রবিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২২

বিএনপি মানুষের শান্তি চায় না: প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা উন্নয়ন করি, আর বিএনপি মানুষ খুন করে। এই চট্টগ্রামে বিএনপি বারবার বোমা ও গ্রেনেড মেরেছে। বিএনপি মানুষের শান্তি চায় না।  রোববার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে আয়োজিত এক জনসভায় একথা বলেন তিনি।  প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ারা পারে মানুষ হত্যা করতে। আওয়ামী লীগ শান্তিতে বিশ্বাস করে। তাই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে জনগণ শান্তিতে থাকে। বিএনপির দুইটা গুণ আছে-ভোট চুরি আর মানুষ খুন।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছিলো বলেই জনগণ তাদের মেনে নেয়নি। দেড় মাসের মাথায় খালেদা জিয়া পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। মনে রাখতে হবে যারা ভোট চুরি করে জনগণ তাদের মেনে নেয় না। ২০০১ এর নির্বাচনের পর হিন্দু বৌদ্ধ কেউ তাদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি।’  তিনি বলেন, ‌‘১৯৭৫ সালের পর যারা ক্ষমতায় এসেছিলো তাদের কারণেই বাংলাদেশ সামনের দিকে এগোতে পারেনি। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখন দেশের উন্নয়ন হয়। আমাদের কাজই হচ্ছে জনগণের সেবা করা। দেশে এখন গণতন্ত্র আছে বলেই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যখন মারা যান, তখন নাকি ভাঙা সুটকেস আর ছেড়া গেঞ্জি ছাড়া আর কিছুই রেখে যাননি। আমার প্রশ্ন তার ছেলে হাওয়া ভবন খুলে হাজার হাজার কোটি টাকা কিভাবে পেলো?’  চট্টগ্রামের উন্নয়ন প্রসঙ্গে সরকার প্রধান বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় আসার পর চট্টগ্রাম আন্তর্জাাতিক বিমানবন্দর করে দিয়েছি। ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক ৪ লাইন করা হয়েছে। আমরা ৬ লাইন করে দেবো। কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন করে দিচ্ছি। আজ চট্টগ্রামে ৩৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৬টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছি। এগুলো চট্টগ্রামের মানুষের জন্য আমার আজকের উপহার।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনাদের সবার হাতে মোবাইল ফোন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি’র আমলে একটি ফোন কিনতে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা লাগতো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মোবাইল ফোন উন্মুক্ত করে দিয়েছে। সারাদেশের ডিজিটাল সেন্টার করে দিয়েছে।'  তিনি বলেন, ‌দেশে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না। আমরা ৩৫ লাখ ঘর করে দিয়েছি। এই বিএনপি দিয়েছে কিছু? যারা এতিমের টাকা মেরে খায় তারা জনগণকে কিছুই দিতে পারে না।’  চট্টগ্রামের মানুষের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‌‘এই চট্টগ্রামের সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি। করোনার কারণে দীর্ঘদিন সমাবেশ করতে পারিনি। তাই আপনাদের কাছে ছুটে আসলাম। এই স্মৃতিময় চট্টগ্রামে আমরা বারবার ছুটে আসতাম। আমার বাবা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যখন জেল থেকে মুক্তি পেতেন আমাদের চট্টগ্রামে বেড়াতে নিয়ে আসতেন। চট্টগ্রামে আসলেই ছুটে যেতাম এম এ আজিজ চাচা, জহুর আহমেদ চাচার বাসায়। এখন তারা কেউ নেই। কিন্তু সব স্মৃতি মনে আছে।’ চট্টগ্রামবাসীকে উদ্দেশ্যে করে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যের সমাপনিতে বলেন, “আপনারা আছেন আমার অন্তরে, আমার হৃদয়ে। আপনারাই আমার পরিবার। আপনাদের কাছেই আমার আশ্রয়। ‌‘নিঃস্ব আমি রিক্ত আমি দেওয়ার কিছু নাই, আছে শুধু ভালোবাসা দিয়ে গেলাম তাই।”

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: