শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

আসছে উড়ন্ত গাড়ি

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি: স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম

 উদ্ভাবক এবং উদ্যোক্তাগণ প্রায়ই চেষ্টা করে যাচ্ছেন কিভাবে গাড়ি নিয়ে আকাশে ওড়ার স্বপ্ন বাস্তব করা যায়। কিন্তু বার বার তারা ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু এখন বোধহয় স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে।

বর্তমানে প্রায় ডজন খানেক কোম্পানি নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছে কিভাবে প্রথম এমন কোনো উড়োযান তৈরি করা যায়, যা ঘনবসতি পূর্ণ এলাকায়ও স্বচ্ছন্দে ঘুরে বেড়াতে পারবে। এই দৌড়ে বেশ বড় কয়েকটি কোম্পানিও রয়েছে।

কিছু গাড়ি যেগুলোর ওপরে এখনো কাজ চলছে সেগুলোর মূলত ডানা আছে, যা রাস্তায় চলাচলের সময় ডানা ফোল্ড করে রাখে এবং ওড়ার সময় ডানা মেলে দেয়, এগুলোকে ঠিক গাড়ি বলা চলে না। এগুলো হেলিকপ্টার এর মতো উলম্ব ভাবেই ল্যান্ড করতে পারে কিন্তু তাদের একটি বড় প্রপ্রেলার এর জায়গায় বেশ কয়েকটি ছোট প্রপ্রেলার যুক্ত। প্রতিটা প্রপ্রেলার আবার ব্যাটারি চালিত ইঞ্জিনের সাহায্যে চলে।

এখনো এটা নিশ্চিত নয় যে, আদৌ এই স্বপ্ন সত্যি হবে কিনা কিন্তু উদ্যোক্তাগণ এই এয়ার ট্যাক্সিতে বিপুল সম্ভাবনাময় বাজার দেখতে পারছেন। এই যান তৈরিতে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল কিভাবে সংঘর্ষ এড়িয়ে এই যানবাহন রাস্তায় চালানো যায় সেটা নিয়ে। তাছাড়া এটি যেহেতু ব্যাটারিতে চলবে তাই ব্যাটারি ব্যাকআপ এরও একটা বিষয় আছে। কিন্তু উদ্যোক্তাগণ এতো সহজে হার মানতে নারাজ।

এয়ারবাস কোম্পানি এই ফ্লায়িং ট্যাক্সি উদ্ভাবনে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের এই প্রোজেক্ট এর লিডার জ্যাক লাভারিং জানান, মাত্র ১০ বছরের মধ্যেই এটা বাজারে আসবে এবং শহরের লাখো মানুষের জীবনযাত্রা পাল্টে দেবে এই ফ্লায়িং ট্যাক্সি।

কিন্তু একটা বিষয় এখনো পরিষ্কার নয় যে, এই যানবাহনের দাম কেমন হতে পারে। কিছু তৈরি করা হচ্ছে ব্যক্তিগত ব্যাবহারের জন্য আর কিছু তৈরি করা হচ্ছে বাণিজ্যিক কাজে ব্যাবহারের জন্য। ডিজাইনারগণ ধারণা করছেন, যদি এর চাহিদা প্রচুর থাকে তবে প্রচুর উৎপাদনের মাধ্যমে এর ব্যয় কমিয়ে আনা সম্ভব।

চীনের ড্রোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তাদের ড্রোন এর উত্তরাত্তর উন্নয়ন করে চলেছেন। যার ধারাবাহিকতায় মানুষ বহনে সক্ষম এমন ড্রোন ও তারা বানিয়ে ফেলেছে। অন্য একটি ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান জবি অ্যাভিয়েশন এর এস২ তাদের সান্তাক্রুজ নামের একটি উড়োযান তৈরি করেছেন।

বর্তমানে যে ব্যাটারি বাজারে আছে তা দিয়ে সর্বোচ্চ ১৫-২০ মিনিট আকাশে ওড়া যাবে কিন্তু তা দিয়ে এক শহর থেকে অন্য শহরে যাওয়া সম্ভব নয়। এর আরো একটি বড় সমস্যা হল এটার টেক অফ এর সময় প্রচুর শব্দ হতে পারে যা জনবহুল এলাকার জন্য ক্ষতিকর, তবে এটার উন্নয়নেও কাজ করে যাচ্ছে গবেষকগণ।

আকাশে উড়ন্ত গাড়ি তৈরিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টা আভাস দিচ্ছে যে, আগামী এক দশকের মধ্যে আকাশ পথে চলাচল করবে গাড়ি। এবং সত্যিই যদি তা ঘটে, তাহলে হয়তো নতুন করে এয়ার ট্রাফিক সিস্টেমকে সাজাতে হবে।

তথ্যসূত্র: দ্য সান

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: