স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম
ব্রহ্মপুত্র নদ বা ব্রহ্মপুত্র নদী এশিয়া মহাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী। সংস্কৃত ভাষায় ব্রহ্মপুত্রের অর্থ হচ্ছে "ব্রহ্মার পুত্র। ব্রহ্মপুত্রের পূর্ব নাম ছিল লৌহিত্য। আবার তিব্বতে তা জাঙপো নামে পরিচিত, এবং আসামে তার নাম দিহাঙ।
জামালপুর পৌর শহরের সব ময়লা-আবর্জনা ব্রহ্মপুত্র নদে ফেলছে পৌর কর্তৃপক্ষ। এতে পানি দূষিত হয়ে পড়ায় স্থানীয় লোকজন নদে গোসল করতে পারছে না।
আবর্জনার দুর্গন্ধে টিকতে পারছে না নদপারের মানুষ। দুর্গন্ধের কারণে লোকজন নদের তীরে শহর রক্ষা বাঁধেও বেড়াতে যেতে পারছে না।
ব্রহ্মপুত্রের উৎপত্তি হিমালয় পর্বতমালার কৈলাস শৃঙ্গের নিকট জিমা ইয়ংজং হিমবাহে, যা তিব্বতের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। জাঙপো নামে তিব্বতে পুর্বদিকে প্রবাহিত হয়ে এটি অরুণাচল প্রদেশে ভারতে প্রবেশ করে যখন এর নাম হয়ে যায় সিয়ং। তারপর আসামের উপর দিয়ে দিহাঙ নামে বয়ে যাবার সময় এতে দিবং এবং লোহিত নামে আরো দুটি বড় নদী যোগ দেয় এবং তখন সমতলে এসে চওড়া হয়ে এর নাম হয় ব্রহ্মপুত্র। ব্রহ্মপুত্র হিমালয় পর্বতের কৈলাস শৃঙ্গের নিকটে মানস সরোবর থেকে উৎপন্ন হয়ে তিব্বত ও আসামের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কুড়িগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ময়মনসিংহের দেওয়ানগঞ্জের কাছে ব্রহ্মপুত্র দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে ময়মনসিংহ জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভৈরববাজারের দক্ষিণে মেঘনায় পড়েছে।
১৭৮৭ সালে ভূমিকম্পের কারণে ব্রহ্মপুত্র নদের স্রোত দিক পরিবর্তিত হয়ে যমুনা নদী হয় [সূত্র:নতুন বিশ্ব]। উৎপত্তিস্থল থেকে এর দৈর্ঘ্য ২৮৫০ কিলোমিটার। ব্রহ্মপুত্র নদের সর্বাধিক প্রস্থ ১০৪২৬ মিটার (বাহাদুরাবাদ)। এটিই বাংলাদেশের নদীগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছে। ব্রহ্মপুত্রের প্রধান শাখা হচ্ছে যমুনা। এক কালের প্রশস্ত ব্রহ্মপুত্র নদ বর্তমানে (২০১১) শীর্ণকায়।
পৌরসভার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, পৌর শহরের উত্তর পাশ দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র নদে বর্ষাকালে বেশি পানি থাকে। নদের কাছাকাছি জামালপুর পৌর শহরে অন্তত দুই লাখ মানুষ বাস করে। নদের দক্ষিণ তীর ঘেঁষে নির্মাণ করা হয়েছে শহর রক্ষা বাঁধ। ব্রহ্মপুত্র সেতু থেকে শহরের পাথালিয়া পর্যন্ত বাঁধের দক্ষিণ পাশ দিয়ে অন্তত পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে একটি পার্ক। এটিই শহরবাসীর একমাত্র বিনোদনকেন্দ্র। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের মানুষ একটু বিনোদনের জন্য নদের তীরে আসে। কিন্তু নদ থেকে আসা ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে তারা সেখানে বেশিক্ষণ থাকতে পারে না। এ ছাড়া আবর্জনা ছড়িয়ে পড়ায় শহরের দেওয়ানপাড়া, ফৌজদারি ও নাওভাঙ্গাচরের মানুষ গোসল ও গৃহস্থালির কাজ করতে পারছে না নদের পানি দিয়ে।
জামালপুর পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ময়লা-আবর্জনা
ফেলার জন্য পৌর শহরে ১১০টি
আস্তাকুঁড় (ডাস্টবিন) রয়েছে। তবে এর বেশির ভাগই এখন ভাঙা। তাই অপরিকল্পিতভাবে
প্রতিদিন ব্রহ্মপুত্র নদে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে।
একটা শহর, হাজার হাজার মানুষের
জীবন, বহমান একটা নদী। কি করে, কোন বিবেক এ শহরের
ময়লা বর্জ্য ফেলে এই প্রানবন্ত নদ টিকে দুষন করা হচ্ছে। ব্রম্মপুত্র নদ আপনার আমার জীবন। জামালপুর কে সুন্দর রাখছে এই নদ।
0 coment rios: