জেলার গোয়ালপাড়ার বিদ্যুৎ উৎপাদন অঞ্চল। এ তিনটি অঞ্চলে বর্তমানে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে।
 
ব্যাংকপাড়ায় কর্মচাঞ্চল্য ফেরেনি

ব্যাংকপাড়ায় কর্মচাঞ্চল্য ফেরেনি

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম

ব্যাংকপাড়ায় কর্মচাঞ্চল্য ফেরেনি
অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : চার দিনের সরকারি ছুটিসহ মোট ছয় দিনের ঈদের ছুটি শেষ। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সব তফসিলি ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসেনি। এখনো সর্বত্রই ঈদের আমেজ।

ঈদের ছুটির পর বৃহস্পতিবার প্রথম কর্মদিবসে মতিঝিলের ব্যাংকপাড়ার স্বাভাবিক চিত্র চোখে পড়েনি। রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকাটির সব সড়কই ছিল ফাঁকা। ছিল না যানজট কিংবা কর্মজীবী মানুষের ব্যস্ত ছোটাছুটি।  নিয়ম মেনেই সকাল ১০টায় ব্যাংকের লেনদেন শুরু হয়। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একে অন্যের সঙ্গে ঈদের কোলাকুলি ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ব্যাংকগুলোতে গ্রাহক উপস্থিতির সংখ্যা ছিল খুবই কম। অন্যদিকে অনেক কর্মকর্তারই আসন ছিল ফাঁকা।

আজ দুপুর ১২টার দিকে মতিঝিলের সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, অল্পসংখ্যক গ্রাহক দু-তিনটি কাউন্টার থেকে টাকা তুলছেন। তবে অধিকাংশ কাউন্টারে কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকলেও গ্রাহক ছিলেন না।

একাধিক ব্যাংকারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেক কর্মকর্তাই ঈদের ছুটির সঙ্গে অতিরিক্ত এক দিন ছুটি নিয়েছেন। সব মিলিয়ে শুক্র ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি শেষে তারা ফিরবেন আগামী রোববার। ওই দিন থেকে পুরোদমে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসবে।
এদিকে ব্যাংক কিংবা অফিস-আদালত খুললেও নগরের বিপণিবিতান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে এখনো ঈদের ছুটি চলছে। রাজধানীর অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ দেখা যায়। বন্ধ আছে শেয়ারবাজার। নয় দিন ছুটি শেষে রোববার খুলবে দেশের উভয় শেয়ারবাজার।
যারা দেশকে অস্থিতিশীল করছে তাদের ছাড় নেই : হানিফ

যারা দেশকে অস্থিতিশীল করছে তাদের ছাড় নেই : হানিফ

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম

যারা দেশকে অস্থিতিশীল করছে তাদের ছাড় নেই : হানিফআওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, যারা দেশকে অস্থিতিশীল করছে তাদের কোনো ছাড় নেই।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া স্টেডিয়াম ও নবনির্মিত সুইমিংপুল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।

হানিফ বলেন, ‘যারা পেট্রোল ঢেলে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে, বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করে কারাগারে আছে তাদের প্রতি বিএনপির দরদ উতরে পড়ছে। তাহলে ধরে নেওয়া যায়-বিএনপির নির্দেশে এ সব হত্যাকাণ্ড হয়েছে।’

এ সময় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন, পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম, জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশারসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

শরীয়তপুর জেলায় বাধ নিমানের দাবীতে মানববন্ধন

শরীয়তপুর জেলায় বাধ নিমানের দাবীতে মানববন্ধন


স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম

শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর থেকে চন্ডীপুর,মুলফৎগঞ্জ, ওয়াপদা হয়ে জাজিরা থানার কুন্ডেরচর ইউনিয়নের কলমীরচর পর্যন্ত পদ্মার ভয়াবহ ভাংগনে পুরো জনপদ আজ বিপর্যস্থ।শত শত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ মসজিদ মাদ্রাসা ফসলী জমি এমনকি অসহায় মানুষের একমাত্র বসতভিটাও আজ হুমকির সম্মুখীন।সুরেশ্বর লঞ্চঘাট ও বাজার,সুরেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়,সুরেশ্বর দরবার শরীফ,চন্ডীপুর লঞ্চঘাট ও বাজার,চন্ডীপুর বাজার,সাধুরবাজার লঞ্চঘাট,মুলফৎগঞ্জস্থ নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,মুলফৎগঞ্জ বাজার,মুলফৎগঞ্জ মাদ্রাসা,ওয়াপদা লঞ্চঘাট,নড়িয়া বাজার সহ অনেকগুলি সরকারী বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ গরীব দুঃখী মানুষের একমাত্র মাথাগুজার ঠাই হারাতে যাচ্ছে পদ্মার ভয়াল ভাংগনে।
এই মুহুর্তে নড়িয়া উপজেলায় পদ্মার দক্ষিণ তীর রক্ষাকল্পে তীর সংরক্ষন বাধ দিয়ে গোটা জনপদ বিলীন হওয়া থেকে রক্ষা করতে মাননীয় প্রধানমমন্ত্রীর আশু পদক্ষেপ কামনা করে আজ ৫ সেপ্টেম্বর সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।এই মানববন্ধনে নড়িয়া থানার প্রায় পাচ হাজার ছাত্র-জনতা অংশ নেয়।  আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন,সমাজসেবক বেনজীর নুরী,আওয়ামীলীগ নেতা মিহির চক্রবর্তী,নড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন,জাজিরা উপজেলা চেয়ারম্যান মোবারক সিকদার, নড়িয়া তথা শরীয়তপুরের বিশিষ্ট নারী নেত্রী ও নূসার পরিচালক মাজেদা শওকত এবং নড়িয়া সখীপুরের সংসদ সদস্য কর্নেল (অবঃ) শওকত আলী। সভার সভাপতিত্ব করেন ও সংগঠনের মূখপত্র সৈয়দ শাহ্‌ সূফী কামাল নূরী সুরেশ্বরী। বক্তার প্রত্যেকেই নড়িয়া তথা শরিয়তপুরের প্রানের দাবী পদ্মার দক্ষিণ তীর রক্ষা বাঁধের প্রয়োজনীয়তা এবং দ্রুত বাস্তবায়নের জোর দাবী তুলে ধরেন।অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সৈয়দ শাহ নূরে হাসান দিপু নুরী।

সবশেষে সভাপতি পরবর্তী কর্মসূচী পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে সভার ও মানববন্ধন কর্মসূচীর সমাপ্তি ঘোষনা করেন।

রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

নিউইয়র্কে ছুরিকাঘাতে নিহত নাজমা খানমের দাফন সম্পন্ন

নিউইয়র্কে ছুরিকাঘাতে নিহত নাজমা খানমের দাফন সম্পন্ন

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউইয়র্কে ছুরিকাঘাতে নিহত নাজমা খানমের দাফন সম্পন্ন নিউইয়র্কের জ্যামাইকায় ছুরিকাঘাতে নিহত শরীয়তপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষিকা নাজমা খানমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
রোববার এশার নামাজ শেষে শরীয়তপুর সদর উপজেলার নিজ গ্রাম আটিপাড়ায় তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে ঢাকা থেকে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স করে সন্ধ্যা ৭টার সময় নাজমা খানমের মরদেহ তার পুরনো কর্মস্থল শরীয়তপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্রীদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শরীয়তপুর ঈদগাহ মাঠে তার জানাজা সম্পন্ন হয়।  জানাজা শেষে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় তার নিজ গ্রাম আটিপাড়ায়। নাজমা খানমের মরদেহ তার নিজ গ্রামে পৌঁছানোর পর তার আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাক্সক্ষীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এশার নামাজ শেষে আটিপাড়া ফোরকানিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ঈদগাহ ময়দানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে ঈদগাহ কবরস্থানে তাকে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
প্রসঙ্গত, শরীয়তপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষিকা নাজমা খানম ২০০৮ সালে ডিবি ভিসা লটারি পেয়ে স্বামী শামসুল আলম খান ও ছোট ছেলে নাইমুল আলম শুভসহ আমেরিকায় যান। এরপর থেকে ছোট ছেলে শুভকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী আমেরিকায় বসবাস করে আসছেন। গত বুধবার রাত ৯টার দিকে আমেরিকার নিউইয়র্কের জ্যামাইকায় নিজ বাসার কাছে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে তিনি নিহত হন।
 
আশুলিয়ায় গুলি করে ১৫ লাখ টাকা ছিনতাই

আশুলিয়ায় গুলি করে ১৫ লাখ টাকা ছিনতাই

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম

আশুলিয়ায় গুলি করে ১৫ লাখ টাকা ছিনতাইআশুলিয়ার জামগড়ায় বিকাশের দুই কর্মীকে গুলি করে ১৫ লাখ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
আহত অবস্থায় শুভ ও জাহাঙ্গীর আলম নামে দুই বিকাশকর্মীকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রোববার বিকেলে আশুলিয়ার জামগড়ার বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত শুভ সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার বাকাই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি জামগড়া একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতন। আর জাহাঙ্গীর বগুড়ার লোকমান হোসেনের ছেলে। আহত শুভর মামা আদিল  জানান, শুভ ও জাহাঙ্গীর মোটরসাইকেলে করে এজেন্টদের কাছ থেকে টাকা তুলে আশুলিয়ার বিকাশ অফিসে যাওয়ার সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত গতিরোধ করে টাকা ছিনতাই চেষ্টা চালায়।
এ সময় তারা বাঁধা দিলে দুজনের ডান পায়ে গুলি করে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায তারা ।  পরে তাদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে নারী ও শিশু কেন্দ্রে নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে ঘটনার পর  থানা ও স্থানীয় ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলা (উত্তর) ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এফএম সায়েদ জানান, পুরো এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালোনো হচ্ছে। এ ছাড়া আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মহাসিনুল কাদির জানান,  ছিনতাইকারীদের আটক করতে অভিযান চালানো হচ্ছে ।
বুধবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ৫০ লাখ পরিবার ১০ টাকা দরে চাল পাবে

বুধবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ৫০ লাখ পরিবার ১০ টাকা দরে চাল পাবে

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম

৫০ লাখ পরিবার ১০ টাকা দরে চাল পাবে‘খাদ্যবান্ধব’ কর্মসূচির আওতায় আগামী ৭ সেপ্টেম্বর বুধবার থেকে দরিদ্রদের ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেবে সরকার।

দেশের ৫০ লাখ পরিবারকে মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। একই সঙ্গে তিন কেজি করে ডাল দেবে সরকার। বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন।

এ ছাড়া এখন থেকে টিআর ও কাবিখায় খাদ্যশষ্যের পরিবর্তে টাকা বিতরণ করা হবে বলে খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।   রোববার সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে এই তথ্য জানান।

কামরুল ইসলাম বলেন, হতদরিদ্রদের জন্য কর্মসূচি নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৭ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রামের চিলমারীতে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’- স্লোগানে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্র পরিবার প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল ১০ টাকা দরে পাবে।

আগামী মার্চ, এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর- এই পাঁচ মাস হতদরিদ্র ৫০ লাখ পরিবার এই চাল পাবে বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি জানান, কর্মসূচির আওতায় বিধবা ও প্রতিবন্ধী নারীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। দেশের প্রতিটি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি কমিটি আছে। সেখানে জনপ্রতিনিধিরাও রয়েছেন। তারাই হতদরিদ্র পরিবারের সংখ্যা ঠিক করে তাদের কার্ড দেবেন। নীতিমালা অনুযায়ী তাদের চাল দেওয়া হবে। তবে সরকারি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতাভুক্ত ভিজিডি কর্মসূচির সুবিধাপ্রাপ্তরা এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে না।

বর্তমানে বাজারে মোটা চাল ৩৬ টাকা দরে এবং চিকন চাল ৪৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণে একই মানসম্পন্ন চাল ১০ টাকা কেজি দরে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। গত বছর খাদ্য মন্ত্রণালয় সুলভ মূল্য কার্ডের মাধ্যমে ১১ লাখ পরিবারের মধ্যে মাসে ২০ কেজি করে ১৫ টাকা দরে খোলা বাজারে চাল বিক্রি করেছে। তবে এবারই প্রথম ১০ টাকা দরে বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সুলভ মূল্যে খাদ্য বিক্রির জন্য চলতি অর্থবছরে খাদ্য নিরাপত্তায় অর্থমন্ত্রণালয় ১৩ হাজার কোটি টাকা ভতুর্কি বরাদ্দ রেখেছে।

সরকার ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবার নির্বাচনে মানদণ্ড বেঁধে দিয়েছে। নীতিমালায় বলা হয়েছে- সুবিধাভোগী পরিবারকে ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের অধিকারী হতে হবে। নারী প্রধান (বিধবা/তালাকপ্রাপ্ত/স্বামী পরিত্যক্তা) এবং যে পরিবারে দুস্থ শিশু রয়েছে, সেই পরিবার অগ্রাধিকার পাবে। তবে একই পরিবারে একাধিক ব্যক্তিকে কোনোভাবেই তালিকাভুক্ত করা যাবে না।
 

বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

আকাশে দুই বিমানের সংঘর্ষ, নিহত ৫

আকাশে দুই বিমানের সংঘর্ষ, নিহত ৫

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম

আকাশে দুই বিমানের সংঘর্ষ, নিহত ৫আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আকাশে ছোট দুটি বিমানের মধ্যে সংঘর্ষে মারা গেছে পাঁচজন। যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা রাজ্যে স্থানীয় সময় বুধবার এ ঘটনা ঘটেছে। ছোট বিমান দুটির কোনো আরোহী বেঁচে নেই।
বিবিসি অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আলাস্কার প্রত্যন্ত অঞ্চলে রাশিয়ান মিশন কাজ করছে, এমন একটি গ্রামের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  আলাস্কার ন্যাশনাল গার্ড জানিয়েছে, স্থানীয় বিমানসংস্থা হেজল্যান্ড অ্যাভিয়েশনের একটি বিমান এবং রেনফ্রো’স আলাস্কা অ্যাডভেঞ্চারাস নামে ট্যুর কোম্পানি পরিচালিত আরেকটি বিমানের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে হেজল্যান্ড অ্যাভিয়েশনের বিমানের তিনজন এবং অ্যাডভেঞ্চারাসের দুজন আরোহী মারা যান।
যুক্তরাষ্ট্রে আকাশে বিমানে-বিমানে সংঘর্ষ বিরল। তবে এ পর্যন্ত এ জাতীয় যত ঘটনার কথা শোনা গেছে, তার অধিকাংশই ঘটেছে কোনো না কোনো বিমানবন্দরে পাশে।
১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের নির্দেশ

১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের নির্দেশ

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম

১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের নির্দেশ ঈদুল আজহা উপলক্ষে পোশাক শ্রমিকদের উৎসব ভাতা বা বোনাস ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এবং বেতন ও ওভারটাইমের পাওনা ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরিশোধে মালিকদের নির্দেশ দিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে  ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক কোর কমিটির ৩২তম সভা শেষে শ্রম প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান। সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী।  প্রতিমন্ত্রী বলেন, কারখানার মালিকরা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, তারা আগামী ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে উৎসব ভাতা এবং ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বেতন ও ওভারটাইম পরিশোধ করবেন। এই তারিখের মধ্যে কেউ বেতন-ভাতা পরিশোধ না করলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সময় তিনি পর্যায়ক্রমে ছুটির ব্যবস্থা করতে মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ঈদুল আজহায় সবাই যাতে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারেন, সেজন্য সব কারখানায় একসঙ্গে ছুটি না দিয়ে পর্যায়ক্রমে ছুটি দিতে হবে। শ্রমিকদের যাতায়াতে যাতে কোনো সমস্যা তৈরি না হয়, সেজন্য পরিবহন মালিকদের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।

সভায় বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমাদের কারখানা মালিকরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই বেতন-ভাতা পরিশোধ করবেন। শ্রমিক ভাই-বোনেরা অন্যান্যবারের মতো এবারও আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে ভালোভাবে ঈদ করতে পারবেন। তবে আমাদের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কারখানা। সবার সঙ্গে সমন্বয় করে পর্যায়ক্রমে ছুটি দেওয়া সম্ভব হবে না। তারপরও আমরা চেষ্টা করব।

সভায় শ্রম সচিব মিকাইল সিপার, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক সৈয়দ আহম্মদ, শ্রমিক নেতা সিরাজুল ইসলাম রনি, শিল্পাঞ্চল পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বিকেএমইএ প্রতিনিধি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৬ দিনের রিমান্ডে ওবায়দুল

৬ দিনের রিমান্ডে ওবায়দুল

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম

৬ দিনের রিমান্ডে ওবায়দুল কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশা হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ওবায়দুলের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেন ওবায়দুলের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ওবায়দুলকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক আলী হোসেন। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামি ওবায়দুল প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বিভিন্ন সময় রিশাকে উত্ত্যক্ত করত। গত ২৪ আগস্ট বেলা সোয়া ১২টার দিকে রিশা তার সহপাঠী মুহতারিফ রহমান রাফির সঙ্গে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে যাওয়ার পথে ওবায়দুল রিশাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাম হাতে ও পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। ২৮ আগস্ট রিশা ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। ঘটনার পর থেকে ওবায়দুল পলাতক ছিলেন। তাকে ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গত ৩১ আগস্ট নীলফামারীর ডোমরা থানার সোনারগাঁও থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছুরিকাঘাতের কথা স্বীকার করলেও এখনো হত্যার আলামত ছুরি উদ্ধার হয়নি। ওই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন, হত্যার কারণ, রিশাকে যে ছুটি দিয়ে আঘাত করা হয় সে ছুরি উদ্ধার, এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত কিনা এবং মদদদাতা কেউ আছে কি না তা উদঘাটনের লক্ষ্যে এই আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

রিমান্ড শুনানিকালে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। আর বাদীপক্ষে রিমান্ড শুনানিতে আবু আব্দুল্লাহ বলেন, হত্যাকাণ্ডটি হৃদয়বিদারক। আসামি রিশাকে শুধু উত্ত্যক্ত করে ক্ষান্ত হয়নি, তাকে হত্যা করেছে। তাই এই আসামির ১০ দিনের রিমান্ডই মঞ্জুর করা হোক। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি এবং রাজধানী মানবাধিকার কমিশনও ওবায়দুলের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের আবেদন করে।

রিমান্ড শুনানিকালে আদালতে হাজির ছিলেন রিশার মা তানিয়া হোসেন এবং বাবা রমজান হোসেন। এ সময় তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। আদালত থেকে বের হয়ে তারা সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আমাদের মেয়ে রিশাকে হত্যার বিচার চাই, ওর (ওবায়দুল) ফাঁসি চাই। ওর বিচার যেন তাড়াতাড়ি শেষ হয়, সেই আশা করছি।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের সামনের ফুটওভারব্রিজে রক্তাক্ত অবস্থায় রিশাকে পাওয়া যায়। স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ২৮ আগস্ট সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিশার মৃত্যু হয়।

ঘটনার দিনই রিশার মা বাদী হয়ে রমনা থানায় এলিফ্যান্ট রোডের ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং কমপ্লেক্সের একটি দর্জির দোকানের কর্মী ওবায়দুলকে একমাত্র আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় এবং দণ্ডবিধির ৩২৪/৩২৬/৩০৭ ধারায় হত্যাচেষ্টা ও গুরুতর আঘাতের অভিযোগে একটি মামলা করেন। রিশা মারা যাওয়ার আগে মামলা করায় মামলায় ৩০২ ধারা ছিল না। পরে রিমান্ড আবেদনে ৩০২ ধারা সংযোজন করা হয়েছে বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন।

গতকাল বুধবার সকালে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় বাজার থেকে ওবায়দুলকে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মিরাটঙ্গী।

রিশার বাবার নাম রমজান আলী। তিনি ক্যাবল ব্যবসায়ী। পুরান ঢাকায় সিদ্দিক বাজারে ১০৪ নম্বর বাড়িতে থাকেন তারা।
ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অনুসরণীয় নির্দেশনা

ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অনুসরণীয় নির্দেশনা




স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম


১. জীবনাচরণ সংক্রান্ত:
১.১ পিতা-মাতা, শিক্ষক ও গুরুজনের আদেশ-নিষেধ এবং উপদেশ মেনে চলতে হবে।
১.২ ধর্মীয় ও সামাজিক অনুশাসন মেনে চলতে হবে।
১.৩ বড়দের শ্রদ্ধা করতে হবে ও সালাম দিতে হবে এবং ছোটদের স্নেহ করতে হবে।
১.৪ নারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।
১.৫ প্রতিবন্ধীদের সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণ করতে হবে।
১.৬ সব ক্ষেত্রে শালীনতা বজায় রাখতে হবে, অশ্লীলতা অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
১.৭ শুদ্ধ ও সঠিক উচ্চারণে কথা বলতে হবে এবং সবার সঙ্গে বিনয়ের সঙ্গে কথা বলতে হবে।
১.৮ অধিক রাত না জেগে সময়মতো ঘুমাতে হবে এবং ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হবে।
১.৯ গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ রাষ্ট্রের সম্পদ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। রাষ্ট্রের সম্পদ নিজের সম্পদ মনে করে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।
১.১০ জীবনযাপনে মিতব্যয়ী ও সুশৃঙ্খল হতে হবে।
১.১১ চিন্তা, কথা ও কাজে সৎ থাকতে হবে।
১.১২ সহপাঠীদের প্রতি আন্তরিক হতে হবে। সদাচরণ করতে হবে।
১.১৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব নিয়ম-কানুন অনুসরণ করতে হবে।
১.১৪ অসহায়,দুর্বল, বিপদগ্রস্থ, দুঃস্থ ও রোগীদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়াতে হবে।
১.১৫ নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রাপ্য অধিকার ভোগ করা যাবে। তবে, অন্যের ন্যায্য অধিকার ভোগের সুযোগ দিতে হবে।

২. খাদ্য ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত:
২.১ খাবারের আগে ও পরে সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
২.২ প্রতিদিন শাক-সবজি ও ফলমূল খেতে হবে এবং পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। ফলমূল খাওয়ার আগে ভালো করে বিশুদ্ধ পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
২.৩ বাজার থেকে কেনা ফলমূল, শাক-সবজি বিশুদ্ধ কুসুম গরম পানিতে কমপক্ষে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
২.৪ ধূমপান ও মাদক মৃত্যু ঘটায়। তাই, সবাইকে ধূমপান ও মাদক পরিহার করতে হবে।
২.৫ সবাইকে স্বাস্থ্যসম্মত ওয়াশরুম ব্যবহার করতে হবে এবং স্যান্ডেল পরে ওয়াশরুমে যেতে হবে। ওয়াশরুম ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে নিতে হবে। ওয়াশরুম ব্যবহার জানতে হবে। ওয়াশরুম ব্যবহারের পর যথাযথভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
২.৬ ওয়াশরুমে ব্যবহৃত টিস্যু/অন্যান্য পেপার নির্দিষ্ট ঝুড়িতে ফেলতে হবে এবং পর্যাপ্ত পানি ও টিস্যুর ব্যবস্থা রাখতে হবে।
২.৭ ওয়াশরুম ব্যবহারের প্রয়োজন হলে সংকোচ এবং বিলম্ব না করে ওয়াশরুম ব্যবহার করতে হবে। বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রী পৃথক ওয়াশরুম ব্যবহার করবে।
২.৮ রান্না করা খাবার সব সময় ঢেকে রাখতে হবে, যাতে ধূলাবালি না জমে এবং মশা-মাছি বসতে না পারে।
২.৯ পরিমিত খাবার খেতে হবে। অতিরিক্ত খাবার দেহের ক্ষতি সাধন করে।
২.১০ পঁচা ও বাসি খাবার খাওয়া যাবে না। অতিরিক্ত তৈলাক্ত বা চর্বিযুক্ত খাবার যতদূর সম্ভব পরিহার করতে হবে। বাইরের অস্বাস্থ্যকর ও খোলা খাবার খাওয়া যাবে না।
২.১১ থালাবাসন ধোয়াসহ পরিবারের সব কাজে টিউবওয়েলের পানি বা বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করতে হবে।
২.১২ সকালে এবং রাতে ঘুমানোর আগে ভালো পেস্ট ও ব্রাশ দিয়ে দাঁত মাজতে হবে। একটি ব্রাশ তিন মাসের বেশি ব্যবহার করা যাবে না। নিয়মিত দাঁতের পরিচর্যা করতে হবে এবং বছরে অন্তত একবার দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
২.১৩ সপ্তাহে অন্তত দুদিন কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গড়গড়া করতে হবে। এতে মুখের ভেতরটা পরিষ্কার হবে ও মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে।
২.১৪ ময়লা আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। নিজ বিদ্যালয় ও বাড়ির আঙ্গিনা এবং বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
২.১৫ যেখানে সেখানে কফ বা থুথু ফেলা যাবে না। ঘরের ময়লা নির্দিষ্ট ঝুড়িতে ফেলতে হবে।
২.১৬ আর্সেনিক ও জীবানুমুক্ত পানি পান করতে হবে। বিশুদ্ধ পানি পাওয়া না গেলে পানি ফুটিয়ে ফিটকিরি দিয়ে বিশুদ্ধ করে পান করতে হবে।
২.১৭ নিয়মিত খেলাধূলা ও ব্যায়াম করতে হবে।
২.১৮ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জামা-কাপড় পরিধান করতে হবে।
২.১৯ নিয়মিত নখ ও চুল কাটতে হবে।
২.২০ ছয় মাস অন্তর অন্তর কৃমির ওষুধ খেতে হবে। ডাক্তারের পরার্মশ ছাড়া কোনো ধরনের ওষুধ সেবন করা যাবে না।
২.২১ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা গ্রহণের জন্য নিকটবর্তী রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
২.২২ প্রয়োজনীয় সব টিকা সময়মতো নিতে হবে।
৩ শিক্ষা, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংক্রান্ত:
৩.১ নিয়মিত বিদ্যালয়ে যেতে হবে এবং দিনের পড়া দিনে শেষ করতে হবে।
৩.২ জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে এবং লক্ষ্য অর্জনের জন্য অধ্যাবসায়ী ও পরিশ্রমী হতে হবে।
৩.৩ তথ্যপ্রযুক্তির বিষয়ে জ্ঞানার্জনসহ যুগোপযোগী শিক্ষায় নিজেকে শিক্ষিত করে তুলতে হবে।
৩.৪ জ্ঞানার্জনের জন্য পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন বই ও খবর পড়তে হবে।
৩.৫ দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসতে হবে।
৩.৬ দেশের কৃষ্টি, সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে লালন করতে হবে।
৩.৭ মা-বাবা ও পরিবারের অন্যান্যদের কাজে সাহায্য করতে হবে এবং নিজের কাজ নিজে করার চেষ্টা করতে হবে।
৩.৮ সাঁতার জানতে হবে।
৩.৯ সাবধানে রাস্তা পার হতে হবে এবং ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে।
৩.১০ দেশের প্রচলিত আইন মেনে চলতে হবে।
৩.১১ বিদ্যালয় পরিষ্কার-পরিছন্ন রাখতে হবে। বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় ফুলের বাগানসহ চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
৩.১২ বাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনায় ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছ রোপণ করতে হবে।
৩.১৩ বিদ্যালয়ে নিয়মিত অ্যাসেম্বলিতে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং সঠিক সুরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করতে হবে।
৩.১৪ বিদ্যালয়ে নিয়মিত কাব/স্কাউট সমাবেশ ও কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হবে।
৩.১৫ বিদ্যালয়ের কাউন্সিলর শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের বয়ঃসন্ধিকালের সম্যসাগুলোর বিষয়ে আলোচনা/পরামর্শ প্রদান করবেন এবং ছাত্র/ছাত্রীগণ সংকোচ না করে তাদের পরামর্শ গ্রহণ করবে।
৩.১৬ মাতৃভাষা বাংলার সঙ্গে ইংরেজি ভাষায়ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
৩.১৭ হাতের লেখা সুন্দর করতে হবে।
৩.১৮ শ্রেণিকক্ষে শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে এবং শ্রেণিকক্ষে মনোযোগী হতে হবে।
৩.১৯. সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও অনিয়মকে না বলতে হবে।
৩.২০ বাল্য বিবাহ ও যৌতুককে না বলতে হবে।
৩.২১ স্বেচ্ছাসেবামূলক বিভিন্ন সামাজিক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে হবে। চিন্তা ও কাজে সৃজনশীল হতে হবে।