রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২২

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত ৪০ জন প্রয়াত মাস্টার পেইন্টার ও বরেণ্য শিল্পীদের শিল্পকর্মের বিশেষ প্রদর্শনী আয়োজন ২০২২

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সমকালীন শিল্পকলা ও বিশ্বসভ্যতা বিভাগ প্রতিনিয়ত দেশ ও বিদেশের সমকালীন শিল্পীদের শিল্পকর্ম সংগ্রহ, সংরক্ষণ, প্রদর্শন ও গবেষণাসহ বিশেষ দিবসে বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এ সকল বিশেষ প্রদর্শনীর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে দেশ ও বিদেশের শিল্পীদের সমসাময়িক ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, রাজনীতি এবং সমাজতত্ত্ব নিয়ে ভাবনা সম্পর্কিত শৈল্পিক ধারণা অর্জনে সক্ষম হন। প্রয়াত মাস্টার পেইন্টার ও বরেণ্য শিল্পীবৃন্দ ক্যানভাসে তেল রং, হার্ডবোর্ডে তেল রং, কাগজে জল রং, কাগজে কালি ও কলম, কাগজে কালি ও তুলি, কাগজে প্রিন্ট, কাগজে পোস্টার রং, কাগজে গোয়াশ, কাগজে কলম ড্রয়িং, কাগজে রঙিন পেন্সিল, কাগজে এচিং, কাগজে সেরিগ্রাফ, ট্যাপেস্ট্রি, রড় ও সাদা সিমেন্ট, ব্রোঞ্জ, কাঠ, কাঠ কোলাজ, পোড়ামাটি ও গ্লেসড টাইলস মাধ্যমসমূহ ব্যবহার করে এ প্রদর্শনীর শিল্পকর্মগুলো সৃষ্টি করেছেন। ১৯ তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ ২০২২ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনী গ্যালারিতে জাদুঘরের সংরক্ষিত ৪০ জন প্রয়াত মাস্টার পেইন্টার ও বরেণ্য শিল্পীদের শিল্পকর্ম দিয়ে একটি বিশেষ প্রদর্শনী আয়োজন করে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব কে এম খালিদ এমপি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশেষ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষক মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোঃ আবুল মনসুর। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব মোঃ কামরুজ্জামান। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরেরসমকালীন শিল্পকলা ও বিশ্বসভ্যতা বিভাগের কীপার ড. বিজয় কৃষ্ণ বণিক। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। স্বাগত বক্তব্যে জনাব মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, শিল্পকলা একটি সৃজনশীল ধারা। বাংলাদেশের শিল্পকলা বৈচিত্রময়তার মধ্য দিয়ে সমৃদ্ধি লাভ করেছে। সৃজনশীল শিল্পকলার সাথে দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, রাজনীতি এবং সমাজতত্ত্বসহ নানা বিষয় যুক্ত হওয়ায় শিল্পকলার প্রতি গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা ও আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। মূলত শিল্পকর্ম একটি সমাজ বদলের হাতিয়ার। এ প্রদর্শনীতে মোট ৯৩ টি শিল্পকর্ম উপস্থাপন করা হয়েছে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনাব মোঃ আবুল মনসুর বলেন, শিল্পীদের রংতুলির আঁচরে দেশ ও জনগণের আকুতি, মানুষের মনের ভাব এবং প্রতিবাদের ভাষা তুলে ধরে। চিত্রশিল্পীরা মানব জীবনের সব অকল্যাণকর বিষয়ের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁদের চিত্রকর্মের মাধ্যমে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব কে এম খালিদ এমপি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত ৩৩৮ জন শিল্পীর চিত্রকর্মের মধ্যে ৪০ প্রয়াত মাস্টার পেইন্টার ও বরেণ্য শিল্পীদের শিল্পকর্ম দিয়ে আজকের এই বিশেষ প্রদর্শনী আয়োজন। বাংলাদেশের চিত্র শিল্পীদের কথা উঠলে প্রথমে যে শিল্পীর নাম সবার মাথায় আসে তিনি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন। বাংলার দুর্ভিক্ষের চিত্রকর্ম দিয়ে তিনি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ঢাকা আর্ট কলেজ, ময়মনসিংহ জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন এর সূচনা তাঁর হাত ধরে হয়েছিল। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের চিত্রকর্ম সংগ্রহের ভাণ্ডার অনেক সমৃদ্ধ। তিনি তাঁর আলোচনায় আরও মন্তব্য করেন যে, যারা চিত্রশিল্প তৈরি করেন তারাও আমাদের মতই মানুষ। কিন্তু তাঁদের উপলব্ধির ক্ষেত্র গভীর ও ভিন্নরকম। এজন্যই তাঁরা অসাধারণ চিত্রকর্ম তৈরি করতে পারেন। প্রদর্শনটি ১০ ডিসেম্বর ২০২২ থেকে ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত শনিবার থেকে বুধবার সকাল ১০.৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৪.৩০ মিনিট এবং শুক্রবার ৩.৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৬.৩০ মিনিট পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিনা টিকিটে সকল দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। উল্লিখিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি আপনার বহুল প্রচারিত সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ/ প্রচার করার জন্য আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হলো।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: