স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম
সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। তিনি বলেন, প্রতিবেদনে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেবা প্রদানে ব্যর্থ হলে জরিমানা করার সুপারিশ করেছে দুদক।
তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন এবং প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।’
তিনি জানান, প্রতিবেদনে কমিশন সাতটি ক্যাটাগরিতে ৩২ দফা সুপারিশ পেশ করেছে। ভূমি প্রশাসনের দুর্নীতিরোধে ভূমি প্রশাসন, ভূমি রেজিস্ট্রেশন ও ভূমি জরিপের কাজ একই অফিসের মধ্যে সম্পাদক করা, বিদ্যুৎ-গ্যাস-টেলিফোন বিল একই স্থান থেকে প্রদানের ব্যবস্থা করা, প্রতিটি অফিসে জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধির জন্য গণশুনানি, অডিট রিপোর্ট কার্ড, কমিউনিটি স্কোর কার্ড ও সোশ্যাল অডিটের সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রেস সচিব বলেন, ‘সরকারি ক্রয় কাজে শতভাগ ই-টেন্ডারিংয়ের আওতায় আনা, টেন্ডার প্রক্রিয়া ও ক্রয় কার্য যথাযথ হচ্ছে কী-না মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা, নির্মাণ কাজের ক্ষেত্রে প্রাক্কলনের দায়িত্ব ও বাস্তবায়নকারীর দায়িত্ব পৃথক করার সুপারিশ করা হয়েছে বলেও রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করা হয়।’
দুদক চেয়ারম্যান রাষ্ট্রপতিকে জানান, কোমলমতি শিশুরা যাতে দুর্নীতিবিরোধী মনোভাব নিয়ে বেড়ে উঠতে পারে সেজন্য স্কুল পর্যায়ে সারাদেশে ২২ হাজার ‘সততা সংঘ’ গড়ে তোলা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এটি গড়ে তোলা হবে।
প্রেস সচিব বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দুর্নীতির মামলা দায়ের ও তদন্ত প্রক্রিয়া যাতে তথ্যভিত্তিক হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।’
রাষ্ট্রপতি দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত কেউ যাতে শাস্তি থেকে রেহাই না পায় সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশনা দেন।
দুদক কমিশনার নাসির উদ্দিন আহমেদ, এ এফ এম আমিনুল ইসলাম এবং দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামালসহ রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
0 coment rios: