বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২

মৎস্যসম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ জাল অপসারণে শুরু হচ্ছে বিশেষ কম্বিং অপারেশন

মৎস্যসম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ জাল অপসারণে শুরু হচ্ছে বিশেষ কম্বিং অপারেশন

ঢাকা, ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ (বৃহস্পতিবার) দেশের মৎস্যসম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ জাল অপসারণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে শুরু হচ্ছে বিশেষ কম্বিং অপারেশন। ইলিশসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের পোনা রক্ষায় বেহুন্দি জালসহ মৎস্যসম্পদের জন্য ক্ষতিকর সব ধরণের অবৈধ জাল অপসারণে আগামী ৪ জানুয়ারি ২০২৩ থেকে ধাপে ধাপে এ বিশেষ অপারেশন পরিচালনা করা হবে। দেশের ১৭ জেলা-পিরোজপুর, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, বরিশাল, নোয়াখালী, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মুন্সিগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, শরিয়তপুর, মাদারীপুর ও চাঁদপুরে এ বিশেষ কম্বিং অপারেশন পরিচালনা করা হবে। অপারেশন পরিচালনার জন্য মৎস্য অধিদপ্তর ও মাঠ পর্যায়ের মৎস্য কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে প্রতিটি জেলায় একটি করে মোট ১৭টি মনিটরিং টিম কাজ করবে। এছাড়া অভিযানের নিয়মিত তথ্য সংগ্রহে মৎস্য অধিদপ্তরে চালু থাকবে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। এদিকে মৎস্যসম্পদ ধ্বংসকারী বেহুন্দি জাল, কারেন্ট জালসহ সব ধরণের ক্ষতিকর অবৈধ জাল দিয়ে মৎস্য আহরণ থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। Today at 10:57 PM 10:57 PM
 কৃষি উৎপাদনের কারণেই দেশ অনেকটা স্বস্তিতে: কৃষিমন্ত্রী

কৃষি উৎপাদনের কারণেই দেশ অনেকটা স্বস্তিতে: কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা, ২৯ ডিসেম্বর ২২ কৃষি মন্ত্রণালয়ে নতুন সচিব হিসেবে যোগদান করেছেন ওয়াহিদা আক্তার। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। একইসঙ্গে বিদায়ী কৃষিসচিব মো: সায়েদুল ইসলামকে মন্ত্রী ফুল দিয়ে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানান। মন্ত্রণালয়ের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা/কর্মচারী ও মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার প্রধানরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এসময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষি উৎপাদনের সাফল্যের কারণেই করোনা পরিস্থিতি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধসহ নানান বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও দেশ অনেকটা স্বস্তিতে। অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ভাল হয়েছে বলেই দেশে সবচেয়ে কম পরিমাণ চাল আমদানি হওয়ার পরও কোন রকম খাদ্য সংকট হয় নি। এই সময়ে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে, এটি নিয়ে এখন আমরা স্বস্তিতে আছি। আমরা তিন বছরের মধ্যে ভোজ্যতেলের চাহিদার ৪০ ভাগ দেশে উৎপাদন করতে কাজ করছি। এবছর দেশে সরিষার রেকর্ড আবাদ হয়েছে, এ লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হবে। নবনিযুক্ত কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার দেশের কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ দেওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কৃষি উৎপাদন ও উন্নয়নে যে অসাধারণ সাফল্য অর্জিত হয়েছে, সেটিকে শুধু অব্যাহত রাখা নয়, তাকে আরও বেগবান করতে কাজ করে যাব। উল্লেখ্য, ওয়াহিদা আক্তার ১৩তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের সদস্য। সচিব হিসেবে সদ্য পদোন্নতির আগে তিনি কৃষি মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর একান্ত সচিব-২, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিবসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অত্যন্ত সফলতা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। ওয়াহিদা আক্তার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ থেকে কৃষি বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তাঁর নিজ বাড়ি খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি গ্রামে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই ছেলে সন্তানের জননী। তাঁর স্বামী ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত আছেন।

বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২

টানা সাতবারের মতো সর্বোচ্চ করদাতার সম্মাননা পেলো গ্রামীণফোন

টানা সাতবারের মতো সর্বোচ্চ করদাতার সম্মাননা পেলো গ্রামীণফোন

টানা সাতবারের মতো সর্বোচ্চ করদাতার সম্মাননা পেলো গ্রামীণফোন স্টাফ রিপোর্টার
২০২১-২২ অর্থবছরে সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে সম্মানিত হয়েছে গ্রামীণফোন। টানা সাত অর্থবছর ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার এ প্রতিষ্ঠানটি টেলিযোগাযোগ খাতের সর্বোচ্চ করদাতার এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছে। পাশাপাশি, গ্রামীণফোন নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতি সিম বিক্রির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গ্রামীণফোনকে এ সম্মাননা প্রদান করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, এফসিএ, এমপি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, এমপি এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনবিআরের চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে সম্মননা গ্রহণ করেন। এরপর তিনি দেশে সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় নিতে উপস্থিত অতিথিদের গ্রামীণফোনের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানান। অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা মো. আরিফ উদ্দিন এবং প্রতিষ্ঠানটির হেড অব করপোরেট ট্যাক্স মো. মহসিনও উপস্থিত ছিলেন।  ২০২১-২০২২ অর্থবছরে টেক এনাবলার গ্রামীনফোন ২,৪৯০ কোটি টাকা প্রত্যক্ষ কর এবং ১,১৫৮ কোটি টাকা উইথহোল্ডিং ট্যাক্স হিসেবে জাতীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে। নিজেদের যাত্রার শুরু থেকে গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দায়িত্বশীল করপোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণফোন জাতীয় কোষাগারে মোট অবদান রেখেছে ১০৩,৪৯৭ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৭২,০৮৬ কোটি টাকা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর হিসেবে এনবিআরকে প্রদান করেছে; এর মধ্যে ১১,১০৭ কোটি টাকা উইথহোল্ডিং ট্যাক্স এবং বিটিআরসিকে দিয়েছে ২০,৩০৫ কোটি টাকা। অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, ‘টানা সাত বারের মতো টেলিযোগাযোগ খাতে গ্রামীণফোনকে সেরা করদাতা পুরস্কারে সম্মানিত করার জন্য আমরা এনবিআরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। রাজধানী ঢাকায় মেট্রোরেল উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশ আজ যে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে তার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং সকল নাগরিককে আমাদের আন্তরিক অভিনন্দন; এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে অনুকরণীয় একটি উদাহরণ, যা প্রতিটি নাগরিকের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। দেশের ডিজিটাল ও ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যেতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে ‘ তিনি আরও বলেন, ‘তবে, দুর্ভাগ্যবশত, এই বিশেষ দিনে, আমরা নিয়ন্ত্রক সংস্থা দ্বারা নির্ধারিত কোয়ালিটি অফ সার্ভিস মানদণ্ড পূরণ করা সত্ত্বেও নতুন গ্রাহকদের সেবা দিতে পারছি না। এটি দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আমরা মনে করি; এতে এনবিআর শুধু কর রাজস্বই হারাবে না পাশাপাশি কানেক্টিভিটি এবং ডিজিটাল সল্যুশনের ওপর নির্ভরশীল অন্য সব খাতে এর প্রভাব পড়বে। আমাদের প্রত্যাশা, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে সিম বিক্রির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে; কেননা, এ নিষেধাজ্ঞা কর রাজস্ব এবং 'স্মার্ট বাংলাদেশ' -এর লক্ষ্য অর্জনের পথে বাধার সৃষ্টি করবে।’     গত জুনে গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞার পর থেকে, দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে গ্রাহক সংখ্যা সামগ্রিকভাবে হ্রাস পেয়েছে – জুন মাসে এ খাতে মোট ১৮.৪৫ কোটি গ্রাহকসংখ্যা রেকর্ড করা হয়, অক্টোবর মাসে তা কমে এসে দাঁড়ায় ১৮.৬৭ কোটিতে। টেলিযোগাযোগ খাতে সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব ফেলার পাশাপাশি, এই নিষেধাজ্ঞা প্রতিষ্ঠানটির স্টক মার্কেট বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং সম্ভাব্য এফডিআই আকর্ষণ করার জন্য দেশের ভাবমূর্তিকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে। এছাড়াও, এনবিআর কর্পোরেট ট্যাক্স এবং পরোক্ষ কর থেকেও রাজস্ব হারাচ্ছে যার মধ্যে রয়েছে প্রতি নতুন গ্রাহকদের সিম ট্যাক্স বাবদ ২০০ টাকা। এছাড়াও, বিটিআরসি নতুন গ্রাহকদের কাছ থেকে জিপি’র ৬.৫ শতাংশ রাজস্ব হারাচ্ছে। উল্লেখ্য, এর আগে গ্রামীণফোনকে এনবিআর কর বছরের ২০১৫-২০১৬, ২০১৬-২০১৭, ২০১৭-২০১৮, ২০১৮-২০১৯, ২০১৯-২০২০ ও ২০২০-২০২১ সালে টেলিযোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ করদাতার সম্মাননা দিয়ে সম্মানিত করে। --------
মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রী হিসেবে রাজধানীর উত্তরা থেকে আগারগাঁও এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রী হিসেবে রাজধানীর উত্তরা থেকে আগারগাঁও এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ৫৩ মিনিটে তিনি উত্তরা স্টেশন থেকে রওনা দিয়ে ২টা ১০ মিনিটে আগারগাঁও স্টেশনে এসে পৌঁছান। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী মেট্রোরেল আসার আগে আরেকটি কোচ আগারগাঁও স্টেশনে এসে পৌঁছায়। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৫ মিনিটে উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের সি-১ ব্লকের খেলার মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফলক উন্মোচন করে মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন। এর আগে বেলা ১১টার দিকে দিয়াবাড়িতে পৌঁছান তিনি। প্রথম যাত্রী হিসেবে দিয়াবাড়ী স্টেশনে নিজের হাতে টিকিট কেটে মেট্রো ট্রেনে উঠেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথম যাত্রায় ট্রেনটি চালান মরিয়ম আফিজা। ট্রেনে ওঠার আগে প্রধানমন্ত্রী গার্ডের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সবুজ পতাকা দুলিয়ে মেট্রোরেলের যাত্রা শুরুর সংকেত দেন। প্রথম যাত্রায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যাত্রী হিসেবে ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ মন্ত্রিসভার সদস্য ও আমন্ত্রিত অতিথিরা।

সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২

বাপা ময়মনসিংহের আহ্বায়ক কাজী আজাদ জাহান শামীম ও সদস্য সচিব ফারুক আহমেদ

বাপা ময়মনসিংহের আহ্বায়ক কাজী আজাদ জাহান শামীম ও সদস্য সচিব ফারুক আহমেদ

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ময়মনসিংহ আঞ্চলিক কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন আনন্দ মোহন কলেজ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস বিশিষ্ট সংগঠক কাজী আজাদ জাহান শামীম, যুগ্নআহ্বায়ক হয়েছেন অ্যাডভোকেট শিব্বির আহমেদ লিটন ও অধ্যক্ষ নূরজাহান পারভীন ফারুক আহমেদকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন ( বাপা ) এর উদ্যোগে গ্রামাউস হলরুমে ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭ টায় প্রাণ প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় ময়মনসিংহে নাগরিক মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা এর সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল এই নতুন কমিটি ঘোষণা করেন। এই কমিটি আগামী ছয় মাসের মধ্যে ভালুকা ছাড়া জেলার প্রত্যেক উপজেলা কমিটি গঠন করে সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা কমিটি গঠন করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো জাকির হোসেন এর সভাপতিত্বে এডাব ময়মনসিংহ এর সভাপতি ফারুক আহমেদ এর সঞ্চালনায় ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭ টায় মতবিনিময় সভায় প্রধান আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাপা এর সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাপা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমন্বয়কারী ইবনুল সাঈদ রানা, ময়মনসিংহ জেলা নাগরিক আন্দোলন এর সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্বা প্রকৌশলী নুরুল আমিন কালাম, সুপ্রিম কোর্ট বাংলাদেশ এর ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ও ভালুকা বাপার সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ মোঃ আশরাফুল হক জর্জ, জেলা নাগরিক আন্দোলনের সহ সাধারণ সম্পাদক কাজী আজাদ জাহান শামীম ও অ্যাডভোকেট শিব্বির আহমেদ লিটন, গ্রামাউসের নির্বাহী পরিচালক মো আব্দুল খালেক, ময়মসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক মোঃ আফতাব উদ্দিন প্রমূখ।
মুক্ত শাকিব-বুবলীর সিনেমা

মুক্ত শাকিব-বুবলীর সিনেমা

দেশসেরা চিত্রনায়ক শাকিব খান। তার সঙ্গে জুটি বেঁধে শবনম বুবলী বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেন। এর মধ্যে যমুনার জল গড়িয়েছে অনেকে। সর্বশেষ তারা ‘লিডার-আমিই বাংলাদেশ’ সিনেমায় শুটিং করেন। এবার সেন্সর ছাড়পত্র পেল এই জুটির সিনেমা। তপু খান পরিচালিত এই সিনেমা প্রসঙ্গে সেন্সর বোর্ডের সদস্য মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, অ্যাকশন, রোমান্স ও সামাজিক সচেতনতাধর্মী সিনেমা ‘লিডার আমিই বাংলাদেশে’ মুক্তির জন্য আনকাট ছাড়পত্র পেয়েছে। ‘লিডার-আমিই বাংলাদেশ’ সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া। এ প্রসঙ্গে নির্মাতা তপু খান বলেন, লিডার দেখে সেন্সর সদস্যরা ফোন করে প্রশংসা করেছেন। প্রথম সিনেমা আনকাট সেন্সর ও প্রশংসা পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার বলে মনে করছি। খুব শিগগির মুক্তির তারিখ জানাবে প্রযোজনা সংস্থা বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া।
নোয়াখালীতে অটোরিকশা চালককে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২

নোয়াখালীতে অটোরিকশা চালককে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২

নোয়াখালীল কবিরহাট উপজেলায় মো. মেজবাহ উদ্দিন রাব্বি (২৫) নামের এক অটোরিকশা চালককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পুলিশ এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সফি উল্লার ছেলে মো. রাসেল (৩০) ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোষবাগ এলাকার মো. আবদুল হকের ছেলে মাইন উদ্দিন (২৮)। সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলার একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ করে কবিরহাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর আগে, রোববার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কবিরহাট সরকারি কলেজের পশ্চিম এনায়েত নগর সড়কে এ ঘটনা ঘটে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, কবিরহাট পৌরসভার এনায়েত নগর এলাকার মো. রাসেল, তার ভাই মো. রুমেল ও কবিরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোষবাগ এলাকার মাইন উদ্দিনসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনের সঙ্গে রাব্বির অটোরিকশা চালানো নিয়ে বিরোধ ছিল। এরই জেরে রোববার রাতে এজাহারনামীয় তিন আসামিসহ অজ্ঞাত ৮-১০ জন পরস্পর যোগসাজশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রাব্বিকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। স্থানীয়রা আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শ্যামল কুমার দেবনাথ বলেন, ‘ওই যুবককে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। বিষয়টি থানায় জানালে তারা এসে মরদেহ নিয়ে যায়। নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল।’ কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে পলাতক অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে।’
মেট্রোরেলকে গণপরিবহন হিসেবে কার্যকর করতে ৩০ ভাগ ভাড়া হ্রাস এবং মেট্রোস্টেশনের সাথে বহুমাধ্যমভিত্তিক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকারঃ  ড. আদিল মুহাম্মদ খান

মেট্রোরেলকে গণপরিবহন হিসেবে কার্যকর করতে ৩০ ভাগ ভাড়া হ্রাস এবং মেট্রোস্টেশনের সাথে বহুমাধ্যমভিত্তিক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকারঃ ড. আদিল মুহাম্মদ খান

ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি) ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি) আয়োজিত “রাজধানীর টেকসই পরিকল্পনায় মেট্রোরেলঃ প্রেক্ষিত ও করণীয়” শীর্ষক ‘আইপিডি পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পর্যালোচনা’ অনুষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি) ঢাকার যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থায় মেট্রোরেল এর সংযোজন তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, যদি সাধারণ গণমানুষের জন্য এটার ভাড়া সাশ্রয়ী এবং মেট্রো স্টেশনে আসা যাওয়ার পথকে সুগম করা হয়। মধ্যবিত্তরাই এই গণপরিবহন বেশি ব্যবহার করবে, ফলে মেট্রোরেলের পর্যাপ্ত যাত্রীসংখ্যা নিশ্চিত করতে মেট্রোরেলের ভাড়া ৩০ শতাংশ কমানো দরকার এবং মেট্রোলাইনকে কেন্দ্র করে বহুমাধ্যমভিত্তিক সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন। মেট্রো স্টেশন গুলোর আশেপাশে পথচারী চলাচল, বাস-প্যারা টানজিট-কমিউনিটি ভিত্তিক সার্ভিস, সিএনজি-রিকশা-ব্যক্তিগত গাড়ি প্রভৃতি বাহনগুলোর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ কিভাবে মেট্রো স্টেশনে আসবে বা স্টেশন হতে বিভিন্ন গন্তব্যে যাবে সে ব্যাপারে কার্যকর পরিকল্পনার মাধ্যমে মেট্রোরেল এর কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এ বছর মেট্রোরেলের উদ্বোধন করা হলেও আগামী বছর উত্তরা থেকে আগারগাঁও হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত এম আরটি ৬ লাইনের পুরোটা চালু হয়ে গেলে বিপুলসংখ্যক যাত্রীকে মেট্রোরেলের মাধ্যমে দ্রুত পরিবহন করা যাবে, যা নগরের পরিবহন ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে। পরিকল্পনা ও পরিবহন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে উপরোক্ত মতামতগুলো উঠে এসেছে অদ্য ২৬ শে ডিসেম্বর, সোমবার, অনলাইনে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি) আয়োজিত ““রাজধানীর টেকসই পরিকল্পনায় মেট্রোরেলঃ প্রেক্ষিত ও করণীয়” শীর্ষক ‘আইপিডি পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পর্যালোচনা’ অনুষ্ঠানে। পাশাপাশি মেট্রোরেলকে সাধারণ জনগণের পরিবহন হিসেবে গড়ে তুলতে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও ন্যূনতম আয়শ্রেণী এবং ছাত্রদের জন্য ৫০ ভাগ ভাড়ার ব্যবস্থা করা এবং ৫ বছর পর্যন্ত বয়সীদের জন্য বিনা ভাড়ায় মেট্রো পরিবহনের ব্যবস্থা করবার দাবী করা হয় আইপিডি’র পক্ষ থেকে। অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধে আইপিডি’র পক্ষ থেকে ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক পরিকল্পনাবিদ ড.আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তনের পাশাপাশি মেট্রোরেল ভূমি ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনার উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখবে। মেট্রোরেলের কারণে স্টেশনের আশেপাশের এলাকার ভূমি ব্যবহারের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে, যার আলামত ইতিমধ্যেই উত্তরা থেকে আগারগাঁও এলাকায় চোখে পড়ছে। মেট্রোরেলের কারণে এই এলাকার ভূমির মূল্য বেড়ে গিয়েছে এবং নতুন নতুন আবাসন প্রকল্পে তৈরি হচ্ছে। বৈশ্বিকভাবেই এই ধরনের রূপান্তর প্রক্রিয়ায় মেট্রোরেল হবার পূর্বে যে ধরনের এবং যে আয়শ্রেণীর লোকেরা এই সকল এলাকায় ইতিপূর্বে বসবাস করত, তারা নতুন ও তুলনামূলক উঁচু আয় শ্রেণীর মানুষ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়, নগর পরিকল্পনার ভাষায় যাকে বলে হয় ‘জেনট্রিফিকেশন’ বা বসবাসকারী জনসংখ্যার শ্রেণী পরিবর্তন। ফলে নগর পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায় সঠিক নীতি কৌশল প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও যথাযথ উন্নয়ন নজরাদারি প্রয়োজন, যেন এই জেনিট্রিফিকেশন তুলনামূলকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং মেট্রোরেলের সুফল সকল আয়-শ্রেণীর মানুষ পেতে পারে ও সার্বিক জনকল্যাণ নিশ্চিত করা যায়। পাশাপাশি ‘বেটারমেন্ট ফি বা ভূমির উন্নয়ন ফি’ আরোপের মাধ্যমে মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যয় পুনরুদ্ধার, স্টেশন প্লাজা নির্মাণের মাধ্যমে মেট্রো স্টেশনকে কার্যকর করা, মেট্রো করিডোরের দুইপাশে ‘ইন্টিগ্রেটেড করিডোর ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান’ তৈরি করা, মেট্রো স্টেশনের ৫০০ মিটার এর মধ্যে টেকসই ও অন্তর্ভূক্তিমূলক ‘ভূমি ব্যবহার ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা’ তৈরির প্রস্তাব করা হয় আইপিডি’র পক্ষ থেকে। পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ, উপদেষ্টা, ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি) ও অধ্যাপক, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বলেন, মেট্রোরেল ঢাকাবাসীকে সুশৃংখল গণপরিবহনের নতুন স্বাদ এনে দিবে। মেট্রোরেলের আশেপাশের পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য ছোট ছোট প্লট একত্রীকরণ বা ল্যান্ড কনসোলিডেশন করবার উদ্যোগ নেয়া দরকার। মেট্রোরেল চালু হলে যত্রতত্র পোস্টার লাগানো বন্ধ করা, স্টেশন অপরিচ্ছন্ন করা এবং যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা না ফেলার জন্য মেট্রোর ব্যবহারকারীদের অনুরোধ করেন তিনি।   রাজউক এর নগর পরিকল্পনাবিদ মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ঢাকার শহরের অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারণে মেট্রো ব্যবস্থা অনিবার্য হয়ে পড়েছিল। তবে মেট্রোরেলকে কার্যকর করতে মেট্রোর পাশাপাশি সমন্বিত উপায়ে বাস সার্ভিস চালু করা এবং স্টেশনগুলোতে পর্যাপ্ত পদচারী সুবিধা ও গাড়ি পার্কিং সুবিধা রাখা প্রয়োজন। পাশাপাশি ঢাকার বিকেন্দ্রীকরণ করতে ঢাকার সাথে কাছাকাছি দূরত্বের আঞ্চলিক শহরগুলোর দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলতে হবে। টিওডি ডেভেলপমেন্ট ও স্টেশন প্লাজার কার্যকর উন্নয়ন ও ব্যবহার নিশ্চিত করে মেট্রোরেলের ব্যয় পুনরুদ্ধার করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।   পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম – পরিচালক, ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি) বলেন, মেট্রো স্টেশনের ৫০০ মিটার এর মধ্যে ভবনের আকার-আয়তন-ব্যবহার সুনির্দিষ্টকরণ করা দরকার, যেন এলাকাভিত্তিক জনসংখ্যা, উন্নয়নের মাত্রা এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট এলাকার জন্য টেকসই ও এলাকার ভারবহন ক্ষমতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। মেট্রো স্টেশনের ৫০০ মিটার প্রভাব বলয়ে বেসরকারী এপার্টমেন্ট ও ফ্ল্যাট প্রকল্পে বাধ্যতামূলক সাশ্রয়ী আবাসনের মাধ্যমে নিম্নবিত্তদের জন্য আবাসনের সুযোগ বৃদ্ধি করা দরকার।     যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ এবং মেট্রোরেল সংশ্লিষ্ট ট্রানজিট ওরিয়েন্টেড ডেভেলপমেন্ট (টিওডি) প্রকল্পের পরামর্শক ড. আফসানা হক বলেন, মেট্রোরেলের আশেপাশের ভূমি ব্যবহার এবং স্টেশন প্লাজাকেন্দ্রিক পরিকল্পনার যে উদ্যোগ এখন নেয়া হচ্ছে, তা কয়েক বছর আগেই শুরু করা প্রয়োজন ছিল। এক্ষেত্রে সন্নিহিত নেইবারহুড বা পাড়া-মহল্লার বৈশিষ্ট্য ও ধরন অনুযায়ী স্টেশনগুলোর ডিজাইনে বৈচিত্র্য ও ভিন্নতা আনা দরকার।   উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ মোঃ রেদওয়ানুর রহমান বলেন, বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই মেট্রোরেল চালাতে রাষ্ট্রীয় ভর্তুকি দেয়া লাগে। বাংলাদেশে মেট্রোরেলে ভর্তুকীর পরিমাণ কমাতে এবং যাত্রীদের জন্য ভাড়া সহনীয় ও সাশ্রয়ী করতে মেট্রো স্টেশনে বিজ্ঞাপন এলাকা ও বাণিজ্যিক এলাকা সুনির্দিষ্ট করে লিজ দেয়াসহ বিভিন্ন আয়বর্ধক কর্মসূচী নেয়া প্রয়োজন।   মেট্রোরেলকে কার্যকর করতে ও ঢাকার টেকসই পরিকল্পনায় আইপিডি’র পক্ষ থেকে নিম্নের আরও কয়েকটি প্রস্তাব দেয়া হয়ঃ - টিওডি নীতিমালা তৈরি করবার ক্ষেত্রে ‘লো ইমপ্যাক্ট ডেভেলপমেন্ট’ নীতি অনুসরণ করা যেন নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষকে ট্রানজিট স্টেশনের আশেপাশে ধরে রাখা যায় এবং জেনট্রিফিকেশন প্রভাব সীমিত মাত্রায় রাখা যায় - মেট্রো করিডোর এ মাঝারি ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সুরক্ষা করবার জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা তৈরি করা - টিওডি ডিজাইন করবার সময় সাশ্রয়ী আবাসন ও সামাজিক আবাসনকে অন্তর্ভূক্ত করা - আরএসটিপি রিভিশন প্রকল্পে ঢাকার জন্য ব্যয়সাশ্রয়ী, অর্থনৈতিক ও পরিকল্পনাগতভাবে উপযোগিতার নির্মোহ বিচার বিশ্লেষণপূর্বক ঢাকার ভবিষ্যত যোগাযোগ পরিকল্পনার পথনকশা তৈরি করা - মেট্রো রেল নির্মাণে অন্য দেশের তুলনায় আমাদের ব্যয় কেন কয়েকগুণ বেশী হল, সেটা বিশ্লেষণপূর্বক ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রকল্পে ব্যয় সাশ্রয়ী নীতিমালা গ্রহণ করা - যোগাযোগ পরিকল্পনায় বিদেশী পরামর্শক নির্ভর প্রকল্প ও সম্ভাব্যতা যাচাই প্রকল্প থেকে সরে এসে দেশীয় বিশেষজ্ঞদের নেতৃত্বে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন - ঢাকার যোগাযোগ পরিকল্পনার সাথে ভূমি ব্যবহার ও নির্মিত এলাকার ভৌত বৃদ্ধি ও ব্যবহারের ধরণকে সমন্বয় করে সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা। এক্ষেত্রে আন্তঃসংস্থা সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে। - টংগী-এয়ারপোর্ট-বনানী-তেজগাঁও-কমলাপুর-নারায়ণগঞ্জ এই রেল করিডোরে কমিউটার সার্ভিস চালু করে বিশালসংখ্যক যাত্রী পরিবহনের ব্যবস্থা করা - ঢাকার আশেপাশে আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য যোগাযোগ অবকাঠামো হিসেবে ব্যয়সাশ্রয়ী লাইট র‍্যাপিড ট্রানজিট (এলআরটি)কে বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ - বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং ঢাকার পরিবেশগত দূর্যোগপূর্ণ অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে যোগাযোগ সংশ্লিষ্ট মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়নে ‘ধীরে চলো নীতি’ অনুসরণ ও বিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত গ্রহণ। - যোগাযোগ সংশ্লিষ্ট বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্প নেবার পূর্বে পেশাজীবি, অংশীজন ও সাধারণ জনগণ এর মতামত নেয়া - মেট্রোরেল নির্মাণ সহ যেকোন ধরনের যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণে ঢাকার পরিবেশগত প্রভাব, জনভোগান্তি, ঢাকার ভারবহন ক্ষমতা, নির্মাণ কাজের জনস্বাস্থ্যগত প্রভাব এবং সার্বিক অর্থনৈতিক, পরিবেশগত ও পরিকল্পনাগত উপযোগিতার নির্মোহ বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রকল্প নির্ধারণ করা।   আইপিডি অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মোঃ মিজানুর রহমান, ডেপুটি আরবান প্ল্যানার, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ, (ডিটিসিএ); পরিকল্পনাবিদ এটিএম শাহজাহান, সহকারী অধ্যাপক, চটগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; মোঃ আসাদুজ্জামান, যোগাযোগ ও ভূমি ব্যবহার বিশেষজ্ঞ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সহ উত্তরা ও মিরপুর এলাকার নাগরিকগণ। পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান নির্বাহী পরিচালক ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি)    
বিশ্বজুড়ে ৩৩ মডেলের স্মার্টফোনে কালারওএস ১৩

বিশ্বজুড়ে ৩৩ মডেলের স্মার্টফোনে কালারওএস ১৩

[ঢাকা, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২] অপোর কালারওএস ১৩ অপারেটিং সিস্টেম বিশ্বজুড়ে ৩৩ মডেলের স্মার্টফোনে পৌঁছেছে, যা অপারেটিং সিস্টেমটির জন্য বড় অর্জন বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। চলতি বছরের ১৮ আগস্ট উন্মোচনের পর ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত চার মাসে অপোর সর্বশেষ অপারেটিং সিস্টেমটি উল্লেখিত সংখ্যক মডেলের স্মার্টফোনে পৌঁছেছে, যা আগের সংস্করণ কালারওএস ১২ উন্মোচনের প্রথম চার মাসের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি। অপোর বিবৃতি অনুযায়ী, ২০২৩ সালে নির্বাচিত ফ্ল্যাগশিপ মডেলগুলোর জন্য পাঁচ বছরের সিকিউরিটি প্যাচসহ চারটি প্রধান অ্যান্ড্রয়েড আপগ্রেডের বিষয়টি নিশ্চিত করতে কালারওএস এর জন্য নিজেদেরে আপডেট পলিসিও বিস্তৃত করেছে। এর মাধ্যমে অপো’র লক্ষ্য হলো ধারাবাহিকভাবে কালারওএস এর উন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীদের জন্য দীর্ঘস্থায়ী ও আরো স্ট্যাবল ইন্টেলিজেন্ট এক্সপেরিয়েন্স (স্থিতিশীল ইন্টেলিজেন্ট অভিজ্ঞতা) প্রদান করা। কালারওএস ১৩ হলো অপো’র সর্বশেষ অ্যান্ড্রয়েড-ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম। একবারে নতুন অ্যাকুয়ামরফিক ডিজাইনের সাথে সিপ্লিসিটি ও স্বাচ্ছ্যন্দ্যে ব্যবহারের জন্য ডিজাইন করা কালারওএস ১৩ -তে রয়েছে স্মার্ট এওডি, মাল্টি স্ক্রিন কানেক্ট এবং হোম স্ক্রিন ম্যানেজমেন্টের মতো উপযোগী সব ফিচার, যা বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীদের ইন্টেলিজেন্ট এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি (ব্যবহার-বান্ধব) অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।
টেলিভিশন ক্যাটাগরির প্রথম বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড জিতে নিলো  স্যামসাং  ১৬ বছরের আন্তর্জাতিক শ্রেষ্ঠত্ব দেশীয় গৌরব অর্জন করেছে!!

টেলিভিশন ক্যাটাগরির প্রথম বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড জিতে নিলো স্যামসাং ১৬ বছরের আন্তর্জাতিক শ্রেষ্ঠত্ব দেশীয় গৌরব অর্জন করেছে!!

[ঢাকা, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২] সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন সমৃদ্ধ টেলিভিশন তৈরি করার মাধ্যমে অনেকদিন আগেই ক্রেতাদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে স্যামসাং। এবার সেই অর্জনে যুক্ত হলো সফলতার আরেকটি পালক। সম্প্রতি, বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম (বিবিএফ) আয়োজিত ক্রেতাদের নিয়ে পরিচালিত এক জরিপের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ‘বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড’ জিতে নিয়েছে স্যামসাং। রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত লা মেরিডিয়ানে নিয়েলসেন আইকিউয়ের সহযোগিতায় বিবিএফ আয়োজিত ১৪তম বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে স্যামসাংকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। সম্ভবত অন্য যেকোনো মাধ্যমের চেয়ে বেশি, টেলিভিশন তার সূচনা থেকেই মানুষের হৃদয় দখল করেছে। টেলিভিশনের জনপ্রিয়তা সময়ের সাথে সাথে বেড়েছে, দর্শকরা খবর, টিভি শো, সিনেমা এবং আরও অনেক কিছু দেখার জন্য টিউন ইন করে। টিভি থেকে দ্রুত পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা মাথায় রেখে, স্যামসাং তার গ্রাহকদের বাছাই করার জন্য একটি বিসতৃত পরিসরের টিভি অফার করে। স্যামসাং টিভি লাইন আপে Neo QLED 8K টিভি, QLED টিভি, Crystal UHD 4K টিভি এবং ফুল এইচডি টিভি রয়েছে। ব্যবহারকারীদের পছন্দ এবং টিভি দেখার দূরত্ব বিবেচনা করে, স্যামসাং বিভিন্ন আকারের টিভি অফার করে, যেমন ৮৫ ইঞ্চি, ৭৫ ইঞ্চি, ৬৫ ইঞ্চি, ৫৫ ইঞ্চি, ৫০ ইঞ্চি, ৪৩ ইঞ্চি ইত্যাদি। টিভি শিল্পে স্যামসাং-এর নেতৃত্ব সর্বদা উদ্ভাবনের মাধ্যমে আসে। সাম্প্রতিক সংযোজন হল একটি বিশাল ৮৫" (কিউএনবি৯০০বি) Neo QLED 8K টিভি যাতে কোয়ান্টাম ম্যাট্রিক্স টেকনোলজি প্রো, নিউরাল কোয়ান্টাম প্রসেসর 8K এবং ইনফিনিটি স্ক্রিন রয়েছে৷ গত ১৬ বছর যাবৎ, ক্রেতাদের পছন্দকে অগ্রাধিকার দিয়ে টেলিভিশন তৈরির মাধ্যমে এই শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে স্যামসাং। বিশেষ করে, স্যামসাংয়ের উদ্ভাবন-নির্ভর প্রবৃদ্ধি প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নিয়ে আসছে যুগান্তকারী নতুন সব প্রযুক্তি, যা নিমিষেই পৌঁছে যাচ্ছে ক্রেতাদের দোরগোড়ায়। ক্রেতাদের জন্য দুর্দান্ত সেবা ও যুগান্তকারী উদ্ভাবনী প্রযুক্তির জন্য গত ১ দশকেরও বেশি সময় ধরে ‘বিশ্বের ১ নাম্বার টিভি’ হিসেবে সুনাম ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে

শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২

স্বদেশমৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে টি-সার্ট, টুথপেস্ট, ব্রাস ও শীতবস্ত্র  বিতরন.

স্বদেশমৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে টি-সার্ট, টুথপেস্ট, ব্রাস ও শীতবস্ত্র বিতরন.

দেশে চলছে শীত। এ সময় অসহায় দারিদ্র মানুষের কষ্টের সীমা থাকে না। এসব হতদরিদ্র শীতার্ত ছিন্নমূল শিশু ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ইনার হুইল ক্লাব গ্রেটার ঢাকা ও রেডিয়েন্ট ডেন্টাল ক্লিনিক । স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা আয়োজনে স্বদেশমৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন নরসিংদী শাখার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে টি-শার্ট, টুথপেস্ট, ব্রাস ও শীতবস্ত্র বিতরন করা হয়। ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ শনিবার সকাল ১১টার দিকে নরসিংদীর বালুয়াকান্দী গ্রামে সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও দরিদ্র মানুষের মাঝে এই টি-শার্ট, টুথপেস্ট, ব্রাস ও শীতবস্ত্র বিতরন. বিতরণ করা হয়। স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান মোঃ আকবর হোসেন সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইনার হুইল ক্লাবের প্রেসিডেন্ট, রোকসানা আক্তার লিপি, ভাইস প্রেসিডেন্ট আবিদা সুলতানা, সেক্রেটারি সেতারা কামাল, আই এস ও আফরোজা কবীর, পাস্ট প্রেসিডেন্ট আতিকা খাতুন ও রেডিয়েন্ট ডেন্টাল ক্লিনিক এর প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ লায়লা নূর এ নাজনীন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন এলাকার মহিলা মেম্বার পরশ মনি, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার মহাসচিব তালিয়া শেখ, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সাগর, ইঞ্জিনিয়ার রাশিদুল ইসলাম,কান্তা শেখ, শান্তা শেখ ও অর্পাসহ আরো গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ইনার হুইল ক্লাবের প্রেসিডেন্ট, রোকসানা আক্তার লিপি বলেন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদেরও অধিকার আছে। তারা যাতে শীতে কষ্ট না পায়, সে জন্য সমাজের বিত্তবান মানুষদের এগিয়ে আসা উচিত।  ভাইস প্রেসিডেন্ট আবিদা সুলতানা বলেন সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। প্রত্যেক নাগরিক যদি তাঁদের অবস্থান থেকে সমাজ পরিবর্তনে কাজ করেন, তবে সেই সমাজ আলোকিত না হয়ে পারে না। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোই মনুষ্যত্বের পরিচায়ক। রেডিয়েন্ট ডেন্টাল ক্লিনিক এর প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ লায়লা নূর এ নাজনীন। বলেন, 'আমাদের সমাজে অনেক শিশু আছে, যারা নূ্যনতম শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে না। সে জায়গা থেকে স্বদেশ মৃত্তিকার এ উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। তিনি বলেন, স্বদেশ মৃত্তিকা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষিত করার চেষ্টা করছে। আবার শিশুরা যেন শীতে কষ্ট না পায় সেদিকেও খেয়াল রাখছে। এমন চিন্তাভাবনা আর কার্যক্রমের মাধ্যমেই এগিয়ে যাবে আমাদের দেশ।' স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান মোঃ আকবর হোসেন বলেন, শুভাকাঙ্ক্ষীদের অর্থায়নে অক্লান্ত পরিশ্রম ও ভালোবাসায় সমাজের সুবিধা বঞ্চিত শিশু ও দরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে পারি। আমরা সব সময় সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের নিয়ে কাজ করে যেতে চাই। স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা একটি অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন। সংগঠনটির কার্যক্রম ২০০৪ সাল থেকে শুরু হলেও এর নামকরণ করা হয় ২০০৩ সালে। মহাসচিব তানিয়া শেখ বলেন, ‘স্বদেশ মৃত্তিকা" একটি সেবামূলক সংগঠন। আমরা ‘স্বদেশ মৃত্তিকা" এর মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করি। আজ এই ৭০ জন শিশুকে তাদের দৈনন্দিন ব্যবহার্য দ্রব্যাদি , টি-শার্ট ও শিতবস্র বিতরণ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। পাশাপাশি আমরা উপস্থিত অতিথিবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞ।’ “ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। প্রতিটি ঋতুই উপভোগ্য হলেও শীত ঋতুটি খুব কষ্টের। প্রতিবার শীত ঋতুতে আমরা দেখতে পাই সুবিধাবঞ্চিত বা পথশিশুদের অবর্ণনীয় কষ্ট। তাদের সেই কষ্ট যেন একটু হলেও লাঘব করা যায় সেই লক্ষ্যে প্রতিবারের ন্যায় এবারও আমরা এই আয়োজন।"
আটিকেল: স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের তাগিদে ক্রমশ বাড়ছে এয়ার পিউরিফায়ারের গুরুত্ব

