বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর চীনে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। দেশটিতে করোনাভাইরাসের ওমিক্রনের যে সাব-ভ্যারিয়েন্টটির বিস্তার ঘটছে সেটি অনেক শক্তিশালী। এতে সংক্রমিত ব্যক্তি ১৮ জনের মধ্যে পুনরায় সংক্রমণ ঘটাতে পারে। সুপরিচিত মহামারি বিশেষজ্ঞ ড. ঝং নানশান এ তথ্য জানিয়েছেন।
ড. ঝং বলেছেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, কয়েকটি বড় শহরে কয়েক লাখ বা কয়েক হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়েছে।’
স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ শনিবার বেইজিংয়ে এক হাজার ৬৬২ জনের সংক্রমণের তথ্য রেকর্ড করা হয়েছে। ৬ ডিসেম্বর এই সংখ্যা ছিল তিন হাজার ৯৭৪ জন। গত সপ্তাহের তুলনায় সংক্রমণের হার ৪২ শতাংশ কম।
বেইজিংয়ের বাসিন্দাদের নিয়মিত কোভিড - ১৯ পরীক্ষা ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে। সরকারের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর্মীদের মতো গোষ্ঠীর জন্য কোভিড-১৯ পরীক্ষা বাধ্যতামূল করা হয়েছে। এর ফলে দেশটিতে নতুন সংক্রমিতের রেকর্ড কমেছে।
তথ্য-প্রমাণে দেখা গেছে, ২ কোটি ২০ লাখ মানুষের শহরটিতে অনেক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শহরের সব বাসিন্দাই কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন এমন কাউকে না কাউকে চেনেন বলে মনে করা হচ্ছে।
বেইজিংয়ের একটি পর্যটন এবং ইভেন্ট কোম্পানিতে কর্মরত এক নারী বলেছেন, ‘আমার সংস্থায়, কোভিড -১৯ নেগেটিভ লোকের সংখ্যা শূন্যের কাছাকাছি। আমরা বুঝতে পারছি এটি এড়ানো যাবে না - প্রত্যেককে কেবল বাড়ি থেকে কাজ করতে হবে।’
রোববার বেইজিংয়ের দোকানগুলোর জন্য একটি স্বাভাবিক ব্যবসায়িক দিন এবং এটি সাধারণত ব্যস্ততম দিন। তবে বেইজিংয়ের সবচেয়ে জনবহুল জেলা চাওয়াংয়ের শপিংমলগুলোতে রোববার খুব কম লোকই দেখা গেছে এবং অনেক সেলুন, রেস্তোঁরা এবং খুচরা দোকান বন্ধ ছিল। তবে বেইজিংয়ের ওষুধের দোকানগুলোর বাইরে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। বাসিন্দাদের সর্দি ও জ্বরের ওষুধ এবং অ্যান্টিজেন পরীক্ষার কিট মজুদ কিনতে দেখা গেছে।
রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২২
Author: Swadeshsomoy24.com
Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.
0 coment rios: