সোমবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৩

আমাদের এই পদযাত্রা গণতন্ত্রের জয়যাত্রা: ফখরুল

আমাদের এই পদযাত্রা গণতন্ত্রের জয়যাত্রা: ফখরুল

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত গণ পদযাত্রা উদ্বোধন করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের এই পদযাত্রা গণতন্ত্রের জয়যাত্রা, আমাদের এই পদযাত্রা সভ্যতার জয়যাত্রা, আমাদের এই পদযাত্রা মানুষের অধিকার আদায় করার জয়যাত্রা, আমাদের এই পদযাত্রা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জয়যাত্রা, এই পদযাত্রা আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার জয়যাত্রা। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুলের সামনে থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচি উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে। তারা এখন প্রমাদ গুনছে। তারা প্রতিদিন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। আজকে চালের দাম কত হয়েছে? দশ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে বলেছিল না? এখন কত খাচ্ছেন। ডালের দাম কত, লবণের দাম কত, আটার দাম কত। পুরান ঢাকাসহ সারা দেশে গ্যাস নেই। সব খেয়ে ফেলেছে। বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। প্রতিটি দ্রব্যের মূল্য বাড়িয়েছে। দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে জনগণের পকেট কাটছে। আর সেই টাকা তারা লুট করে বিদেশে পাচার করছে। মির্জা ফখরুল বলেন, কালকে রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আওয়ামী লীগ নাকি পালায় না। এখানে দাদা (গয়েশ্বর চন্দ্র) আছেন ভালো বলতে পারবেন। এক এগারোতে কারা কারা পালিয়েছিল সবাই জানে। কিন্তু পালায়নি একজন তিনি হলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। তিনি পরিষ্কার বলেছিলেন বিদেশে আমার কোনো জায়গা নেই। এই দেশ আমার এই মাটি আমার। আমার জন্ম এখানে মরলেও এখানে মরব। এই দেশের মানুষ সব জানে। কে কখন কোথায় পালায়, কেমন করে পালায় সবাই জানে। তিনি বলেন, গত দুইটা নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন? কেউ ভোট দেয়নি। নিজেরা ভোট করেছে। একটা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় আরেকটা করেছে আগের রাতে। এই ভোট আর জনগণ চায় না। মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় পদযাত্রাপূর্ব সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপি নেতা আবদুস সালাম আজাদ, আজিজুল বারী হেলাল, মীর সরাফত আলী সপু, নবী উল্লাহ নীব, ইশরাক হোসেন, সাইফুল আলম নীরব, মীর নেওয়াজ আলী, হাবিবুর রশীদ হাবিব, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, তানভীর আহমেদ রবিন প্রমুখ।
স্বাস্থ্য সেবায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী

স্বাস্থ্য সেবায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী

রোববার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ধানমন্ডির বাসভবনে তার হাতে সংগঠনটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম বেপারী সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
‘ব্রিটানিয়া ইকোনমিকাল সাপোর্ট ট্রাস্ট’ এর সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে নিরলসভাবে দীর্ঘ ৫০ বছর দেশের গরিব-অসহায় মানুষের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন। তিনি শিক্ষা, চিকিৎসা সেবার জন্য অসহায়দের সাহায্য করতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি করে মানবতার ফেরিওয়ালা হয়েছেন। করোনার সময়ে তিনি এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র দেশের সাধারণ জনগণের পাশে থেকে বিনামূল্যে ওষুধ ও খাদ্যসামগ্রী সাহায্য করেছেন, যা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, আমি মনে করি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মানবতার ইতিহাস তাকে বাদ দিয়ে লেখা যাবে না। তার ঐতিহাসিক বই দ্য পলিটিক্স অব অ্যাসেনশিয়াল ড্রাগস: দ্য মেকিংস অব এ সাকসেসফুল হেলথ ট্রাজেটি: লেসনস ফ্রম বাংলাদেশ (১৯৯৫) সারা বিশ্বে চিকিৎসা সেবায় অসামান্য বই। তার এসব অবদানকে সামনে রেখে আমাদের সংগঠন পক্ষ থেকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর হাতে সম্মাননা দিতে পেরে আমরা গর্বিত। অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম বেপারী সোমালিয়া, নাইজেরিয়াসহ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের উৎপাদিত মানসম্মত ওষুধ রপ্তানির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি, ব্রিটানিয়া সংগঠন তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে গণস্বাস্থ্যের ওষুধ ক্রয় করে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে গরিব অসহায়দের মাঝে ফ্রি বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম বেপারী আগামী জুন মাসে লন্ডনে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও তার সহধর্মিণী শিরিন হককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়ার কথা জানান এবং তাদের দুজনকে আমন্ত্রণ জানান। সম্মাননা প্রাপ্তির পর ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমরা সম্মিলিতভাবে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এখন দেশে এবং প্রবাসে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে বাংলাদেশের জনগণ স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যাবে। সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম বেপারী সোমালিয়াসহ আফ্রিকার দেশগুলোতে গণস্বাস্থের ওষুধ রপ্তানির যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তা সফল হলে ওষুধ রপ্তানিতে আমরা বিশ্বে কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবো। মনে রাখবেন, আমাদের দেশের উৎপাদিত ওষুধ বিশ্বমানের এবং ভারত থেকে দামেও কম। ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, লন্ডনে প্রতিষ্ঠিত ব্রিটানিয়া ইকোনমিকাল সাপোর্ট ট্রাস্ট সংগঠন কর্তৃক আমাকে যে সম্মাননা দিয়েছেন তার জন্য সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম বেপারী ও সংগঠনের সকল কর্মকর্তাদেরকে আমার ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাই। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সহধর্মিণী ও নারীপক্ষের সদস্য শিরিন হক, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, গণস্বাস্থ্য বেসিক কেমিকেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর আব্দুল নকীব, গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

রবিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২৩

বিএনপি আবার সুযোগ পেলে দশ 'বাংলা ভাই' বানাবে : রাজশাহীতে তথ্যমন্ত্রী

বিএনপি আবার সুযোগ পেলে দশ 'বাংলা ভাই' বানাবে : রাজশাহীতে তথ্যমন্ত্রী

রাজশাহী, রোববার ২৯ জানুয়ারি ২০২৩:
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'বিএনপি যদি আবার সুযোগ পায়, তারা একটা নয়, দশটা 'বাংলা ভাই' সৃষ্টি করবে, এই রাজশাহী অঞ্চলকে তারা জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত করবে। কিন্তু মানুষ তা হতে দেবে না।' রোববার দুপুরে রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তৃতার আগে দলের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ তার বক্তৃতায় এ কথা বলেন। ড. হাছান বলেন, 'বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন এখানে রাজশাহীতে 'বাংলা ভাই' সৃষ্টি হয়েছিল, বিএনপির নেতারা তাকে বরণ করে নিয়েছিল। আজ শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনায় গত ১৪ বছরের উন্নয়নে রাজশাহী জেলা বদলে গেছে, রাজশাহী বিভাগ বদলে গেছে, পুরো দেশ বদলে গেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা যেমন দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন, রাজশাহীতেও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জননেত্রীর নেতৃত্বে, রাজশাহী মেয়রের নেতৃত্বে রাজশাহী আজ দেশের সবচেয়ে সুন্দর এবং পরিচ্ছন্ন শহরে পরিণত হয়েছে।' তিনি বলেন, 'বিএনপি নেতারা আমাদের বলে 'পালাবার পথ পাবেন না'। অথচ তাদের বড় নেতা তারেক রহমানই পালিয়ে ইংল্যান্ডে অবস্থান করছে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন 'হাওয়া ভবন' তৈরি করে সারাদেশের মানুষের ওপর টোল বসিয়েছিল, চাঁদা বসিয়েছিল, আমোদ ফুর্তি করার জন্য 'খোয়াব ভবন' বানিয়েছিল।' মন্ত্রী বলেন, 'যদি মানুষকে জিজ্ঞেস করা হয় হাওয়া ভবনের সবচেয়ে বড় চোরের নাম কি, তারা বলবে- তারেক রহমান। আর মির্জা ফখরুল বলেন, তারা যদি ক্ষমতায় যান, তাহলে না কি সেই তারেক রহমান আসবে, দেশের প্রধানমন্ত্রী হবে। সে কারণেই মানুষ তাদেরকে আর সেই সুযোগ দেবে না।' হাছান মাহমুদ বলেন, 'আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য শোনার জন্য রাজশাহী মাদ্রাসা ময়দান থেকে জনতার ঢেউয়ে পুরো রাজশাহী শহর জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। এখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী থেকে শুরু করে জাতীয় নেতৃবৃন্দ এখানে বক্তব্য রেখেছেন। তাই এই মাঠেই আমরা সমাবেশ করছি।' 'এবং মানুষও আমাদের আর বিএনপির সমাবেশের পার্থক্য বুঝতে পারবে' উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'বিএনপির সমাবেশে দেখেছি তারা কাঁথা, কম্বল, বালিশ, মশার কয়েল এনেছিল, খিচুড়ি রান্না করে খেয়েছিল। সেটা কোনো জনসভা ছিল না, ছিল পিকনিক। বিএনপি সারাদেশে জনসভার নামে পিকনিক করেছে। আর আজকে এখানে জননেত্রী শেখ হাসিনার আগমনে মাদ্রাসা মাঠ জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।' আওয়ামী লীগের রাজশাহী মহানগর শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. ডাবলু সরকার ও জেলা শাখার।সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারার সঞ্চালনায় দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্যদের মধ্যে রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান এবং কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ জনসভায় বক্তব্য দেন। মিজানুর রহমান জুয়েল

শনিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৩

স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রা পূরণ করতে শুরু হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা

স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রা পূরণ করতে শুরু হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা

দর্শনার্থীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হুয়াওয়ে প্যাভিলিয়ন
[ঢাকা, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩] আইসিটি ইকোসিস্টেম অংশীজনদের অংশগ্রহণে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আজ শুরু হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা ২০২৩। মেলায় প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সর্বাধুনিক ট্রেন্ড তুলে ধরা হচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রাকে সফল করতে বিভিন্ন খাতে নিজেদের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন প্রদর্শন করছে হুয়াওয়ে। আর হুয়াওয়ের এইসব ডিজিটাল সল্যুশন মেলার দর্শনার্থীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এছাড়া, অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম রহমতুল্লাহ, এমপি; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন হুয়াওয়ের ক্যারিয়ার বিজনেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং চীফ অপারেটিং অফিসার ক্লিফ হু। এই মেলায় ৭৭টি প্যাভিলিয়ন এবং ৫২টি স্টল রয়েছে যেখানে বিভিন্ন আইসিটি কোম্পানি, টেলিকম অপারেটর, মোবাইল আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, ইন্টারনেট এবং অবকাঠামো পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং আরও অনেকে অংশগ্রহণ করেছেন। মেলার প্রথম দিনই প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিসহ আমন্ত্রিত সম্মানিত অতিথিগণ হুয়াওয়ে প্যাভিলিয়ন প্রদর্শন করেন। এবছর হুয়াওয়ে’র প্যাভিলিয়নে ৫.৫জি, এন্টারপ্রাইজ বিজনেস সল্যুশন, হুয়াওয়ে ক্লাউড ও ডিজিটাল পাওয়ারের মতো বিভিন্ন যুগান্তকারী উদ্ভাবন প্রদর্শন করা হচ্ছে। রয়েছে সার্ভিস রোবট, স্মার্ট পোর্ট ও ডিজিটাল পাওয়ার সল্যুশনের ডেমো সাইট। সম্ভাবনাময় স্মার্ট পোর্ট ও ডিজিটাল পাওয়ার সল্যুশন ব্যবহার করে বাংলাদেশ কীভাবে উপকৃত হতে পারে, সে বিষয়গুলোও তুলে ধরা হচ্ছে। মেলায় হুয়াওয়ে ক্লাউড দিচ্ছে ২০ শতাংশ ছাড়। আগ্রহীরা হুয়াওয়ে প্যাভিলিয়নে এসে ফ্রি রেজিষ্ট্রেশন করে পরবর্তীতে এই ছাড় উপভোগ করতে পারবে। পাশাপাশি, মেলায় আগত অতিথিদের জন্য প্রতি দুইঘণ্টা পরপর কুইজে অংশ নিয়ে আকর্ষণীয় পুরস্কার জিতে নেয়ার সুযোগ থাকছে। অনুষ্ঠানে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশের মর্মার্থ এককথায় বলা যায়, একুশ শতকের সোনার বাংলা। কেউ কেউ একে বলেন, সুখী ও সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ। আর প্রযুক্তি হচ্ছে দেশের সকল মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটানোর প্রকৃষ্ট পথ। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন দৃশ্যমান বাস্তবতা। একটি রাষ্ট্রকে তখনই ডিজিটাল বলা যায় যখন সেখানে জীবনের সকল ক্ষেত্রে কানেক্টিভিটি নিশ্চিত করা যায়। বর্তমানে দেশে স্বার্থক ডিজিটাল কানেক্টিভিটির মাধ্যমে গড়ে উঠছে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ। বাংলাদেশ এই ডিজিটাল রূপান্তরের প্রকৃষ্ট উদাহরণ।” মাননীয় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, “প্রযুক্তির বিকাশের মাধ্যমে দেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হতে চাই। বাংলাদেশ ডিজিটাল উদ্ভাবনে সক্ষম, এখন আমাদের সকলের দায়িত্ব ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করা। কারণ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের স্মার্ট মানুষ হতে হবে। এই ডিজিটাল মেলার মাধ্যমে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের যুগে প্রবেশ করছি।” সংবাদ বিজ্ঞপ্তি হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের চীফ অপারেটিং অফিসার ক্লিফ হু বলেন, “গত তিন বছরে বাংলাদেশের টেলিকম খাত সফলভাবে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সাফল্য অর্জন করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের দক্ষিণ এশিয়ার ডিজিটাল হাব হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের আইসিটি পার্টনার হিসেবে হুয়াওয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন অর্জনে অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ সরকারের দিক নির্দেশনায় এবং সকল ইকোসিস্টেম অংশীদারদের সহযোগিতায়, হুয়াওয়ে স্মার্ট সিটি, স্মার্ট শিক্ষা ও ৫.৫জি’র মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সফল প্রয়োগের মাধ্যমে ডিজিটাল রূপান্তরকে ত্বরাণ্বিত করবে। বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে হুয়াওয়ে একটি সম্পূর্ণ কানেক্টেড, ডেভেলপড ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে এই খাতের সকল পার্টনারদের সাথে একসঙ্গে কাজ করে যাবে।” বাংলাদেশের আইসিটি খাতের প্রবৃদ্ধি গতিশীল করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে হুয়াওয়ে। প্রত্যাশিত সময়ের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের ভিশন বাস্তবায়ন করতে ও প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে, ৫.৫জি, ক্লাউড নেটওয়ার্ক, ডিজিটাল পাওয়ার সল্যুশনের মতো সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে সরকার ও বিভিন্ন অংশীদারের সাথে কাজ করে যাচ্ছে হুয়াওয়ে।
ফিউচার-রেডি কর্মশক্তি তৈরির লক্ষ্যে গ্রামীণফোনের আয়োজনে ‘জিপি রান ২০২৩’

ফিউচার-রেডি কর্মশক্তি তৈরির লক্ষ্যে গ্রামীণফোনের আয়োজনে ‘জিপি রান ২০২৩’

[ঢাকা, জানুয়ারি ২৭, ২০২৩] কর্মীদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে আজ প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী ‘জিপি রান ২০২৩’ শীর্ষক এক বিশেষ দৌড়ের আয়োজন করেছে গ্রামীণফোন। একসাথে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হওয়ার লক্ষ্যে হয়ে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই দৌড়ে দেশজুড়ে প্রতিষ্ঠানটির সকল কর্মী এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন। কর্মীদের ডিজিটাল দক্ষতা বিকাশের পাশাপাশি তাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতায় জোর দেয় গ্রামীণফোন। এ উদ্যোগে অংশ নিয়ে গ্রামীণফোনের কর্মীরা এক অনন্য নজির স্থাপন করেন। গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান, প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ তানভির হোসেন এবং চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার হ্যান্স মার্টিন হেনরিক্সন সহ গ্রামীণফোনের অসংখ্য কর্মী উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে এই দৌড়ে অংশগ্রহণ করেন। ২৭ জানুয়ারি সকাল ৬টায় রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে এই দৌড় শুরু হয়। ঢাকার বাইরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গ্রামীণফোন কর্মীরা ‘স্ট্রাভা’ অ্যাপের মাধ্যমে এই আয়োজনে যুক্ত হন। তারা নিজ নিজ বিভাগ থেকে একই সময়ে ৫/১০ কি.মি. পথ দৌড়ে পাড়ি দেন। সুস্বাস্থ্য অর্জনে নিজেদের কঠোর পরিশ্রম এবং এই লক্ষ্যে আয়োজিত একটি সামগ্রিক প্রচেষ্টার একসাথে আনন্দ নিয়ে উদযাপনের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা এই আয়োজনকে সফল করে তোলেন। “কর্মীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা এবং তাদের জন্য উন্নত কাজের পরিবেশ নিশ্চিতে গুরুত্ব দেয় গ্রামীণফোন। আমাদের বিশ্বাস, ফিউচার-ফিট অর্থাৎ ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত কর্মী গড়ে তোলার জন্য পেশাদারি দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি তাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্বাস্থ্যেও আমাদের সমান গুরুত্ব দিতে হবে,” বলেন গ্রামীণফোনের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ তানভির হোসেন। তিনি আরও বলেন, “সঠিক দক্ষতা ও সুস্বাস্থ্য একজন আদর্শ কর্মীর মূল ভিত্তি হিসেব কাজ করে। জিপি রান আয়োজনের মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ভিত্তি গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছি। শেখা এবং বেড়ে ওঠার সংস্কৃতিকে গুরুত্বের সাথে ধারণ করে গ্রামীণফোন, আজকের আয়োজনের অংশগ্রহণকারীরা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আয়োজনের সাথে সম্পৃক্ত সকলের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা রইল।” এই ধারাবাহিকতায়, একটি ‘ফিউচার ফিট গ্রামীণফোন’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ভবিষ্যতেও বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে কর্মীদের মাঝে শারীরিক ও মানসিক সুস্বাস্থ্যের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে কাজ করে যাবে গ্রামীণফোন।
স্মার্ট সিটি গড়তে প্রয়োজন স্মার্ট নাগরিক - স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

স্মার্ট সিটি গড়তে প্রয়োজন স্মার্ট নাগরিক - স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের সিটিগুলোকে স্মার্ট করে গড়ে তুলতে প্রয়োজন হবে স্মার্ট নাগরিক৷
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) বিটিআরসি কর্তৃক আয়োজিত আজকের স্মার্ট সিটি বিনির্মাণে প্রযুক্তির মহাসড়কে বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন৷ তিনি আরও বলেন, আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশে সকল নাগরিক সুবিধা থাকবে৷ পানি সরবারাহ, স্যানিটেশন ব্যবস্থা, গৃ্হস্থ বর্জ্য- শিল্প বর্জ্য ব্যবস্থাপনা থাকবে ও নগরে যথাযথ ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকবে৷ মন্ত্রী বলেন, সুস্থ্য স্বাভাবিক নতুন প্রজন্মের গড়ে তুলতে হলে তাদের জন্য যথাযথ লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার ব্যবস্থা করে দিতে হবে৷ আধুনিক সুযোগ-সুবিধার মাধ্যমে তাদেরকে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে৷ নাগরিক কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য অর্থনৈতিসহ সকল খাতকে আধুনিকভাবে গড়ে তুলতে হবে৷ মন্ত্রী আরো উল্লেখ করেন, বর্তমান সরকার শুধু স্বপ্ন দেখায় না, স্বপ্ন বাস্তবে রুপ দান করে৷ ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন না বাস্তব৷ এমনই স্মার্ট বাংলাদেশ বা স্মার্ট সিটিও বাস্তবে রূপ নিবে৷ এজন্য আমাদের সমন্বিতভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে৷ স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সিঙ্গাপুরের উদাহরণ দেওয়া হলেও আমাদের দেশের বাস্তবতায় স্মার্ট নগরী গড়ে তুলতে হবে৷ বাংলাদেশের শহরগুলোর প্রেক্ষিতে সামঞ্জস্য রেখে স্মার্ট সিটি বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে৷ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, আমার নাগরিক যেন ঘরে বসে সব সুবিধা পাবে সেই সেবা নিশ্চিত করতে চাই। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও প্রযুক্তি ইন্সটিটিউট-এর অধ্যাপক ড. বি এম মইনূল হোসেন৷ তিনি উল্লেখ করেন, স্মার্ট সিটিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আধুনিক নাগরিকসেবাসহ সকল সেবা সরবরাহ করা হয়। সংশ্লিষ্ট সকলসহ নাগরিকদেরও স্মার্ট সিটি গড়তে একসাথে অংশগ্রহণ করতে হবে৷ সেমিনারটিতে সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার৷ এছাড়াও অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিটিআরসির কমিশনার শেখ রিয়াজ আহমেদ, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের সভাপতি ইমদাদুল হক৷ মিজানুর রহমান জুয়েল
সংবিধানের আলোকে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন শেখ হাসিনা  - মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

সংবিধানের আলোকে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন শেখ হাসিনা - মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ঢাকা, ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ (শনিবার)
সংবিধানের বিধি-বিধানের আলোকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। আজ শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী মোতাহার হোসেন ভবন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদ শাখা আয়োজিত 'মুক্তির মন্ত্রে বঙ্গবন্ধু: সংবিধান এবং আইনের শাসন' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। এ সময় মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আইনের শাসন ধ্বংস করার জন্য দেশে ও দেশের বাইরে সম্মিলিত যে চেষ্টা হয়েছিল সে চেষ্টার বিপরীতে প্রত্যয়দীপ্ত সাহসী ভূমিকা রেখে বঙ্গবন্ধু কন্যা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। আজ সংবিধানের বিধি-বিধানের আলোকে বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর বাংলাদেশে খুনের রাজত্ব কায়েম, খুনিদের পুনর্বাসন, গণতন্ত্র ধ্বংস করা, আইনের শাসন ধ্বংস করা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিতর্কিত করা-এসব কাজ বঙ্গবন্ধুর খুনিরা এবং পরবর্তীতে খন্দকার মোশতাক, জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খালেদা জিয়া ধারাবাহিকভাবে করেছে। তারা স্বাধীনতার মূলমন্ত্রের বিরোধীদের রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করেছে, আইনের শাসন ধ্বংস করে বাংলাদেশকে জঘন্য পর্যায়ে নিয়ে গেছে। অবৈধভাবে ক্ষমতায় যারা এসেছে, সবাই আইনের শাসনের পরিপন্থী কাজ করেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ফিরে এসে যুদ্ধাপরাধের বিচার, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারসহ বড় বড় অপরাধের বিচার করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। প্রধান অতিথি আরো বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধান। সংবিধান এবং আইনের শাসন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। আইনের শাসনের পূর্বশর্ত হচ্ছে আইন অনুযায়ী সবকিছু হবে। সে আইন, যে আইন সংবিধানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। আইনের শাসনের কথা বলতে গেলে সাংবিধানিক বিধি-বিধানের বাইরে যাওয়ার কোন অবকাশ নেই। আইনের শাসনে বিশ্বাসী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের সংবিধান দিয়েছেন। পরবর্তীতে সেটাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি আরো যোগ করেন, সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদে বর্ণিত মৌলিক চাহিদা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান,শিক্ষা, চিকিৎসা এবং সংবিধানের চারটি স্তম্ভ গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর হাতে ধরে। বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরি শেখ হাসিনা সেটা বিকশিত করছেন। শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন আইনের শাসনের কোন বিকল্প নেই। মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি দর্শন, একটি বিশ্বাস, একটি প্রেরণা। শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের যে কোন অঞ্চলে নির্যাতিত, নিপীড়িত ও শোষিত মানুষরা যখনই পথ হারিয়ে নতুন কোন দিগন্তের কথা ভাববে, তখন বঙ্গবন্ধু নামক বিশ্বাস ও দর্শনের কাছে ফিরে আসতে হবে। যখনই কোন জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে, অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে মুক্তি চাইবে অথবা স্বাধিকার আদায়ে কোন বাধার সম্মুখীন হবে, তখনই স্মরণ করতে হবে বঙ্গবন্ধুর জীবনালেখ্য। বঙ্গবন্ধু সে কারণেই আজ ও আগামীতে অনিবার্য। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদ শাখার সভাপতি আফরেদী হাসান সেজার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ। বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক আব্দুন নূর দুলাল এবং বাংলাদেশ আইন সমিতির সভাপতি মঞ্জুর মোর্শেদ শাহনেওয়াজ টিপু। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন। মিজানুর রহমান জুয়েল

বুধবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৩

ডিএনসিসির অধুনিকায়নে সবধরনের সহায়তার আশ্বাস মিয়ামি ডেড কাউন্টির মেয়রের

ডিএনসিসির অধুনিকায়নে সবধরনের সহায়তার আশ্বাস মিয়ামি ডেড কাউন্টির মেয়রের

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনকে (ডিএনসিসি) অধুনিকায়নে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন ফ্লোরিডার মিয়ামি ডেড কাউন্টির মেয়র ড্যানিলিয়া লিভাইন কাভা। বিশেষ করে মশক নিধন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগ মোকাবিলায় মিয়ামি সবধরনের সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের কমার্শিয়াল ল ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম (সিএলডিপি) এর আমন্ত্রণে ও অর্থায়নে ডিএনসিসির দশ দিনের প্রশিক্ষণের সমাপনী দিনে (২৪ জানুয়ারি ২০২৩) স্থানীয় সময় দুপুরে ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম জানান নগর ব্যবস্থাপনায় মিয়ামির অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারলে ডিএনসিসি স্মার্ট সিটির ভিশনে পৌছাতে বেগ পেতে হবে না। সিএলডিপির অধীনে চলতি মাসের ১৪ তারিখ থেকে ১০ দিনের প্রশিক্ষনে ক্রয় প্রক্রিয়া, হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়, হিসাবরক্ষণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা, কুইক রেসপন্স টিম, মশক নিধনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে হাতে কলমে শিক্ষা নিয়েছে ডিএনসিসির প্রতিনিধি দল। শেষ দিনে মিয়ামি ডেড কাউন্টির মেয়রের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে উঠে আসে দশ দিনের অভিজ্ঞতা। ডিএনসিসি মেয়র তাকে জানান মিয়ামির এই সফর তাকে মশক মিয়ামির বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ করে দিয়েছে। পাশাপাশি ডিএনসিসি একটি আধুনিক নগর গড়ে তুলতে মিয়ামি ডেড কাউন্টির সহায়তা চাইলেন তিনি। এসময় মিয়ামির মেয়র ঢাকাকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি পাঠিয়ে ঢাকাকে স্মার্ট সিটি রুপান্তরে সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধি দলকে আমন্ত্রণ জানাতে পেরে খুশি মিয়ামি ডেড কাউন্টির মেয়র ড্যানিলিয়া লিভাইন কাভা (Daniella Levine Cava)।‌ তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন যদি কোন সহযোগিতা চায় আমরা তা দিতে প্রস্তুত। ড্যানিলিয়া লিভাইন কাভা বলেন, 'বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলকে আমন্ত্রণ জানাতে পেরে আমি খুশি। আমি সত্যি খুশি এবং গর্বিত। গত কয়েক দিনে‌ আমাদের কিছু বিশেষজ্ঞ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেছেন। অলিখিতভাবে অনেকগুলো বিষয়ে আমরা সহযোগিতা করতে পেরেছি। আমাদের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প রয়েছে। যেগুলো বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলকে দেখানো হয়েছে। ডিএনসিসিকে যে কোনো ধরনের সহযোগিতা করার জন্য আমরা প্রস্তুত। এসময় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম মিয়ামি ডেড কাউন্টির মেয়রকে ঢাকায় আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, মিয়ামি ডেড কাউন্টির অভিজ্ঞতা ডিএনসিসিতে বাস্তবায়ন করতে চাই। ডিএনসিসি মেয়র বলেন, 'ঢাকা থেকে ফ্লোরিডার দূরত্বটা হাজার হাজার মাইল। তবে তাপমাত্রা বৃষ্টিপাত প্রায় একই রকম হওয়ায় ঢাকার এবং ফ্লোরিডার মিয়ামির আবহাওয়ার খুব একটা পার্থক্য নেই। ফলে মিয়ামির ভালো উদ্যোগ যেগুলো আমরা দেখলাম সেগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন করতে পারলে সত্যিকার অর্থে স্মার্ট নগর গড়ে তোলা সম্ভব।' প্রশিক্ষণ শেষে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও কাউন্সিলারদের সার্টিফিকেট তুলে দেন মিয়ামি ডেড কাউন্টির ডেপুটি মেয়র জিমি মোরালেস ( Jimmy Morales) ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। Mizanur Rahman

রবিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২৩

ড.জাহিদ আহমেদ চৌধুরী বিপুল যোগাযোগ ও উন্নয়ন পরিষদের কর্মসংস্থান সম্পাদক হলেন ।

ড.জাহিদ আহমেদ চৌধুরী বিপুল যোগাযোগ ও উন্নয়ন পরিষদের কর্মসংস্থান সম্পাদক হলেন ।

সিলেট বিভাগ যোগাযোগ ও উন্নয়ন পরিষদের কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক হলেন স্বদেশমৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার উপদেষ্ঠা লায়ন ড.জাহিদ আহমেদ চৌধুরী বিপুল। সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার কৃতি সন্তান বিশিষ্ট সমাজসেবক মনসুর আহমেদ চৌধুরীর একমাত্র সন্তান ড.জাহিদ আহমেদ চৌধুরী বিপুল জালালাবাদ এসোসিয়েশন ঢাকার আজীবন সদস্য । সাংস্কৃতিক ও লাইব্রেরী বিষয়ক সম্পাদক , সিলেট রত্ন ফাউন্ডেশন । ড.জাহিদ আহমেদ চৌধুরী বিপুল মাদক বিরোধী সংগঠন ঝলক ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা। ড.জাহিদ আহমেদ চৌধুরী বিপুল বলেন যোগাযোগ ও উন্নয়ন পরিষদের কর্মসংস্থান সম্পাদক হিসাবে আমাকে মনোনীত করার জন্য কমিটির সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। আমি যতদিন বেচে থাকবো মানবতার সেবায় কাজ করতে চাই। তার এই সাফল্য আমরা সবাই গর্বিত। তিনি দেশ ও জাতির কল্যাণে ও সিলেটের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবেন, এটাই সবার প্রত্যাশা।

শনিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৩

 'ভয়েস ফর সেইফ ফুড' এর নতুন পথচলা শুরু

'ভয়েস ফর সেইফ ফুড' এর নতুন পথচলা শুরু

'ভয়েস ফর সেইফ ফুড'(Voice for Safe Food(VSF) নতুন বছরে নতুন পথচলা শুরু করেছে।
সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য কীভাবে নিশ্চিত করা যায় এ সম্পর্কে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইবনুল সাঈদ রানা জানান নিরাপদ খাদ্যের বিষয়টি বর্তমানে বেশ আলোচিত। নানাভাবে খাদ্যে ভেজাল ও কীটনাশক ব্যবহৃত হচ্ছে। মানুষ এ খাবার গ্রহণ করছে। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে। মানুষের সুস্থ জীবনের জন্য নিরাপদ খাদ্যের কোনো বিকল্প নেই। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করতে না পারলে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ করার কথা চিন্তাও করা যায় না। কৃষিতে ঢালাওভাবে রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার হচ্ছে। মাংস উৎপাদনে অসচেতনভাবে ভেটেরিনারি ডোজ ব্যবহার করা হচ্ছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কর্তৃপক্ষকে বাজারে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। খাদ্য ও স্বাস্থ্য একটি আরেকটির পরিপূরক। ইউএসএআইডি নিরাপদ খাদ্যের ওপর জোর দেওয়ার সঙ্গে খাদ্যের উৎপাদন ও অন্য বিষয়গুলো তদারক করে। সর্বোপরি সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হলে সরকারি, বেসরকারি খাতসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। সেই সচেতনাতার সৃষ্টির লক্ষ্যে আমাদের এই কার্য্যক্রম শুরু হলো।
প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোঃ আকবর হোসেন স্বদেশ সময়কে জানান বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ। সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। সচেতনতার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্যের ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি করতে হবে। সর্বোপরি নিরাপদ খাদ্যের বিষয়টিকে একটি সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিতে হবে। কৃষক বাজারজাত করার সময় খাদ্য দূষিত করে, ক্রেতা ভালো পণ্যের সঙ্গে ভেজাল পণ্যের মিশ্রণ ঘটিয়ে খাদ্যের দূষণ ঘটায়। এই দূষণ রোধ করার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। বাজারের তাজা মাছ কোন পরিবেশে বড় হয়েছে, সেটি কিন্তু মাছের গুণগত মান নির্ধারণে ভূমিকা রাখে। মাছকে যে খাবার দেওয়া হয়, তা থেকেও মানুষের শরীরে জীবাণু প্রবেশ করতে পারে। এ জন্য উৎপাদনের পরিবেশকে স্বাস্থ্যকর করতে হবে। নতুবা ক্ষতির আশঙ্কা থেকে যাবে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা করতে হবে। গবেষণার ফলের ভিত্তিতে করণীয় ঠিক করে ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে সবাইকে সচেতন করতে হবে।

মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৩

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা  ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত

(৯ জানুয়ারি) বাপা বেন সম্মেলন ২০২৩ উপলক্ষে প্রফেসর নুর মোহাম্মদ তালুকদার এর সভাপতিত্বে ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমন্বয়ক জনাব ইবনুল সাঈদ রানার সঞ্চালনায় বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা জেলার শতাধিক প্রতিনিধি বৃন্ধের অংশ গ্রহনে প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন লক হ্যাভেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং BEN এর সমন্বয়ক প্রফেসর ড. খালেকুজ্জামান, সম্মানিত অতিথি ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান জনাব অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান। পরিকল্পনাবিদ আদিল মোহাম্মদ খান, বাপার যুগ্ন সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, তিস্তা রক্ষা আন্দোলনের জনাব ফরিদুল ইসলাম ফরিদ, ময়মনসিংহ নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নুরুল আমিন কালাম৷ ময়মনসিংহ জেলা বাপার আহবায়ক কাজী আজাদ জাহান শামীম, সদস্য সচিব খন্দকার ফারুক আহমেদ, জামালপুর জেলার বাপা আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল্লাহ, সদস্য সচিব মোহাম্মদ এনামুল হক, নেত্রকোনা বাপা সদস্য মুস্তাসিমবিল্লাহ, শেরপুর বাপা সদস্য সালাউদ্দিন আমিন, ভালুকা বাপার সদস্য সচিব কামরুল হাসান পাঠান কামাল, ময়মনসিংহ বাপার যুগ্ন সম্পাদক এডভেকেট শিব্বির আহমেদ লিটন।

রবিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২৩

 লায়ন গনি মিয়া বাবুল পেলেন আরজেএফ আজীবন সম্মাননা

লায়ন গনি মিয়া বাবুল পেলেন আরজেএফ আজীবন সম্মাননা

বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল সাংগঠনিক কার্যক্রমে ও সমাজসেবায় বিশেষ অবদান রাখায় ‘আরজেএফ আজীবন সম্মাননা পদক-২০২২’ এ ভূষিত হয়েছেন। রুর‌্যাল জর্নালিস্ট ফাউন্ডেশন (আরজেএফ) এর উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস ২০২২ উপলক্ষে ঢাকার সেগুনবাগিচাস্থ কচিকাঁচা মিলনায়তনে ৭ জানুয়ারি, শনিবার বিকেলে আয়োজিত ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ-বিজয় ও নতুন প্রজন্ম’ শীর্ষক আলোচনাসভা ও আরজেএফ সাহিত্য-সাংস্কৃতিক উৎসবের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে এই সম্মাননা পদক প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা ইসমত কাদির গামা। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিজবাহুর চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, এস এ টিভির হেড অব নিউজ মাহমুদ আল ফয়সাল, জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট সাহিদা রহমান রিংকু ও বাংলাদেশ বিনোদন সাংবাদিক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান লায়ন এইচ এম ইব্রাহিম ভূঁইয়া। আরজেএফ’র চেয়ারম্যান এস এম জহিরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আল-আমিন শাওন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাংবাদিক, কবি-সাহিত্যিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও সাংবাদিক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রশংসার সাথে স্বীয় দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে একটি পরিচিত নাম লায়ন গনি মিয়া বাবুল। তিনি গাজীপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক গণমুখ (তৎকালীন সাপ্তাহিক) পত্রিকায় ১৯৮৭ সালে সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরবর্তীতে দেশের বহুপ্রচারিত দৈনিক খবর পত্রিকায় তিনি ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত প্রশংসার সাথে স্বীয় দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন। তিনি দৈনিক প্রভাত, দৈনিক প্রাইম, দৈনিক মুক্তসংবাদ, দৈনিক জনসংবাদ, বার্তা সংস্থা ফেয়ার নিউজ সার্ভিস-এফএনএস প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিক হিসেবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে তিনি দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিরাপদ নিউজ ডটকম এ যুগ্ম সম্পাদক এবং বাংলাদেশ সংবাদের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি দৈনিক ভোরের সময়ের উপদেষ্টা ও সাপ্তাহিক ঝুমুর পত্রিকার প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের মাধ্যমে ও ব্যক্তিগতভাবে আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। ইতিমধ্যে তিনি মানবসেবায় বিশেষ অবদান রাখায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ‘মেলভিন জোন ফেলো-এমজেএফ’ উপাধিসহ শতাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। তিনি প্রায় ৩০ বছর যাবত সর্বস্তরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে কাজ করে আসছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে গবেষণা করছেন এবং তার গবেষণালব্ধ প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও কলাম বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক গণমাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচার হয়ে আসছে। তার এসকল লেখা ইতোমধ্যে যথেষ্ট পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তার নিজ জন্মস্থান গাজীপুর জেলার শ্রীপুরে স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, শিশু ও গণশিক্ষা কেন্দ্র, পাঠাগার প্রভৃতি জনহিতকর প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় মূখ্য ভূমিকা পালন করে আসছেন। বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক সংবাদপত্রে প্রবন্ধ, কবিতা ও ছড়া লেখে তিনি ইতোমধ্যে যথেষ্ট পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি উক্ত আজীবন সম্মাননা পদকে ভূষিত হওয়ায় বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
স্বদেশমৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনে- নরসিংদী শাখায় নতুন বই হাতে পেয়ে অভিবাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দের ঢেউ

স্বদেশমৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনে- নরসিংদী শাখায় নতুন বই হাতে পেয়ে অভিবাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দের ঢেউ

অন্যান্য বছরের মতো আজ স্বদেশমৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন-নরসিংদী শাখায় বই উৎসব হয়েছে। রোববার (৮ জানুয়ারি ২০২৩) সকাল থেকে স্কুলেই বই বিতরণ করা হয়। নতুন বই হাতে পেয়ে অভিবাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দের ঢেউ বয়ে যায়।বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে পেরে খুশি হন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি কান্তা শেখ, শান্তা শেখসহ বিদ্যালয়ের সাথে সম্পৃক্ত শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দ। স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার মহাসচিব ও জেলা সমন্বয়ক তানিয়া শেখ জানান, স্বদেশমৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠান স্বদেশমৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন। এই ছাত্র-ছাত্রীরা যে পরিবার বা সমাজের বোঝা নয় তা তারা প্রমান করছে । তিনি আরো বলেন, ২০১১ সালে বদেশমৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন স্থাপিত হয়। বর্তমানে তিনটি শাখায় প্রায় দুই শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়নরত আছেন ।
স্বদেশমৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা ও স্বদেশমৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের চেয়ারম্যান মোঃ আকবর হোসেন বলেন, শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে আমরা বদ্ধপরিকর। আমাদের লক্ষ্য এখন গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা।

শনিবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২৩

অসহায় দরিদ্র শিতার্ত মানুষের মাঝে শিতবস্ত্র বিতরণ করলেন সামাজিক সংগঠন  নিরাপদ চিকিৎসা চাই

অসহায় দরিদ্র শিতার্ত মানুষের মাঝে শিতবস্ত্র বিতরণ করলেন সামাজিক সংগঠন নিরাপদ চিকিৎসা চাই

আজ ৭ই জানুয়ারি ২০২৩ইং বিকাল -৩.৩মি শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল উপহার প্রদানকর্মসুচী অনুষ্ঠিত হয়। স্থানঃ-হাজারীবাগ বালুর মাঠ, কাঃচর,ঢাকা, এই সময় শতাধিক বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল উপহার প্রদান করা হয় নিরাপদ চিকিৎসা চাই নিচিচা কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ হতে। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মহোদয় যুবরাজ খান,সঞ্চালনে ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব উম্মে সালমা। অতিথি হিসাবে ছিলেন নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাইদ রানা, নিরাপদ চিকিৎসা চাই সামাজিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন শিপলু, সহ সভাপতি মোঃ জমসেদ আলী কিরন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃআকবর হোসেন, যুগ্ম-সচিব মোঃ ইমরান হোসেন, কার্যকরী সদস্য তানিয়া শেখ, এছাড়া এই সময় এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের ১৪নং ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রাসেল, শামীমা আক্তার, শাহানাজ পারভীনসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তি।

বুধবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৩

স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই

স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই

(স্বদেশ সময় ডটকম)প্রতিনিধি।। স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বছরের নতুন বই তুলে দিয়েছেন স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা। মংগলবার বার বিকালে স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের বিনামূল্যে বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বদেশমৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা ও স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের চেয়ারম্যান মোঃ আকবর হোসেন, মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার মহাসচিব ও স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক ইঞ্জিনিয়ার তানিয়া শেখ, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার উপদেষ্টা ইবনুল সাঈদ রানা, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার উপদেষ্টা ডাঃ এস এম হাবিবুর রহমান, বীর মুক্তিযুদ্ধা নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী, ইঞ্জিনিয়ার রাশেদুল ইসলাম, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সাগর, স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের শিক্ষক রাশিদা আক্তার ও সোহাগী আক্তার। নতুন বছরে নুতন বই হাতে পেয়ে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরাও খুশি।

রবিবার, ১ জানুয়ারী, ২০২৩

সদা হাস্যজ্বল, মিষ্টভাষি, গুণি সাংবাদিক শমী ইব্রাহীম

সদা হাস্যজ্বল, মিষ্টভাষি, গুণি সাংবাদিক শমী ইব্রাহীম

শেখ ওয়াসিমা তাবাস্সুম শমী। শমী ইব্রাহীম নামেই যার পরিচিতি।২০০৫ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টারের মাধ্যমে মিডিয়াতে পথ চলা শুরু হলেও বতর্মানে দাপটের সাথে করে চলেছেন সাংবাদিকতা। এক যুগেরও বেশি সময়ধরে সাংবাদিকতায় থাকা শমী ইব্রাহীম কোভিডের সময়টাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করেছেন স্বাস্থ্যখাতের নানান দিকের সব রিপোর্ট। যার কারনে কোভিড ফ্রন্টলাইনার হিসেবে পেয়েছেন একাধিক এ্যাওয়ার্ড। দেশ ছাড়িয়ে বিদেশী নানান সেমিনারে অংশ নিয়েও অর্জন করেছেন সুনাম।বর্তমানেও ব্যাস্ত সময় পার করছেন নিজের পেশা নিয়েই।একান্ত আলাপচারিতায় সাংবাদিকতার অতিত, বর্তমান ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে কথা হয় তার সাথে। শিরোনাম: কাউকে অনুকরণ করে নয় বরং যে কাজ আপনাকে আনন্দ দেবে সেটাই করা উচিত বলে মত শমী ইব্রাহীমের। সাংবাদিক হিসেবে কাজ করবেন এটা কি আগে থেকেই ভেবেছিলেন? মিডিয়ায় শুরুটা আমার গ্লামার ওয়ার্ল্ড এর মাধ্যমে ২০০৫ সালে। মডেলিং, নাটক, সিনেমা বরাবরই কম টানতো আমায়। তবে ক্যামেরাটাকে কেন যেন ভালোবেসে ফেলেছিলাম। তাই আর ছাড়া হয়নি, বরং অন্য মাধ্যমে ক্যামেরার সাথেই শুরু হয় পথ চলা। আমি বিশ্বাস করি কাউকে অনুকরণ করে নয় বরং যে কাজটি আপনাকে আনন্দ দেবে আপনার সেটাই করা উচিত। সাংবাদিকতা আমাকে আনন্দ দেয়। এটা আমার ভালো লাগা ও ভালোবাসার জায়গা।প্রতিদিন এই পেশায় নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আমি উপোভোগ করি।সাংবাদিকতা এখন আর কেবল পেশা নয় আমার কাছে এটা রিতিমত এখন নেশায় পরিনত হয়েছে।
নিজেকে সাংবাদিক হিসেবে তৈরী করতে কিভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন? সাংবাদিকতা একটা নেশা। আর এই নেশার জন্য সবার আগে আপনাকে নিউজ ম্যান হয়ে ওঠা জরুরী। এই পেশায় যার খবরের সোর্স যত বেশি সে তত ভালো সাংবাদিক।আমি যখন এই পেশায় আসি তখন রাতের ডিউটিতে মেয়েদের দেখাই যেত না।এই সুযোগটি আমি শতভাগ কাজে লাগিয়েছিলাম। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে সোর্স বিল্ডআপের জন্য আমি টানা ছয় মাস নাইট ডিউটি করেছিলাম। যার ফলও পেয়েছিলাম। এছাড়া ভালো সাংবাদিক হতে হলে আপনাকে প্রচুর পড়ালেখাও করতে হবে। বিশেষ করে দৈনিক পত্রিকারদিকে নজরটা রাখতেই হবে। এছাড়া দেশী বিদেশী নিউজ চ্যানেলগুলোতেও নজর রাখতে হবে সমানভাবে। ক্যারিয়ারের ১৫ বছর এই পেশায় পার করার পরেও এখনও শিখছি। জানিনা, কবে একজন ভালো সাংবাদিক হতে পারবো। তবে চেষ্টা চলমান থাকবে। সাংবাদিকতায় কোন জায়গাটিতে কাজ করতে স্বাস্চ্ছন্দবোধ করেন? ক্রাইম রিপোর্টিং দিয়ে আমার ক্যারিয়ার শুরু হয়। খুব উপভোগও করতাম এই জায়গাটা। প্রতিদিনই নতুন নতুন ঘটনা আর খবরে শিখেছি অনেক। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য বিটের রিপোর্টার হওয়ার সুবাদে কোভিডের সময়টিতে কাজ করতে পেরে নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি আমি। সে সময়ের বাস্তবতায় শিখেছি অনেক কিছু। স্বাস্থ্যের সাথে সাথে নারী, শিশু ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করতে খুব ভালোবাসি আমি।
উপস্থাপক শমী নাকি সাংবাদিক শমী? কোন শমী কে বেশি পছন্দ? বরাবরই সাংবাদিক শমীকে পছন্দ আমার। সাংবাদিকতায় প্রতিদিন নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ ভালো লাগে আমার। উপস্থাপনা ভালো লাগে তবে মাঠের সাংবাদিকতা বেশি ইনজয় করি আমি। দীর্ঘ এই ক্যারিয়ারে সংগ্রাম করে নিজের একটা অবস্থান তৈরী করেছেন। এটা ভাবতে কেমন লাগে? খুব ভালো লাগে, এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। আজকের শমীকে এই জায়গায় আনতে অনেক লম্বা পথ পাড়ি দিতে হয়েছে যা এখনও চলমান। আর এই পথটা মসৃণ করেছে আমার পরিবার। ওয়ার্কিং মাদারদের কাজে অনেক প্রতিবন্ধকতা থাকে। এটা শুধু ওয়ার্কিং মাদাররাই জানে। তবে আমি এদিক থেকে অনেক ভাগ্যবান। আমার কাজে যেন কোন কিছুই বাঁধা না হয় তার জন্য আমার পার্টনার তার শতভাগ সাপোর্টটাই দেন। পাশাপাশি কনসিভ করার পর থেকে এখন পর্যন্ত আমি যে সব প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছি বা করছি তারা সবাই আমাকে সাপোর্ট করেছেন বলেই আজ আমি এই জায়গায় আসতে পেরেছি।
নতুন যারা এই পেশায় আসতে চান তাদের উদ্দ্যেশে কি বলবেন? প্রথমেই আমি তাদেরকে বলবো, সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে নয়, বরং নেশা হিসেবে নিতে পারলেই যেন নতুনরা এই পেশায় আসেন। কারন সৎ সাংবাদিকতায় অন্য পেশার মত অর্থ থাকেনা তবে সম্মানের কমতি হয় না। ভবিষ্যতে কি অন্য কোন ধারায় কাজ করার ইচ্ছা আছে? জীবনের ১৫ টি বছর এখানে সময় দিয়ে এখন আর অন্য কোথাও যেতে চাইনা। তাছাড়া সাংবাদিকতা এখন রক্তে মিশে গেছে। তবে আমার মত ওয়ার্কিং মাদারদের জন্য কিছু করতে চাই। তাই একটি ডে কেয়ার চালু করেছিলাম। সেটিতে আরও মনোযোগী হতে চাই। এর পাশাপাশি অনলাইনে খুব ছোট দুটি উদ্যোগ আছে, যা স্বপ্নের মতই বড় করে তুলতে চাই। ছবি তুলেছেন: মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু
পরিচালক সমিতির নির্বাচনে কাজী হায়াৎ সভাপতি-  শাহীন সুমন মহাসচিব

পরিচালক সমিতির নির্বাচনে কাজী হায়াৎ সভাপতি- শাহীন সুমন মহাসচিব

দীর্ঘ দুই বছর পর আবার অনুষ্ঠিত হলো চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচন। এফডিসিতে নির্বাচন মানে একটি উৎসব। একদিকে ভোটের যুদ্ধ অন্যদিকে ভোটের উৎসব, মহা মিলন মেলা। নবীন প্রবীন পরিচালকদের অংশগ্রহণে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হলো পরিচালকদের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন-২০২২। নির্বাচনে ২টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কাজী হায়াৎ শাহীন সুমন পরিষদ ও গুলজার রাজু পরিষদ। রাত ১২টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার আব্দুল লতিফ বাচ্চু ফলাফল ঘোষণা করেন। কাজী হায়াৎ ১৪২ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত। তার নিকটতম গুলজার পেয়েছেন-১৩৮ ভোট। সহ-সভাপতি ছটকু আহমেদ-১৪৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত, মহাসচিব-শাহীন সুমন-১৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত। তার নিকটতম জাকির হোসেন রাজু পেয়েছেন-১২০ ভোট। উপ-মহাসচিব কবিরুল ইসলাম রানা-১৫৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত। সেলিম আজম-১১৩ ভোট পেয়ে কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত। সাংগঠনিক সচিব-শাহীন কবীর টুটুল-১৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত। আন্তর্জাতিক ও তথ্য প্রযুক্তি সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর মোহাম্মদ মনি ১৮৮ ভোট, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সচিব-আব্দুর রহিম বাবু-১৬৭ ভোট, প্রচার প্রকাশনা ও দপ্তর সচিব ওয়াজেদ আলী বাবলু-১৫১ ভোট, নির্বাহী সদস্যঃ মোস্তাফিজুর রহমান মানিক ২০১ ভোট, পল্লী মালেক-২০০ ভোট, সোহানুর রহমান সোহান-১৯৯ ভোট, এসডি রুবেল-১৭৮ ভোট, ইফতেখার জাহান-১৭৬ ভোট, বজলুর রাশেদ চৌধুরী-১৭১ ভোট, মারিয়া আফরিন তুষার-১৭০ ভোট, শাহ আলম কিরন-১৬৫, মনতাজুর রহমান আকবর-১৬১, শাহাদাৎ হোসেন লিটন-১৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত। এবার ভোটার ছিলো-১৬৮ জন, প্রাপ্ত ভোট-৩০২, বাতিল-২২টা। বৈধভোট ২৮০টা। নবনির্বাচিত সবার প্রতি রইল শুভ কামনা। ছবি সংগ্রহঃ মোস্তাফিজ মিন্টু।
নতুন স্বপ্নে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশায় স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার ইরেজী নববর্ষ উদযাপন।

নতুন স্বপ্নে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশায় স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার ইরেজী নববর্ষ উদযাপন।

ইরেজী নববর্ষ উপলক্ষে স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা ও নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শনিবার আগারগাওঁ, নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে ২০২৩ বর্ষবরণ উৎসব উপলক্ষে ব্যতিক্রমি আয়োজন, বর্ষবরণে পথচারীদের মাঝে গরম খাবার বিতরণ কর্মসুচী পালিত হয়।। রাত ১২ টায় এই অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করা হয়। বর্ষবরণে পথচারীদের মাঝে গরম খাবার বিতরণে নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার উপদেষ্টা ইবনুল সাঈদ রানা, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা ও স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের চেয়ারম্যান মোঃ আকবর হোসেন, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার মহাসচিব তানিয়া শেখ,স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার উপদেষ্টা ডাঃ এস এম হাবিবুর রহমান, বীর মুক্তিযুদ্ধা নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী, সাভার ACED স্কুলের প্রতিষ্টাতা নরুজ্জামান তালুকদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্টবিজ্ঞানের মোরশেদুর রহমান, প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন, Change Initiative এর প্রধান জাকির হোসেন খান, চিত্রা ক্যাবল এর পরিচালক সোহেল রহমান, এ্যাডভোকেট শফিকুর রহমান, স্নিগ্ধ আলোয় মুগ্ধ হাসির প্রতিষ্টাতা কানিজ ফাতেমা. Dilhi থেকে যোগদান করেছিলেন মিজানুর রহমান, আগারগাঁও থেকে বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা র উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার রিতি আহসান, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর সমন্বয়কারী নাহিদ হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার রাশেদুল ইসলাম।
বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং বিপুলসংখ্যক শিশু-কিশোর অংশ নেন। নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার উপদেষ্টা ইবনুল সাঈদ রানা জানান, যখন কেউ কেউ ফানুস উড়িয়ে আকাশ দুষনে ব্যস্ত তখন স্বদেশ মৃত্তিকা বিদ্যানিকেতনে চলছে শীতের রাতে পথচারিদের জন্য গরম খাবার সরবরাহের প্রস্তুতি। ২০২২ শেষ দিনের শেষ রাতে আগারগাঁও অফিস পাড়া, যেখানে হাজার মানুষের আয়েশী পাদচারণা বর্ষবরণে, ফানুস উড়ানে, পটকা ফুটানে মুখরিত। ঠিক এই সময়টাতে গরম খাবার রান্না করে থালা গ্লাস নিয়ে পথের মানুষের জন্য গরম খাবার সরবরাহ করছে কয়েকজন উদ্যোক্তা।। নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এবং স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা।। এই ধরণের কাজে সমাজে রয়েছেন কয়েকজন Change Maker. তাদের সহযোগিতা, সাথে থাকা, সক্রিয়তা এমন কাজগুলো বারবার সমাজেই apply করা হয়ে থাকে। আজও তেমনটাই হলো। স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা ও স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের চেয়ারম্যান মোঃ আকবর হোসেন বলেন স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা প্রত্যাশা একটি স্থিতিশীল ও উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন। আর তা নতুন বছরের সামগ্রিক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে । নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে আমাদের জীবনে। আগামীর একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যতকে সামনে রেখে যাত্রা শুরু হোক সবার। প্রতিটি সুবিধাবঞ্চিত শিশু হোক সুশিক্ষায় শিক্ষিত, দারিদ্র্যকে নির্মূল করে মানসম্মত শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থান এটাই আজকের দিনের প্রত্যাশা।