আটিকেল: স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের তাগিদে ক্রমশ বাড়ছে এয়ার পিউরিফায়ারের গুরুত্ব

সুস্থতার পূর্বশর্ত – নিরাপদ শ্বাসপ্রশ্বাস শীতকালীন নিরাপদ জীবনযাপনের তাগিদে এয়ার পিউরিফায়ারের গুরুত্ব
বিশ্বব্যাপী প্রায় ৭০ লাখ মানুষের অকালমৃত্যু হয় বায়ুদূষণ তথা পরিবেশ দূষণের কারণে। বাংলাদেশে এই পরিসংখ্যানটির ছবি আরো করুণ। বিশেষ করে শীতকাল এলে শুষ্ক-রুক্ষ আবহাওয়ার সাথে সাথে বেড়ে যায় বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ। বাতাসে ভেসে বেড়ানো অদৃশ্য কণাগুলো আমাদের নিঃশ্বাসের সাথে খুব সহজেই শরীরের বিভিন্ন অংশ ও কোষে পৌঁছে যেতে পারে। আর এতে করে মানবদেহ অ্যাজমা, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক ও ডিমেনশিয়ার মতো কঠিন ও দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হতে পারে। দূষিত বাতাসে নিয়মিত শ্বাস নেয়ায় কারণে মানুষ শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ ও মৌসুমি অ্যালার্জি সহ নানান রকম কঠিন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। তাছাড়া, শুরু থেকেই দূষিত বাতাসে শ্বাস নেয়ার কারণে এখন শিশুরাও দীর্ঘস্থায়ী জটিল সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে। সবচেয়ে দুশ্চিন্তার বিষয়টি হল, বিশ্বব্যাপী আবহাওয়ার মান পর্যবেক্ষণে জনপ্রিয় ও স্বীকৃতি প্ল্যাটফর্ম “এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স” (একিউআই) বলছে বাংলাদেশ (বিশেষ করে ঢাকা) তাদের মানদন্ডে ‘অস্বাস্থ্যকর’ অংশে অবস্থান করছে। একই কারণে ইতোমধ্যে ঢাকা বেশ কয়েকবার ‘বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর’গুলোর তালিকায় ওপরের দিকে উঠে এসেছে। ডব্লিউএইচও’র (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) বার্ষিক এয়ার কোয়ালিটি গাইডলাইন ভ্যালুতে প্রায়ই ঢাকার বাতাসে পিএম২.৫ (২.৫ মাইক্রন বা তার চেয়ে ছোট ধূলিকণা, যা নানান রকম ভয়ঙ্কর স্বাস্থ্যঝুঁকির অন্যতম কারণ) এর উপস্থিতির কথা বলা হয়, যা শহরের বাসিন্দাদের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমাদের হয়ত মনে হতে পারে যে ঘরের ভেতর তো আমরা নিরাপদই আছি। কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে ঘরের ভেতরের বাতাসের মান বাহিরের বাতাসের চেয়েও খারাপ হতে পারে। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, নানান ধরনের পরজীবী, পোষা প্রাণির পশম ও খুশকিসহ বিভিন্নরকম জৈব দূষণকারী পদার্থ ঘরের বাতাসে মিশে থাকতে পারে। ঘরের ভেতরের বাতাসেও কার্বন মনোঅক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, সালফার ডাইঅক্সাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাস ও রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া যেতে পারে, যা হতে পারে স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য ব্যক্তিগত ও সামাজিক সচেতনতার পাশাপাশি প্রয়োজন নিত্যনতুন প্রযুক্তিগত অনুষঙ্গের ব্যবহার। বাইরের বায়ুদূষণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সময়সাপেক্ষ ও কষ্টসাধ্য হলেও ঘরের ভেতরের বাতাসকে নিরাপদ রাখতে এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্নরকম এয়ার পিউরিফায়ার। ব্র্যান্ড, কার্যক্ষমতা ও ফিচারভেদে বিভিন্ন দামে পাওয়া যাচ্ছে হালের জনপ্রিয় এই গৃহস্থালি অনুষঙ্গটি। দক্ষিণ কোরিয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্যামসাং এইচইপিএ ফিল্টার ও ওয়াইফাই সুবিধাসহ এমন কিছু মডেলের এয়ার পিউরিফায়ার নিয়ে এসেছে, যা ঘরে ও অফিসে অন্যান্য ব্র্যান্ডের পিউরিফায়ারের তুলনায় অনেক বড় নিরাপত্তা বলয় তৈরি করতে সক্ষম। মেশিনটির ডিজিটাল ডিসপ্লের মাধ্যমে ঘরের বাতাসের মান যাচাই করা যাবে খুব সহজেই। এর লেজার পিএম সেন্সর অতিক্ষুদ্র (১ মাইক্রনের চেয়েও ছোট) ধূলিকণা ও গ্যাসীয় বস্তু শনাক্ত করতে সক্ষম। দূষিত বাতাসে পিএমের পরিমাণ (১, ২.৫ বা ১০ মাইক্রন, যাই হোক না কেন) একটি নিউমেরিক ডিসপ্লেতে দেখানো হবে; এবং একটি চাররঙা ইন্ডিকেটরের মাধ্যমে বাতাস কতোটুকু পরিস্কার তাও দেখানো হবে। এটি ঘরের ভেতরের বাতাসকে পরিশুদ্ধ করতে বড় কণা থেকে ছোট ধূলিকণা আলাদা করে বিষাক্ত গ্যাস ও জীবাণুকে কয়েক স্তরের পিউরিফিকেশন প্রসেসের মাধ্যমে নিরাপদ করে। এছাড়া, এর অ্যাক্টিভেটেড কার্বন ডিওডোরাইজেশন ফিল্টার ঘরের ভেতরের দূষিত গ্যাসকেও বের করে দেয়। আলট্রাফাইন ডাস্ট ফিল্টারের মাধ্যমে এইচইপিএ ফিল্টারেশন ৯৯.৯৭ শতাংশ পর্যন্ত ০.৩ মাইক্রনের ধূলিকণা পরিশুদ্ধ করতে সক্ষম। তার ওপর, এর থ্রি-ওয়ে এয়ারফ্লো প্রযুক্তি মূহুর্তেই বাতাসকে জীবাণুমুক্ত করে। এর অটো মোড সেন্সেস বাতাসের দূষণের মাত্রাকে পরিমাপ করতে পারে এবং পাওয়ার ও ফ্যানের স্পিড স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারে। তার ওপর জীবনকে আরও সহজ করতে এটি স্মার্টথিংস অ্যাপের মাধ্যমেও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
‘এনার্জেটিক একাডেমি’র যাত্রা শুরু

‘এনার্জেটিক একাডেমি’র যাত্রা শুরু

স্টাফ রিপোর্টার
ং শীর্ষস্থানীয় অনলাইন শিক্ষা-বিষয়ক প্ল্যাটফর্ম ই-স্কুল অব লাইফ’র সহযোগিতায় ‘এনার্জেটিক একাডেমি’র উন্মোচন করলো এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড (ইপিজিএল)। আজ (২২ ডিসেম্বর) এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একাডেমিটির উদ্বোধন করা হয়। একাডেমিতে সর্বোচ্চ চাহিদাসম্পন্ন বিভিন্ন অনলাইন ট্রেনি কোর্স করার সুযোগ থাকবে। এনার্জেটিক একাডেমির উদ্দেশ্য প্রকৌশল খাত ও একই সাথে দেশের জন্য দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি করা। শিক্ষার্থীদের অনলাইন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আগামীর জন্য প্রস্তুত করবে এনার্জেটিক একাডেমি; আর এই অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্মটির প্রযুক্তিগত দিকগুলোর দেখভাল করবে ‘ই-স্কুল অব লাইফ’। অংশগ্রহণকারীরা নিজের জন্য উপযোগী পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে প্রকৌশল খাতের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জ্ঞান অর্জন করার বিস্তৃত সুযোগ পাবেন। এনার্জেটিক একাডেমি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এসডিজি) অন্তর্ভূক্ত মানসম্মত শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মতো লক্ষ্যগুলো অর্জনে অবদান রাখতে আগ্রহী। বিশেষ করে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অপারেটর, টেকনিশিয়ান ও সার্ভিস ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ব্যক্তিরা এই উদ্যোগ থেকে উপকৃত হবেন। এই উদ্যোগে প্রশিক্ষক হিসেবে নিজেদের দক্ষ কর্মী, প্রদর্শনের জন্য নিজস্ব মেশিনারি এবং ট্রেনিং কোর্সের জন্য লেকচার প্রস্তুত করা সহ নিজস্ব সক্ষমতা ব্যবহার করবে এনার্জিপ্যাক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কেমিকেল অ্যান্ড ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ তামিম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন গ্লোকাল লার্নিং ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতিক উল্লাহ মাসুদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সিআইপি (কমার্শিয়ালি ইম্পর্ট্যান্ট পার্সন) হুমায়ুন রশিদ এবং অন্যান্যরা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এর কেমিকেল অ্যান্ড ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ তামিম বলেন, “বর্তমানে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন এর মাধ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রতিযোগিতার এই যুগে সবার জন্য বাস্তবমুখী শিক্ষার সুযোগ তৈরি ও জ্ঞানের বিকাশ ঘটাতে কাজ করবে এনার্জেটিক একাডেমি। এরকম একটি ভালো উদ্যোগ গ্রহণ করায় এনার্জেটিক একাডেমির পাশাপাশি এনার্জিপ্যা জন্য শুভকামনা।” এনার্জিপ্যাকের সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন রশিদ বলেন, ‘এনার্জেটিক একাডেমি এনার্জিপ্যাকের নিজস্ব উদ্যোগ। এর উদ্দেশ্য পাওয়ার জেনারেশন ও অন্যান্য প্রযুক্তিগত বিষয়গুলোতে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ তৈরি করা এবং এমন দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা, যারা সহজেই চাকরির বাজারে প্রবেশ করতে পারবে। শিক্ষার্থীরা এনার্জিপ্যাকে কর্মরত এমন প্রকৌশল বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে শিখতে পারবে এবং ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পাবেন।’  

মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২২

আজ আন্তর্জাতিক মানব সংহতি দিবস

আজ আন্তর্জাতিক মানব সংহতি দিবস

২০ ডিসেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার বিকেল ৩ ঘটিকায় আন্তর্জাতিক মানব সংহতি দিবস পালন করে "স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা""প্রবীনবন্ধু বাংলাদেশ চাই" বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ, এই তিনটি সংগঠন দিবসটি পালন করেছে। প্রবীন নিবাসের অডিটোরিয়ামে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লেখিকা মিতালি হোসেন, ডা. মহসিন কবির লিমন,নিরাপদ ডেভেলপম্যন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী, শিক্ষাবিদ রাশেদা জামান, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার মহাসচিব, তানিয়া শেখ, সি এম শাকিল, রোমানা ইয়াসমিন, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সাগর, ফটো সাংবাদিক সাদমান সাব্বির, প্রবীণ নিবাসে বসবাসরত নিবাসীবৃন্দ সহ আরো অনেকে। আন্তর্জাতিক মানব সংহতি দিবস ২০ ডিসেম্বর পালন করা হয়, এটি জাতিসংঘ এবং এর সদস্য রাষ্ট্রগুলির একটি আন্তর্জাতিক বার্ষিক ঐক্য দিবস। এর প্রধান লক্ষ্য হল সদস্য রাষ্ট্রগুলিকে দারিদ্র্য হ্রাস করার বৈশ্বিক উদ্দেশ্য এবং উদ্যোগ সম্পর্কে সচেতন করা এবং বিশ্বজুড়ে স্বাধীন দেশগুলির দারিদ্র্য হ্রাস কৌশলগুলি প্রণয়ন এবং ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে সংহতির সর্বজনীন মূল্যকে স্বীকৃতি দেওয়া। দিনটি বিশ্ব সংহতি তহবিল এবং জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি দ্বারা প্রচারিত হয়, যা বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। একজন ব্যক্তি শিক্ষায় অবদান রেখে বা দরিদ্র বা শারীরিক বা মানসিকভাবে অক্ষমদের সাহায্য করে দিনটিতে অংশ নিতে বা উদযাপন করতে পারেন। পরিবর্তে সরকারগুলিকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাগুলির মাধ্যমে দারিদ্র্য এবং অন্যান্য সামাজিক বাধাগুলির প্রতিক্রিয়া জানাতে উত্সাহিত করা হয়৷
‘বাংলাদেশ গণহত্যার তত্ত্বীয় পাটাতনে’ শীর্ষক সেমিনার ২০২২

‘বাংলাদেশ গণহত্যার তত্ত্বীয় পাটাতনে’ শীর্ষক সেমিনার ২০২২

১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের ভবন নির্মাণ (১ম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্প উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ গণহত্যার তত্ত্বীয় পাটাতনে’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করে। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগি অধ্যাপক ড. আহম্মেদ শরীফ। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জনাব মো. শামীম খান। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব মোঃ কামরুজ্জামান। উল্লিখিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি আপনার বহুল প্রচারিত সংবাদ মাধ্যমে প্রচার/প্রকাশ করার জন্য আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২

বিজয় দিবসে নারী উদ্যোক্তাদের মেলা

বিজয় দিবসে নারী উদ্যোক্তাদের মেলা

স্বাধীনতার ৫ ১ বছরে দেশের অন্যান্য এলাকার নারীদের পাশাপাশি অনেক এগিয়েছে সীমান্তবর্তী এলাকার নারীরাও। তারই অংশ হিসেবে দিনাজপুরের হাকিমপুরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল নারী উদ্যোক্তাদের মেলা। যেখানে উদ্যোক্তারা তাদের নিজের হাতের তৈরি বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) হাকিমপুর উপজেলা প্রশাসন উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে উপজেলা চত্ত্বরে এক দিনের মহান বিজয় দিবস মেলার আয়োজন করে। এই মেলায় উপজেলার নারী উদ্যোক্তা ফোরামকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এখানে ২৪টি স্টল রয়েছে তাদের। নারী উদ্যোক্তারা ঘরে বসে শাড়ি, থ্রি পিস, ব্যাগ, পাপস, বিভিন্ন প্রকার আচার, উন্নতমানের খাবার তৈরি করছেন। তালিকায় রেখেছেন চাইনিজ খাবারসহ নানান রকমের পিঠা-পুলি। সবার নিজ নিজ ফেসবুক পেজও রয়েছে এসব পণ্যের পোস্ট। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পেজ তৈরি করে পণ্যসামগ্রী প্রচার করেন। বিক্রিও হয় আশানুরূপ। দিন যতো যাচ্ছে, তাদের পরিচিতি বাড়ছে, অর্ডারও পাচ্ছেন বেশি। উদ্যোক্তাদের সবাই উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত, হতে চান স্বাবলম্বী। প্রায় উদ্যোক্তা তাদের কাজের জন্য আরও ৮ থেকে ১০ জন নারী শ্রমিকও রেখেছেন। একদিকে নিজেরা লাভবান হচ্ছেন, অন্যদিকে আরও বেকার নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও তারা করছেন। কয়েকজন উদ্যোক্তা বলেন, আমরা নিখুঁতভাবে সব পণ্য বানিয়ে থাকি। অনলাইনে খাবারের অর্ডার পেয়ে থাকি। চাইনিজ জাতীয় সব খাবার তৈরি করি এবং তা ডেলিভারি দেই। অনেক সাড়া পাচ্ছি, আরও এগিয়ে যাবো আশা করছি। হাকিমপুর নারী উদ্যোক্তা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রোমেনা আক্তার মনি রাইজিংবিডিকে বলেন, আমি ২০০৫ সাল থেকে নিজে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছি। বর্তমানে নারী উদ্যোক্তা ফোরামের সদস্য ৬০ জন। আমাদের সবার উদ্দেশ্য এক, কীভাবে নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলবো। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বর্তমান উপজেলা প্রশাসন আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করছে।  হাকিমপুর নারী উদ্যোক্তা ফোরামের সভাপতি রোমানা আক্তার জান্নাত রাইজিংবিডিকে বলেন, আমি গর্বিত হাকিমপুর নারী উদ্যোক্তা হতে পেরে। প্রথমে ২০ জন নারী সদস্য নিয়ে কাজ শুরু করি। বর্তমান আমাদের ৬০ জন সদস্য রয়েছে। আমরা নারীরা অবহেলিত নই, আমরা ঘরে বসে বিভিন্ন প্রসাধনীসহ খাবার তৈরি করছি। এগুলো বিভিন্ন ভাবে বিক্রি করে থাকি। এতে আমরা নারী উদ্যোক্তারা স্বাবলম্বী হচ্ছেন।  তিনি আরও বলেন, আমরা এরআগে দিনাজপুরে নসিবের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হয়েছি। এছাড়াও আমরা সব নারী উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছি। আমরা আশাবাদী আগামীতে আরও এগিয়ে যাবো। হাকিমপুর উপজেলা ভূমি কমিশনার (এসিল্যান্ড) মোখলেদা খাতুন মীম রাইজিংবিডিকে বলেন, বিজয় দিবস ২০২২ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন নারী উদ্যোক্তাদের মেলার আয়োজন করেছে। এটি শুধু তাদের উৎসাহিত করার জন্যই আয়োজন করা। খুব ভালো লাগছে এখানে হাকিমপুর নারী উদ্যোক্তারা তাদের বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর স্টল দিয়েছেন। তারা অনেক কষ্ট করে নিজ হাতে এসব পণ্যসামগ্রী তৈরি করেছেন।  তিনি আরও বলেন, আমি অবাক এবং গর্বিত আমাদের মেয়েরা এতো সুন্দর জিনিস তৈরি করেছেন। তারা আরও এগিয়ে যাবেন বলে আমি আশাবাদী। তাদের পণ্য হাকিমপুরসহ সারাদেশে চলবে।

শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২

সাতক্ষীরায় হাতে লেখা বিশ্বের সর্ববৃহৎ কুরআন শরীফ প্রদর্শনী

সাতক্ষীরায় হাতে লেখা বিশ্বের সর্ববৃহৎ কুরআন শরীফ প্রদর্শনী

সাতক্ষীরার হাবিবুর রহমানের হাতে লেখা বিশ্বের সর্ববৃহৎ কুরআন শরিফের দুই দিনব্যাপী প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে। পবিত্র এ ধর্ম গ্রন্থটির দৈর্ঘ্য ৩৩৫ সেন্টিমিটার, প্রস্থ ২৬৪ সেন্টিমিটার। ওজন ৪০৫ কেজি। শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরা পৌরসভার মেহেদীবাগ এলাকার ইসলামি সংস্কৃতি ও সেবাকেন্দ্র মসজিদে কুবা কমপ্লেক্সে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম। প্রদর্শনীটি চলবে রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মসজিদে কুবা পরিচালনা কমিটির সভাপতি জিএম নুর ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, হাতে লেখা বৃহদাকার কোরআনের লেখক হাবিবুর রহমান, সাবেক ফিফা রেফারি তৈয়ব হাসান শামছুজ্জামান বাবু, মসজিদে কুবার ইমাম সাইফুর রহমান, মসজিদে কুবা পরিচালনা কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফাসহ আরও অনেকে। এসময় বক্তারা বলেন, আজ ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরে আমরা আনন্দিত। বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের সাতক্ষীরায় হাতে লেখা বৃহৎ একটি কুরআন রয়েছে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি হাতে কুরআন লেখা শুরু করেন হাবিবুর রহমান। এ বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর শেষ হয়।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের আয়োজনে লিড বাংলাদেশ লিডারশিপ সিম্পোজিয়াম

ব্রিটিশ কাউন্সিলের আয়োজনে লিড বাংলাদেশ লিডারশিপ সিম্পোজিয়াম

[ঢাকা, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২] সম্প্রতি ব্রিটিশ কাউন্সিল, সুশীল সমাজের সংগঠনগুলোর অংশীদারিত্বে ‘লিডারশিপ ফর অ্যাডভান্সিং ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ (লিড বাংলাদেশ)’ প্রকল্পের অধীনে লিডারশিপ সিম্পোজিয়াম আয়োজন করে। লিড বাংলাদেশের লক্ষ্য স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্ভাবন ও টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে কমিউনিটির নেতৃত্ব হিসেবে দেশের তরুণদের ক্ষমতায়ন করা। সেন্টার ফর কমিউনিকেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট অ্যাফেয়ার্স (আইডিইএ), সুশীলন, দ্যা হাঙ্গার প্রজেক্ট, ওয়েভ ফাউন্ডেশন এবং ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশনের অংশীদারিত্বে বাংলাদেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম, চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, রাজশাহী ও সিলেটে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এছাড়াও, অভিবাসীদের মধ্যে নেতৃত্বের উপাদান বিকশিত করতে এই প্রকল্পের যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক অংশীদার হিসেবে রয়েছে কমন পারপাস। লিড বাংলাদেশ প্রকল্পটির উদ্দেশ্য বাংলাদেশের নীতি নির্ধারণে তরুণদের উপস্থিতি নিশ্চিত করে তাদের প্রতিনিধিত্ব ও অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ভবিষ্যতের জন্য নেতৃত্ব প্রস্তুত করা। কমিউনিটিতে পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারবে এমন ৩ হাজার তরুণকে সরাসরি প্রশিক্ষণ ও ১ হাজার ৪০০ সমমনা প্রার্থীদের দক্ষতার বিকাশে প্রশিক্ষণ সংযুক্ত করেছে লিড বাংলাদেশ। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) সাথে সম্পর্কিত বাংলাদেশের উন্নয়নের তিনটি সঙ্কটপূর্ণ খাত- শিল্পোদ্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তনে নাগরিক অংশগ্রহণ ও গণতান্ত্রিক অন্তর্ভূক্তিতে ২৪০টি সোশ্যাল অ্যাকশন প্রজেক্টের (এসএপি) মাধ্যমে তরুণদের এ বিকাশ ঘটে। যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশী অভিবাসী কমিউনিটির ৪০ জন অভিজ্ঞ পেশাজীবী ও নেতা এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন এবং তরুণ নেতৃত্ব বিকাশে ভূমিকা রাখেন। সিম্পোজিয়ামের উদ্বোধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) আজহারুল ইসলাম খান। এতে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর প্রোগ্রামস বাংলাদেশ ডেভিড নক্স। সিম্পোজিয়ামে দু’টি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম প্যানেল আলোচনায় ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তরুণদের ভূমিকা’ এবং দ্বিতীয় প্যানেল আলোচনায় ‘বাংলাদেশের তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে অভিবাসী নেতৃত্ববৃন্দ কীভাবে অবদান রাখতে পারেন’ এ বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। প্রথম প্যানেল আলোচনাটি বেটারস্টোরিজ লিমিটেডের চিফ স্টোরিটেলার মিনহাজ আনোয়ার এবং দ্বিতীয় প্যানেল আলোচনাটি কমন পারপাসের ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর- রিম অ্যাসিল পরিচালনা করেন।
মহান বিজয় দিবস-২০২২ উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ইতিহাস ও ধ্রুপদী শিল্পকলা বিভাগ আয়োজিত মুক্তিযুদ্ধের নিদর্শন ও আলোকচিত্রের  বিশেষ প্রদর্শনী-২০২২

মহান বিজয় দিবস-২০২২ উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ইতিহাস ও ধ্রুপদী শিল্পকলা বিভাগ আয়োজিত মুক্তিযুদ্ধের নিদর্শন ও আলোকচিত্রের বিশেষ প্রদর্শনী-২০২২

মহান বিজয় দিবস-২০২২ উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ইতিহাস ও ধ্রুপদী শিল্পকলা বিভাগ জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিনিদর্শন ও আলোকচিত্রের বিশেষ প্রদর্শনী-২০২২ আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব জনাব মো. আবুল মনসুর। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সচিব (যুগ্ম সচিব) জনাব গাজী মো. ওয়ালি-উল-হক, সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জনাব মো. কামরুজ্জামান এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইতিহাস ও ধ্রুপদী শিল্পকলা বিভাগের কীপার জনাব এ কে এম সাইফুজ্জামান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইতিহাস ও ধ্রুপদী শিল্পকলা বিভাগের উপকীপার জনাব দিবাকর সিকদার। প্রদর্শনীতে মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র, মুক্তিযোদ্ধাদের চিঠি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক পুস্তিকা, রাজাকার-আলবদর বাহিনীর পরিচয়পত্রসহ ৬০ (ষাট) টি দুর্লভ নিদর্শন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সচিব (যুগ্ম সচিব) জনাব গাজী মো. ওয়ালি-উল-হক বলেন, “মুক্তিযুদ্ধ কেন, কীভাবে সংগঠিত হয়েছিল এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণে কতটুকু ভূমিকা রাখে তা তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এই প্রদর্শনীটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে”। প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব জনাব মো. আবুল মনসুর বলেন, “পাকিস্তানের একটি সুদক্ষ বাহিনীর বিরুদ্ধে বাঙ্গালিদের শুধু অস্ত্র নয়, বরং তাদের মনোবল, সাহসিকতা, বীরত্বের সমন্বয়ে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত বিভিন্ন নিদর্শন এবং আলোকচিত্র জাতীয় জাদুঘর সংরক্ষণ করে রেখেছে। এগুলো প্রদর্শনের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস- ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারবে এবং তাদের মধ্যে দেশপ্রেম, দেশের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা বৃদ্ধি পাবে”। সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জনাব মো. কামরুজ্জামান বলেন, “প্রদর্শনীতে উপস্থাপিত নিদর্শন ও আলোকচিত্র দেখে দর্শনার্থীদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত হবে এবং নতুন প্রজন্ম তৎকালীন মুক্তিযদ্ধের পরিস্থিতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল দেশবাসী বর্তমানে ভোগ করছে”। তিনি তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। সবশেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের প্রতি বিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বক্তব্য শেষ করেন। সভাপতির বক্তব্যের পর প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব জনাব মো. আবুল মনসুর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদর্শনীটির শুভ উদ্বোধন করেন।

শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২

 বিজয় দিবস উপলক্ষে ৪ জেলায় ফ্রী ক্যাম্পেইন বন্ধুমহল ব্লাড ডোনার সোসাইটির

বিজয় দিবস উপলক্ষে ৪ জেলায় ফ্রী ক্যাম্পেইন বন্ধুমহল ব্লাড ডোনার সোসাইটির

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বন্ধুমহল ব্লাড ডোনার সোসাইটি এর উদ্যোগে একই সাথে ৪ টা জেলাতে ফ্রী ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঝিনাইদহ জেলা শাখা, চট্টগ্রাম জেলা শাখা, ময়মনসিংহ জেলা শাখা এবং চাঁদপুর জেলা শাখায় মহান বিজয় দিবসে জেলার বিভিন্ন স্থানে এই ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। বন্ধুমহল ব্লাড ডোনার সোসাইটি এর ঝিনাইদহ জেলা শাখা এর উদ্যোগে ৪৩ তম ফ্রী ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি ঝিনাইদহ জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঘুরতে আসা সাধারণ মানুষদের মধ্যে এই ক্যাম্পেইনটি অনুষ্ঠিত হয় এবং বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বন্ধুমহল ব্লাড ডোনার সোসাইটি এর ১৫ জন স্বেচ্ছাসেবীদের উপস্থিতিতে বিনামূল্যে মোট ৩০৭ জনের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয়েছে।
অন্যদিকে বন্ধুমহল ব্লাড ডোনার সোসাইটি এর চট্রগ্রাম জেলা শাখা এর উদ্যোগে ৪৪ তম ফ্রী ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি চট্রগ্রাম খুলশী, পাহাড়তলী, আমবাগান তরুণ মাঠ প্রাঙ্গণে সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে মোট ৬২০ জন স্থানীয় মানুষকে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার বন্ধুমহল ব্লাড ডোনার সোসাইটি এর ময়মনসিংহ জেলা শাখার আয়োজনে ৪৫ তম ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত ক্যাম্পেইনটি দুপুর ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন পার্ক সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণে সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। উল্লেখ্য সেখানে ঘুরতে আসা ৩০০ জনকে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয়েছে।
সর্বশেষ বন্ধুমহল ব্লাড ডোনার সোসাইটি এর ৪৬ তম ক্যাম্পেইন হিসাবে চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে চাঁদপুর বড় স্টেশনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত স্টেশনে বিকাল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত মোট ২৩০ জন বিভিন্ন ধরনের যাত্রীদের বিনা মূল্যে তাদের রক্তের গ্রুপ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে স্বাধীনতা যুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই স্বাধীন বাংলাদেশে শহীদদের রক্তের মর্যাদা দিতে বন্ধুমহল ব্লাড ডোনার সোসাইটি এর একযোগে ৪ টা জেলাতে ফ্রী ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্পেইন সম্পন্ন করেছে।
 স্বদেশমৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের সুবিধাবঞ্চিত ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত ।

স্বদেশমৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের সুবিধাবঞ্চিত ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত ।

১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির উৎসব ও আনন্দের দিন। বাঙালি জাতির বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ শুক্রবার বিকেল ৩ ঘটিকায়, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আগারগাঁও উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে স্বদেশ মৃত্তিকা মানব ঊন্নয়ন সংস্থা পরিচালিত স্বদেশমৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের সুবিধা বঞ্চিত ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবেশনায় বিজয় র‍্যালী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চিত্রাংকন ও ক্রীড়াপ্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরুস্কার তুলে দেয়া হয়। বিকেল ৩ ঘটিকায় স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন থেকে একটি বিজয় র‍্যালি বের হয়। র‍্যালিটি আগারগাঁওয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নির্বাচন কমিশন এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পরিবেশনায় উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চিত্রাংকন ও ক্রীড়াপ্রতিযোগিতায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা অংশগ্রহণ করে। বিজয় উৎসবে উপস্থিত ছিলেন স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান মোঃ আকবর হোসেন মহাসচিব তানিয়া শেখ, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার উপদেষ্টা ও নিরাপদ ডেভেলপম্যন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার উপদেষ্টা ডাঃ এস এম হাবিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী, লায়ন গোলাম সারোয়ার মানিক,চেয়ারম্যান, প্রযুক্তি ও প্রজন্ম ফাউন্ডেশন, স্নিগ্ধ আলোয় মুগ্ধ হাসি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কানিজ ফাতিমা, মোঃ মাস্টার আবুল হোসেন মিঠু, ইঞ্জিনিয়ার রাশেদুল ইসলাম, স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের শিক্ষক রাশিদা আক্তার ও সোহাগী আক্তার ও সাদমান সাব্বির।
আরো উপস্থিত ছিলেন বন্ধুমহল ব্লাড ডোনার সোসাইটি সদস্যবৃন্দ মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আনিসুজ্জামান নাহিদ, মরিয়ম ইসলাম সুইটি, অপু চন্দ্র মজুমদার, গোলাম কিবরিয়া, নিয়ন চন্দ্র বনিক, মেহেদী সরকার,ফয়েজ আহমেদ, এস এম সাইফুদ্দিন, রহমান রাকিব ও সুমনা আখতার প্রমুখ।

বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২

 শ্রদ্ধাঞ্জলি’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভা আয়োজন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে ‘শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি

শ্রদ্ধাঞ্জলি’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভা আয়োজন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে ‘শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি

শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ২০২২ পালন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভা আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব মোঃ কামরুজ্জামান। মূল বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাঙ্গালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে বেদনাদায়ক দিন। বাঙালি জাতি যখন বিজয়ের খুব কাছে, ঠিক সেই সময় পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগিতায় রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনী দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ধরে ধরে হত্যা করে। ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড চালায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, বরেণ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের রাতের আঁধারে চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। মূলত পরিকল্পিতভাবে বাঙালি জাতিকে মেধাহীন ও পঙ্গু করাই ছিল পৈশাচিক হত্যাক্যান্ডের উদ্দেশ্য। সভাপতির বক্তব্যে জনাব মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বরের হত্যাকান্ড ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম বর্বর ঘটনা। বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। কেননা বুদ্ধিজীবীরা তাঁদের রচনাবলীর মাধ্যমে, কলমের মাধ্যমে, গানের সুরে, শিক্ষা, চিকিৎসা, প্রকৌশল, রাজনীতি ইত্যাদির মাধ্যমে জনগণের সান্নিধ্যে এসে একটি জাতির বিবেককে জাগিয়ে রাখেন। উল্লিখিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি আপনার বহুল প্রচারিত সংবাদ মাধ্যমে প্রচার/প্রকাশ করার জন্য আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
পারিবারিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুন, সোচ্চার হোন" বিষয়ক সেমিনার।

পারিবারিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুন, সোচ্চার হোন" বিষয়ক সেমিনার।

১৪ ফেব্রুয়রী ২০২২ বুধবার ঝলক ফাউন্ডেশন আয়োজনে, রাওয়া ক্লাব, মিলনায়তন-পারিবারিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুন, সোচ্চার হোন" বিষয়ক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো: আবু তারিক উদ্ভোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন : জনাব মনসুর আহমেদ চৌধুরী প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ইমপ্যাক্ট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। সভাপতিত্ত করেন: লায়ন ড. জাহিদ আহমেদ চৌধুরী বিপুল। প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ও সভাপতি ঝলক ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক : লায়ন গোলাম সারোয়ার মানিক,চেয়ারম্যান, প্রযুক্তি ও প্রজন্ম ফাউন্ডেশন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন: মোঃ আকবর হোসেন ,চেয়ারম্যান, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা ও সভাপতি, সাংবাদিক এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ,নিরাপদ ডেভেলপম্যন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাইদ রানা, স্নিগ্ধ আলোয় মুগ্ধ হাসি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কানিজ ফাতিমা ও উক্ত সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জনাব হুমায়ুন কবীর এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিতিত ছিলেন, আজকের অনুষ্ঠানে আলোচ‍্য বিষয় ছিল পারিবারিক সহিংসতা রোধে আমাদের করনীয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশের প্রচলিত আইন একজন মানুষের সামাজিক পারিবারিক এবং রাষ্ট্রিয় নিরাপত্তা দেয়ার জন‍্য যথেষ্ট নয়। আইনের সংস্কার প্রয়োজন যাতে একটা মানুষ শান্তি শৃঙ্খলা নিয়ে বাঁচতে পারে। ভুটানের মতো অনগ্রসর দেশ তাদের জিডিপি পরিমাপ করে ঐ দেশের নাগরিকদের সুখ শান্তি বিবেচনা করে আর আমাদের দেশের জিডিপি গ্রোথ অর্থনৈতিক মাপকাঠিতে যতই হোক আমরা পারিবারিক সামাজিকভাবে অশান্তি এবং দেউলিয়াত্বের চরম সীমায় উপনীত হচ্ছি। পিতা কর্তৃক কন‍্যা ধর্ষন মায়ের পরকিয়ার বলি হচ্ছে অনেক সন্তান। স্বামী দ্বারা স্ত্রী স্ত্রী দ্বারা স্বামী নির্যাতন এইসব ঘটনা এখন অহরহ শোনা যাচ্ছে। একটা মানুষ বেঁচে থাকতে বিচারের জন‍্য দ্বারে দ্বারে ঘুরে হতাশ হয়ে আত্মহত্যা করলে তখন প্রশাসনের টনক নড়ে। এই জন‍্য এখন আত্মহত্যার সংখ‍্যা এতো বেশী।বিশেষ করে পারিবারিক নির্যাতনের ক্ষেত্রে এমন কোন প্লাটফর্ম নাই যেখানে গিয়ে মানুষ সুবিচার পেতে পারে। আবার মর্যাদা সন্মান ক্ষুণ্ন হবে এই ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চান না। তাই আসুন সব হারানোর পূর্বেই আমরা চিৎকার করি আওয়াজ তুলি সমন্বিতভাবে। পারিবারিক নির্যাতন আর না।

মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২

ধানমন্ডিতে পুলিশ বক্সে কাভার্ডভ্যান, নিহত ৩

ধানমন্ডিতে পুলিশ বক্সে কাভার্ডভ্যান, নিহত ৩

রাজধানীর ধানমন্ডির রাসেল স্কয়ার সংলগ্ন ট্রাফিক বক্সের ভেতর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি কাভার্ডভ্যান ঢুকে গেলে ৩ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। কলাবাগান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে বুধবার (১২ ডিসেম্বর) রাত ১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিহতদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে মিরপুরের দিক থেকে আসা একটি কাভার্ডভ্যান ধাক্কা দিয়ে ফুটপথের ওপরে উঠে যায়। এতে দুজন নিহত হন। আরও দুজন আহত হন। এর মধ্যে একজন হাসপাতলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পুলিশ ভার্ডভ্যান জব্দ করেছে ও চালককে আটক করেছে।
বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

বুদ্ধিজীবী দিবসে মিরপুরে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় প্রথমে রাষ্ট্রপতি, পরে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেখানে তারা কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শহিদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ও তাদের খোঁজখবর নেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা এবং দলটির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
‘বাংলাদেশের গণহত্যা ১৯৭১: রাষ্ট্র, অধিপত্য ও রাজনীতি’  শীর্ষক সেমিনার ২০২২

‘বাংলাদেশের গণহত্যা ১৯৭১: রাষ্ট্র, অধিপত্য ও রাজনীতি’ শীর্ষক সেমিনার ২০২২

১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের ভবন নির্মাণ (১ম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্প উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের গণহত্যা ১৯৭১: রাষ্ট্র, অধিপত্য ও রাজনীতি’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করে। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব কে এম খালিদ এমপি। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ১৯৭১:গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের ট্রাস্টি সম্পাদক ড. চৌধুরী শহীদ কাদের। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব মোঃ কামরুজ্জামান। উল্লিখিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি আপনার বহুল প্রচারিত সংবাদ মাধ্যমে

সোমবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২২

ব্রিটিশ কাউন্সিলে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের শিল্পীদের চিত্রকর্ম প্রদর্শনী ‘আর্টিস্টস  মেক স্পেস’

ব্রিটিশ কাউন্সিলে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের শিল্পীদের চিত্রকর্ম প্রদর্শনী ‘আর্টিস্টস মেক স্পেস’

[ঢাকা, ১২ ডিসেম্বর, ২০২২] ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মোট ১৪ জন শিল্পীর চিত্রকর্ম নিয়ে ‘আর্টিস্টস মেক স্পেস’ শীর্ষক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বৃত্ত আর্টস ট্রাস্ট ও তারা থিয়েটার। এই আয়োজনে বাংলাদেশ-ভিত্তিক ৭ জন ও যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ৭ জন শিল্পীর চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে, যেখানে তাদের দীর্ঘদিনের সমন্বিত চিন্তাগুলোর প্রতিফলন ঘটেছে এবং সৃষ্টি হয়েছে নতুন শিল্পকর্ম। বাংলাদেশে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ৭০ বছরের যাত্রাকে উদযাপন করতে এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। প্রদর্শনীটির উদ্দেশ্য হল মানুষদের শৈল্পিকভাবে যুক্ত করার মাধ্যমে তাদের মতামত ও স্বকীয়তা প্রকাশের জন্য একটি নিরাপদ জায়গা তৈরি করা। শিল্পীদের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছেন- মৃদুল কান্তি গোস্বামী, মনন মুনতাকা, এমদাদুল হক তপু, আজিজি ফাওমি খান, রাকিবুল আনোয়ার, হৃদিতা আনিশা ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর এবং যুক্তরাজ্য থেকে অংশ নিচ্ছেন- রুবি কিচিং, তাহমিনা বেগম, রুপিন্দর কৌর, রেহেমুর রহমান, টিয়া আলি, অ্যাবি লুইস ও কামিলাহ আহমেদ। তারা থিয়েটারের সহযোগিতায় যুক্তরাজ্যের লন্ডন, বার্মিংহাম ও ম্যানচেস্টারে সফল প্রদর্শনী আয়োজিত হবার পর, গত নভেম্বরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের রশিদ চৌধুরী আর্ট গ্যালারি ও সিলেটের কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে বৃত্ত আর্টস ট্রাস্টের সহযোগিতায় আরও দু’টি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ঢাকায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। ঢাকায় অবস্থিত ব্রিটিশ কাউন্সিলে গত ৭ ডিসেম্বর প্রদর্শনীটি শুরু হয়। প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লেখক মাহমুদুল হোসেন ও ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের প্রোগ্রামস ডিরেক্টর ডেভিড নক্স। প্রদর্শনীটি কিউরেট করছেন বৃত্ত আর্টস ট্রাস্টের মাহবুবুর রহমান ও তারা থিয়েটারের নাতাশা কাঠি চন্দ্রা। প্রদর্শনীটি আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার ফুলার রোডে অবস্থিত ব্রিটিশ কাউন্সিলে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা এবং ঢাকার গ্রিন রোডে অবস্থিত বৃত্ত আর্টস ট্রাস্টে বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২২

চীনে করোনার ভ্যারিয়েন্ট এক ব্যক্তি থেকে ১৮ জনে সংক্রমিত হতে পারে

চীনে করোনার ভ্যারিয়েন্ট এক ব্যক্তি থেকে ১৮ জনে সংক্রমিত হতে পারে

বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর চীনে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। দেশটিতে করোনাভাইরাসের ওমিক্রনের যে সাব-ভ্যারিয়েন্টটির বিস্তার ঘটছে সেটি অনেক শক্তিশালী। এতে সংক্রমিত ব্যক্তি ১৮ জনের মধ্যে পুনরায় সংক্রমণ ঘটাতে পারে। সুপরিচিত মহামারি বিশেষজ্ঞ ড. ঝং নানশান এ তথ্য জানিয়েছেন। ড. ঝং বলেছেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, কয়েকটি বড় শহরে কয়েক লাখ বা কয়েক হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়েছে।’ স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ শনিবার বেইজিংয়ে এক হাজার ৬৬২ জনের সংক্রমণের তথ্য রেকর্ড করা হয়েছে। ৬ ডিসেম্বর এই সংখ্যা ছিল তিন হাজার ৯৭৪ জন। গত সপ্তাহের তুলনায় সংক্রমণের হার ৪২ শতাংশ কম। বেইজিংয়ের বাসিন্দাদের নিয়মিত কোভিড - ১৯ পরীক্ষা ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে। সরকারের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর্মীদের মতো গোষ্ঠীর জন্য কোভিড-১৯ পরীক্ষা বাধ্যতামূল করা হয়েছে। এর ফলে দেশটিতে নতুন সংক্রমিতের রেকর্ড কমেছে। তথ্য-প্রমাণে দেখা গেছে, ২ কোটি ২০ লাখ মানুষের শহরটিতে অনেক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শহরের সব বাসিন্দাই কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন এমন কাউকে না কাউকে চেনেন বলে মনে করা হচ্ছে। বেইজিংয়ের একটি পর্যটন এবং ইভেন্ট কোম্পানিতে কর্মরত এক নারী বলেছেন, ‘আমার সংস্থায়, কোভিড -১৯ নেগেটিভ লোকের সংখ্যা শূন্যের কাছাকাছি। আমরা বুঝতে পারছি এটি এড়ানো যাবে না - প্রত্যেককে কেবল বাড়ি থেকে কাজ করতে হবে।’ রোববার বেইজিংয়ের দোকানগুলোর জন্য একটি স্বাভাবিক ব্যবসায়িক দিন এবং এটি সাধারণত ব্যস্ততম দিন। তবে বেইজিংয়ের সবচেয়ে জনবহুল জেলা চাওয়াংয়ের শপিংমলগুলোতে রোববার খুব কম লোকই দেখা গেছে এবং অনেক সেলুন, রেস্তোঁরা এবং খুচরা দোকান বন্ধ ছিল। তবে বেইজিংয়ের ওষুধের দোকানগুলোর বাইরে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। বাসিন্দাদের সর্দি ও জ্বরের ওষুধ এবং অ্যান্টিজেন পরীক্ষার কিট মজুদ কিনতে দেখা গেছে।
সিডিবিএল’র চেয়ারম্যান কবির ও ভাইস চেয়ারম্যান বুলবুল

সিডিবিএল’র চেয়ারম্যান কবির ও ভাইস চেয়ারম্যান বুলবুল

পুঁজিবাজারের তথ্য ভান্ডার হিসবে পরিচিত সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন শেখ কবির হোসেন এবং নুরুল ফজল বুলবুল। রোববার (১১ ডিসেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির ২২তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) পরিচালনা পর্ষদ আগামী দুই বছরের জন্য তাদের এ পদে পুনরায় নির্বাচিত করেছে। সিডিবিএলের চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত ২২তম এজিএমে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়। অন্যান্যদের মধ্যে সিডিবিএলের পরিচালকবৃন্দ এ কে এম নুরুল ফজল বুলবুল, তপন চৌধুরী, আজম জাহাঙ্গীর চৌধুরী, মো. ইউনুসুর রহমান, আসিফ ইব্রাহীম, সাঈদ বেলাল হোসেন, নাসের এজাজ বিজয় এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শুভঙ্কর কান্তি চৌধুরী, এফসিএ বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
শেরপুরে বন্ধুমহল ব্লাড ডোনার সোসাইটি’র ৪২ তম ব্লাড ফ্রী গ্রুপিং ক্যাম্পেইন

শেরপুরে বন্ধুমহল ব্লাড ডোনার সোসাইটি’র ৪২ তম ব্লাড ফ্রী গ্রুপিং ক্যাম্পেইন

রক্তদানের কার্যক্রমকে স্কুল শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে “বন্ধুমহল ব্লাড ডোনার সোসাইটি, শেরপুর জেলা শাখা” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্পেইন ও রক্তদানে উদ্ভুদ্ধ করণ ১১ই ডিসেম্বর ২০২২ (রবিবার) শেরপুর জেলার শ্রীবরর্দী, এইচ আর মডেল স্কুল প্রাঙ্গণে সুষ্ঠ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়। এইচ আর মডেল স্কুল প্রাঙ্গণে সকাল ১০ টায় ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষণ হাফিজুর রহমান ফারুক, এ সময় তিনি বলেন, বন্ধুমহল ব্লাড ডোনার সোসাইটি শেরপুর জেলা শাখার কতৃক আয়োজিত ফ্রি ব্লাড ক্যাম্পেইন এ সকলের প্রতি রইলো সালাম। রক্তদান একটি মহান কাজ। এই উদ্যোগ টি নেওয়ায় গ্রামের প্রতিটি মানুষ তাদের রক্তের গ্রুপ জানতে পারবে। আমি উক্ত সংগঠন এর পাশে আছি এবং সেই সাথে ধন্যবাদ জানায় উক্ত সংগঠন এর প্রতিষ্ঠাতা এবং পরিচালক মহোদয়কে। সেই সাথে আরো ধন্যবাদ জানাচ্ছি শেরপুর জেলা কমিটিকে। উল্লেখ্য, উক্তদিন মোট ৩২৯ জন স্কুল শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করে দেওয়া হয়েছে। সারাদেশব্যাপী বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে শেরপুরে বন্ধুমহল ব্লাড ডোনার সোসাইটি এর ৪২ তম ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
হজ্জ যাত্রীদের জন্য সুখবর,,বাংলাদেশ থেকে হজ্জ যাএীদের জন্য সাশ্রয়ী খরছে

হজ্জ যাত্রীদের জন্য সুখবর,,বাংলাদেশ থেকে হজ্জ যাএীদের জন্য সাশ্রয়ী খরছে

বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রীদের জন্য সাশ্রয়ী খরচে ২০২৪ সাল থেকে ৩২ তলাবিশিষ্ট জাহাজ চলাচল শুরু হবে চট্টগ্রাম-জেদ্দা নৌরুটে। দেশের জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান- কর্ণফুলী শিপবিল্ডার্স লিমিটেড এই রুট চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। জাহাজটির পরিচালনায় একটি নীতিমালা নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে প্রণয়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ইঞ্জিনিয়ার এমএ রশিদ।  বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে পতেঙ্গার ওয়াটার বাস টার্মিনালে অবস্থানরত 'এমভি বে ওয়ানে' আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।   এমএ রশিদ বলেন, কোম্পানিটি জাহাজটি আনার অনুমোদন পেলে, এটি আটদিনে চট্টগ্রাম থেকে সৌদি আরব যাত্রী নিয়ে যাবে। আগে সমুদ্রপথে সৌদি আরব যেতেও এক মাসের মতো লাগলেও, এখন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ জাহাজগুলি উচ্চ গতিতে চলাচল করতে পারে।  'আমরা আশা করছি, এর মাধ্যমে হজযাত্রীদের খরচ-সাশ্রয়ী উপায়ে ভ্রমণের বিকল্প দিতে পারব'।  তিনি আরও জানান, সাগরপথে যাত্রাকালে কোনো অসুবিধা ছাড়াই জাহাজে নামাজ আদায় করতে পারবেন হজযাত্রীরা। বিমান ভ্রমণের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়ই যা করা যায় না।  কর্ণফুলী শিপবিল্ডার্সের এমডি বলেন, 'হজযাত্রী বহনে জাহাজ চালুর বিষয়ে আমরা নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়সহ ১১টি মন্ত্রণালয়ের সাথে বৈঠক করেছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি বৈঠকের সার-সংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে। সারা বিশ্বে ১০টি ক্লাসিফিকেশন সোসাইটি রয়েছে- যারা জাহাজের ফিটনেস, রিপেয়ার, পরিচালনাসহ সবকিছু দেখে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়ে থাকে। ক্লাসিফিকেশন সোসাইটি অনুমোদিত ৩২ তলাবিশিষ্ট একটি পুরাতন জাহাজ আমদানি করব। এতে একসঙ্গে ৩ হাজার হজযাত্রী বহন করা যাবে। জাহাজে বিশাল একটি মিলনায়তন থাকবে, যেখানে একসঙ্গে ২ হাজার হজযাত্রী বসতে পারবেন। ১৪-১৫ তলা বিশিষ্ট একটি নতুন জাহাজ নির্মাণ করতে ৫ হাজার কোটি টাকা লাগে। আমরা ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি জাহাজ আমদানি করবো। হজে বিমান ভাড়াসহ অন্যান্য খরচে জনপ্রতি ৫ লাখ টাকার মতো ব্যয় হয়। জাহাজে যাত্রী আনতে কমপক্ষে দেড় লাখ টাকা ছাড় দিতে হবে'। 'সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক ক্লাসিফিকেশন সোসাইটির অনুমোদন থাকা সাপেক্ষে ক্রুজ জাহাজ আমদানি করা যাবে। আমাদের প্রস্তাব, বছরে দুমাস হজযাত্রী বহন করবে জাহাজটি। বাকি ১০ মাস এশিয়ার বিভিন্ন রুটে যাত্রী নিয়ে চলবে। হজ মৌসুমে ভালো সাড়া পেলে জাহাজ ভাড়া করে আনা হবে। হজ শুরুর সাত দিন আগে জাহাজ যাত্রা করলে সৌদি আরব গিয়ে ৭-৮ দিন হোটেল ভাড়া করে থাকতে হবে না। এখানেও হজযাত্রীদের এক-দেড় লাখ টাকা বাঁচবে'- বলেন প্রকৌশলী রশিদ। কর্ণফুলী শিপবিল্ডার্স এশিয়ার অন্যতম ড্রেজার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। এপর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য পাঁচ হাজার কোটি বেশি মূল্যের ড্রেজার তৈরি করেছে। সম্প্রতি কোম্পানিটি কর্ণফুলী ড্রাই ডক লিমিটেড নামক চট্টগ্রামে দেশের প্রথম প্রাইভেট জেটি নির্মাণ করেছে। 
মন্ত্রিপরিষদ সচিব হলেন কবির বিন আনোয়ার  

মন্ত্রিপরিষদ সচিব হলেন কবির বিন আনোয়ার  

নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব হলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কবির বিন আনোয়ার। রোববার (১১ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক আদেশে ২৩তম মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে কবির বিন আনোয়ারকে এ নিয়োগ দেয়। রাষ্ট্রপতির নির্দেশে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে। তিনি মোহাম্মদ খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের স্থলাভিষিক্ত হবেন। আনোয়ারুল ইসলাম অবসরোত্তর ছুটিতে যাচ্ছেন আগামী ১৫ ডিসেম্বর। জানা গেছে, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে কবির বিন আনোয়ারের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান। মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে প্রশাসন ক্যাডারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। সেই হিসেবেও এগিয়ে ছিলেন কবির বিন আনোয়ার। কবির বিন আনোয়ার বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ৭ম ব্যাচের একজন কর্মকর্তা। এছাড়া, তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) ছিলেন। তিনি ১৯৬৪ সালের ৪ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জ জেলার সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।
এমপিদের পদত্যাগে বিএনপির ক্ষতি, সরকারের নয়: তথ্যমন্ত্রী

এমপিদের পদত্যাগে বিএনপির ক্ষতি, সরকারের নয়: তথ্যমন্ত্রী

বিএনপি সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের পথেই হাঁটছে এবং দেশে গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করতেই তাদের এমপিরা পদত্যাগ করছেন- মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এই পদত্যাগের মধ্য দিয়ে সংসদের কিংবা সরকারের কোনও ক্ষতি হবে না। ক্ষতি হবে বিএনপির। তিনি বলেন, গতকালও বিএনপির নেতাকর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ মানুষের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে, ভাঙচুর করেছে অর্থাৎ যে দল সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, অগ্নিসন্ত্রাস লালন করে- তারা সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির এমপিদের পদত্যাগ নিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিএনপির সর্বমোট ৭ জন সংসদ সদস্য আছে। তারা বলেছিল সরকারের পদত্যাগ দাবি করবে, ১০ তারিখ সরকার হটিয়ে দেবে। এখন দেখা যাচ্ছে নিজেরাই হটে যাচ্ছে অর্থাৎ নিজেরাই পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছে। এই ঘোষণার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, তারা আসলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়।  হাছান মাহমুদ বলেন, সংসদে যেখানে সাড়ে তিনশ এমপি, সেখানে ৭ জন পদত্যাগ করলে কিছু আসে যায় না। নিয়ম অনুযায়ী সেখানে উপ-নির্বাচন হওয়ার কথা। তবে এতে বিএনপি যে সংসদে কথা বলতে পারতো, সেই পথটা তাদের জন্য বন্ধ হয়ে গেলো। মির্জা ফখরুল সাহেব এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন, কিন্তু তাদের হাইকমান্ডের নির্দেশে তিনি শপথ নিতে পারেননি। এতে বরং বিএনপির ক্ষতি হয়েছে। তার মতো একজন বাকপটু নেতা যদি সংসদে থাকতেন তাহলে বিএনপিরই লাভ হতো। বিএনপির গতকালের সমাবেশ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ১০ লাখ মানুষের সমাবেশের কথা বলে তারা বড়জোর ৫০ হাজার মানুষের সমাবেশ করেছে। কারণ যে মাঠে গরুর হাট বসে সেটাই তারা পছন্দ করেছে এবং তার আয়তন হচ্ছে ৫০ হাজার বর্গফুট। একজন মানুষ ঠাসাঠাসি করে দাঁড়ালে কমপক্ষে ৩ বর্গফুট এলাকা লাগে। তাহলে সেই মাঠে কত মানুষ ধরে সেটি সহজেই অনুমেয়। আমাদের থানা সম্মেলনেও অনেক সময় এর চেয়ে বেশি মানুষ হয়। বিএনপির ১০ দফা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি বলেছিল ১০ ডিসেম্বরের পর একদফা দাবি। এখন দেখতে পাচ্ছি ১০ দফা। দাবিগুলো আমি দেখেছি, এগুলো গতানুগতিক। বহুদিন ধরে বলে আসছে, সেখানে মাত্র আর কিছু নতুন দাবি সন্নিবেশ করেছে। অর্থাৎ বিএনপি সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের পথ পরিহার করতে পারেনি। সেই পথ থেকে যতদিন তারা ফিরে না আসবে ততদিন বিএনপির কোনও মঙ্গল হবে না। ২৪ তারিখ গণমিছিল ডাকাও দুরভিসন্ধি মনে হচ্ছে, এদিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল। সেদিন সারাদেশে সমাবেশ ডাকা দুরভিসন্ধি বলেই আমি মনে করি। বিদেশি রাষ্ট্র এবং কূটনীতিকদের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের নিজেদের যে রাজনীতি দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, রাজনৈতিক মতদ্বৈধতা, রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা- এগুলো অন্যের কাছে নিয়ে যাওয়া অনুচিত। একই সাথে কূটনীতিকদের অবশ্যই জেনেভা কনভেনশন মেনে চলা উচিত। আর আমাদের ওপর কোনও চাপ নেই। আমরা সবসময় জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করি। আমাদের কোনও বিদেশি শক্তি ক্ষমতায় বসায়নি। কোনও বিদেশি শক্তি এদেশের ক্ষমতার পালাবদলও করতে পারে না। জনগণই এদেশের ক্ষমতার মালিক। আমরা জনগণের শক্তিতে বলীয়ান। বিএনপি আবারও বলেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন আরও এক বছর পরে। তবে বিএনপির যে কথার ঠিক থাকে না সেটি প্রমাণিত হয়েছে। তারা নয়াপল্টনের বাইরে যাবে না বলেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গোলাপবাগ মাঠে গেছে, যেখানে গরুর হাট বসে। তবে বিএনপি যাই বলুক, নির্বাচন যদি তারা বর্জন করে সেটি তাদের জন্য আত্মহননমূলক হবে।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত ৪০ জন প্রয়াত মাস্টার পেইন্টার ও বরেণ্য শিল্পীদের শিল্পকর্মের বিশেষ প্রদর্শনী আয়োজন ২০২২

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত ৪০ জন প্রয়াত মাস্টার পেইন্টার ও বরেণ্য শিল্পীদের শিল্পকর্মের বিশেষ প্রদর্শনী আয়োজন ২০২২

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সমকালীন শিল্পকলা ও বিশ্বসভ্যতা বিভাগ প্রতিনিয়ত দেশ ও বিদেশের সমকালীন শিল্পীদের শিল্পকর্ম সংগ্রহ, সংরক্ষণ, প্রদর্শন ও গবেষণাসহ বিশেষ দিবসে বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এ সকল বিশেষ প্রদর্শনীর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে দেশ ও বিদেশের শিল্পীদের সমসাময়িক ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, রাজনীতি এবং সমাজতত্ত্ব নিয়ে ভাবনা সম্পর্কিত শৈল্পিক ধারণা অর্জনে সক্ষম হন। প্রয়াত মাস্টার পেইন্টার ও বরেণ্য শিল্পীবৃন্দ ক্যানভাসে তেল রং, হার্ডবোর্ডে তেল রং, কাগজে জল রং, কাগজে কালি ও কলম, কাগজে কালি ও তুলি, কাগজে প্রিন্ট, কাগজে পোস্টার রং, কাগজে গোয়াশ, কাগজে কলম ড্রয়িং, কাগজে রঙিন পেন্সিল, কাগজে এচিং, কাগজে সেরিগ্রাফ, ট্যাপেস্ট্রি, রড় ও সাদা সিমেন্ট, ব্রোঞ্জ, কাঠ, কাঠ কোলাজ, পোড়ামাটি ও গ্লেসড টাইলস মাধ্যমসমূহ ব্যবহার করে এ প্রদর্শনীর শিল্পকর্মগুলো সৃষ্টি করেছেন। ১৯ তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ ২০২২ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনী গ্যালারিতে জাদুঘরের সংরক্ষিত ৪০ জন প্রয়াত মাস্টার পেইন্টার ও বরেণ্য শিল্পীদের শিল্পকর্ম দিয়ে একটি বিশেষ প্রদর্শনী আয়োজন করে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব কে এম খালিদ এমপি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশেষ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষক মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোঃ আবুল মনসুর। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব মোঃ কামরুজ্জামান। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরেরসমকালীন শিল্পকলা ও বিশ্বসভ্যতা বিভাগের কীপার ড. বিজয় কৃষ্ণ বণিক। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। স্বাগত বক্তব্যে জনাব মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, শিল্পকলা একটি সৃজনশীল ধারা। বাংলাদেশের শিল্পকলা বৈচিত্রময়তার মধ্য দিয়ে সমৃদ্ধি লাভ করেছে। সৃজনশীল শিল্পকলার সাথে দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, রাজনীতি এবং সমাজতত্ত্বসহ নানা বিষয় যুক্ত হওয়ায় শিল্পকলার প্রতি গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা ও আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। মূলত শিল্পকর্ম একটি সমাজ বদলের হাতিয়ার। এ প্রদর্শনীতে মোট ৯৩ টি শিল্পকর্ম উপস্থাপন করা হয়েছে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনাব মোঃ আবুল মনসুর বলেন, শিল্পীদের রংতুলির আঁচরে দেশ ও জনগণের আকুতি, মানুষের মনের ভাব এবং প্রতিবাদের ভাষা তুলে ধরে। চিত্রশিল্পীরা মানব জীবনের সব অকল্যাণকর বিষয়ের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁদের চিত্রকর্মের মাধ্যমে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব কে এম খালিদ এমপি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত ৩৩৮ জন শিল্পীর চিত্রকর্মের মধ্যে ৪০ প্রয়াত মাস্টার পেইন্টার ও বরেণ্য শিল্পীদের শিল্পকর্ম দিয়ে আজকের এই বিশেষ প্রদর্শনী আয়োজন। বাংলাদেশের চিত্র শিল্পীদের কথা উঠলে প্রথমে যে শিল্পীর নাম সবার মাথায় আসে তিনি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন। বাংলার দুর্ভিক্ষের চিত্রকর্ম দিয়ে তিনি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ঢাকা আর্ট কলেজ, ময়মনসিংহ জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন এর সূচনা তাঁর হাত ধরে হয়েছিল। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের চিত্রকর্ম সংগ্রহের ভাণ্ডার অনেক সমৃদ্ধ। তিনি তাঁর আলোচনায় আরও মন্তব্য করেন যে, যারা চিত্রশিল্প তৈরি করেন তারাও আমাদের মতই মানুষ। কিন্তু তাঁদের উপলব্ধির ক্ষেত্র গভীর ও ভিন্নরকম। এজন্যই তাঁরা অসাধারণ চিত্রকর্ম তৈরি করতে পারেন। প্রদর্শনটি ১০ ডিসেম্বর ২০২২ থেকে ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত শনিবার থেকে বুধবার সকাল ১০.৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৪.৩০ মিনিট এবং শুক্রবার ৩.৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৬.৩০ মিনিট পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিনা টিকিটে সকল দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। উল্লিখিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি আপনার বহুল প্রচারিত সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ/ প্রচার করার জন্য আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হলো।

শনিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২২

গণসমাবেশ থেকে বিএনপির ১০ দফা ঘোষণা 

গণসমাবেশ থেকে বিএনপির ১০ দফা ঘোষণা 

রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির ঢাকা বিভাগীর গণসমাবেশ চলছে। সমাবেশ থেকে বিএনপির পক্ষ থেকে ১০ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সমাবেশ শুরু হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে যেসব দাবি জানানো হয়েছে সেগুলো হলো ১. বর্তমান জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করে ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ। ২. ১৯৯৬ সালে সংবিধানে সংযোজিত ধারা ৫৮-খ, গ ও ঘ-এর আলোকে একটি দল নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার বা অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন। ৩. নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ সরকার বা অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্ববধায়ক সরকার, বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল করে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন। উক্ত নির্বাচন কমিশন অবাধ নির্বাচনের অনিবার্য পূর্বশর্ত হিসেবে 'লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড' নিশ্চিত করতে আরপিও সংশোধন, ইভিএম পদ্ধতি বাতিল ও পেপার ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার বাতিল। ৪. খালেদা জিয়াসহ বিরোধীদলীয় সব নেতা-কর্মী, সাংবাদিক এবং আলেমদের সাজা বাতিল। সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও রাজনৈতিক কারাবন্দিদের অনতিবিলম্বে মুক্তি। দেশে সভা, সমাবেশ ও মত প্রকাশে কোনো বাধা সৃষ্টি না করা। সব দলকে স্বাধীনভাবে গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে প্রশাসন ও সরকারি দলের কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ বা বাধা সৃষ্টি না করা। স্বৈরাচারী কায়দায় বিরোধী কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করার লক্ষ্যে নতুন কোনো মামলা ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার না করা। ৫. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪সহ মৌলিক মানবাধিকার হরণকারী আইন বাতিল করা। ৬. বিদ্যুৎ, জ্বালানি, গ্যাস ও পানিসহ জনসেবা খাতের মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিল। ৭. নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারকে সিন্ডিকেট মুক্ত করা। ৮. গত ১৫ বছর ধরে বিদেশে অর্থ পাচার, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাত, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত ও শেয়ার বাজারসহ রাষ্ট্রীয় সব ক্ষেত্রে সংঘটিত দুর্নীতি চিহ্নিত করতে একটি কমিশন গঠন। দুর্নীতি চিহ্নিত করে অতি দ্রুত যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ। ৯. গত ১৫ বছরে গুমের শিকার সব নাগরিককে উদ্ধার এবং বিচারবহির্ভূত হত্যা ও রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনার দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, উপাসনালয় ভাঙচুর এবং সম্পত্তি দখলের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ। ১০. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে সরকারি হস্তক্ষেপ পরিহার করে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ করে দেওয়া।
সংসদ থেকে বিএনপির ৭ এমপির পদত্যাগ

সংসদ থেকে বিএনপির ৭ এমপির পদত্যাগ

সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির ৭ জন সংসদ সদস্য। ইমেইলের মাধ্যমে স্পিকারকে পদত্যাগপত্র পাঠানো হয়েছে বলে সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে এসব তথ‌্য জানানো হয়। বিএনপির ৭জন সংসদ সদস্য হলেন- উকিল আব্দুস সাত্তার (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২), হারুন-অর রশীদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), জি এম সিরাজ (বগুড়া-৭), আমিনুল ইসলাম (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২), জাহিদুর রহমান (ঠাকুরগাঁও-৩), মোশাররফ হোসেন (বগুড়া-৪) ও রুমিন ফারহানা (সংরক্ষিত নারী আসন)। রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আজকে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে পদত্যাগপত্র ইমেইলে পাঠিয়ে দিয়েছি। আজ থেকে শেখ হাসিনার অবৈধ সংসদে আমরা বিএনপি সংসদ সদস‌্যরা আর নেই।’