স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটক
আজ ৩ অক্টোবর সোমবার বিশ্ব বসতি দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি
এবং প্রত্যেক বছরের মতো এবারও যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিস্তারিত কর্মসূচির
মাধ্যমে বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হবে। দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে-
‘হাউজিং এট দ্য সেন্টার’। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা আলাদা বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে
নিরাপদ, টেকসই আবাসন নিশ্চিত করার মাধ্যমে মানুষের জন্য নিশ্চিত ভবিষ্যৎ
গড়ার লক্ষ্যে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জীবনের
কেন্দ্রবিন্দুতে বসতির অবস্থান অত্যন্ত সুদৃঢ়। বসতিকে ঘিরেই আবর্তিত হয়
মানুষের জীবন ও অন্যান্য কর্মকা-। বসতি মানুষের মৌলিক চাহিদা। তাই নগরায়ণের
যুগে সব মানুষের জন্য পরিকল্পিত, নিরাপদ, টেকসই আবাসনের ব্যবস্থা করা খুবই
জরুরি। বসতির মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুকে উন্নয়ন পরিকল্পনার কেন্দ্রে
স্থান দেয়ার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে বিশ্ব বসতি দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য
‘হাউজিং এট দ্য সেন্টার’ যথাযথ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
আবদুল হামিদ বলেন, বর্তমান সরকার সকল নাগরিকের জন্য আবাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। আশা করি নি¤œ আয়ের মানুষ এবং বস্তিবাসী থেকে শুরু করে স্বল্পবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার বাসস্থান সংক্রান্ত মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকল্পে আবাসন ক্ষেত্রে অগ্রগতির এ ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। সবার জন্য বসতি নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নগর, গ্রাম নির্বিশেষে প্রতিটি জায়গায়ই যাতে পরিকল্পিতভাবে বসতি স্থাপন করা হয় এবং জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া পরিবেশের বিষয়কেও সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন বলে আমার বিশ্বাস। বিশ্ব বসতি দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় এ কাজে আমাদেরকে উৎসাহিত করবে এবং অনুপ্রেরণা যোগাবে। তিনি বিশ্ব বসতি দিবস-২০১৬ উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগীদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষা করে পরিকল্পিত নগরায়ণ সৃষ্টিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ও পরিকল্পিত বাসযোগ্য নগরীতে পরিণত করতে সক্ষম হব।
শেখ হাসিনা বলেন, বিগত প্রায় সাড়ে সাত বছরে আওয়ামী লীগ সরকার গৃহায়ন সংকট নিরসনকল্পে অনুকূল ও সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে যথাযথ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সকল নাগরিকের জন্য গৃহায়ন ব্যবস্থা সহজলভ্য করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ভূমির পরিকল্পিত ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে বিভিন্নমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। হাতিরঝিল এলাকার সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি, যার ফলে ঢাকায় সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি জলাবদ্ধতা নিরসনসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার যোগাযোগের ক্ষেত্রেও আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও অঞ্চলভিত্তিক উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত উন্মুক্ত স্থান নিশ্চিত করে রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে নাগরিক সুবিধা সম্বলিত পরিকল্পিত আবাসন ও নগরায়ণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সব শ্রেণি পেশার মানুষের জন্য পরিকল্পিত আবাসিক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের সরকার ২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য সুপরিকল্পিত আবাসন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বদ্ধপরিকর। গৃহায়নের ক্ষেত্রেও সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বাংলাদেশের সকল উন্নয়ন পরিকল্পনায় গৃহায়ন ও আবাসন খাতকে যথোচিত গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী নগরায়ণ পরিকল্পনার নতুন কর্মসূচিতে গৃহায়নকে উন্নয়নের কেন্দ্রে স্থান দেয়ার জন্য যে আহ্বান জানানো হয়েছে, তারসাথে বাংলাদেশে ইতোমধ্যে গৃহীত এ সংক্রান্ত কার্যক্রম একান্তভাবেই সামঞ্জস্যপূর্ণ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব বসতি দিবস’ উদ্যাপন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত এবং দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য‘ হাউজিং এট দ্য সেন্টার’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বিশ্ব বসতি দিবস ২০১৬ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেছেন।
আবদুল হামিদ বলেন, বর্তমান সরকার সকল নাগরিকের জন্য আবাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। আশা করি নি¤œ আয়ের মানুষ এবং বস্তিবাসী থেকে শুরু করে স্বল্পবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার বাসস্থান সংক্রান্ত মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকল্পে আবাসন ক্ষেত্রে অগ্রগতির এ ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। সবার জন্য বসতি নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নগর, গ্রাম নির্বিশেষে প্রতিটি জায়গায়ই যাতে পরিকল্পিতভাবে বসতি স্থাপন করা হয় এবং জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া পরিবেশের বিষয়কেও সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন বলে আমার বিশ্বাস। বিশ্ব বসতি দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় এ কাজে আমাদেরকে উৎসাহিত করবে এবং অনুপ্রেরণা যোগাবে। তিনি বিশ্ব বসতি দিবস-২০১৬ উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগীদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষা করে পরিকল্পিত নগরায়ণ সৃষ্টিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ও পরিকল্পিত বাসযোগ্য নগরীতে পরিণত করতে সক্ষম হব।
শেখ হাসিনা বলেন, বিগত প্রায় সাড়ে সাত বছরে আওয়ামী লীগ সরকার গৃহায়ন সংকট নিরসনকল্পে অনুকূল ও সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে যথাযথ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সকল নাগরিকের জন্য গৃহায়ন ব্যবস্থা সহজলভ্য করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ভূমির পরিকল্পিত ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে বিভিন্নমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। হাতিরঝিল এলাকার সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি, যার ফলে ঢাকায় সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি জলাবদ্ধতা নিরসনসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার যোগাযোগের ক্ষেত্রেও আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও অঞ্চলভিত্তিক উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত উন্মুক্ত স্থান নিশ্চিত করে রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে নাগরিক সুবিধা সম্বলিত পরিকল্পিত আবাসন ও নগরায়ণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সব শ্রেণি পেশার মানুষের জন্য পরিকল্পিত আবাসিক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের সরকার ২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য সুপরিকল্পিত আবাসন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বদ্ধপরিকর। গৃহায়নের ক্ষেত্রেও সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বাংলাদেশের সকল উন্নয়ন পরিকল্পনায় গৃহায়ন ও আবাসন খাতকে যথোচিত গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী নগরায়ণ পরিকল্পনার নতুন কর্মসূচিতে গৃহায়নকে উন্নয়নের কেন্দ্রে স্থান দেয়ার জন্য যে আহ্বান জানানো হয়েছে, তারসাথে বাংলাদেশে ইতোমধ্যে গৃহীত এ সংক্রান্ত কার্যক্রম একান্তভাবেই সামঞ্জস্যপূর্ণ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব বসতি দিবস’ উদ্যাপন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত এবং দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য‘ হাউজিং এট দ্য সেন্টার’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বিশ্ব বসতি দিবস ২০১৬ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেছেন।
0 coment rios: