রবিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২২

উপার্জন থেকে প্রতি ৪০ টাকায় ১ টাকা মানুষের কল্যাণে ব্যয় করেন-ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আব্দুল আউয়াল

উপার্জন থেকে প্রতি ৪০ টাকায় ১ টাকা মানুষের কল্যাণে ব্যয় করেন-ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আব্দুল আউয়াল

প্রতিটি মানুষের জন্ম হয়েছে অন্য মানুষের এবং অন্য জীব কুলের সেবা করার জন্য। আমরা আমাদের হাতটি বাড়িয়ে দিতে পারি কাছের যে কোন দরিদ্র বা সহযোগিতা প্রত্যাশির হাত।” দি স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড একটি আবাসন নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আব্দুল আউয়াল তার কর্মজীবনের শুরু থেকেই নিজস্ব উপার্জন থেকে প্রতি ৪০ টাকায় ১ টাকা মানুষের কল্যাণে ব্যয় করার প্রত্যয়ে নিজেকে সবসময় পরিচালিত করে আসছেন। ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আব্দুল আউয়াল ব্যবস্থাপনা পরিচালক দ্যা স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড। সাবেক সভাপতিঃ- রিহ্যাব। প্রধান পৃষ্ঠপোষক - স্বদেশমৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা প্রতিষ্ঠাতাঃ- গ্রীন ক্লাব। প্রতিষ্ঠাতাঃ- এস ই এল মডেল একাডেমি। গ্রামঃ- চাঁন্দ্রাকান্দি,মতলব উওর, চাঁদপুর।
২ ডিসেম্বর ঢাকায় গণঅধিকার পরিষদের সমাবেশ

২ ডিসেম্বর ঢাকায় গণঅধিকার পরিষদের সমাবেশ

নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন, সভা-সমাবেশে বাধা, মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার, হয়রানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার দাবিতে আগামী ২ ডিসেম্বর রাজধানীতে সমাবেশ করবে গণঅধিকার পরিষদ। গণঅধিকার পরিষদের পল্টন কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক জরুরি সভায় এ সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান সংগঠনের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া। দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়গুলোতে হামলা ও ভাঙচুরের নিন্দা জানিয়ে সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, গণঅধিকার পরিষদের নিবন্ধন বানচাল করতেই এসব হামলা করা হচ্ছে।  দেশের চলমান রিজার্ভ সংকট, জ্বালানি সংকট, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের ওপর সরকারের দমন-পীড়ন, গুলি করে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গণঅধিকার পরিষদের আহ্ববায়ক ড. রেজা কিবরিয়া দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হামলায় নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সরকার দেশ চালাতে ব্যর্থ হয়েছে, জনগণ জেগে উঠেছে, জনমানুষের গণজোয়ারে ভয় পেয়ে আওয়ামী লীগ তার পুরোনো চরিত্রে ফিরে এসেছে। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি এখন খাদের কিনারায়। আর কিছুদিন গেলে খাদ্য আমদানির মতো কোনো অর্থ থাকবে না। গত ১৩ বছরে এই সরকার দেশটাকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।  সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে বিভাগীয় সাংগঠনিক উপ-কমিটির তত্ত্বাবধানে ১৬ ডিসেম্বর থেকে পর্যায়ক্রমে জেলা ও বিভাগীয় সমাবেশ, দলের আর্থিক সংকট নিরসনে ‘পাবলিক ফান্ড’ সংগ্রহের পাশাপাশি আগামী ২০ ও ২১ জানুয়ারি দুই দিনব্যাপী দলের ১ম জাতীয় কাউন্সিল করার সিদ্ধান্তের কথাও জানান ড. রেজা কিবরিয়া।
এসএসসির ফল প্রকাশ সোমবার

এসএসসির ফল প্রকাশ সোমবার

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল আগামীকাল ২৮ নভেম্বর প্রকাশিত হবে।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার জানান, সোমবার প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করবেন। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত ফল তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী। এরপর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফল প্রকাশ করা হবে। এ বছর নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখের বেশি। ৩ হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে শুধু সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীনে এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রায় ১৬ লাখ। গত ১৫ সেপ্টেম্বর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতি ও বন্যার কারণে দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর অনুষ্ঠিত হয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। সাধারণত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়।
‘শহিদ অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী: একজন আদর্শ শিক্ষকের প্রতিকৃতি’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভা ২০২২

‘শহিদ অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী: একজন আদর্শ শিক্ষকের প্রতিকৃতি’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভা ২০২২

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘শহিদ অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী: একজন আদর্শ শিক্ষকের প্রতিকৃতি’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভা আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোঃ আবুল মনসুর। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শহিদ অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীর কনিষ্ঠ পুত্র ও সংস্কৃতি এবং মানবাধিকারকর্মী জনাব আসিফ মুনীর। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হক। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব মোঃ কামরুজ্জামান। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের জনশিক্ষা বিভাগের কীপার ড. শিহাব শাহরিয়ার। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। স্বাগত বক্তব্যে জনাব মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্যসমালোচক শহিদ অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী ১৯২৫ সালের ২৭ নভেম্বর মানিকগঞ্জ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি বাংলায় এবং ১৯৫৮ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাষাতত্ত্বে এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন। কর্মজীবনে তিনি খুলনার ব্রজলাল কলেজ, ঢাকার জগন্নাথ কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীদের সহযোগী আল-বদর বাহিনী তাঁকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং সম্ভবত ঐদিনই তাঁকে হত্যা করে। বাংলা সাহিত্যের দিকপাল, অসম্ভব মেধাবী মুনীর চৌধুরী হাজার বছর বেঁচে থাকবেন বাঙালির হৃদয়ে। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে জনাব আসিফ মুনীর বলেন, মুনীর চৌধুরীর সবচেয়ে বেশি সফলতা আধুনিক বাংলা নাটকের জনক হিসেবে। শিক্ষক হিসেবেও অনবদ্য সাফল্যের কথা শোনা যায় তাঁর সমসাময়িক বন্ধু- ছাত্র-গুণমুগ্ধদের কাছ থেকে। কৈশোর থেকে পরিণত বয়স এবং বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের আগে পর্যন্ত দেশী-বিদেশী গদ্য সাহিত্য, নাটক, বাংলা ভাষা, ভাষাতত্ত্ব নিয়ে পাঠ ছিল মুনীর চৌধুরীর নেশা। শ্রেণীকক্ষে তাঁর পাঠদান এবং রাজনৈতিক, সাহিত্য বা সাংস্কৃতিক সমাবেশে বক্তৃতা গুলি মনোমুগ্ধকর ছিল। কৈশোর থেকে পরিণত বয়স এবং বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের আগে পর্যন্ত দেশী-বিদেশী গদ্য সাহিত্য, নাটক, বাংলা ভাষা, ভাষাতত্ত্ব নিয়ে পাঠ ছিল মুনীর চৌধুরীর নেশা। বাংলা ও ইংরেজী সাহিত্যের প্রচুর পড়াশোনা থাকায় এই দুই ভাষাতেই তাঁর শব্দের ভাণ্ডার অত্যন্ত সমৃদ্ধ ছিল। তাঁর পাঠদানের মধ্যে তিনি বিভিন্ন দেশী-বিদেশী সাহিত্যের উদাহারন টেনে আনতেন এবং অত্যন্ত প্রাঞ্জল ভাষায় পাঠের বিষয়বস্তু উপস্থাপন করতেন। অনেকেই স্মৃতিচারণ করেন, অন্য বিভাগের ছাত্রছাত্রীরাও মন্ত্রমুগ্ধের মত এই জীবন্ত কিংবদন্তির ক্লাস শুনতে আসতেন। তিনি তাঁর নিজস্ব ভঙ্গিতে বাঙালি সংস্কৃতি ও বাংলা ভাষা চর্চার শিক্ষা দিয়ে গেলেন জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত। ব িভিন্ন প্রজন্মের ছাত্র-শিক্ষকদের জন্য এরকম বিরল দৃষ্টান্তের মত অনুপ্রেরণা আর কি হতে পারে। আলোচনায় অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হক বলেন, বাংলা সাহিত্যের দিকপাল, অসম্ভব মেধাবী মুনীর চৌধুরী হাজার বছর বেঁচে থাকবেন বাঙালির হৃদয়ে। তাঁর জ্ঞানর্জনের আকাঙ্ক্ষা মানুষের মনে অনুপ্রেরণা যোগায়। বাংলাদেশের অভূতপূর্ব প্রতিভাবান ব্যক্তিদের মধ্যে মুনীর চৌধুরী অন্যতম। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনাব মোঃ আবুল মনসুর বলেন, মুনীর চৌধুরী এমন একজন প্রতিভাবান মানুষ ছিলেন যিনি বাংলা ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। শুনেছি তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ও ইংরেজি বিভাগের পাঠদান ক্লাসে ছিলেন সবচেয়ে জনপ্রিয় শিক্ষক। গুণিজনেরা বেঁচে থাকেন তাদের রেখে যাওয়া কাজের মধ্যে। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, শহিদ অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী খুব সংক্ষিপ্ত জীবনে অনেক কিছু অর্জন করেছেন। বাংলা টাইপ রাইটার মেশিনের প্রচলন তাঁর মাধ্যমেই শুরু হয়। স্বাধীন বাংলাকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে মুনীর চৌধুরীর মতো বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, বাঙালি জাতি তার এই বীর সন্তানদের স্মরণ করবে শ্রদ্ধাভরে।
এফবিএইচআরও’র কর্পোরেট এইচআর অ্যাওয়ার্ড ২০২২ পুরস্কার পেলো  গ্রামীণফোন

এফবিএইচআরও’র কর্পোরেট এইচআর অ্যাওয়ার্ড ২০২২ পুরস্কার পেলো গ্রামীণফোন

[ঢাকা, ২৭ নভেম্বর, ২০২২] বাংলাদেশে মানব সম্পদ উন্নয়নে নিজেদের অসামান্য অবদানের জন্য ‘কর্পোরেট এইচআর অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ অজর্ন করেছে ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার গ্রামীণফোন। গত ২৫ নভেম্বর রাজধানী ঢাকার ইউআইইউ মাল্টিপারপাস হলে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ হিউম্যান রিসোর্স অর্গানাইজেশন (এফবিএইচআরও) আয়োজিত ‘এফবিএইচআরও-ইউআইইউ ৫ম এইচআর কনভেনশন ২০২২’ - এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনকে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারটি প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ড. দীপু মনি এমপি ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, মাননীয় সদস্য, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম মিয়া, প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর ও ভিসি (ইনচার্জ), ইউআইইউ। গ্রামীণফোনের পক্ষে ‘কর্পোরেট এইচআর অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ গ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানটির অ্যাক্টিং চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার কে এম সাব্বির আহমেদ। অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের অন্যান্য কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এর হেড অব বিজনেস পার্টনার অ্যান্ড সার্কেল এইচআর শায়লা রহমান এবং হেড অব ট্যালেন্ট অ্যান্ড পিপল ডেভেলপমেন্ট সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ। এফবিএইচআরও বাংলাদেশে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নে নিযুক্ত অলাভজনক সংস্থা এবং এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি শীর্ষ সংগঠন। গ্রামীণফোনকে এফবিএইচআরও পুরস্কার কমিটি এর কর্পোরেট দৃষ্টিভঙ্গি, আধুনিক এইচআর অনুশীলন, টেকসই চর্চা, এইচআর ব্যয় এবং এইচআর সংক্রান্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রকৃত সততা প্রদর্শনের জন্য নির্বাচিত করে। এ বিষয়ে গ্রামীণফোনের চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার সৈয়দ তানভির হোসেন বলেন, “গ্রামীণফোনে আমরা কাজ করছি আগামীর জন্য প্রস্তুত টীম, নেতৃত্ব আর সক্ষমতা অর্জন করতে যা আমাদেরকে ভবিষ্যতেও টেক লিডারশীপ ধরে রাখতে সাহায্য করবে। এক্ষেত্রে আপস্কিল করার সাথে সাথে পরিবেশ, সমাজ ও সুশাসনের (ইএসজি) এর লক্ষ্য অর্জনে আমরা সমানভাবে মনোযোগী। ডিজিটাল বাংলাদেশের সম্ভাবনা উন্মোচন করতে আমাদের কর্মীদের কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে, তাই তাঁদের মানসিক আর শারীরিক ভালো থাকা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আমাদের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে এবং আমার বিশ্বাস এটা দেশের আরও করপোরেট নাগরিকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করবে।”

শনিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২২

বন্ধন কালচারাল ফোরাম এর এ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান ও ভৌতিক সন্ধ্যা

বন্ধন কালচারাল ফোরাম এর এ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান ও ভৌতিক সন্ধ্যা

গত ২৫ নভেম্বর, শুক্রবার বিকাল ৫: ০০ টায় জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট এর সেমিনার হল এ বন্ধন কালচারাল ফোরাম এর পক্ষ থেকে পরিবেশিত হয় প্রগতিশীল মিডিয়া কর্মীদেরকে- এ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান ও ভৌতিক সন্ধ্যা। এই বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব জনাব হাসানুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিশিষ্ঠ আবৃত্তিকার ও রেমিটেন্স যোদ্ধা আবুল কাশেম মোঃ সালেহ্, স্বাক্ষর এর চেয়ারপার্সন ও গবেষক শামসুন্নাহার আজিজ লীনা, সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর ইউনিট ম্যানেজার মোঃ মেজবাহ উদ্দিন ও মিডিয়ার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানে যে সকল মিডিয়া কর্মীরা এ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন তারা হলেন মোহনা টিভি ও বাংলাদেশ বেতার এর সিনিয়র সংবাদ পাঠিকা শাহিদা জাহান, একুশে টেলিভিশনের সিনিয়র সংবাদ পাঠিকা রীতা চৌধুরী, বাংলাদেশ বেতার এর সিনিয়র অনুষ্ঠান উপস্থাপিকা সৈয়দা জামিলা আক্তার, সিনিয়র আলোক চিত্র শিল্পী ও অর্থ কন্ঠের ফটো সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু, বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী জয়া চৌধুরী ও চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক যুগান্তার চাকমা চাইনিজ। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে পরিবেশিত হয় ভৌতিক কবিতা ভৌতিক গল্প ও ভৌতিক নৃত্যের সমন্বয়ে ভৌতিক সন্ধ্যা। এতে অংশগ্রহণ করেন- সানজিদা কাইয়ুম, তামান্না সিদ্দিকী, আবুল কাশেম মোঃ সালেহ, কামরুজ্জামান কায়েম এবং মাসুদ হাবীব ও তার দল। ব্যাতিক্রম ধর্মী এই আয়োজনটির মূল পরিকল্পনা ও তত্ত্বাবধানে ছিলেন- বন্ধন কালচারাল ফোরাম এর মহাসচিব শেখ নজরুল ইসলাম, সঞ্চালনায় ছিলেন- তানিয়া আফরিন।
শীত বস্ত্র বিতরণ করবে স্বদেশ মৃত্তিকা

শীত বস্ত্র বিতরণ করবে স্বদেশ মৃত্তিকা

স্টাফ করেসপনডেন্ট
শীত বস্ত্র বিতরণ করবে স্বদেশ মৃত্তিকা স্বদেশমৃত্তিকা মানব ঊন্নয়ন সংস্থার পক্ষ থেকে প্রতি বছরের মত এবছর এতিম ছাত্র ও অসহায় মানুষের মধ্যে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হবে। প্রসঙ্গত, ২০০৪ সাল থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়। ধীরে ধীরে বাড়ছে শীত। দিনভর ঘন কুয়াশায় অনেক সময় সূর্যও দেখা যায় না। হিমলে হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত। কনকনে এই শীতে বস্ত্রহীন অসহায় মানুষের ভোগান্তি চরমে। তাই সাধ্যমতো শীতবস্ত্র দিয়ে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো খুবই জরুরি। বস্ত্রহীন মানুষকে শীতবস্ত্র দানও ইবাদত। তাতে মহান আল্লাহ মানুষকে পুরস্কৃত করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবি। অনেকের স্বাভাবিক পোশাক থাকলেও শীত নিবারণে নেই পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র। দেশব্যাপী সব সচ্ছল মানুষের উচিত, সাধ্য অনুযায়ী নিজ নিজ প্রতিবেশি গরিব-অসহায় মানুষকে শীতবস্ত্র দান করা। নিজেদের অতিরিক্ত শীতের কাপড় থাকলে তা দিয়ে হলেও সহযোগিতা করা। এক হাদিসে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- ‘কোনো মুসলমান কোনো মুসলমানকে বস্ত্রহীন অবস্থায় বস্ত্র দান করলে, আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতে সবুজ বর্ণের পোশাক পরাবেন। খাদ্য দান করলে তাকে জান্নাতের ফল খাওয়াবেন। পানি পান করালে এরচেয়েও উত্তম বস্তু পান করাবেন।’ (আবু দাউদ) তাই সমাজের বিত্তবান ও মানবিক বোধসম্পন্ন মানুষদের দূর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো একান্ত প্রয়োজন; তা না হলে গরিব-অসহায় মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়বে। এ ক্ষেত্রে সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ববোধ থেকে এগিয়ে আসতে হবে। ব্যক্তি পর্যায়ে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করলেও এমন পরিস্থিতি থেকে শীতার্তদের দুঃখ-কষ্ট কমিয়ে আনা সহজ। মনে রাখা জরুরি দরিদ্র মানুষের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ গুরুত্বপূর্ণ মানবসেবা। এটি সওয়াবের কাজও বটে। বদরের যুদ্ধবন্দী হজরত আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহুকেও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পোশাকের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, একবার মুদার গোত্র থেকে গলায় চামড়ার আবা পরিহিত বস্ত্রহীন কিছু লোক নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে আসে। তাদের করুণ অবস্থা দেখে প্রিয় নবির চেহারা বিষণ্ন হয়ে যায়। তিনি নামাজ শেষে সাহাবাদের লক্ষ্য করে দান-সদকার জন্য উৎসাহমূলক খুতবা প্রদান করেন। ফলে সাহাবারা এত অধিক পরিমাণ দান করলেন যে, খাদ্য ও পোশাকের দুইটি স্তুপ হয়ে যায়। এ দৃশ্য দেখে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অত্যন্ত আনন্দিত হলেন এবং তার চেহারা উজ্জ্বল হয়ে যায়। শীতের এই মৌসুমে গরিব অসহায়কে শীতবস্ত্র দান করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ। দান করলে কারো সম্পদ কখনো কমেনা বরং তা বেড়ে যায়। তাই কষ্টে থাকা মানুষকে শীতবস্ত্র দান করলে মহান আল্লাহ দুহাত ভরে আপনাকেও দান করবেন। হাড়কাঁপানো এই শীতে যারা ঘরে কিংবা ঘরের বাইরে দুঃখ-কষ্টে দিনাতিপাত করছে, তাদের পাশে দাঁড়ানো প্রতিটি মানুষের দ্বীনি ও ঈমানি দায়িত্ব। কারণ শীত বস্ত্রহীন মানুষের জন্য এ পরিস্থিতি চরম বিপদ সমতুল্য। বিপদে পড়া মানুষকে সহযোগিতা করলে মহান আল্লাহ বান্দার বিপদ দূর করে দেবেন। হাদিসে পাকে আরও এসেছে- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের পার্থিব একটি বিপদ দূর করবে, আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের দিন তার সব বিপদ দূর করে দেবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো অভাবি মানুষকে সচ্ছল করে দেবে, আল্লাহ তাআলা তাকে ইহকাল ও পরকালে সচ্ছল করে দেবেন।’ (মুসলিম) সুতরাং প্রতিটি মানুষের উচিত, অভাবি, বস্ত্রহীন মানুষের পাশে দাঁড়ানো। সামাজিক দায়বদ্ধতা, ধর্মীয় নীতি-নৈতিকা থেকে শীতার্ত মানুষের পাশে দাড়ানো। শীতের এই প্রচণ্ড কষ্টে সামান্য সহযোগিতায় কেউ উপকৃত হলে খুশি হবেন মহান আল্লাহ। মহান আল্লাহকে খুশি করানোর এ কাজে সাধ্যমতো নিজেদের শরিক করি। আমিন। স্বদেশমৃত্তিকা মানব ঊন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান মোঃ আকবর হোসেন বলেন, আমরা মানুষের পাশে থাকার জন্য ২৪ ঘণ্টা চেষ্টা করি। কিন্তু সব সময় পারি না। মানুষের কাছে টাকা নাই। তারপরও চেষ্টা করি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নিজেদের হাত খরচের টাকা থেকেই আমরা সেবা করি। স্বাদ তো অনেক আছে কিন্তু সাধ্য নেই।
বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রথম টিউব উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা

বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রথম টিউব উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা

শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল বা কর্ণফুলী টানেলের নির্মাণ কাজের আংশিক সমাপ্তি উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২৯ বছর যারা ক্ষমতায় ছিল তারা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করত না। ১৯৭৫ এর পর ২১ বছর, ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিল, এই ২৯ বছর বাংলাদেশ কেন উন্নতি করতে পারে নাই? কারণ, যারা ওই সময় ক্ষমতায় ছিল এদেশের স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করত না। যে কারণে তারা এ দেশকে উন্নত করতে চায়নি। এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চায়নি। ক্ষমতা ছিল তাদের ভোগের বস্তু। যার ফলে আমরা সামনের দিকে এগোতে পারিনি।    আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ আমাদের পরপর ৩বার ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছে। যার কারণে আমরা এই উন্নয়নগুলো করতে সক্ষম হয়েছি। 
‘শহিদ অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী: একজন আদর্শ শিক্ষকের  প্রতিকৃতি’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভা ২০২২

‘শহিদ অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী: একজন আদর্শ শিক্ষকের প্রতিকৃতি’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভা ২০২২

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর আগামী ২৭ নভেম্বর ২০২২, রবিবার, বিকাল ৪ টায়
জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘শহিদ অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী: একজন আদর্শ শিক্ষকের প্রতিকৃতি’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভা ২০২২ আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব কে এম খালিদ এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোঃ আবুল মনসুর। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন শহিদ অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীর কনিষ্ঠ পুত্র ও সংস্কৃতি এবং মানবাধিকারকর্মী জনাব আসিফ মুনীর। আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হক। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করবেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব মোঃ কামরুজ্জামান। সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। সেমিনার ও আলোচনা সভার সংবাদ গ্রহণের জন্য আপনার বহুল প্রচারিত সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি প্রেরণ করার জন্য আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হলো।
‘বেস্ট এমপ্লয়ার অ্যাওয়ার্ড’পেলো হুয়াওয়ে বাংলাদেশ

‘বেস্ট এমপ্লয়ার অ্যাওয়ার্ড’পেলো হুয়াওয়ে বাংলাদেশ

[ঢাকা, ২৫ নভেম্বর, ২০২২] বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইসিটি অবকাঠামো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশের আইসিটি খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি ও এই খাতে ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেমের বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালনের স্বীকৃতি হিসেবে ফরেন ক্যাটাগরিতে বেস্ট এমপ্লয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। ২৫শে নভেম্বর, হোটেল শেরাটন, ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিএসএইচআরএম-গার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্স ৯ম আন্তর্জাতিক এইচআর কনফারেন্স ২০২২-এ এই অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন হুয়াওয়ে টেকনোলোজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান হুয়াং বাওশিয়ং। ‘ইন বাংলাদেশ ফর বাংলাদেশ’ লক্ষ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশে ১৯৯৮ সালে কার্যক্রম শুরু করে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। দীর্ঘ সময়ের এই যাত্রায় ধারাবাহিক উদ্ভাবনের মাধ্যমে গ্রাহক-কেন্দ্রিক উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে গেছে হুয়াওয়ে বাংলাদেশ। দেশের গ্রাহক, ভেন্ডর ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটগুলোর সাথে বিভিন্ন পর্যায়ের নানামুখী অংশীদারিত্বের মাধ্যমে কাজ করে গেছে হুয়াওয়ে। আইসিটি স্কিলস প্রতিযোগিতা, সিডস ফর দ্য ফিউচার, ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট প্রোগ্রাম, আইসিটি একাডেমি, হুয়াওয়ে আইসিটি ইনকিউবেটর এবং আরও বিভিন্ন প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশের আইসিটি ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে প্রতিষ্ঠানটি। স্থানীয় কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে বিশ্বমানের কাজের সুযোগ তৈরি করতে চাইছে প্রতিষ্ঠানটি। দেশের সামগ্রিক আইসিটি খাতকে সফল ও টেকসই করতে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে হুয়াওয়ে। এই সকল উদ্যোগ গ্রহণের কারণেই বিএসএইচআরএম- গার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্স ৯ম আন্তর্জাতিক এইচআর কনফারেন্স ২০২২ এ ফরেন ক্যাটাগরিতে বেস্ট এমপ্লয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে হুয়াওয়ে। এই বিষয়ে হুয়াওয়ে বাংলাদেশ এর মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান হুয়াং বাওশিয়ং বলেন “এই ব্যবসায়িক ইকোসিস্টেমের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে ২০ হাজারেরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে হুয়াওয়ে। ভিন্ন ভিন্ন অপারেটরের সাথে একযোগে টুজি, থ্রিজি ও ফোরজি চালু করে প্রতিষ্ঠানটি; পাশাপাশি, ফাইভজি উন্মোচনের লক্ষ্যেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করে যাচ্ছে তারা। বিভিন্ন ক্যাম্পেইন ও উদ্যোগের মাধ্যমে আইসিটি ইকোসিস্টেমের বিকাশে সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ শুরু করেছে হুয়াওয়ে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সুদক্ষ তরুণ মেধাবীদের খুঁজে বের করতে বুয়েট, রুয়েট, কুয়েট, জেইউএসটি ও এআইইউবি-তে আইসিটি একাডেমি নির্মাণ করেছে হুয়াওয়ে”। বিএসএইচআরএম-গার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্স ৯ম আন্তর্জাতিক এইচআর কনফারেন্স ২০২২ এর এবারের প্রতিপাদ্য ছিলো: ‘এইচআর লিডারশিপ ইন এভার-চেঞ্জিং বিজনেস থ্রু ইনোভেশন’। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার; বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনএসডিএ’র (জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) নাসরীন আফরোজ, এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট ও বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন, ইউনিক গ্রুপ অব কোম্পানিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নূর আলী এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান।

বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২২

ব্রাজিল ২: ০ সার্বিয়া

ব্রাজিল ২: ০ সার্বিয়া

দুর্দান্ত রিচার্লিসনে ম্যাচজুড়ে আক্রমণাত্মক ফুটবলের দ্যুতি ছড়িয়ে সার্বিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছে ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।
লুসাইল স্টেডিয়ামে আগের দিন ফাঁস হওয়া দল থেকে একটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে ব্রাজিল। ফ্রেদের জায়গায় আসেন কাসেমিরো। ম্যাচের শুরুতে কিছুটা নিচে নেমে এসে আক্রমণ তৈরির চেষ্টা করে ব্রাজিল। ৪ মিনিটে সেভাবে গড়া আক্রমণ থেকে বল নিয়ে এগিয়ে গিয়ে হুমকি তৈরি করেছিলেন রাফিনিয়া। তবে ঠিকঠাক ক্রস করতে না পারায় বিপদে পড়তে হয়নি সার্বিয়াকে। সার্বিয়া অবশ্য প্রথম কয়েক মিনিট চেষ্টা করেছিল আক্রমণে গিয়ে ব্রাজিলকে চোখ রাঙাতে। তবে সার্বিয়ার এই কৌশল ব্রাজিলের ভয়ংকর আক্রমণভাগের জন্য জায়গায় করে দিচ্ছিল। ব্রাজিলের প্রেসিং ও আগ্রাসী ফুটবলে রীতিমতো কোনঠাসা হয়ে পড়ে সার্বিয়া। নিজেদের অর্ধ ছেড়ে মাঝমাঠও পেরোতে পারছিল না তারা। তবে নিজেরা সুযোগ তৈরি করতে না পারলেও ব্রাজিলকে ঠেকিয়ে রাখার কাজটা বেশ ভালোভাবেই করে যাচ্ছিল তারা। ৩৫ মিনিটে দারুণ জায়গায় বল পেয়েও দুর্বল শটে সুযোগ নষ্ট করেন রাফিনিয়া। ৪২ মিনিটে নিকোলা মিলেনকোভিচের ভুলে বল পেয়েও সময় মতো শট নিতে ব্যর্থ হন ভিনিসিয়ুস। নিকোলোই এসে আটকে দেন ভিনিকে। দাপুটে খেলেও ব্রাজিলের গোল না পাওয়ার হতাশাতেই শেষ হয় ম্যাচের প্রথমার্ধ। বিরতির পরের মুহূর্তে ফের রাফিনিয়ার সামনে সুযোগ এসেছিল ব্রাজিলকে এগিয়ে দেওয়ার। এবারও তাঁকে ঠেকিয়ে দেন সার্বিয়ান গোলরক্ষক। একটু পর ডি-বক্সের একটু বাইরে ফ্রি-কিক পায় ব্রাজিল। তবে দারুণ জায়গায় বল পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি নেইমার। ৫৫ মিনিটে ভিনিসিয়ুসের পাসে ডি-বক্সের ভেতর নেইমারের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।
পাঁচ গোলের থ্রিলার জিতে শুভসূচনা রোনালদোর পর্তুগালের

পাঁচ গোলের থ্রিলার জিতে শুভসূচনা রোনালদোর পর্তুগালের

দুই অর্ধের পার্থক্যটা যেন আকাশ আর পাতালের! শুরুর অর্ধে যেখানে মাথাকুটে মরেছে স্টেডিয়াম ৯৭৪, সেখানে দ্বিতীয়ার্ধ দেখল ৫ টি গোল! সেই লড়াইয়ে ঘানাকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপে শুভসূচনা করেছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল
ব্রাজিলের খেলা দেখতে কাতারে হাজির তামিম

ব্রাজিলের খেলা দেখতে কাতারে হাজির তামিম

২৫ নভেম্বর
বাংলাদেশ জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল ব্রাজিলের বড় ভক্ত। পাঁচ বারের বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিলের খেলা দেখতে তিনি ছুটে গেছেন কাতারে...
প্যান্ডাপ্রো ক্যাম্পেইনের বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান

প্যান্ডাপ্রো ক্যাম্পেইনের বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান

স্টাফ রিপোর্টারঃ সিরাজুল ইসলাম
[ঢাকা, ২৪ নভেম্বর, ২০২২] অনলাইন-ভিত্তিক খাবার অর্ডার ও ডেলিভারি প্রতিষ্ঠান ফুডপ্যান্ডা প্যান্ডাপ্রো আইফোন ১৪ প্রো ক্যাম্পেইনের বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছে ।  সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইনে খাবার ও পণ্যসামগ্রী অর্ডারের বিষয়টি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং এ বিষয়টিকে বিবেচনা করে ফুডপ্যান্ডা মাসব্যাপী ক্যাম্পেইনটি চালু করে। সম্প্রতি, রাজধানীর গুলশান অ্যাভিনিউতে অবস্থিত কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।  ক্যাম্পেইন চলাকালীন সময়ে (সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর) অংশ নিয়ে সম্পূর্ণ নতুন আইফোন ১৪ প্রো জিতে নেয়ার জন্য  আগ্রহীদের ফুডপ্যান্ডার ১২ মাসব্যাপী  প্যান্ডাপ্রো প্ল্যান সাবস্ক্রাইব করতে হয়। এছাড়াও, এ ক্যাম্পেইনে এক বছর ব্যাপী মেম্বারশিপের মাধ্যমে বেস্ট ডিল সুবিধাও প্রদান করা হয়। প্রতিসপ্তাহে ফুডপ্যান্ডার পক্ষ থেকে একজন ভাগ্যবান বিজয়ীকে নির্বাচিত করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় মোট চারজনকে বিজয়ী নির্বাচিত করা হয়। বিজয়ীরা হলেন: মো. আরফাকুল ইসলাম দীপন, মোহনা সজীব, মো. হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী এবং মাইনুল হাসান।    পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ফুডপ্যান্ডার ফাইন্যান্স ডিরেক্টর জামাল ইউসুফ জুবেরি ও হেড অব মার্কেটিং মাণীষা সাফিয়া তারেক উপস্থিত ছিলেন। এ ক্যাম্পেইনের একজন বিজয়ী মোহনা সজীব বলেন, “এ ধরনের একটি ক্যাম্পেইন আয়োজনের মাধ্যমে আমাকে পুরস্কার জেতার সুযোগ করে দেয়ার জন্য আমি ফুডপ্যান্ডাকে ধন্যবাদ জানাই। এছাড়াও, এই সাবস্ক্রিপশন প্রোগ্রামটি থেকে আমি বিভিন্ন রকমের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি।  প্যান্ডাপ্রোর এ ধরনের একটি চমৎকার ক্যাম্পেইন ও জমকালো অনুষ্ঠানের বিষয়টি আমার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।” ফুডপ্যান্ডার হেড অব মার্কেটিং মাণীষা সাফিয়া তারেক বলেন, “প্যান্ডাপ্রো এমন এক ধরনের মেম্বারশিপ, যার মাধ্যমে ফুডপ্যান্ডার বিভিন্ন ধরনের সুবিধা উপভোগ করার সুযোগ রয়েছে। আমাদের প্রিয় কাস্টমারদের নতুন এ ফিচার সম্পর্কে জানাতে আমরা এ ক্যাম্পেইন আয়োজন করি এবং কাস্টমারদের অভুতপূর্ব সাড়া পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। প্যান্ডাপ্রো একটি একক মেম্বারশিপের মাধ্যমে ফুডপ্যান্ডার বিভিন্ন সেবা ও এক্সক্লুসিভ ডিল উপভোগের সুবিধা প্রদান করে। এর মাধ্যমে খাবার ও পণ্যসামগ্রী আগের চেয়ে আরো বেশি সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যাবে। এ মেম্বারশিপ কার্ডের মাসিক, অর্ধ-বাৎসরিক ও বাৎসরিক মূল্য যথাক্রমে ৭৯, ৩৯৯ ও ৪৯৯ টাকা।  ফুডপ্যান্ডা সম্পর্কে: ফুডপ্যান্ডা এশিয়া প্যাসিফিকের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম। সুবিধামতো ও দ্রুততম সময়ে গ্রাহকদের কাছে খাবার, গ্রোসারি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসহ অন্যান্য জিনিস পৌঁছে দিতে নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে ফুডপ্যান্ডা। অভিনব প্রযুক্তি ও সুদক্ষ পরিচালনার সমন্বয় এবং রিটেইল পার্টনারদের শক্তিশালী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এ অঞ্চলের কুইক-কমার্সে (কিউ-কমার্স) নেতৃত্ব দিচ্ছে ফুডপ্যান্ডা। খাবার ডেলিভারি দেয়ার লক্ষাধিক অপশন ছাড়াও অন- ডিমান্ড পণ্য ডেলিভারি সুবিধা প্রদানে রয়েছে প্যান্ডামার্ট ক্লাউড স্টোর। সিঙ্গাপুর, হংকং, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, তাইওয়ান, ফিলিপাইন, বাংলাদেশ, লাওস, কম্বোডিয়া এবং মায়ানমার- এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ১১টি বাজারের চারশো শহরে ফুডপ্যান্ডার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ফুড ডেলিভারি ইন্ডাস্ট্রিতে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ডেলিভারি হিরো’র একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ফুডপ্যান্ডা।
"আশিক্কীনে আউলিয়া ঐক্য পরিষদ বাংলাদেশ" সংগঠনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

"আশিক্কীনে আউলিয়া ঐক্য পরিষদ বাংলাদেশ" সংগঠনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

আশিক্কীনে আউলিয়া ঐক্য পরিষদ বাংলাদেশ
অদ্য ৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৯ বাংলা মোতাবেক ২৩শে নভেম্বর ২০২২ইং রোজ বুধবার ঢাকা সায়দাবাদ "খানকায়ে সুরেশ্বরী"তে "আশিক্কীনে আউলিয়া ঐক্য পরিষদ বাংলাদেশ" সংগঠনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনে সভাপতি- শাহ্ সূফী সাইয়েদ আলম নূরী আল্ সুরেশ্বরী। সভায় তহবিল গঠন, দেশ ব্যাপী আঞ্চলিক কমিটি গঠনের লক্ষ্যে বিভাগ গুলোতে সফর কর্মসূচি গ্রহণ করে সংগঠনের সদস্য সংগ্রহ ও সংগঠনকে গতিশীল করার লক্ষ্যে সিদ্ধান্ত এবং আগামী জানুয়ারী ২০২৩ইং ঢাকায় বৃহৎ পর্যায়ে সম্মেলন করার প্রস্তাব গৃহীত হয়। উক্ত সভায় সংগঠনের সহ-সভাপতিঃ সৈয়দ মোঃ মাজেদুল হক চাঁদপুরী, মহাসচিবঃ আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা আবু হানিফ, সহ-যুগ্ন মহাসচিবঃ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন আব্বাস, সহ মহাসচিবঃ সাইয়েদ দিদারে মাওলা শাহ্ নূরে জামান ও সামসুজ্জামান চৌধুরী সজীব, সাংগঠনিক সচিবঃ সাইয়েদ শাহ্ নূরে হাসান দিপু নূরী, সহ-সাংগঠনিক সচিবঃ মোঃ আতিকুর রহমান সহ কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যান্য নেত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে অফিস খুলছে সিঙ্গাপুরের ডিবিএস ব্যাংক

বাংলাদেশে অফিস খুলছে সিঙ্গাপুরের ডিবিএস ব্যাংক

বাংলাদেশে অফিস খুলছে সিঙ্গাপুরের ডিবিএস ব্যাংক স্টাফ রিপোর্টারঃ তানিয়া শেখ
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় নিজেদের প্রতিনিধি অফিস (ডিবিএস ঢাকা) চালু করার ঘোষণা দিয়েছে (১৬ নভেম্বর) সিঙ্গাপুরভিত্তিক ডিবিএস ব্যাংক। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের ১৯টি দেশে ব্যাংকটির প্রতিনিধি অফিস খোলা হবে।  গত দুই দশক ধরে সিঙ্গাপুরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার বাংলাদেশ। ২০২১ সালে বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম আমদানি অংশীদার ছিল সিঙ্গাপুর; যেখান থেকে মোট আনুমানিক ২.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (৩.২৩ বিলিয়ন সিঙ্গাপুরি ডলার) মূল্যের পণ্য আমদানি করা হয়। একইসাথে, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি, যোগাযোগ ও লজিস্টিকস এবং বন্দর খাতে শীর্ষ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সিঙ্গাপুর অন্যতম। নিকট ভবিষ্যৎ থেকে মধ্য মেয়াদী ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জ্বালানি ও অবকাঠামো খাতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে এবং বেসরকারি খাতের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমেই এটা সম্ভব হবে। ডিবিএস মনে করে, এক্ষেত্রে উত্তর এশিয়া ও ভারতের অংশীদাররা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।   বাণিজ্যে অর্থায়ন এবং এ সংশ্লিষ্ট পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাথে নিজেদের সম্পৃক্ততা বজায় রেখে চলেছে ডিবিএস; পাশাপাশি, বাংলাদেশে প্রকল্প বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও সহায়ক ভূমিকা রয়েছে ডিবিএস -এর। এখন বাংলাদেশে প্রতিনিধি অফিস খোলার মাধ্যমে দেশে ব্যাংকটির কার্যক্রম আরও বিস্তৃত হবে; একইসাথে, বিশ্বজুড়ে ডিবিএস গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনেও মিড-টার্ম ভূমিকা পালন করবে ডিবিএস ঢাকা। ডিবিএস ঢাকার প্রধান প্রতিনিধি হিসেবে তাহসিনা বানুকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ২০ বছরেরও বেশি সময় আন্তর্জাতিক ব্যাংকের সাথে বাংলাদেশ ও মধ্যপ্রাচ্য সুনামের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। তাহসিনা বানুর হোলসেল ব্যাংকিং, ট্রেড অপারেশনস ও রিস্ক ম্যানেজমেন্ট সহ ব্যাংকিং ব্যবসার বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজের বিস্তৃত অভিজ্ঞতা রয়েছে।         ঢাকায় ডিবিএস ব্যাংকের প্রতিনিধি অফিস খোলার ব্যাপারে ডিবিএস’র গ্রুপ হেড অব ইনস্টিটিউশনাল ব্যাংকিং গ্রুপ, তান সু শান বলেন, ‘সিঙ্গাপুর যখন এ বছর বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে, আমরা মনে করি বাংলাদেশের মতো এমন দ্রুতবর্ধনশীল বাজারে বিনিয়োগ করার এটাই সঠিক সময়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের গুরুত্ব বেড়েছে। ফলে, দক্ষিণ এশিয়া ও এর বাইরেও, আন্তঃআঞ্চলিক বাণিজ্য করতে চায় ডিবিএস -এর এমন গ্রাহকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। তাই, এ অঞ্চলে আমাদের গ্রাহকদের বিনিয়োগ ও সম্প্রসারণের পরিকল্পনায় সর্বাত্মক সহায়তার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবেই এই প্রতিনিধি অফিস খোলা হবে।’ ২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত টানা ১৪ বছর গ্লোবাল ফাইন্যান্স কর্তৃক ‘সেইফেস্ট ব্যাংক ইন এশিয়া’ পুরস্কার অর্জন করে ডিবিএস ব্যাংক। পাশাপাশি, এই আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক ফাইন্যান্সিয়াল পাবলিকেশন গ্লোবাল ফাইন্যান্সের ‘ওয়ার্ল্ডস বেস্ট ব্যাংক’ হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করে ব্যাংকটি। ২০১৮ থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো ম্যাগাজিনটির শীর্ষস্থানের এই সম্মানে ভূষিত হলো ব্যাংকটি। এছাড়াও, গত ৫ বছরের মধ্যে এটি ব্যাংকটির সপ্তম ‘গ্লোবাল বেস্ট ব্যাংক’ স্বীকৃতি অর্জন। এ খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভবিষ্যতের ব্যাংকিং খাতকে ডিবিএস যে নতুন মাত্রা দিবে তারই প্রতিফলন সম্মানজনক এসব অর্জন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাটলকে তারুণ্যের রঙে রাঙিয়ে দিলো স্কিটো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাটলকে তারুণ্যের রঙে রাঙিয়ে দিলো স্কিটো

স্টাফ রিপোর্টারঃ তানিয়া শেখ
গ্রামীণফোনের এন্ড-টু-এন্ড ডিজিটাল প্রোডাক্ট স্কিটো সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেনের নয়টি বগিকে ক্যানভাস বানিয়েরাঙিয়ে তুলেছে তারুণ্যের রঙে – নবীনের জয়গানে চবি’র শাটলকে করে তুলেছে প্রাণবন্ত।শাটল ট্রেনের প্রতিটি বগিতে শিল্পকর্মের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে চট্টগ্রাম শহরের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অনন্য সৌন্দর্য। শিক্ষার্থী ও তরুণদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে স্কিটো। এবং তারুণ্যের রঙে রাঙানো এ বৃহৎ ক্যানভাসের মাধ্যমে তারুণ্যের উন্মাদনা, উচ্ছাস ও উৎসব প্রকাশিত হয়েছে। আর শাটলের ক্যানভাসে এ শিল্পকর্ম ফুটিয়ে তুলেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই। এ নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের গেস্ট লেকচারার অরূপ বড়ুয়া বলেন, “প্রতিদিন হাজার হাজার চবি শিক্ষার্থী শাটলে চড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করে। শাটলের এমন রূপান্তরে শিক্ষার্থীদের রীতিমতো উচ্ছ্বসিত।” তিনি আরও বলেন, “ট্রেনটি দেখতে এখন আগের চেয়ে নতুন এবং প্রাণবন্ত। এর বগিগুলো শিক্ষার্থীদের কাছে শিল্পের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে, আমার মতে যা একটি অসাধারণ উদ্যোগ। বিশেষ করে, যারা এখানে নতুন ভর্তি হয়েছে, ট্রেনটি তাদের ক্যাম্পাস জীবনকে অনেক বেশি স্মরণীয় করে তুলেছে, সেই সাথে তাদের মাঝে এক উদ্দীপনাও জাগিয়েছে।” কাজী এমরান মাহবুব, হেড অব স্কিটো, অসাধারণ এ উদ্যোগ নিয়ে বলেন, “ডিজিটাল দুনিয়ায় স্কিটো বটের নিজস্ব একটি অবস্থান রয়েছে, যা এখন ট্রান্সমিডিয়া স্টোরি টেলিংয়ের মাধ্যমে বাস্তব জগতের সাথে মিশে গেছে। তাছাড়া, প্রথম ব্র্যান্ড হিসেবে শাটলে নিজেদের পরিচয় – তারুণ্যকে, তুলে ধরতে পেরে আমরা গর্বিত। তরুণরাই আমাদের অগ্রাধিকারের বিষয়। এটি নিঃসন্দেহে একটি চমৎকার দলগত প্রচেষ্টার দূরদর্শী উদ্যোগ।”

বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২২

ব্রিটিশ কাউন্সিলের আয়োজনে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘গোয়িং গ্লোবাল এশিয়া প্যাসিফিক  কনফারেন্স’

ব্রিটিশ কাউন্সিলের আয়োজনে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘গোয়িং গ্লোবাল এশিয়া প্যাসিফিক কনফারেন্স’

শিক্ষাব্যবস্থার কার্যকর উন্নয়নে গঠনমূলক আলোচনা করতে সম্মেলনে থাকছে বাংলাদেশের ৭ সদস্য-বিশিষ্ট প্রতিনিধি দল
[ঢাকা, ২৩ নভেম্বর, ২০২২] ব্রিটিশ কাউন্সিলের ‘গোয়িং গ্লোবাল এশিয়া প্যাসিফিক কনফারেন্স’ আয়োজনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার ক্ষেত্রে জ্ঞানের বিস্তৃতিতে নেতৃবৃন্দের জন্য একটি কৌশলগত ফোরাম প্রণয়ণে এবং বিশ্বব্যাপী উচ্চশিক্ষার ভবিষ্যতকে নতুন মাত্রাদানে একটি বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক তৈরি করতে এ সম্মেলন আয়োজিত হচ্ছে। আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ফ্ল্যাগশিপ ইভেন্ট ‘গোয়িং গ্লোবালের’ আঞ্চলিক কনফারেন্স। সম্মেলনে যুক্তরাজ্য ও এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের আন্তর্জাতিক শিক্ষার থিম নিয়ে আলোচনা করা হবে। “একটি অসম বিশ্বে কীভাবে সমতা অর্জন করা যায়,” বিষয়ে আলোকপাত করা হবে। চিন্তাভাবনার আদান- প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার ভবিষ্যৎ পুনর্বিবেচনা করতে, একে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে, অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে এবং আন্তর্জাতিকভাবে সংযুক্ত একটি শিক্ষাব্যবস্থা গড়ার লক্ষ্য নিয়ে এই সম্মেলনে গুরুত্বারোপ করা হবে। সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন ৭ সদস্য-বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল; যাদের মধ্যে রয়েছেন- বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অপারেশনস অফিসার ড. মোখলেসুর রহমান, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, ইউজিসির এসপিকিউএ’র ডিরেক্টর ড. দুর্গা রানী সরকার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার, গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সামদানী ফকির এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. তানজিমা ইয়াসমিন। এর মধ্যে ড. মোখলেসুর রহমান, ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার ও ড. গোলাম সামদানী ফকির ‘ফিউচার অব টারশিয়ারি এডুকেশন’, ‘প্রগ্রেসিভ ট্রান্সন্যাশনাল এডুকেশনাল পার্টনারশিপস’, ‘স্ট্র্যাটেজিস টু প্রমোট জেন্ডার ইকুয়ালিটি ইন এসটিইএম’ এবং ‘রিজিওনালাইজেশন: আ কি টু ইন্টারন্যাশনালাইজেশন’ বিষয়ে আলাদা প্যানেল আলোচনায় অংশ নিবেন। সম্মেলন নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের পরিচালক টম মিশশা বলেন, “আন্তর্জাতিক শিক্ষার ক্ষেত্রে নেতৃবৃন্দের জন্য আয়োজিত গোয়িং গ্লোবাল এশিয়া প্যাসিফিক ২০২২ কনফারেন্সে বাংলাদেশের উৎসাহী অংশগ্রহণে আমি অভিভূত। প্রতিনিধিরা সেখানে টারশিয়ারি শিক্ষার ভবিষ্যৎ, আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব থেকে শুরু করে এসটিইএম শিক্ষায় লিঙ্গ-সমতাকে উৎসাহ দেয়ার ওপর প্যানেল আলোচনায় অংশ নিবেন।” সম্মেলনে ইন-পারসন ও লাইভস্ট্রিম উভয় ধরনের সেশনই থাকছে। সিঙ্গাপুরের মেরিনা বে স্যান্ডসে আয়োজিত ইন-পারসন ইভেন্টে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল ও যুক্তরাজ্যের ১৪০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করছে এমন ২০টি রাষ্ট্র ও অঞ্চলের ২০০ টারশিয়ারি শিক্ষাখাতের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ অংশ নিবেন। এছাড়া, বিশ্বব্যাপী শিক্ষাখাতের সিনিয়র নেতারা রেজিস্ট্রেশন ফর লাইভ স্ট্রিম সেশন এর মাধ্যমে অনলাইন কনফারেন্সের মূল আলোচনায় অংশ নিতে পারবেন।
পরিবেশবান্ধব অটোমোবাইল শিল্পের উন্নয়নে একসাথে কাজ করবে এটুআই  ও রানার

পরিবেশবান্ধব অটোমোবাইল শিল্পের উন্নয়নে একসাথে কাজ করবে এটুআই ও রানার

ঢাকা, বাংলাদেশ; ২৩ নভেম্বর ২০২২: স্টাফ রিপোর্টার
দেশে পরিবেশবান্ধব টেকসই ও নাগরিককেন্দ্রিক উদ্ভাবনী প্রযুক্তিসম্পন্ন অটোমোবাইল শিল্পের গবেষণা ও উন্নয়নে একসাথে কাজ করবে এটুআই ও রানার অটোমোবাইলস পিএলসি। এলক্ষ্যে বুধবার আগারগাঁও এর আইসিটি টাওয়ারে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাস্তবায়নাধীন এবং ইউএনডিপি’র সহায়তায় পরিচালিত ‘এটুআই’। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ-এর মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক, এমপি এর উপস্থিতিতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর এবং রানার অটোমোবাইলস পিএলসি এর চেয়ারম্যান জনাব হাফিজুর রহমান খান।স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায়, দেশে একটি টেকসই, পরিবেশবান্ধব এবং নাগরিককেন্দ্রিক অটোমোবাইল শিল্প গড়ে তোলার জন্য এবং উদ্ভাবনের সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করবে এটুআই-রানার অটোমোবাইলস পিএলসি। যেখানে এটুআই বিশ্বের বিকাশমান প্রযুক্তির আলোকে বর্তমান ও ভবিষ্যতের চাহিদার মূল্যায়ন করে দেশের অটোমোবাইল খাতের জন্য কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং উদ্ভাবন অন্বেষণ ও গবেষণায় সহায়তা প্রদান করবে। অন্যদিকে, এসব গবেষণার মাধ্যমে প্রাপ্ত সম্ভাবনাময় উদ্ভাবনগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাণিজ্যিক পণ্যের ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে রানার। যার মাধ্যমে দেশের সরকারি-বেসরকারিভাবে অটোমোবাইলস খাতে জড়িত প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ততায় ভবিষ্যতের সম্ভাব্য বাজারের চাহিদার আলোকে বিদ্যুৎচালিত যানবাহনসহ উন্নত প্রযুক্তির ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডের প্রচলন সম্ভব হবে। এছাড়াও সমঝোতা স্মারকের সফল বাস্তবায়নের জন্য এটুআই-আইল্যাব ও রানার উভয়ই একজন করে ফোকাল মনোনিত করবেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে ২০৪১ সালের উন্নত আয়ের উদ্ভাবনী ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদেরকে আইডিয়েশন থেকে বাণিজ্যিকীকরণের দিকে যেতে হবে। এ রূপান্তরের সহায়ক পরিবেশ বিনির্মাণে এটুআই-এর ইনোভেশন ল্যাব এর মাধ্যমে দেশের উদ্ভাবক ও গবেষকদের মেধা ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর জন্য দেশের বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করতে সরকারের পক্ষ থেকেও সহায়তা প্রদান করা হবে। সাশ্রয়ী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক উদ্ভাবনী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বিদ্যুৎচালিত যানবাহনের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আইসিটিকে ২০২২ সালের প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার ঘোষণা করেছেন। দেশের অটোমোবাইলস প্রতিষ্ঠানগুলো আলাদা আলাদা গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র না করে এটুআই-ল্যাবের মাধ্যমে একটি অত্যাধুনিক ল্যাব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) করে খুব সহজে ও কম খরচে এই খাতে জড়িত দেশের অন্য বেসরকারি খাত ও অটোমোবাইলস কোম্পানিগুলোকে সহযোগিতা প্রদান করা সম্ভব হবে। এভাবে দেশের স্বল্প সম্পদকে কাজে লাগিয়ে দেশের অটোমোবাইলস শিল্পকে আরো বেশি শক্তিশালী করে গড়ে তুলার সম্ভাবনা তৈরি হবে। সভাপতির বক্তব্যে এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, উদ্ভাবনী, টেকসই, পরিবেশবান্ধব ও নাগরিক সহায়ক অটোমোবাইলস শিল্প গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে এটুআই। এলক্ষ্যে চতুর্থশিল্পবিপ্লবের উপযোগী নতুন নতুন পণ্য উন্নয়নে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নীতিগত সহায়তা প্রদানে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথভাবে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। এটুআই-আইল্যাব এর ডিভাইস ইনোভেশন এক্সপার্ট তৌফিকুর রহমানের সঞ্চালনায় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, এটুআই ও রানার অটোমোবাইলস পিএলসি এর সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনাকাঙ্খিত অডিও রেকর্ড ও ভিডিও স্ক্রিণশট রোধে ইমোর ‘ব্লক স্ক্রিনশট ফর কলস’

অনাকাঙ্খিত অডিও রেকর্ড ও ভিডিও স্ক্রিণশট রোধে ইমোর ‘ব্লক স্ক্রিনশট ফর কলস’

ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায় ইমোর ‘ব্লক স্ক্রিনশট ফর কলস’ ফিচার
[ঢাকা, ২৪ নভেম্বর, ২০২২] ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তার সুরক্ষার পাশাপাশি সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্প্রতি নতুন ফিচার ‘ব্লক স্ক্রিনশট ফর কলস’ নিয়ে এসেছে ইনস্ট্যান্ট অডিও-ভিডিও কল ও ম্যাসেজিং অ্যাপ ইমো। দেশে আশঙ্কাজনকহারে ইন্টারনেট অনুপ্রবেশকারী বেড়ে যাওয়ার ফলে নিরাপদ অনলাইন স্পেস ও সাইবার নিরাপত্তা বজায় রাখা সবার আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে সাইবারস্টকিং, সাইবারবুলিং, ব্ল্যাকমেইল বা অনলাইন হুমকির মতো সাইবার অপরাধের কারণে বিভিন্ন মানুষ ভুক্তভোগী হচ্ছেন। অনেকসময় সাইবার অপরাধীরা অনুমতি ছাড়াই ভুক্তভোগীর কল রেকর্ড করে রাখে বা ছবি তুলে রাখে, যেন তা পরবর্তীতে ব্যবহার করে অনৈতিক সুবিধা আদায় করা যায়। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত অপরাধ থেকে রক্ষা করতে ও ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ইমো নিয়ে এসেছে ‘ব্লক স্ক্রিনশট ফর কলস’ ফিচার। ‘ব্লক স্ক্রিনশট ফর কলস’ একটি শক্তিশালী প্রাইভেসি নিরাপত্তা ফিচার, যা ভিডিও ও অডিও কলের ক্ষেত্রে স্ক্রিনশট ও স্ক্রিন রেকর্ডিং থেকে ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এই ফিচার চালুর ফলে এখন সাইবার অপরাধীরা ইমো’র ভিডিও ও অডিও কলের ক্ষেত্রে স্ক্রিনশট ও স্ক্রিন/অডিও রেকর্ডিং করতে পারবে না, যা সফলভাবে ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে। একবার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে ফিচারটি চালু করা হলে, ভিডিও কল অপর প্রান্ত থেকে রেকর্ড করলে সেই রেকর্ডেড ভিডিও কলের ইন্টারফেস স্বয়ংক্রিয়ভাবে কালো হয়ে যাবে, এবং ভিডিও কলের সময় স্ক্রিনশটও নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। এছাড়া, ভিডিও বা অডিও কলের ক্ষেত্রে কেউ ভয়েস মেসেজ রেকর্ড করতে চাইলে ব্যবহারকারী সাথে সাথে অ্যালার্ট নোটিফিকেশন পাবেন। এই ফিচারটি চালু করতে হলে প্রথমে সেটিংসে গিয়ে তারপর প্রাইভেসি থেকে ব্লক স্ক্রিনশট ফর কলস অ্যাক্টিভ করতে হবে এবং পরে তা সমস্ত কন্টাক্টের ক্ষেত্রে অ্যাপ্লাই করতে হবে। ব্যবহারকারীরা নির্দিষ্ট কন্টাক্টের জন্যও এই ফিচারটি চালু করতে পারবেন; সেক্ষেত্রে তাদের ঐ নির্দিষ্ট কন্টাক্টের চ্যাট পেইজে যেতে হবে। এরপর ব্লক স্ক্রিনশট ফর কলস ফিচারটি খুঁজে বের করে তা ঐ নির্দিষ্ট কন্টাক্টের ক্ষেত্রে অ্যাপ্লাই করতে হবে। এই ফিচার কার্যকর করতে হলে দু’পাশের ইমো ব্যবহারকারীকেই ইমোর সর্বশেষ সংস্করণের অ্যাপটি ব্যবহার করতে হবে। এই ফিচারটি ব্যবহারকারীদের প্রাইভেসি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সচেতন করতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি, অ্যাপ ব্যবহারের সময় প্রাইভেসি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সাইবারবুলিং সহ বিভিন্ন রকম সাইবার অপরাধের সম্ভাবনা কমিয়ে এনে ব্যবহারকারীদের জন্য স্বস্তি বয়ে নিয়ে আসবে। এই ফিচারটি প্রায়ই বিভিন্ন রকম সাইবার অপরাধের শিকার হয়ে থাকেন এমন নারী ও অসুরক্ষিত ব্যক্তিদের ব্যবহারের জন্য উপযোগী হবে। ইমো ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী অ্যান্ড্রয়েডের জন্য ২০২২.০৯.১০৩১ বা তার ওপরের সংস্করণের উপযোগী করে ফিচারটি চালু করেছে। আইওএস ব্যবহারকারীরাও খুব দ্রুত এই ফিচারটি তাদের ফোনে ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।
স্বদেশ মৃত্তিকা চ্যারিটি অ্যাওয়ার্ড ২০২২ পেলেন বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী হাফিজুল্লা হায়দার

স্বদেশ মৃত্তিকা চ্যারিটি অ্যাওয়ার্ড ২০২২ পেলেন বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী হাফিজুল্লা হায়দার

স্বদেশ মৃত্তিকা চ্যারিটি অ্যাওয়ার্ড ২০২২ পেলেন বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী হাফিজুল্লা হায়দার স্টাফ রিপোর্টার
বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ও স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার উপদেষ্টা হাফিজুল্লা হায়দার সমাজসেবায় বিশেষ অবদান রাখায় ‘স্বদেশ মৃত্তিকা চ্যারিটি অ্যাওয়াড -২০২২, এ ভূষিত হয়েছেন। স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে ঢাকার আগারগাঁওস্থ বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে এই সম্মাননা পদক প্রদান করেন। স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান আকবর হোসেন এর সভাপতিত্বে ও তানিয়া শেখ এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য যে, হাফিজুল্লা হায়দার দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের মাধ্যমে ও ব্যক্তিগতভাবে আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। তিনি বিভিন্ন সময় স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, শিশু ও গণশিক্ষা কেন্দ্র, পাঠাগার প্রভৃতি জনহিতকর প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় মূখ্য ভূমিকা পালন করে আসছেন। তিনি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে স্বীয় দায়িত্ব প্রশংসা ও দক্ষতার সাথে পালন করে আসছেন। তিনি বাংলাদেশ বেতারের একজন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী। তিনি উক্ত সম্মাননা পদকে ভূষিত হওয়ায় বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
দু’বছরে ১২ কোটি মানুষকে কানেক্ট করবে হুয়াওয়ে!

দু’বছরে ১২ কোটি মানুষকে কানেক্ট করবে হুয়াওয়ে!

দু’বছরে ১২ কোটি মানুষকে কানেক্ট করবে হুয়াওয়ে! স্টাফ রিপোর্টার
আগামী দুই বছরের মধ্যে বিশ্বের ৮০টিরও বেশি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রায় ১২ কোটি মানুষকে কানেক্টিভিটি সুবিধার আওতায় নিয়ে আসবে হুয়াওয়ে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের পার্টনার২কানেক্ট ডিজিটাল অ্যালায়েন্সে (জোট) যোগদানের জন্য একটি বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতিও সই করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বুধবার (২৩ নভেম্বর)হুয়াওয়ের চেয়ারম্যান লিয়াং হুয়া প্রতিষ্ঠানটির ‘২০২২ সাসটেইনেবিলিটি ফোরাম, কানেক্টিভিটি+: ইনোভেট ফর ইম্প্যাক্ট’-এ এই ঘোষণা দেন। কীভাবে আইসিটি উদ্ভাবন ডিজিটাল অর্থনীতির যুগে কানেক্টিভিটির ব্যবসায়িক ও সামাজিক অগ্রগতি এবং স্থায়িত্বকে ত্বরাণ্বিত করতে পারে, ফোরামে সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, আইটিইউ এবং জাতিসংঘের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, কম্বোডিয়া, নাইজেরিয়া এবং পাকিস্তানের টেলিকম মন্ত্রী এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতিনিধি এবং ব্যবসায়ী নেতাগণ অনলাইনে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পাশাপাশি, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা, বেলজিয়াম এবং জার্মানি থেকে অংশীদার, বিশেষজ্ঞ এবং ক্রেতারাও এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এছাড়াও, বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকরাও এই অনুষ্ঠানে স্বশরীরে ও অনলাইনে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্যে ডক্টর লিয়াং বলেন, ‘ডিজিটাল যুগে স্থিতিশীল নেটওয়ার্ক ব্যবহারের বিষয়টি মানুষের মৌলিক চাহিদা। যারা সংযোগবিহীন রয়েছেন, তাদের জীবন পরিবর্তনের জন্য প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করে নির্ভরযোগ্য কানেক্টিভিটি। সুবিধাজনক যোগাযোগের জন্য কানেক্টিভিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ।’ তিনি আরও বলেন, ‘ক্লাউড এবং কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা (এআই)-এর মতো ডিজিটাল প্রযুক্তির সাথে একত্রে কানেক্টিভিটি প্রত্যেককে ডিজিটাল জগতে আনতে সাহায্য করবে এবং তাদের আরও তথ্য এবং দক্ষতা এবং উন্নত পরিষেবা এবং বৃহত্তর ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সুযোগ প্রদান করবে। এর ফলে, আরও সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হবে।’ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণে কাজ করছি। টেলিযোগাযোগ খাতের প্রধান লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের সকল মানুষকে কানেক্টিভিটির সুবিধায় নিয়ে আসা। শিক্ষা, শিল্প ও টেক্সটাইল সহ প্রতিটি খাতে কানেক্টিভিটির ভূমিকা অপরিসীম; তাই, আমরাও এর গুরুত্ব বুঝতে পেরেছি। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এবং সকল অংশীজনদের সহযোগিতায় আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশের ভিশন বাস্তবে পরিণত করতে পারবো বলে আমি প্রত্যাশা করছি।’
স্বদেশ মৃত্তিকা চ্যারিটি অ্যাওয়ার্ড ২০২২ পেলেন বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী হাফিজুল্লা হায়দার

স্বদেশ মৃত্তিকা চ্যারিটি অ্যাওয়ার্ড ২০২২ পেলেন বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী হাফিজুল্লা হায়দার

লাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ স্বদেশ মৃত্তিকা চ্যারিটি অ্যাওয়ার্ড ২০২২ পেলেন বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী হাফিজুল্লা হায়দার বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ও স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার উপদেষ্টা হাফিজুল্লা হায়দার সমাজসেবায় বিশেষ অবদান রাখায় ‘স্বদেশ মৃত্তিকা চ্যারিটি অ্যাওয়াড -২০২২, এ ভূষিত হয়েছেন। স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে ৭ অক্টোবর শুক্রবার সকালে ঢাকার আগারগাঁওস্থ বাং

রবিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২২

 কৃষিপণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে পূর্বশর্ত পূরণে অনেক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে- কৃষিমন্ত্রী

 কৃষিপণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে পূর্বশর্ত পূরণে অনেক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে- কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা, ২০ নভেম্বর ,  কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, জাপানসহ উন্নতদেশসমূহের মূল বাজারে আমরা কৃষিপণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি করতে কাজ করছি। রপ্তানির ক্ষেত্রে সেসব দেশের পূর্বশর্ত পূরণে ইতোমধ্যে অনেকগুলো পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে৷ নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের জন্য দেশে উত্তম কৃষিচর্চা নীতিমালা (গ্যাপ) বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক মানে

র অ্যাক্রিডিটেড ল্যাব ও আধুনিক প্যাকিং হাউজ স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলেছে। আম রপ্তানির জন্য ভ্যাকুয়াম হিট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজও চলছে। চীন ও নেদারল্যান্ডসের সাথেও যৌথভাবে কাজ চলছে। আজ রবিবার দুপুরে ঢাকায় হোটেল ওয়েস্টিনে ফুড সেফটি অ্যান্ড এক্সপোর্ট অপরচুনিটি টুওয়ার্ডস ইউএসএ শীর্ষক কর্মশালায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অ্যামেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচাম) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মন্ত্রী বলেন, আমাদের রপ্তানি মূলত গার্মেন্টসনির্ভর। শুধু গার্মেন্টসনির্ভর থাকলে হবে না বরং রপ্তানিকে বহুমুখী করতে হবে। সেটি করতে হলে কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি করতে হবে। কৃষিপণ্যের রপ্তানির সম্ভাবনা অনেক। এ সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে কৃষিপণ্য মাঠে উৎপাদন থেকে শুরু করে শিপমেন্ট পর্যন্ত নিরাপদ রাখতে কাজ চলছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কৃষিকে একপাশে সরিয়ে না রাখতে বা প্রান্তিকীকরণে না রাখতে উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণে ও রপ্তানির সম্ভাবনা অপার। সেটিকে কাজে লাগানোর জন্য প্রয়োজন প্রযুক্তি, দক্ষ মানবসম্পদ, বিনিয়োগ, সমন্বয় এবং সমন্বিত উদ্যোগ। এ বিষয়ে মন্ত্রী ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ ও যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের সহযোগিতা কামনা করেন। দুর্ভিক্ষ ও খাদ্য সংকটের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এ দেশটি চিরদিন দুর্ভিক্ষের দেশ, খাদ্য ঘাটতির দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে ২০০১-০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালেও দেশে প্রতিবছর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। মানুষ না খেয়ে থেকেছে, না খেয়ে মারাও গেছে। আর গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশ থেকে মঙ্গাকে চিরতরে দূর করেছে। এই সময়ে কোন রকম খাদ্য সংকট হয় নি, একটি মানুষও না খেয়ে মারা যায় নি। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এগ্রিকালচার অ্যাটাশে ফ্রান্সিস মেগান, অ্যামচামের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ ইরশাদ আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মো. কামাল বক্তব্য রাখেন। দুদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন। অ্যামচামের নেতৃবৃন্দ জানান, যুক্তরাষ্ট্র বছরে ১৮০ বিলিয়ন ডলারের কৃষিপণ্য আমদানি করে। সেখানে বাংলাদেশ রপ্তানি করে মাত্র ১.৫ বিলিয়ন ডলারের কৃষিপণ্য, শতকরা হিসাবে এক ভাগেরও কম।