শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২

মহান বিজয় দিবস-২০২২ উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ইতিহাস ও ধ্রুপদী শিল্পকলা বিভাগ আয়োজিত মুক্তিযুদ্ধের নিদর্শন ও আলোকচিত্রের বিশেষ প্রদর্শনী-২০২২

মহান বিজয় দিবস-২০২২ উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ইতিহাস ও ধ্রুপদী শিল্পকলা বিভাগ জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিনিদর্শন ও আলোকচিত্রের বিশেষ প্রদর্শনী-২০২২ আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব জনাব মো. আবুল মনসুর। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সচিব (যুগ্ম সচিব) জনাব গাজী মো. ওয়ালি-উল-হক, সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জনাব মো. কামরুজ্জামান এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইতিহাস ও ধ্রুপদী শিল্পকলা বিভাগের কীপার জনাব এ কে এম সাইফুজ্জামান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইতিহাস ও ধ্রুপদী শিল্পকলা বিভাগের উপকীপার জনাব দিবাকর সিকদার। প্রদর্শনীতে মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র, মুক্তিযোদ্ধাদের চিঠি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক পুস্তিকা, রাজাকার-আলবদর বাহিনীর পরিচয়পত্রসহ ৬০ (ষাট) টি দুর্লভ নিদর্শন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সচিব (যুগ্ম সচিব) জনাব গাজী মো. ওয়ালি-উল-হক বলেন, “মুক্তিযুদ্ধ কেন, কীভাবে সংগঠিত হয়েছিল এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণে কতটুকু ভূমিকা রাখে তা তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এই প্রদর্শনীটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে”। প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব জনাব মো. আবুল মনসুর বলেন, “পাকিস্তানের একটি সুদক্ষ বাহিনীর বিরুদ্ধে বাঙ্গালিদের শুধু অস্ত্র নয়, বরং তাদের মনোবল, সাহসিকতা, বীরত্বের সমন্বয়ে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত বিভিন্ন নিদর্শন এবং আলোকচিত্র জাতীয় জাদুঘর সংরক্ষণ করে রেখেছে। এগুলো প্রদর্শনের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস- ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারবে এবং তাদের মধ্যে দেশপ্রেম, দেশের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা বৃদ্ধি পাবে”। সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জনাব মো. কামরুজ্জামান বলেন, “প্রদর্শনীতে উপস্থাপিত নিদর্শন ও আলোকচিত্র দেখে দর্শনার্থীদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত হবে এবং নতুন প্রজন্ম তৎকালীন মুক্তিযদ্ধের পরিস্থিতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল দেশবাসী বর্তমানে ভোগ করছে”। তিনি তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। সবশেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের প্রতি বিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বক্তব্য শেষ করেন। সভাপতির বক্তব্যের পর প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব জনাব মো. আবুল মনসুর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদর্শনীটির শুভ উদ্বোধন করেন।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: