বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অনুসরণীয় নির্দেশনা




স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম


১. জীবনাচরণ সংক্রান্ত:
১.১ পিতা-মাতা, শিক্ষক ও গুরুজনের আদেশ-নিষেধ এবং উপদেশ মেনে চলতে হবে।
১.২ ধর্মীয় ও সামাজিক অনুশাসন মেনে চলতে হবে।
১.৩ বড়দের শ্রদ্ধা করতে হবে ও সালাম দিতে হবে এবং ছোটদের স্নেহ করতে হবে।
১.৪ নারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।
১.৫ প্রতিবন্ধীদের সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণ করতে হবে।
১.৬ সব ক্ষেত্রে শালীনতা বজায় রাখতে হবে, অশ্লীলতা অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
১.৭ শুদ্ধ ও সঠিক উচ্চারণে কথা বলতে হবে এবং সবার সঙ্গে বিনয়ের সঙ্গে কথা বলতে হবে।
১.৮ অধিক রাত না জেগে সময়মতো ঘুমাতে হবে এবং ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হবে।
১.৯ গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ রাষ্ট্রের সম্পদ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। রাষ্ট্রের সম্পদ নিজের সম্পদ মনে করে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।
১.১০ জীবনযাপনে মিতব্যয়ী ও সুশৃঙ্খল হতে হবে।
১.১১ চিন্তা, কথা ও কাজে সৎ থাকতে হবে।
১.১২ সহপাঠীদের প্রতি আন্তরিক হতে হবে। সদাচরণ করতে হবে।
১.১৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব নিয়ম-কানুন অনুসরণ করতে হবে।
১.১৪ অসহায়,দুর্বল, বিপদগ্রস্থ, দুঃস্থ ও রোগীদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়াতে হবে।
১.১৫ নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রাপ্য অধিকার ভোগ করা যাবে। তবে, অন্যের ন্যায্য অধিকার ভোগের সুযোগ দিতে হবে।

২. খাদ্য ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত:
২.১ খাবারের আগে ও পরে সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
২.২ প্রতিদিন শাক-সবজি ও ফলমূল খেতে হবে এবং পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। ফলমূল খাওয়ার আগে ভালো করে বিশুদ্ধ পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
২.৩ বাজার থেকে কেনা ফলমূল, শাক-সবজি বিশুদ্ধ কুসুম গরম পানিতে কমপক্ষে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
২.৪ ধূমপান ও মাদক মৃত্যু ঘটায়। তাই, সবাইকে ধূমপান ও মাদক পরিহার করতে হবে।
২.৫ সবাইকে স্বাস্থ্যসম্মত ওয়াশরুম ব্যবহার করতে হবে এবং স্যান্ডেল পরে ওয়াশরুমে যেতে হবে। ওয়াশরুম ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে নিতে হবে। ওয়াশরুম ব্যবহার জানতে হবে। ওয়াশরুম ব্যবহারের পর যথাযথভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
২.৬ ওয়াশরুমে ব্যবহৃত টিস্যু/অন্যান্য পেপার নির্দিষ্ট ঝুড়িতে ফেলতে হবে এবং পর্যাপ্ত পানি ও টিস্যুর ব্যবস্থা রাখতে হবে।
২.৭ ওয়াশরুম ব্যবহারের প্রয়োজন হলে সংকোচ এবং বিলম্ব না করে ওয়াশরুম ব্যবহার করতে হবে। বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রী পৃথক ওয়াশরুম ব্যবহার করবে।
২.৮ রান্না করা খাবার সব সময় ঢেকে রাখতে হবে, যাতে ধূলাবালি না জমে এবং মশা-মাছি বসতে না পারে।
২.৯ পরিমিত খাবার খেতে হবে। অতিরিক্ত খাবার দেহের ক্ষতি সাধন করে।
২.১০ পঁচা ও বাসি খাবার খাওয়া যাবে না। অতিরিক্ত তৈলাক্ত বা চর্বিযুক্ত খাবার যতদূর সম্ভব পরিহার করতে হবে। বাইরের অস্বাস্থ্যকর ও খোলা খাবার খাওয়া যাবে না।
২.১১ থালাবাসন ধোয়াসহ পরিবারের সব কাজে টিউবওয়েলের পানি বা বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করতে হবে।
২.১২ সকালে এবং রাতে ঘুমানোর আগে ভালো পেস্ট ও ব্রাশ দিয়ে দাঁত মাজতে হবে। একটি ব্রাশ তিন মাসের বেশি ব্যবহার করা যাবে না। নিয়মিত দাঁতের পরিচর্যা করতে হবে এবং বছরে অন্তত একবার দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
২.১৩ সপ্তাহে অন্তত দুদিন কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গড়গড়া করতে হবে। এতে মুখের ভেতরটা পরিষ্কার হবে ও মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে।
২.১৪ ময়লা আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। নিজ বিদ্যালয় ও বাড়ির আঙ্গিনা এবং বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
২.১৫ যেখানে সেখানে কফ বা থুথু ফেলা যাবে না। ঘরের ময়লা নির্দিষ্ট ঝুড়িতে ফেলতে হবে।
২.১৬ আর্সেনিক ও জীবানুমুক্ত পানি পান করতে হবে। বিশুদ্ধ পানি পাওয়া না গেলে পানি ফুটিয়ে ফিটকিরি দিয়ে বিশুদ্ধ করে পান করতে হবে।
২.১৭ নিয়মিত খেলাধূলা ও ব্যায়াম করতে হবে।
২.১৮ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জামা-কাপড় পরিধান করতে হবে।
২.১৯ নিয়মিত নখ ও চুল কাটতে হবে।
২.২০ ছয় মাস অন্তর অন্তর কৃমির ওষুধ খেতে হবে। ডাক্তারের পরার্মশ ছাড়া কোনো ধরনের ওষুধ সেবন করা যাবে না।
২.২১ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা গ্রহণের জন্য নিকটবর্তী রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
২.২২ প্রয়োজনীয় সব টিকা সময়মতো নিতে হবে।
৩ শিক্ষা, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংক্রান্ত:
৩.১ নিয়মিত বিদ্যালয়ে যেতে হবে এবং দিনের পড়া দিনে শেষ করতে হবে।
৩.২ জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে এবং লক্ষ্য অর্জনের জন্য অধ্যাবসায়ী ও পরিশ্রমী হতে হবে।
৩.৩ তথ্যপ্রযুক্তির বিষয়ে জ্ঞানার্জনসহ যুগোপযোগী শিক্ষায় নিজেকে শিক্ষিত করে তুলতে হবে।
৩.৪ জ্ঞানার্জনের জন্য পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন বই ও খবর পড়তে হবে।
৩.৫ দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসতে হবে।
৩.৬ দেশের কৃষ্টি, সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে লালন করতে হবে।
৩.৭ মা-বাবা ও পরিবারের অন্যান্যদের কাজে সাহায্য করতে হবে এবং নিজের কাজ নিজে করার চেষ্টা করতে হবে।
৩.৮ সাঁতার জানতে হবে।
৩.৯ সাবধানে রাস্তা পার হতে হবে এবং ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে।
৩.১০ দেশের প্রচলিত আইন মেনে চলতে হবে।
৩.১১ বিদ্যালয় পরিষ্কার-পরিছন্ন রাখতে হবে। বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় ফুলের বাগানসহ চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
৩.১২ বাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনায় ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছ রোপণ করতে হবে।
৩.১৩ বিদ্যালয়ে নিয়মিত অ্যাসেম্বলিতে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং সঠিক সুরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করতে হবে।
৩.১৪ বিদ্যালয়ে নিয়মিত কাব/স্কাউট সমাবেশ ও কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হবে।
৩.১৫ বিদ্যালয়ের কাউন্সিলর শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের বয়ঃসন্ধিকালের সম্যসাগুলোর বিষয়ে আলোচনা/পরামর্শ প্রদান করবেন এবং ছাত্র/ছাত্রীগণ সংকোচ না করে তাদের পরামর্শ গ্রহণ করবে।
৩.১৬ মাতৃভাষা বাংলার সঙ্গে ইংরেজি ভাষায়ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
৩.১৭ হাতের লেখা সুন্দর করতে হবে।
৩.১৮ শ্রেণিকক্ষে শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে এবং শ্রেণিকক্ষে মনোযোগী হতে হবে।
৩.১৯. সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও অনিয়মকে না বলতে হবে।
৩.২০ বাল্য বিবাহ ও যৌতুককে না বলতে হবে।
৩.২১ স্বেচ্ছাসেবামূলক বিভিন্ন সামাজিক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে হবে। চিন্তা ও কাজে সৃজনশীল হতে হবে।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: