শনিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৭

ব্রম্মপুত্র নদের দখল-দূষণ

ব্রম্মপুত্র নদের দখল-দূষণ



 স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম

ব্রহ্মপুত্র নদ বা ব্রহ্মপুত্র নদী এশিয়া মহাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী। সংস্কৃত ভাষায় ব্রহ্মপুত্রের অর্থ হচ্ছে "ব্রহ্মার পুত্র। ব্রহ্মপুত্রের পূর্ব নাম ছিল লৌহিত্য। আবার তিব্বতে তা জাঙপো নামে পরিচিত, এবং আসামে তার নাম দিহাঙ।

জামালপুর পৌর শহরের সব ময়লা-আবর্জনা ব্রহ্মপুত্র নদে ফেলছে পৌর কর্তৃপক্ষ। এতে পানি দূষিত হয়ে পড়ায় স্থানীয় লোকজন নদে গোসল করতে পারছে না।
আবর্জনার দুর্গন্ধে টিকতে পারছে না নদপারের মানুষ। দুর্গন্ধের কারণে লোকজন নদের তীরে শহর রক্ষা বাঁধেও বেড়াতে যেতে পারছে না।
ব্রহ্মপুত্রের উৎপত্তি হিমালয় পর্বতমালার কৈলাস শৃঙ্গের নিকট জিমা ইয়ংজং হিমবাহে, যা তিব্বতের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। জাঙপো নামে তিব্বতে পুর্বদিকে প্রবাহিত হয়ে এটি অরুণাচল প্রদেশে ভারতে প্রবেশ করে যখন এর নাম হয়ে যায় সিয়ং। তারপর আসামের উপর দিয়ে দিহাঙ নামে বয়ে যাবার সময় এতে দিবং এবং লোহিত নামে আরো দুটি বড় নদী যোগ দেয় এবং তখন সমতলে এসে চওড়া হয়ে এর নাম হয় ব্রহ্মপুত্র। ব্রহ্মপুত্র হিমালয় পর্বতের কৈলাস শৃঙ্গের নিকটে মানস সরোবর থেকে উৎপন্ন হয়ে তিব্বত ও আসামের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কুড়িগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ময়মনসিংহের দেওয়ানগঞ্জের কাছে ব্রহ্মপুত্র দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে ময়মনসিংহ জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভৈরববাজারের দক্ষিণে মেঘনায় পড়েছে।
১৭৮৭ সালে ভূমিকম্পের কারণে ব্রহ্মপুত্র নদের স্রোত দিক পরিবর্তিত হয়ে যমুনা নদী হয় [সূত্র:নতুন বিশ্ব]। উৎপত্তিস্থল থেকে এর দৈর্ঘ্য ২৮৫০ কিলোমিটার ব্রহ্মপুত্র নদের সর্বাধিক প্রস্থ ১০৪২৬ মিটার (বাহাদুরাবাদ)। এটিই বাংলাদেশের নদীগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছে। ব্রহ্মপুত্রের প্রধান শাখা হচ্ছে যমুনাএক কালের প্রশস্ত ব্রহ্মপুত্র নদ বর্তমানে (২০১১) শীর্ণকায়।
পৌরসভার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, পৌর শহরের উত্তর পাশ দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র নদে বর্ষাকালে বেশি পানি থাকে। নদের কাছাকাছি জামালপুর পৌর শহরে অন্তত দুই লাখ মানুষ বাস করে। নদের দক্ষিণ তীর ঘেঁষে নির্মাণ করা হয়েছে শহর রক্ষা বাঁধ। ব্রহ্মপুত্র সেতু থেকে শহরের পাথালিয়া পর্যন্ত বাঁধের দক্ষিণ পাশ দিয়ে অন্তত পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে একটি পার্ক। এটিই শহরবাসীর একমাত্র বিনোদনকেন্দ্র। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের মানুষ একটু বিনোদনের জন্য নদের তীরে আসে। কিন্তু নদ থেকে আসা ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে তারা সেখানে বেশিক্ষণ থাকতে পারে না। এ ছাড়া আবর্জনা ছড়িয়ে পড়ায় শহরের দেওয়ানপাড়া, ফৌজদারি ও নাওভাঙ্গাচরের মানুষ গোসল ও গৃহস্থালির কাজ করতে পারছে না নদের পানি দিয়ে।

জামালপুর পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য পৌর শহরে ১১০টি আস্তাকুঁড় (ডাস্টবিন) রয়েছে। তবে এর বেশির ভাগই এখন ভাঙা। তাই অপরিকল্পিতভাবে প্রতিদিন ব্রহ্মপুত্র নদে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে।
একটা শহর, হাজার হাজার মানুষের জীবন, বহমান একটা নদী। কি করে, কোন বিবেক এ শহরের ময়লা বর্জ্য ফেলে এই প্রানবন্ত নদ টিকে দুষন করা হচ্ছে। ব্রম্মপুত্র নদ আপনার আমার জীবন। জামালপুর কে সুন্দর রাখছে এই নদ।
ব্রম্মপুত্র নদের দখল-দূষণ বন্ধে প্রচারাভিযান

ব্রম্মপুত্র নদের দখল-দূষণ বন্ধে প্রচারাভিযান



স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম

জামালপুর শহরের পাশেই জেলা প্রসাশকের অফিসের সামনে শহরের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে ব্রম্মপুত্র নদে। এতে মারাক্তক দূষণের কবলে পড়ে নদ এলাকার পরিবেশ হুমকির মুখে। শনিবার এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ভযেজ অব ব্রম্মপুত্র রিভার, ব্লু প্লানেট ইনিশিয়েটিব, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডশন জামালপুরে আলোচনা সভা ও প্রচারাভিযান কর্মসূচি পালন করে। ব্রম্মপুত্র নদ দূষণ প্রতিরোধে স্থানীয়দের মাঝে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান পরিচালনা করা হয়। 'ব্রম্মপুত্র নদী রক্ষা করি সুস্থ সুন্দর জীবন গড়ি' শিরোনামে পাথালিয়া এলাকার নদী তীরবর্তী মানুষের মাঝে প্রচারণার সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রুপ্লানেট ইনিশিয়েটিভ এর আব্দুল করিম কিম, জামালপুর এর উনন্নয়ন কর্মী এনামুল হক, ভয়েস অব ব্রম্মপুত্র নদের কিপার ইবনুল সাঈদ রানা, হাতেম রানা, সমাজ উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক এনামুল হক রতন, বাপা সিলেট শাখার সদস্য শরিফ উদ্দিন বুলবুল।
তারা বিভিন্নস্থানে পায়ে হেটে ও নৌকাযোগে প্রচারপত্র বিলে করেন। এতে স্থানীয় মানুষের মাঝে ব্যাপক সচেতনতা তৈরি হয়।

শনিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৭

রাজধানী ঢাকার কাম্রাঙ্গিরচর এলাকার কোম্পানীঘাট . ব্রিজ এর নিচে এইভাবে আগুন

রাজধানী ঢাকার কাম্রাঙ্গিরচর এলাকার কোম্পানীঘাট . ব্রিজ এর নিচে এইভাবে আগুন

 স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম
রাজধানী ঢাকার কাম্রাঙ্গিরচর এলাকার কোম্পানীঘাট . ব্রিজ এর নিচে এইভাবে আগুন জ্রলে প্রায়ই । পথচারীদের ও এলাকাবাসীদের কোনো সমস্যা হয় না এ যেন নিত্যদিনের স্বাভাবিক ঘটনা । আরো যেন অপেক্ষা করছে এই আগুন কেনো ভয়াবহ আকার ধারন করছে না ? যে কোন সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে । গৃহস্থালী কাজের বর্জ্য ও ট্যানারীর বর্জ্য ফেলা , আবার এতে আগুন ধরিয়ে ছাই করা এই ভাবে বায়ু দুষন করছে আর আমরা সবাই নির্বিকার । পরিবেশ কিভাবে সচেতনতার সাথে দুষন হয় কম্পানিঘাট ব্রিজ তার একটি জ্বলন্ত উদাহরন ......।আগুন জ্বলছে আর জ্বলছে বায়ু ও পরিবেশকে ভয়াবহ ভাবে দুষন করে যাচ্ছে । এই আগুন ভয়াবহ রুপ ধারন করার আগেই কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি ।
তামাকজাত পণ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখের বিধান বাস্তবায়নের দাবি

তামাকজাত পণ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখের বিধান বাস্তবায়নের দাবি



স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম
তামাকজাত পণ্যে উপাদান, উৎপাদন মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখের বিধান বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে তামাকবিরোধী জোট।
শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে জোটের নেতারা দাবি জানান।
গ্রিন মাউন্ড সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক আমির হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেলের প্রকল্প কর্মকর্তা ফারহানা জামান লিজা, ডবি্লউবিবি ট্রাস্টের প্রোগ্রাম ম্যানেজার অনন্যা রেহমান, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার মহাসচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ, জনস্বার্থ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডি এম সাকলায়েন, মানবাধিকার সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, যে কোনো পণ্য কেনার সময় উৎপাদন মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ এবং বিদ্যমান উপাদানের নাম জানা জরুরি। কিন্তু কোম্পানিগুলো সিগারেট, বিড়িসহ বিভিন্ন ধরনের তামাকজাত পণ্যের মোড়কে উৎপাদন মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ না করে ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে, যা আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই শিগগিরই সব তামাকজাত পণ্যের মোড়কে মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ লেখার বিধান বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান তারা