খাদ্য মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে অন্যতম। ১৯৪৫ সালের ১৬ অক্টোবর জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (ঋঅঙ) প্রতিষ্ঠিত হয়। সমগ্র বিশ্বের মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যের যোগান, দারিদ্র্যতা ও পুষ্টিহীনতা দূর করার মাধ্যমে ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে ঋঅঙ তার কার্যক্রম শুরু করে।
বিশ্বে সকল মানুষের খাদ্যের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বের প্রতিটি দেশ নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা সামনে রেখে তা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে সকল খাদ্য উপাদান যেমন- খাদ্যশস্য, মাছ, প্রাণিজ আমিষ, ফলমূল উৎপাদনের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে।
সময়ের পরিক্রমায় কৃষি ব্যবস্থাপনা ও মানুষের খাদ্যাভাসে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। তাইতো এখন বিশ্বব্যাপী নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ক্রমবর্ধমান বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্যের চাহিদা মেটাতে ষাটের দশকের গোড়ায় সমগ্র বিশ্বব্যাপী সবুজ বিপ্লব ঘটে। যার ফলে কৃষিতে উচ্চ ফলনশীল বীজ, রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার ক্রমাগত বেড়েছে।
এ ছাড়াও পৃথিবীব্যাপী অপরিকল্পিত শিল্পায়ন, নগরায়ন ও ক্রমাগত যুদ্ধ, বিগ্রহ বেড়েই চলেছে। এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে পরিবেশের ওপর এবং মানুষ প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে। উচ্চমাত্রায় রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার, পরিবেশ দূষণ ও অপরিকল্পিত চাষাবাদের ফলে মাটির উর্বরতা ক্রমশ বিনষ্ট হচ্ছে।
ইটভাটা, ঘরবাড়ি তৈরিতে উপরিস্তরের মাটি অপসারণ করার ফলে মাটির গুণাগুণ ক্রমশ বিনষ্ট হচ্ছে। মাটির জীববৈচিত্র্য হলো ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, কেঁচো ও মাটির মধ্যে বসবাসকারী বিভিন্ন উপকারী জীব। উপরিস্তরের এক চা চামচ মাটিতে বহু প্রজাতির প্রায় ৬ বিলিয়নের বেশি অণুজীব থাকতে পারে। মাটির জীববৈচিত্র্য রক্ষণাবেক্ষণ পরিবেশ ও কৃষিশিল্প উভয়ের জন্যই প্রয়োজন।
এ জন্য আমাদের দৈনিক খাদ্য তালিকায় শর্করা জাতীয় খাবারের পাশাপাশি আমিষ ও ভিটামিন সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবার যেমন- দুধ, ডিম, মাছ, মাংস, ফলমূল ও শাক-সবজি রাখতে হবে। আমাদের দেশের প্রতিটি বসতবাড়ির আঙ্গিনা বা ছাদ হতে পারে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবারের প্রধান উৎস।
পরিকল্পনা মোতাবেক বসতবাড়ির বিভিন্ন জায়গায় মৌসুম ও প্রজাতি ভেদে বিভিন্ন শাক-সবজি যেমন: শীতকালে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, পালংশাক, পেঁয়াজ, টমেটো, লেটুস এবং গরমকালে ও বর্ষাকালে পুঁইশাক, ঢেঁড়স, ডাঁটা, লালশাক ও কচু এবং বিভিন্ন প্রজাতির মৌসুমি ফল যেমন- আম, জাম, মালটা, লেবু, কাঁঠাল, পেয়ারা, লিচু, কলা ও ঔষধি গাছ যেমন- বাসক, থানকুনি, তুলসী, পুদিনা চাষাবাদ করা যেতে পারে। নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টির জন্য শাক-সবজি ও ফলমূল উৎপাদনে জৈব সার, ভার্মিকম্পোস্ট ও সবুজ সার এবং বালাই দমনে সমন্বিত বালাই দমন ব্যবস্থাপনা (আইপিএম) অনুসরণ করতে হবে।
এর ফলে পরিবেশের ওপরে কোনো ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে না এবং খাদ্য গ্রহণে কোনো স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি থাকবে না। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য বসতবাড়িতে গবাদিপশু যেমন- গরু, ছাগল ও ভেড়া পালন এবং পুকুরে মাছ চাষ করা যেতে পারে। উপরোক্ত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পারিবারিক নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব।
সময় এসেছে নিরাপদ খাদ্য আন্দোলন জোরদার করার মাধ্যমে নিরাপদ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত করার মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের জন্য সুস্থ ও সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা। সমগ্র বিশ্বব্যাপী নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টিনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার মাধ্যমে নিরাপদ ও বাসযোগ্য আগামী গড়তে সময়োপযোগী ও যথাযথ পদক্ষেপের মাধ্যমে সকলকে সম্মিলিতভাবে ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে।
নিরাপদ খাদ্য যেমন সবার জন্য প্রয়োজন, তেমনি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সবাইকে সচেতনতার সঙ্গে স্বীয় দায়িত্ব পালন করতে হবে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য পণ্য উৎপাদন, সংরক্ষণ, সরবরাহ ও বিপণন প্রতিটি পর্যায়ে সচেতনতা প্রয়োজন। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব।
নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা জানান বাংলাদেশের জনগণের সংবিধানসিদ্ধ মৌলিক চাহিদার অন্যতম হচ্ছে খাদ্য। কিন্তু সেই খাদ্যে অতি মুনাফালোভী কৃষক, উৎপাদনকারী, মজুতকারী, পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতা খাদ্যে রাসায়নিক দ্রব্যাদি, ডিডিটি, কীটনাশক, কাপড়ের রং, ফরমালিন, ক্যালসিয়াম কার্বাইড, ইথোফেন মিশিয়ে ধীরে ধীরে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এমন কোন খাদ্যদ্রব্য নেই যাতে কীটনাশক, ক্যালসিয়াম কার্বাইড, ফরমালিনসহ বিভিন্ন কেমিক্যাল নামের নীরব ঘাতক বিষ মিশানো হয় না। উৎপাদন থেকে বাজারজাতকরণ প্রত্যেকটি স্তরেই এর ছড়াছড়ি রয়েছে। সহজপ্রাপ্যতা, আইন প্রয়োগে দুর্বলতা এবং যথাযথ নজরদারির অভাবে এসব ঘটছে। একই সাথে বাড়ছে রোগের প্রাদুর্ভাব। এদেশের প্রতিটি নাগরিকের বিষমুক্ত ও নিরাপদ খাদ্য পাওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু নাগরিকরা এসব অধিকার থেকে বঞ্চিত। তাই আমাদের এই আন্দলন।
বনিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চে প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব বলেন রিষ ও ভেজালমুক্ত খাদ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী পরিচালিত আমাদের এই কার্যক্রম। জনস্বার্থে সারা দেশে কার্যক্রম অব্যাহত রাখা এবং খাদ্যে বিষ ও ভেজাল মিশ্রনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দেশের সচেতন ভোক্তাদের পক্ষ থেকে সরকারকে অনুরোধ জানাবো।
সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
জনপ্রিয় হচ্ছে ই-স্পোর্টস, সম্ভাবনা অভাবনীয় প্রবৃদ্ধির
১৯৯০ দশকের শুরুতে, নিছক শখ থেকে পেশাদার ও সংগঠিত খেলায় পরিণত হয়েছিল গেমিং। আর এখন,
কয়েক বছর ধরে ই-স্পোর্টস নামে পরিচিত প্রতিযোগিতামূলক এই পেশাদার গেমিং ধারাবাহিকভাবে
জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ইলেকট্রনিক স্পোর্টস বা সংক্ষেপে যাকে ই-স্পোর্টস বলা হয়, এর সাথে অন্য খেলার
পার্থক্য বলতে কেবল এটুকুই যে, এখানে দর্শকরা শারীরিক আয়োজনের বদলে ভার্চ্যুয়াল জগতে বসে খেলা
উপভোগ করেন। বিভিন্ন লিগ বা টিমের খেলোয়াড়রা একই সময় একই গেমে অংশগ্রহণ করেন এমন ‘অ্যাট-
হোম-গেমারস’দের কাছে জনপ্রিয় গেমের মধ্যে রয়েছে - ফোর্টনাইট, লিগ অব লিজেন্ডস, কাউন্টার-
স্ট্রাইক, কল অব ডিউটি, ওভারওয়াচ ও মেডেন এনএফএল।
বলা চলে, গেমাররা প্রতিযোগিতা ভালোবাসেন। প্রথমবারের মতো আয়োজিত ই-স্পোর্টস প্রতিযোগিতায়
বিজয়ী হিসেবে রোলিং স্টোন ম্যাগাজিনের বছরব্যাপী সাবস্ক্রিপশন থেকে শুরু করে মিলিয়ন ডলার জিতে
নেয়ার সুযোগ রয়েছে, যা ই-স্পোর্টস খাতের প্রবৃদ্ধিতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। গেমাররা যেমন
খেলতে পছন্দ করেন, তেমনি ফ্যানরাও তাদের খেলা দেখতে পছন্দ করেন। অনলাইন চ্যানেল বা লাইভ
ইভেন্টের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী লাখো ফ্যান এসব খেলা ফলো করেন ও নিয়মিত দেখেন। কিন্তু কথা হচ্ছে, ই-
স্পোর্টস কেন বিভিন্ন আঙ্গিক থেকে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, এ খাতের ভবিষ্যতই বা কি?
রোমাঞ্চকর ও উত্তেজনায় ভরপুর এবং অংশগ্রহণ করতে পারেন যে কেউ
বিশ্বের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে গত কয়েকবছরে ই-স্পোর্টস খাত অভাবনীয়
প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এ খাতের দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়ার পেছনের অন্যতম
প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে টুইচের মতো স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলো, যে কারণে দর্শকরা পছন্দের খেলা
দেখার সুযোগ পাচ্ছেন। পাশাপাশি, এটির দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠার আরেকটি কারণ হচ্ছে – সবার অংশগ্রহণ
করতে পারার সুযোগ। প্রথাগত খেলায় নানারকম শারিরীক বাধ্যবাধকতা থাকে, কিন্তু ডিজিটাল
প্ল্যাটফর্মের কারণে ই-স্পোর্টস অনেক কম সময়ে অনেক বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে। যেমন বলা
যেতে পারে, ১০০ জনের বিপরীতে আরও ১০০ জনের বাস্কেটবল খেলা, যা আদতে অসম্ভব; কারণ কোনো
বাস্কেটবল কোর্টেই ২০০ জন খেলোয়াড়কে জায়গা দেয়া সম্ভব নয়। অথচ ই-স্পোর্টসের ক্ষেত্রে এ
সংখ্যাটি অসীম হতে পারে। উল্লেখ্য, গেমারদের জন্য অনেক বেশি সুযোগ নিয়ে এসেছে ই-স্পোর্টস। এর
মাধ্যমে গেমারদের হাত ও চোখের সমন্বয়, যোগাযোগ দক্ষতা, ত্বরিত প্রতিক্রিয়া জানানো, দ্রুত
সিদ্ধান্ত নেয়া ও কৌশল নির্ধারণের মতো সক্ষমতাগুলো নিখুঁতভাবে শাণিত হয়। পাশাপাশি, রোমাঞ্চকর ই-
স্পোর্টস টুর্নামেন্টের হালনাগাদ সব খবর পাওয়া যাবে পারিম্যাচ নিউজে।
খেলা দেখার অভিজ্ঞতা
প্রতিযোগিতামূলক অনলাইন গেম দেখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে ডেস্কটপ, ল্যাপটপ,
স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটে ই-স্পোর্টস স্ট্রিমিং করা। আর এজন্য প্রয়োজন ইন্টারনেট সংযোগ ও একটি
অ্যাপ বা ব্রাউজার যেখানে লাইভ ম্যাচ উপভোগ করা যাবে। ই-স্পোর্টসের মূল বিষয়টিই হচ্ছে- পুরো
প্রতিযোগিতাটি যেকোনো জায়গা থেকে যেকোনো সময় দেখা সম্ভব। প্রিয় খেলোয়াড়কে ফলো করা বা তার
খেলা দেখা মোটেই সহজ কাজ নয়। তবে লাইভ স্ট্রিমিং, ইন্টারনেট সম্প্রচার ও বিশেষায়িত ই-স্পোর্টস
চ্যানেল থাকায় এই কাজটি এখন একদম সহজ হয়ে গেছে। ফ্যানরা এখন একটি ডিভাইসে কয়েকটি ক্লিক
করে খুব সহজেই দেখে নিতে পারেন খেলার সমস্ত খবর, ফলাফল বা পুরোনো খেলার হাইলাইটস। আর ই-
স্পোর্টসের সেরা খেলোয়াড়দের বিষয়ে টিপস ও ট্রিকস এবং সুগভীর বিশ্লেষণের মাধ্যমে এ অভিজ্ঞতা
আরও সমৃদ্ধ করছে পারিম্যাচ নিউজ।
প্রবৃদ্ধি ধারা
২০২৩ সালে ই-স্পোর্টস বাজার থেকে আয়ের সম্ভাব্য আকার হতে পারে ১,৬২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
যেখানে এই বাজারের সমন্বিত বাৎসরিক প্রবৃদ্ধির হার (সিএজিআর ২০২৩-২৭) হতে পারে ৮.৩১ শতাংশ।
আর এই হিসাবে, ২০২৭ সালে বাজারের সম্ভাব্য আকার গিয়ে দাঁড়াবে ২,২৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে। 1
পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ই-স্পোর্টস খাতের প্রবৃদ্ধি ঝড়ের গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে; এবং খুব
স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। বাংলাদেশেও সম্ভাবনাময় তরুণ খেলোয়াড়দের সংখ্যা ক্রমশ
বাড়ছে, যাদের মধ্যে অনেকেরই এই ইন্ডাস্ট্রিতে সফলভাবে ক্যারিয়ার গড়ে তোলার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশে
ই-স্পোর্টস খাতের জনপ্রিয়তা, মার্কেটিং, গ্রহণযোগ্যতা ও প্রতিযোগিতার সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হারে
বাড়ছে। বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা এই ইন্ডাস্ট্রিতে শ্রম ও সময় দিচ্ছেন, এর পেছনের অন্যতম মূল কারণ
টুর্নামেন্টের পুরস্কার। আগামীতে ই-স্পোর্টস খাত সবজায়গায় ছড়িয়ে যাবে এবং আশা করা যাচ্ছে,
বাংলাদেশেও অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাতে সক্ষম হবে।
আর এ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে, বিশ্বের নানান প্রান্তের বিভিন্ন রকম খেলার খবর প্রথমবারের মতো
বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে পারিম্যাচ নিউজ ।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে ‘একুশ আমার অহংকার’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভা আয়োজন
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘একুশ আমার অহংকার’ শীর্ষক
সেমিনার ও আলোচনা সভা আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের
মহাপরিচালক জনাব মোঃ কামরুজ্জামান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ জাতীয়
জাদুঘরের ইতিহাস ও ধ্রুপদী শিল্পকলা বিভাগের কীপার জনাব এ. কে. এম. সাইফুজ্জামান।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সমকালীন শিল্পকলা ও
বিশ্বসভ্যতা বিভাগের কীপার ড. বিজয় কৃষ্ণ বণিক এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের
জাতিতত্ত্ব অলংকরণ শিল্পকলা বিভাগের কীপার জনাব আসমা ফেরদৌসি। সভাপতিত্ব করেন
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুগ্ম সচিব এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সচিব জনাব
গাজী মোঃ ওয়ালি-উল-হক।
প্রায় এক লাখ দর্শনার্থীর সমাগমে শেষ হল বেসিস সফটএক্সপো ২০২৩
ঢাকা, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩: পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী
কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত চারদিনের বেসিস সফটএক্সপোর সমাপনী গত ২৬শে ফেব্রুয়ারি
সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়। এখানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও
বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সমাপনী অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা বক্তব্যে রাসেল টি আহমেদ জানান, ওয়েলকাম টু দ্যা
মেটাভার্স প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত চারদিনব্যাপী এই বেসিস সফট এক্সপোতে ২০০টির বেশি
প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে এবং ৯২ হাজার দর্শনার্থীরা অংশ নেন। এছাড়া
অংশগ্রহণকারী কোম্পানিগুলো ইতোমধ্যেই স্থানীয় ও বৈশ্বিকভাবে প্রায় একশ বিশ
কোটি টাকার সম্ভাব্য লিড পেয়েছে। ঢাকার বাইরে হলেও এটি একটি মাইলফলক বলেও
উল্লেখ করেন তিনি।
এই সফটএক্সপোর সহযোগী হিসেবে ছিল হুয়াওয়ে। অন্য এক আলাপচারিতায় হুয়াওয়ের
সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার বোর্ড মেম্বার জেসন লি বলেন, “ডিজিটাল
বাংলাদেশের যাত্রায়, হুয়াওয়ে শীর্ষস্থানীয় আইসিটি প্রযুক্তি এবং সেবা প্রদানের
মাধ্যমে অবদান রেখেছে। বর্তমানে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে যাত্রা শুরু করেছি।
আমরা বিশ্বাস করি যে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণের জন্য ক্লাউড কম্পিউটিং
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই সফটএক্সপোতে, আমরা নীতিনির্ধারক, ইকোসিষ্টেম
এবং ইন্ডাস্ট্রি সহযোগীদের সাথে হুয়াওয়ে ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের বিভিন্ন ব্যবহারের
ক্ষেত্র ও সুবিধাসমূহ প্রদর্শন এবং আলোচনা করেছি। শিল্পের চাহিদা পূরণ করতে
ক্লাউড কম্পিউটিং- এর উল্লেখযোগ্য বিকাশ এবং আমাদের সক্ষমতা সবার কাছে তুলে
ধরার জন্য এটি সত্যিই একটি ভাল সুযোগ“
এর আগে ‘5G and IoT - Opportunities for BGD Telecom and Software Industry’
শীর্ষক একটি সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার মার্কেটিং
ডিরেক্টর এস এম নাজমুল হাসান।
স্যামসাংয়ের আয়োজনে কে-পপ কনসার্ট
[ঢাকা, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩] বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে অনুকরণীয় সম্পর্কের উদাহরণ
হিসেবে কোরিয়া সপ্তাহ ২০২৩ উদযাপন করা হয়েছে। এ আয়োজনের অংশ হিসেবে, কোরিয়া সপ্তাহের
‘শোকেস কোরিয়া ২০২৩’ মেলায় স্যামসাংয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের প্রথম কে-পপ কনসার্ট
আয়োজিত হয়। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় অনুষ্ঠিত হয় জনপ্রিয় কে-পপ
ব্যান্ড ও তায়কোয়ান্দো দলের এ মনোমুগ্ধকর পারফরমেন্স।
দু’দিনব্যাপী এ মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি
শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, এমপি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে
উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই -এর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন; এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে
উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত লি জাং কিউন।
অতিথিদের নিবন্ধন ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্য দিয়ে সকাল সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। পরে
প্রধান অতিথি বেলা দেড়টায় ফিতা কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। দুই দিনব্যাপী ২৫ ও ২৬
ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে কোরীয় পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করতে প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ
করে ৪০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান। অতিথি ও দর্শনার্থীদের সামনে কোরিয়ার সঙ্গীত ও সংস্কৃতি
প্রদর্শনের অংশ হিসেবে কে-পপ কনসার্টের আয়োজন করা হয় স্যামসাংয়ের পক্ষ থেকে। বাংলাদেশ
প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই কে-পপ কনসার্টে ছেলেদের গ্রুপ ‘ট্যান’ ও মেয়েদের গ্রুপ
‘আইসিইউ’ অংশ নেয়। পাশাপাশি, কোরীয় মার্শাল আর্ট তায়কোয়ান্দো প্রদর্শন করে ‘নলজা’।
আয়োজনটি স্যামসাংয়ের টাইটেল স্পন্সরে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া, অনুষ্ঠানে কনজ্যুমার
ইলেকট্রনিকস ও গ্যালাক্সি স্মার্টফোনের সর্বশেষ সংস্করণ প্রদর্শন করে স্যামসাং।
অনুষ্ঠানে স্যামসাংয়ের সদ্য উন্মোচিত ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন গ্যালাক্সি এস২৩ আলট্রা (২০০
মেগাপিক্সেল ক্যামেরা) প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া, সেখানে স্যামসাংয়ের ফ্রেম ও সেরিফ টিভির মতো
লাইফস্টাইল টিভির পাশাপাশি সর্বাধুনিক মডেলের টিভি, সদ্য উন্মোচিত বিস্পোক রেফ্রিজারেটর
এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা নিয়ন্ত্রণের সুবিধাযুক্ত ওয়াশিং মেশিন প্রদর্শন করা হয়।
ক্রেতাদের আস্থা ও পছন্দের জায়গা থেকে স্যামসাং মোবাইল ও স্যামসাং টিভি ইন্টারব্র্যান্ড
কর্তৃক সেরা ৫ গ্লোবাল ব্র্যান্ডের একটি এবং বাংলাদেশে সুপারব্র্যান্ডস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বন্ধুত্বের নিদর্শন সমুন্নত রাখতে ভূমিকা রাখছে স্যামসাং।
পাশাপাশি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে গর্বিত অংশীদার হিসেবে পাশে রয়েছে
স্যামসাং।
শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
নিরাপদ চিকিৎসা চাই সামাজিক সংগঠনের পক্ষ হতে স্বদেশ মৃত্তিকার আদর্শ বিদ্যানিকেতন কাঃচর শাখা শিক্ষার্থীদের স্কুল ব্যাগ বিতরণ
নিরাপদ চিকিৎসা চাই সামাজিক সংগঠনের পক্ষ হতে অমর একুশে ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ইং উপলক্ষে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মাঝে স্বদেশ মৃত্তিকার আদর্শ বিদ্যানিকেতন কাঃচর শাখা শিক্ষার্থীদের স্কুল ব্যাগ বিতরণ করা হয়I
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা অমর ২১শে ফেব্রয়ারী উদযাপন উপলক্ষে আজ নিরাপদ চিকিৎসা চাই সংগঠনের ব্যনারে ব্যপক কর্মসূচি
গ্রহণ করার মধ্য দিয়া ২১শে ফেব্রুয়ারী পালন করেনঃ
কর্মসূচির মধ্যে ছিল শিক্ষার্থীদের মধ্যে চিত্রাংঙ্গন প্রতিযোগীতা,নাচ গান,শিক্ষা সামগ্রী,স্কুল ব্যাগ বিতরণ মিলাদ মাহফিল,রাজপথ প্রদক্ষিন,বর্নাঢ্য র্যলি ও শহীদ মিনারের পাদপ্রান্তে পুষ্পস্তবক অর্পণে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনঃ কর্মসূচির অংশ হিসাবে
জাতীয় শহীদ মিনারে নিরাপদ চিকিৎসা চাই সংগঠনের ব্যনারে একটি বর্নাঢ্য র্যলি কর্মসূচি পালনের মধ্যদিয়ে অমর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
কামরাঙ্গীর চর স্বদেশমৃত্তিকা বিদ্যানিকেতনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা সামগ্রী স্কুল ব্যগ বিতরণ ও মহান ২১শে ফেব্রুয়ারীর তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা শেষে পূনরায় বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
উপস্থিত ছিলেন স্বদেশমৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান মোঃ আকবর হোসেন। উপদেষ্টা ডাঃএস এম হাবিবুর রহমান। মহাসচিব তানিয়া শেখ,সি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম রহমান, ও সাব্বির হোসেন
নিরাপদ চিকিৎসা চাই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান যুবরাজ খান। সহসভাপতি মোঃ জমশেদ আলী খান, প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব উম্মে সালমা, যুগ্মমহাসচিব এম.ইমরান আহমেদ প্রমূখ।
বেসিস সফটএক্সপো ২০২৩ -এর ফাইভজি পার্টনার গ্রামীণফোন
[ঢাকা, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩] ‘বেসিস সফটএক্সপো ২০২৩’ –এ ফাইভজি পার্টনার হিসেবে যুক্ত হয়েছে
ডিজিটাল কানেক্টিভিটি পার্টনার গ্রামীণফোন। দেশের সবচেয়ে বড় এ সফটওয়্যার এক্সপো শুরু হয়েছে গত
২৩ ফেব্রুয়ারি এবং চলবে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এ প্রদর্শনীতে প্রদর্শন করা হচ্ছে দেশের
আইটি এবং আইটিইএস খাতের উদ্ভাবনী সব পণ্য এবং সার্ভিস। এক্সপো’র ফাইভজি পার্টনার
গ্রামীণফোন এক্সপো’তে নিজেদের স্টলে (পি২৪, হল ২) ফাইভজি প্রযুক্তির বিভিন্ন উদ্ভাবনী ও
ভবিষ্যতমুখী ব্যবহার প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রেখেছে। গ্রামীণফোনের স্টল পরিদর্শন করে দর্শনার্থীরা
ফাইভজি’র সম্ভাবনা সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারছেন।
গ্রামীণফোনের স্টলে ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি, রোবোটিক আর্ম, রিয়েল-টাইম রিমোট ভিউয়িং-সহ ৩৬০-ডিগ্রি
ক্যামেরা, স্পিড টেস্ট এবং এমন অন্যান্য আকর্ষণীয় আয়োজনের মাধ্যমে হাজারো দর্শনার্থী চিকিৎসা,
কৃষি, অবকাঠামো ও বিনোদন-সহ বিবিধ ক্ষেত্রে ফাইভজি’র যুগান্তকারী পরিবর্তন সক্ষমতা প্রসঙ্গে
জানতে পারছেন। তারা ভিআর হেডসেট, কনসার্ট এবং টেক-শো'র পাশাপাশি গেমিং উপভোগ করছেন, যা
পুরোপুরি গ্রামীণফোনের ফাইভজি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। ‘ওয়েলকাম টু দ্য স্মার্টভার্স’
(স্মার্টভার্সে স্বাগতম) – সফটএক্সপো’র এই প্রতিপাদ্যের সাথে একাত্ম হয়ে উপস্থিত দর্শনার্থীদের
মাঝে ডিজিটাল এবং ইন্টারনেট প্রযুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে উৎসাহ জাগানো এবং প্রযুক্তিখাতের
নির্ভরযোগ্য অংশীদার ও শীর্ষ নেটওয়ার্ক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশে উদ্ভাবনী প্রযুক্তির
সম্ভাবনা ছড়িয়ে দেওয়াই ফাইভজি পার্টনার গ্রামীণফোনের মূল লক্ষ্য।
এ নিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, “ফাইভজি যোগাযোগ ও প্রযুক্তিখাতে
অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসবে। যার ফলে, কর্মদক্ষতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাবে এবং আমাদের ‘স্মার্ট
বাংলাদেশ' গঠনের লক্ষ্য অর্জন ত্বরাণ্বিত করার ক্ষেত্রে নতুন নতুন শিল্পখাতকে সংযুক্ত করবে। তরুণ
প্রজন্মসহ সবাইকে ভবিষ্যতের অফুরন্ত সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে এবং ডিজিটাল সাক্ষরতার মাধ্যমে
কীভাবে আগামীর রূপান্তরের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করা যায় সে সম্পর্কে ধারনা পেতে উল্লেখযোগ্য
ভূমিকা রাখছে এ এক্সপো।” তিনি আরও বলেন, “একটি ভবিষ্যতমুখী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণফোন
সফটএক্সপো’র অংশ হতে পেরে গর্বিত। চমৎকার সমন্বয় ও সহযোগিতার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ
প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার জন্য বেসিসসহ এই উদ্যোগের সকল পার্টনারদের ধন্যবাদ।”
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে আয়োজিত ৪ দিনব্যাপী এই প্রদর্শনীতে
মেলার পাশাপাশি বিভিন্ন আলোচনা, সংলাপ এবং সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে আলোকপাত করা হবে
ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি, ফাইভজি, আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংস), টেকসই উন্নয়নে শিল্পখাতে
ফোরআইআর -এর প্রভাব, দেশীয় প্রেক্ষাপটে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার, প্রযুক্তি খাতে
লিঙ্গ-ভারসাম্য, সাইবার নিরাপত্তা ও ডেটা সায়েন্সের মত বিষয়ে। আইসিটি খাতের প্রতিষ্ঠানসমূহ,
বিশেষজ্ঞবৃন্দ, নীতিনির্ধারক এবং অন্যান্য আইসিটি অংশীজনদের মাঝে সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে স্থানীয়
এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে উন্নত সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি এই এক্সিবিশনের অন্যতম মূল উদ্দেশ্য।
প্রাণিসম্পদের বিস্তৃতির মাধ্যমে সুস্বাদু মাংস বিদেশে রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
ঢাকা, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ (শনিবার)
সারাদেশে প্রাণিসম্পদের বিস্তৃতির মাধ্যমে সুস্বাদু মাংস বিদেশে রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র সংলগ্ন পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৩ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিদেশে বাংলাদেশের মাংসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে সারাদেশে প্রাণিসম্পদকে বিস্তৃত করে সুস্বাদু মাংস আমরা বিদেশে রপ্তানি করবো। এ জন্য প্রস্তুতি হিসাবে রোগমুক্ত গবাদিপশু উৎপাদনে জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে প্রতিটি উপজেলায় ভ্রাম্যমান ক্লিনিক করে দেওয়া হয়েছে। প্রাণীর কাছে হাসপাতাল পৌঁছে যাবে, প্রাণীকে হাসপাতালে আসতে হবে না।
দেশে উৎপাদিত মাংস নিরাপদ উল্লেখ করে এসময় মন্ত্রী বলেন, হঠাৎ করে কিছু লোক বলল ফার্মের মুরগি ক্ষতিকর। এগুলো খাওয়া যাবে না। কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দেখা গেছে ব্রয়লার মুরগি কোনভাবেই মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর নয়। গবেষণা মাধ্যমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সুবর্ণ মুরগি উদ্ভাবন করেছে, যার স্বাদ, গন্ধ, রং দেশি মুরগির মতো। দেশে উৎপাদিত দুধ, ডিম, মাংস ক্ষতিকর কিনা তা পরীক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাণিসম্পদ খাত বিকশিত হওয়ায় বেকারত্ব লাঘব হয়েছে। পাশাপাশি উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। এছাড়া গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হয়েছে। এ খাতে বিনিয়োগকারীরা উদ্যোক্তা হয়ে গর্বের সাথে বলেন, আমি বেকার না, আমি উদ্যোক্তা, আমার খামার আছে। এভাবে আমরা পোল্ট্রি, ডেইরি তথা লাইভস্টক খাতকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। যার সূচনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার নেতৃত্বেই সর্বপ্রথম উন্নত প্রজাতির গবাদিপশু দেশে আনা হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আরও বলেন , একটা সময় কোরবানির আগে দুশ্চিন্তায় থাকতে হতো, ভারত-মিয়ানমার থেকে গবাদিপশু না আসলে কোরবানি করা সম্ভব হবে না। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এবং প্রধানত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশনায় এবং তার সরকারের পরিকল্পনা, সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতায় প্রাণিসম্পদ খাত আজ বিকশিত হয়েছে। এখন আর বিদেশ নির্ভর নয় বরং কোরবানির সময় বাজারে এক দশমাংশ পশু অবিক্রিত থাকে। এ সাফল্য হঠাৎ করে আসেনি। এক্ষেত্রে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধ করা, অনুপ্রাণিত করা ও সহায়তা করায় রাষ্ট্রের ভূমিকা ছিল।
মানুষের মৌলিক চাহিদার একটা অংশ খাবারের নিশ্চয়তা প্রাণিসম্পদ খাত থেকে আসছে। করোনা পরিস্থিতিতে সরকার মানুষের খাবারের চাহিদা মিটিয়েছে, উৎপাদনকারীদের সহায়তা করেছে, বিপণন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করেছে। করোনার মধ্যে ভ্রাম্যমান বিক্রয়ে অভাবনীয় সাফল্য ছিল। মানুষের দোরগোড়ায় দুধ, ডিম, মাছ, মাংস বিক্রয় করা হয়েছে। রমজানে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম, মাংস ব্যবস্থা বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে- জানান মন্ত্রী।
তিনি আরো জানান পোল্ট্রি ফিড, অ্যানিমেল ফিডসহ এ খাতে যারা অন্য কারখানা করতে চায়, বিদেশ থেকে তাদের যে উপাদান আনতে হয় তার উপর কর রেয়াত দেওয়া হয়েছে। প্রাণিসম্পদ খাতে যারা দেশে কারখানা স্থাপন করতে চায় তাদের মেশিনারিজ আমদানির উপর শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে। স্বল্প সুদে ও দ্রুততম সময়ের মধ্যে খামারিদের কৃষি ঋণের ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে। এ খাতে যেখানে যে সহযোগিতা দরকার, শেখ হাসিনা সরকার পাশে রয়েছে।
সরকারি-বেসরকারি খাত সম্মিলিতভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী এ সময় আরো বলেন, সরকার প্রাণিসম্পদ খাতের খামারি ও উদ্যোক্তাদের পাশে আছে।
প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ঘুরলে বোঝা যাবে এ খাতে কত বিস্ময়কর বিপ্লব হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়শনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন প্রমুখ।
এর আগে মন্ত্রী বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে ঢাকায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৩ এর উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন এবং খামারিদের সাথে মতবিনিময় করেন।
শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
ভয়েস ফর সেফ ফুড ও নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চ কর্তৃক নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
ভয়েস ফর সেফ ফুড ও নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চ কর্তৃক নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শুক্রবার ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ভয়েস ফর সেফ ফুড ও নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চ কর্তৃক নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক মত বিনিময় সভা ৪৫ পশ্চিম আগারগাও, ঢাকাতে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
উক্ত জনসচেতনতামূলক মতবিনিময় সভায় নিরাপদ খাদ্যের গুরুত্ব নিয়ে দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা করা হয়।
মত বিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ভয়েস ফর সেফ ফুড ও নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চ এর চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রান, সভা পরিচালনায় ছিলেন Voice for Safe Food ও নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চ এর মহাসচিব মোঃ আকবর হোসেন।
এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেনভয়েস ফর সেফ ফুড ও নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চ এর ভাইস চেয়ারম্যান ডাঃ এস এম হাবিবুর রহমান, অর্থ সম্পাদক তানিয়া শেখ, দপ্তর সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রাশিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক উম্মে সালমা,ক্রীড়া সম্পাদক শাহবাল আহমেদ জনি, যুগ্ম প্রচার সম্পাদক সাদনাম সাব্বির ও মোঃ আজমল মাস্টার।
মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
স্বদেশ মৃত্তিকায় মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত, স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের ঢাকা, নরসিংদী, এবং কামরাঙ্গীরচর স্কুলের সুবিধা বঞ্চিত শিশুরা শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, র্যালি, দেশাত্ববোধক গানে এবং নৃত্যের মাধ্যমে পালন করেছে ভাষা দিবস।
স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা উদ্যোগে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় পালিত হয়েছে মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এদিন সকাল ৭ টায় স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদযানিকেতন শাখা-২, নরসিংদী, সকাল ১০ টায় স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদযানিকেতন শাখা-১, ঢাকা ও সকাল ৯ টায় স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদযানিকেতন শাখা-৩, ঢাকা কামরাঙ্গীরচর শহীদ মিনারে বিনম্র শ্রদ্ধার সহিত পুস্পস্তবক প্রদানের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের প্রতি বিনীত সম্মান জ্ঞাপন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় ঢাকা আগারগাঁও, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার মহাসচিব তানিয়া শেখ, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার উপদেষ্টা ডাঃ এস এম হাবিবুর রহমান, নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চের ভাইস ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শাহবাল আহমেদ জনি, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সাগর, প্রচার সম্পাদক সাদমান সাব্বির স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন আগারগাঁও শাখার শিক্ষক রাশিদা আক্তার, সোহাগি আক্তার, মোঃ আসাদুল্লাহ, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান মোঃ আকবর হোসেন নেতৃত্বে র্যালি আগারগাঁওয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মিনারের এসে শেষ হয়। পরে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ও শিশুদের মাঝে ভাষা দিবস নিয়ে হয় আলোচনা এবং শহিদদের আত্বার মাগফিরাতের জন্য মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
নরসিংদী শাখার আয়োজিত শিক্ষক কান্তা শেখের নেতৃত্বে শান্তা শেখ ও সানজিদা আক্তার নরসিংদী স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শহিদ মিনারে পুষ্প অর্পণ, র্যালী, দেশাত্ববোধক গানে নৃত্য পরিবেশন করে ভাষা দিবস পালন করে।
এছাড়াও কামরাঙ্গীচর শাখার আয়োজিত সাধারণ সম্পাদক উম্মে সালমার নেতৃত্বে, অর্থ সম্পাদক গোলাম রহমান, শিক্ষক শাহানাজ পারভিন সহ আরো অনেকের উপস্থিতিতে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, দেশাত্ববোধক গানে নৃত্য পরিবেশন করে ভাষা দিবস পালন করে।
পরে বিকেল ৪ ঘটিকায় ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নিরাপদ চিকিৎসা চাই সামাজিক সংগঠনের সহযোগিতায় স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন কামরাঙ্গীচর শাখা ৩ এর সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে স্কুল ব্যাগ বিতরন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্টাতা চেয়ারম্যান জনাব যুবরাজ খান, প্রতিষ্টাতা মহাসচিব উম্মে সালমা, সিনিয়র সহ-সভাপতি জমসেদ আলী খান কিরন, যুগ্ম-সচিব- মোঃ ইমরান হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
চেয়ারম্যান সৈয়দ জাবেদন হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল আলম ও পলাশ ভুমি সহকারী কর্মকর্তা সিলভিয়া স্নিগ্ধা'র নেতৃত্বে শহীদ মিনারে বিনম্র শ্রদ্ধার সহিত পুস্পস্তবক প্রদানের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের প্রতি বিনীত সম্মান জ্ঞাপন করা হয়েছে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন কর্মকর্তাসহ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কারীউল্লাহ্ সরকার, মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান সেলিনা আক্তার। পরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয়পাটি, মুক্তিযুদ্ধ কমান্ড এবং বিভিন্ন স্কুল কলেজ এর পক্ষ থেকে ভাষা শহীদদের প্রতি পুস্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে বিনম্র শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদান করা হয়।
রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
নাগরিক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে যুবদের ক্ষমতায়ন: জাতীয় নাগরিক সচেতনতা সেমিনার সফলভাবে সমাপ্ত
(ঢাকা, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩): ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এবং ইউএসএআইডির
সহযোগিতায় জাগো ফাউন্ডেশন সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক সচেতনতা (National Civic Awareness) সেমিনার
আয়োজন করেছে, একটি ট্রেনিং প্রোগ্রাম যার লক্ষ্য নাগরিক শিক্ষার প্রচার এবং তরুণদের তাদের
সম্প্রদায়ের সাথে জড়িত হওয়ার জন্য ক্ষমতায়ন করা। নাগরিক শিক্ষার গুরুত্ব এবং তরুণদের ক্ষমতায়নের
জন্য কীভাবে এটিকে কাজে লাগানো যেতে পারে তা অন্বেষণ করতে সেমিনারটি বিভিন্ন পেশাজীবী, তরুণ নেতা
এবং নাগরিক শিক্ষা ও নীতির ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের সহ বিভিন্ন ব্যক্তিদের একত্রিত করেছে।
সেমিনারে "এলিভেটিং ইয়ুথ ভয়েস: অ্যা প্যানেল অন ইয়ুথ এমপাওয়ারমেন্ট থ্রু সিভিক এনগেজমেন্ট" নামে
একটি প্যানেল আলোচনা দেখানো হয়েছে, যা সঞ্চালনা করেছেন জাগো ফাউন্ডেশনের ফান্ডরেইজিং অ্যান্ড
গ্র্যান্টস ডিপার্টমেন্ট এর সহকারী পরিচালক এশা ফারুক। প্যানেলিস্ট হিসেবে ছিলেন ক্রেগ হালস্টেড,
আইআরআই-এর বাংলাদেশ প্রোগ্রামের আবাসিক প্রোগ্রাম ডিরেক্টর; সাদিয়া মাশারুফ, ইয়ুথ পলিসি ফোরাম,
বাংলাদেশ ফেলোশিপ টিমের প্রধান; এবং আনান হাসনাত, বাংলাদেশের নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ছাত্র।
প্যানেলিস্টরা তাদের দক্ষতা এবং অন্তর্দৃষ্টি ভাগ করে নিয়েছিলেন যে কীভাবে নাগরিক শিক্ষাকে দেশের
ভবিষ্যত গঠনে যুবকদের ভূমিকা তুলে ধরে তরুণদের ক্ষমতায়নের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। তারা সফল
যুব-নেতৃত্বাধীন উদ্যোগের বাস্তব উদাহরণও ভাগ করে নিয়েছে, দর্শকদের কীভাবে তারা আরও সক্রিয় হতে
পারে এবং তাদের সম্প্রদায়ে নিযুক্ত হতে পারে তা বিবেচনা করতে অনুপ্রাণিত করে।
প্যানেল আলোচনার পাশাপাশি, সেমিনারে রাজশাহী বিভাগের একদল তরুণ-তরুণীর একটি নাটক পরিবেশনাও
অন্তর্ভুক্ত ছিল, যার লক্ষ্য ছিল নাগরিক শিক্ষা এবং যুবকদের সম্পৃক্ততা প্রচার করা। নাটকটি
অংশগ্রহণকারীদের তাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে আরো সক্রিয় এবং নিযুক্ত হতে অনুপ্রাণিত করে।
সেমিনারে একটি জাতীয় বিতর্কও ছিল, যেখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে তরুণদের দুটি দল অংশগ্রহণ
করেছিল। বিতর্কটি নাগরিক শিক্ষায় যুবকদের সম্পৃক্ততার প্রচারের গুরুত্ব এবং এটি কীভাবে আরও সচেতন
এবং সক্রিয় নাগরিক তৈরি করতে সহায়তা করতে পারে তার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।
জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক জনাব করভী রাকসান্দ বলেন, “আমাদের যুবকদের
নাগরিক প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে নিয়োজিত করার জন্য ক্ষমতায়ন করা শুধুমাত্র একটি কর্তব্য নয়, সবার
জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যত গড়ার জন্য একটি মৌলিক পদক্ষেপ। আসুন আমরা একত্রিত হই এবং আমাদের
তরুণদের কণ্ঠস্বরকে উন্নীত করি, তাদেরকে তাদের সম্প্রদায়ে এবং এর বাইরেও ইতিবাচক পরিবর্তন
আনতে তাদের প্রয়োজনীয় প্ল্যাটফর্ম এবং নির্দেশনা প্রদান করি।”
বাংলাদেশে আইআরআই রেসিডেন্ট প্রোগ্রাম ডিরেক্টর, ক্রেগ হালস্টেড, বলেন, “সম্প্রদায় ও গণতন্ত্রের
ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্য, শক্তি এবং স্থিতিস্থাপকতার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলির মধ্যে একটি হল
সেমিনার, গোল টেবিল, আলোচনা এবং অন্যান্য ফোরামের আয়োজন ও সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রশিক্ষণ আয়োজনের
মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের ক্ষমতায়ন। বাস্তব অর্থে এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দিনে আপনার উপস্থিতি থেকে
[ঢাকা, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩] তরুণ প্রুজন্মের পছন্দের ব্র্যান্ড রিয়েলমি বিশ্বব্যাপী জিটি সিরিজের নতুন
ফ্ল্যাগশিপ ফোন নিয়ে আসছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশী সময় রাত ৮টায় স্পেনের বার্সেলোনায়
অনুষ্ঠিতব্য মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে অফলাইন লঞ্চ ইভেন্টের মাধ্যমে নতুন এই ফ্লাগশিপ ফোনটি
উন্মোচন করা হবে।
লঞ্চিং ইভেন্ট এই খাতের সবচেয়ে বড় আয়োজন মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস চলাকালীন অনুষ্ঠিত হবে। এই
ফোনে আছে বিশ্বের দ্রুততম চার্জিং সুবিধা (২৪০ ওয়াট), যা রিয়েলমি’র জন্য আরেকটি মাইলফলক এবং
ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতায় যোগ করবে নতুন মাত্রা। রিয়েলমি ভক্তদের জন্য ইভেন্টটি ইউটিউবে লাইভ
স্ট্রিম করা হবে। এই অনুষ্ঠানের অংশ হতে ক্লিক করুন - https://youtube.com/live/zAHrL8M4ttY।
রিয়েলমি বিশ্বাস করে যে, নিজের সীমাবদ্ধতার গণ্ডি পেরিয়ে নতুন সম্ভাবনা দ্বার খোলার চেষ্টা করাটা সবার
জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এমন একটি প্রয়াসের সাক্ষী হতে দেখুন রিয়েলমি’র অফলাইন লঞ্চ ইভেন্ট।
ফুটবল দলবদলে নতুন রেকর্ড এখন চেলসির!
ফুটবল দলবদলে নতুন রেকর্ড এখন চেলসির!
জানুয়ারি দলবদলে খরচে এগিয়ে যারা
আনুষ্ঠানিক ইতি টানা হয়ে গেল জানুয়ারির দলবদলের। তবে, অন্যবারের চেয়ে এবারের দলবদল ফুটবলপ্রেমীদের জন্য ছিল অনেক বেশি শ্বাসরুদ্ধকর – রোমাঞ্চকর অনেক দলবদলের সাক্ষী হয়েছে এবারের সিজন। এক্ষেত্রে, উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সৌদি ক্লাবে যাওয়ার করা। পাশাপাশি, চ্যাম্পিয়নস লিগকে সামনে রেখে নিজেদের দলকে শক্তিশালী করতে বিশ্বকাপের পর তারকাখ্যাতি পাওয়া উদীয়মান খেলোয়ারদের নিয়ে বড় দলগুলোর দড়ি টানাটানিতো ছিলোই!
আসুন দেখে নেয়া যাক, কোন পাঁচটি দল এবারের দলবদলে খেলোয়ার কেনায় সবচেয়ে বেশি খরচ করলো।
চেলসি এফসি (৩২৮ মিলিয়ন ইউরো)
সর্বশেষ দলবদলে চেলসি আটজন খেলোয়ার কিনেছে। নতুন খেলোয়ার কিনতে দলটি এবার খরচ করেছে সর্বমোট ৩২৮ মিলিয়ন ইউরো! যা এবারের দলবদলে সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করা ক্লাবে তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দলের চেয়ে প্রায় ২৬০ মিলিয়ন ইউরো বেশি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে দলবদলের রেকর্ড ভেঙে বিশ্বকাপ বিজয়ী আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজ দলে ভিড়িয়েছে চেলসি। অন্যদিকে, ইউক্রেনের মিখাইলো মাদ্রিককে কিনেছে ৭০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে। এবারের দলবদলে চেলসির কেনা অন্যান্য খেলোয়ার হচ্ছেন: মালো গাস্তো, ননি মাদুয়েকে, বেনোয়া বাদিয়াশিলে, ডেভিড দাত্রো ফোফানা এবং আন্দ্রেই সান্তোস। এছাড়াও, ক্লাবটি আতলেতিকো মাদ্রিদ থেকে ধারে এনেছে পর্তুগালের ফরোয়ার্ড জোয়াও ফেলিক্সকে।
সাউদাম্পটন এফসি – ৬৫.২৫ মিলিয়ন ইউরো
শুনতে অবাক লাগলেও, এবারের দলবদলে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সাউদাম্পটন। ইংলিশ এ ক্লাবটি এবারের দলবদলে ফ্রান্সের লিগ আঁ’র ক্লাব রেঁনে থেকে দলে ভিড়িয়েছে কামালদিন সুলেমানাকে। সুলেমানাকে নিজেদের করতে ক্লাবটিকে খরচ করতে হয়েছে ২৫ মিলিয়ন ইউরো। এছাড়াও, কে. আর. সি. জেঙ্ক থেকে ১৮ মিলিয়ন ইউরোতে কিনেছে পল অনুয়াচুকে এবং আর্জেন্টিনার উদীয়মান খেলোয়ার কার্লোস আলকারাজকে দলে ভিড়িয়েছে ১৩.৭ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে। পাশাপাশি, সাউদাম্পটন মিসলাভ ওরসিক ও জেমস ব্রি’কে কিনেছে যথাক্রমে ৫.৮ মিলিয়ন ইউরো ও ৯ লাখ ইউরো খরচ করে।
আর্সেনাল এফসি – ৬০.৩ মিলিয়ন ইউরো
এবারের সিজনজুড়েই দুর্দান্ত খেলছে আর্সেনাল। এখনও পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগের টাইটেল দৌড়ে খুব ভালোভাবেই আছে দলটি, লড়াই করছে নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে। এবারের দলবদলে আর্সেনাল কিনেছে ইয়াকুব কিভিওর, লিয়ানদ্রো ট্রোসার্দ ও জর্জিনহোর মতো দুর্দান্ত কিছু খেলোয়ার। এ তিন খেলোয়ারের ট্রান্সফার ফি’র পেছনে ক্লাবটি খরচ করেছে যথাক্রমে ২৫ মিলিয়ন, ২৪ মিলিয়ন ও ১১.৩ মিলিয়ন ইউরো। এ তিন খেলোয়ার নিয়ে ক্লাবের সমর্থকদের প্রত্যাশার পারদও অনেক উঁচুতে। এবার দেখা যাক, সিজনের দ্বিতীয়ার্ধে এ খেলোয়ারদের ওপর আর্তেতা ম্যাজিক কাজ করে কি না?
বোর্নমাউথ এফসি – ৫৬.২ মিলিয়ন ইউরো
এবারের দলবদলে বোর্নমাউথও রয়েছে সেরা খরুচে ক্লাবের তালিকায়। পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকলেও খেলোয়ার কেনায় পিছিয়ে নেই ক্লাবটি। ইউক্রেনের ডিফেন্ডার ইলিয়া জাবারনিকে কিনেছে ২২.৭ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে। লঁরিয়ে থেকে ড্যাঙ্গো ওউত্তারাকে কিনেছে ২২.৫ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে। এছাড়াও, ইংলিশ এ ক্লাবটি ব্রিস্টল সিটি থেকে ১০.৩ মিলিয়ন ইউরোতে কিনেছে আন্তোয়নি সেমেনিওকে। এখন বাকি শুধু পয়েন্ট টেবিলে উত্তরণ!
নিউকাসল ইউনাইটেড – ৪৯.৩ মিলিয়ন ইউরো
এবারের দলবদলে সবমিলিয়ে ৪৯.৩ মিলিয়ন ইউরো খরচ করেছে নিউকাসল ইউনাইটেড। এর মধ্যে অ্যান্থনি গর্ডনকেই কিনতে ক্লাবটি খরচ করেছে ৪৫ মিলিয়ন ইউরো! এছাড়াও, ক্লাবটি ওয়েস্ট হ্যাম থেকে দলে ভিড়িয়েছে হ্যারিসন অ্যাশবিকে, যাকে কিনতে ক্লাবটির খরচ হয়েছে প্রায় ৩ মিলিয়ন ইউরো।
ওপরের সংখ্যাগুলো দেখলেই মনে হয়, নিজেদের সামর্থকে আরও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে কোনো প্রচেষ্টাই বাদ দেয়নি এ ক্লাবগুলো। একইসাথে দলবদলে কিছু ক্লাবের ব্যয় তাদের ফাইন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। এবার অপেক্ষার পালা, সিজনের বাকি ম্যাচগুলো নিয়ে।
মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
ভালোবাসা দিবসে স্বদেশ মৃত্তিকার সুবিধা বঞ্চিত শিশুরা পেল স্কুলড্রেস
পহেলা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে আনন্দ, বিনোদন ও ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে উপহার হিসেবে একটি স্কুলড্রেস পেয়ে আনন্দে আত্মহারা স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের সুবিধবঞ্চিত শিশুরা।
দিন বদলের চেষ্টায় মংগলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভালোবাসা দিবসে এভাবেই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের হাতে স্কুলড্রেস তুলে দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী একটি সামাজিক সংগঠন স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা। আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনের সামনে সুবিধাবঞ্চিত ৭০ শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্কুলডেসগুলো বিতরণ করা হয়।
উপযুক্ত শিক্ষার মাধ্যমে শিশুদের স্বপ্ন বিকশিত হতে সহায়তা করতেই এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থাটি।
উক্ত অনুষ্ঠানে স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা্র চেয়ারম্যান মোঃ আকবর হোসেনের সভা্তিত্বে প্রধান অতিথি অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা্র উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী হাফিজুল্লাহ হায়দার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা্র উপদেষ্টা ডাঃ এস এম হাবিবুর রহমান, ও বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী শেখ মাসুদ, রিতিকা হায়দার, স্টুডেন্ট এডুকেশনাল এসোসিয়েশনের চেয়াম্যান মোঃ গোলাম রাহমান, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা্র তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সাগর, স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের শিক্ষক রাশিদা আক্তার, সোহাগি আক্তার , আমিনুল ইসলাম মিন্টু, প্রতিষ্ঠাতা ও 'সহ সভাপতি' "প্রভাত সমাজকল্যাণ সংস্থা" এছাড়াও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার জ্ঞানী গুনি ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান পরিচালনয় ছিলেন স্বদেশমৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক ও স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার মহাসচিব তানিয়া শেখ
স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ আকবর হোসেন বলেন, এসব শিশুদের কখনই স্কুলডেস কেনার সামর্থ্য ছিল না। আমরা শুধু উপহার দিয়ে শিশুদের সঙ্গে শিক্ষার বন্ধনকে দৃঢ় করতে চেয়েছি। এ ধরনের উদ্যোগ আমরা সবদিকে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। এ উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের জন্য।
তিনি আরো বলেন আজ ওরা স্কুল ড্রেস পেলো। বাচ্চারা কাল থেকে নতুন স্কুল ড্রেস পরে স্কুলে যাবে। চোখে মুখে কত আনন্দ। ওদের আনন্দ দেখে সুখে আমার নিজের চোখেই জল এসে গিয়েছিল।
স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা্র উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী হাফিজুল্লাহ হায়দার জানান আমাদের প্রিয় স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা সামাজিক সংগঠনটি সময়ের উদ্ভাবনী ধারণা ও ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যমে দিন বদলের চেষ্টায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। শিশুদের আনন্দ ও উচ্ছ্বাসই তাদের সর্বোচ্চ প্রাপ্তি।
স্বদেশমৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক ও স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার মহাসচিব তানিয়া শেখ বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে নানা প্রতিকূলতা স্বত্বেও স্বদেশমৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে বদ্ধপরিকর এবং তাদের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।
ডাঃ এস এম হাবিবুর রহমান তার বক্তব্যে সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে কোমলমতি শিশুদের সুকুমার বৃত্তি বিকাশে এবং তাদের উপযুক্ত শিক্ষাদানের মাধ্যমে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
স্টুডেন্ট এডুকেশনাল এসোসিয়েশনের চেয়াম্যান মোঃ গোলাম রাহমান বলেন সুবিধা বঞ্চিত ও পথশিশুদের পাশে দাঁড়ানো সমাজের প্রতিটি মানুষেরই কর্তব্য। আমাদের দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা সুবিধা বঞ্চিত ও পথশিশুদের পাশে দাঁড়িয়েছি। তাদের পাশে দাঁড়ানোর অনুভুতিটা সবাই ফিল করতে পারে না। সমাজের প্রতিটি মানুষ যদি তাদের পাশে দাঁড়ায় তাহলে সুবিধা বঞ্চিত শিশুরা আর সুবিধা বঞ্চিত থাকবে না। তারাও এক সময় স্বাবলম্বি হয়ে উঠবে।
সুবিধা বঞ্চিত ২য় শ্রেণীর শিশু সুমাইয়া জানায়, সব মানুষ আমাদেরকে ভালোবাসে না। আমাদের থাকার মতো কোনো বাড়ি-ঘর নাই। আমাদের জামা-কাপড়ও সবসময় থাকেনা। যখন বড় ভাইয়েরা আমাদেরকে খাবার বা জামা-কাপড় দেয় তখন আামাদের অনেক খুশি লাগে। আজও আমাদের জন্য স্কুল্ডড্রেস আনছে। আমরা এগুলো পেয়ে অনেক খুশি হয়েছি।
সহযোগিতায়ঃ Muhammad Noorus Sabah ও মোঃ গোলাম রাহমান
শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
শাহসুফী সৈয়দ মইন উদ্দিন আহমেদ মাইজভান্ডারী (কঃ) এর খোশরোজ শরীফ উজ্জাপন।
শুক্রবার মহান ২৭শে মাঘ, শাহসুফী সৈয়দ মইন উদ্দিন আহমেদ মাইজভান্ডারী (কঃ) এর খোশরোজ শরীফ উজ্জাপন।
শাহসুফী ডাঃ এস এম হাবিবুর রহমান আল মাইজভান্ডারীর সভাপতিত্বেঃ সুফী সমাবেশ আলোচনা ও দোয়ার মাহফিল। ঢাকা আগারগাও যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে।
এ খোশরাজ শরীফ উপলক্ষে দরবারে হাবিবীয়া মাইজভান্ডারীয়া ও সুফী সংঘের উদ্যেগে শুক্রবার এই কর্মসূচি পালিত হয়। এর মধ্যে ছিল খতমে কুরআন, খতমে গাউছিয়া, মাইজভান্ডারী দর্শন’র ওপর আলাচনা, ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিল।
শুক্রবার বাদ জুমা মাইজভান্ডারী দর্শনের ওপর সুফী সমাবেশ আলোচনা ও দোয়ার মাহফিলে বক্তব্য রাখেন,মাওলানা মোবারক হোসেন, হাফেজ কারী মাওলানা আব্দুল রব, বীর মুক্তি যোদ্ধা নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী, বীর মুক্তি যোদ্ধা আবুল কাসেম আরিফ,ইঞ্জিনিয়ার রাশেদুল ইসলাম,মোঃ আজমল হোসেন মাস্টার, মোঃ আবুল হোসেন মিঠু, মোঃ আঃ ওয়াদুদ,মোঃ মোশাররফ হোসেন মল্লিক, মোঃ রেজাউল সরকার ও ভক্তবৃন্দ।
সুফী সমাবেশ আলোচনা ও দোয়ার মাহফিল সঞ্চালনায় ছিলেন মোঃ আকবর হোসেন।
শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
বাপার জামালপুর আয়োজনে মানব বন্ধন ও আলোচনা সভা
স্টাফ রির্পোটারঃ “প্রান প্রকৃতি বেঁচে থাকার জন্য জলাভ‚মি অপরিহার্য” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে “বিশ^ জলাভ‚মি দিবস-২০২৩” উদযাপনের লক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জামালপুর জেলা শাখা মানব বন্ধন ও আলোচনা সভার আয়োজন করে।
গতকাল ৪ ফ্রেব্রƒয়ারী/২৩ সকাল ১১ টায় শহরের পিটিআই গেইটে এক মানব বন্ধনে “জলাধার ভরাট কেন ক্ষতিকর” এ বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন বাপার সদস্যবৃন্দ।
মানব বন্ধন শেষে এসপিকে‘র হলরুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সুশিল সমাজ,বেসরকারী এনজিও, শিক্ষক,ডাক্তার,প্রকৌশলী, মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক সহ প্রায় ৪০টি সংগঠনের প্রতিনিধীদের সমন্বেয়ে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, বাপা জামালপুর জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি এ,কে এম মাহবুবুর রহমান মহব্বত। প্রধান অতিথী ছিলেন , পরিবেশ অধিদপ্তর, জামালপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ মাসুদ রানা । বিশেষ অতিথী ছিলেন বাপা‘র কেন্দ্রিয় নির্বাহী সদস্য ইবনুল সাঈদ রানা।
বাপা জামালপুর জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ এনামুল হকের সঞ্চালনায় “বিশ^ জলাভ‚মি দিবসে-২০২৩” “ জামালপুর জেলার জলাভ‚মির অবস্থা” বিষয়ক কি-নোট পেপার এর মাধ্যমে জেলার জলাভূমির অবস্থা ও পরিসংখ্যান উপস্থাপন করা হলে -এর উপর বক্তব্য রাখেন. বাপা‘ জামালপুর জেলা শাখার যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, নির্বাহী সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ মুনরুজ্জামান খান, রাশিদা ফারুকী, সহ-সভাপতি, বাপা, জামালপুর জেলা শাখা, মোঃ ছামিউল হাসান শামিম, ব্যাংকার ও সদস্য, বাপা,জামালপুর জেলা শাখা, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম সরকার, কোষাধক্ষ্য, বাপা, জামালপুর জেলা শাখা, এড, বিপ্লব দে বাচ্চু, আইনজীবি ও সহ-সভাপতি, বাপা, জামালপুর জেলা শাখার, রাজু আহম্মেদ, পারী ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট, জামালপুর। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সংবিধানের ১৮ “ক” অনুচ্ছেদে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র সংরক্ষনের কথা বলা হয়েছে। রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যত নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষন ও উন্নয়ন করবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ,জীববৈচিত্র, জলাভ‚মি, বন ও বন্য প্রানী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করবেন। যা সরকারের পরিবেশ বান্ধব নীতির প্রতিফলন হিসাবে বিবেচনা করা যায়।
প্রধান অতিথী পরিবেশ অধিদপ্তর,জামালপুর এর সহকারী পরিচালক মোঃ মাসুদ রানা বলেন, প্রান প্রকৃতি রক্ষায় বাপার ভ‚মিকাকে স্বাগত জানাই এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের সাথে সহায়ক হিসাবে পরিবেশ নিয়ে কাজ করার জন্য সকলকে আহবান জানান। ভাল কাজে সরকারের তথা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগীতা অব্যহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অদ্যকার সভার সভাপতি সকলকে উক্ত কার্যক্রমে তথা মানবব্ধন ও আলোচনা অনুষ্ঠানে সকলের সহযোগীতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষনা করেন।
“বিশ জলাভুমি দিবস- ২০২৩” উদযাপন বাপা্র জামাল্পুর
বাপার জামালুরের আয়োজনে মানব বন্ধন ও আলোচনা সভা স্টাফ রির্পোটারঃ
“প্রান প্রকৃতি বেঁচে থাকার জন্য জলাভ‚মি অপরিহার্য” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে “বিশ জলাভুমি
দিবস- ২০২৩” উদযাপনের লক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জামালপুর জেলা শাখা
মানব বন্ধন ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। গতকাল ৪ ফ্রেব্রƒয়ারী/২৩ সকাল ১১ টায় শহরের
পিটিআই গেইটে এক মানব বন্ধনে “জলাধার ভরাট কেন ক্ষতিকর” এ বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন
বাপার সদস্যবৃন্দ। মানব বন্ধন শেষে এসপিকে‘র হলরুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সুশিল সমাজ,বেসরকারী এনজিও, শিক্ষক,ডাক্তার,প্রকৌশলী, মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক
সহ প্রায় ৪০টি সংগঠনের প্রতিনিধীদের সমন্বেয়ে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, বাপা
জামালপুর জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি এ,কে এম মাহবুবুর রহমান মহব্বত। প্রধান অতিথী
ছিলেন , পরিবেশ অধিদপ্তর, জামালপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ মাসুদ রানা
। বিশেষ অতিথী ছিলেন বাপা‘র কেন্দ্রিয় নির্বাহী সদস্য ইবনুল সাঈদ রানা। বাপা
জামালপুর জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ এনামুল হকের সঞ্চালনায় “বিশ^ জলাভ‚মি
দিবসে-২০২৩” “ জামালপুর জেলার জলাভ‚মির অবস্থা” বিষয়ক কি-নোট পেপার এর মাধ্যমে
জেলার জলাভূমির অবস্থা ও পরিসংখ্যান উপস্থাপন করা হলে -এর উপর বক্তব্য রাখেন. বাপা‘
জামালপুর জেলা শাখার যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, নির্বাহী সহ-সভাপতি
অধ্যক্ষ মোঃ মুনরুজ্জামান খান, রাশিদা ফারুকী, সহ-সভাপতি, বাপা, জামালপুর জেলা
শাখা, মোঃ ছামিউল হাসান শামিম, ব্যাংকার ও সদস্য, বাপা,জামালপুর জেলা শাখা,
মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম সরকার, কোষাধক্ষ্য, বাপা, জামালপুর জেলা শাখা, এড, বিপ্লব দে
বাচ্চু, আইনজীবি ও সহ- সভাপতি, বাপা, জামালপুর জেলা শাখার, রাজু আহম্মেদ, পারী
ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট, জামালপুর। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সংবিধানের ১৮ “ক” অনুচ্ছেদে
পরিবেশ ও জীববৈচিত্র সংরক্ষনের কথা বলা হয়েছে। রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যত নাগরিকদের
জন্য পরিবেশ সংরক্ষন ও উন্নয়ন করবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ,জীববৈচিত্র, জলাভ‚মি, বন ও
বন্য প্রানী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করবেন। যা সরকারের পরিবেশ বান্ধব নীতির
প্রতিফলন হিসাবে বিবেচনা করা যায়। প্রধান অতিথী পরিবেশ অধিদপ্তর,জামালপুর এর সহকারী
পরিচালক মোঃ মাসুদ রানা বলেন, প্রান প্রকৃতি রক্ষায় বাপার ভ‚মিকাকে স্বাগত জানাই
এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের সাথে সহায়ক হিসাবে পরিবেশ নিয়ে কাজ করার জন্য সকলকে আহবান
জানান। ভাল কাজে সরকারের তথা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগীতা অব্যহত থাকবে বলে তিনি
আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অদ্যকার সভার সভাপতি সকলকে উক্ত কার্যক্রমে তথা মানবব্ধন ও
আলোচনা অনুষ্ঠানে সকলের সহযোগীতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষনা করেন।
জামালপুরে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস পালিত
জামালপুরে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস পালিত
জামালপুরে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস পালিত। নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চ, এসপিকে , নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, তৃনমুল উন্নয়ন সংস্থা, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস এর আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। জামালপুর পিটিআই মোর এসপিকে এর অডিটরিয়ামে অনুষ্টিত জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসের আলোচনা সভা পরিচালনা করেন এসপিকে এর নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক। সভায় উপস্থিত ছিলেন এসপিকে এর কর্মকর্তা বৃন্দ এবং জামালপুর এলাকার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
জামালপুরে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস পালিত। নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চ, এসপিকে , নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, তৃনমুল উন্নয়ন সংস্থা, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস এর আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। জামালপুর পিটিআই মোর এসপিকে এর অডিটরিয়ামে অনুষ্টিত জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসের আলোচনা সভা পরিচালনা করেন এসপিকে এর নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক। সভায় উপস্থিত ছিলেন এসপিকে এর কর্মকর্তা বৃন্দ
স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার বিশ্ব জলাভূমি দিবস পালন।
স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার বিশ্ব জলাভূমি দিবস পালন।
বিশ্ব জলাভূমি দিবস ২ ফেব্রুয়ারি। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, জীববৈচিত্র্য, কৃষি, পর্যটনসহ নানা ক্ষেত্রে এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো জলাভূমি। প্রতিবছর ২ ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী পালন করা হয় জলাভূমি দিবস।
তারই ধারাবাহিকতায় ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে ঢাকা আগারগাঁও কামরাংগীরচর ও নরসিংদী, দিবসটি পালিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা্র চেয়ারম্যান মোঃ আকবর হোসেন, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার মহাসচিব তানিয়া শেখ,কামরাংগীরচর কমিটির সভাপতি উম্মে সালমা, নরসিংদী কান্তা শেখ ,শান্তা শেখ,মাওলনা মোঃ আসাদুল্লাহ,প্রচার সম্পাদক সাদমান সাব্বির ও স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের ছাত্র-ছাত্রী বৃন্দ।
জলাভূমি আমাদের কি কি উপকার করে নিম্নে উল্লেখ করা হলো
১) বন্যার সময় অতিরিক্ত পানি ধারণ করে বন্যার প্রকোপ কমিয়ে দেয়।
২) পানিতে দ্রবীভূত বিভিন্ন দুষিত রাসায়নিক পদার্থ জলাভূমিতে অবস্থিত গাছ-পালা শুষে নেয়; ফলে পরিষ্কার পানি ভূগর্ভে প্রবেশ করে যা আমরা নলকূপের মধ্যমে উত্তোলন করে পান করে থাকি এবং শিল্প ও কৃষি কাজে ব্যবহার করে থাকি।
৩) জলাভূমিকে বলা হয়ে থাকে মাছের অন্যতম গুরুত্বপূর্ন প্রজনন ক্ষেত্র।
৪) সামুদ্রিক জলাভূমি ঘূর্ণিঝড়ের সক্রিয়তা কমিয়ে দেয়।
৫) সামুদ্র উপকূলের জলাভূমি ভূমি ক্ষয় রোধ করে।
৬) জলাভূমি অতিথি পাখির অন্যতম আশ্রয়স্থল হিসাবে কাজ করে।
৭) শহরের ভিতরে অবস্থিত জলাভূমি গ্রীষ্মকালে দিনের বেলা শহরের তাপমাত্রা কমায় পানির বাষ্পিভবনের মাধ্যমে, অর্থাৎ প্রাকৃতিক এয়ারকন্ডিশনার হিসাবে কাজ করে।
৮) বিপরীত ক্রমে শহরের ভিতরে অবস্থিত জলাভূমি শীতকালে রাতের বেলা শহরের তাপমাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে বাতাসের মধ্যে তাপ বিকীরন করে, অর্থাৎ, গরম হিটার হিসাবে কাজ করে।
এই বিদ্যমান জলাভূমি রক্ষার পাশাপাশি জবরদখলকৃত জলাভূমি উদ্ধার ও মজে যাওয়া জলাভূমি সংস্কার করার উদ্যোগ নেয়া হোক। এই অঙ্গীকারই হোক আজ বিশ্ব জলাভূমি দিবসের
নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চের জাতীয় নিরাপদ খাদ্যদিবস পালন।
নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চের জাতীয় নিরাপদ খাদ্যদিবস পালন।
২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বৃহস্পতিবার বিকালে কেন্দ্রীয় ভাবে ঢাকা আগারগাঁও, কামরাংগীরচর, ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়া ও নরসিংদী পথসভা, র্যালীর লিফলেট বিতরণ ও ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজন করে voice for Safe Food (নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চ)।
এবারের জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে ‘নিরাপদ খাদ্য, সমৃদ্ধ জাতি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার চাবিকাঠি‘ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এই আয়োজন করা হয়।
নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চ চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা কেন্দ্রীয় ভাবে এই অনুষ্টানের উদ্বোধন করেন।
মহাসচিব মোঃ আকবর হোসেনের পরিচালনায় আলোচনা ও র্যালীতে অংশগ্রহণ করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেত্রী বৃন্দ।
বিকাল ৪ টায় আগারগাঁও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর থেকে র্যালী শুরু হয়ে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনে গিয়ে পথসভার মাধ্যমে শেষ হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন িরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চের ভাইস চেয়ারম্যান ডাঃ এস এম হাবিবুর রহমান, জি এম রোস্তম খান, মোর্শেদ আলম, জমশেদ আলী খান, রুনাল এন্ড্রোজ, বীর মুক্তি যোদ্ধা নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও পরিবেশ বিজ্ঞানী ড। মোঃ জাহাংগীর আলম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চের অর্থসম্পাদক তানিয়া শেখ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক লাবনী আহমেদ, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সাহবাল আহমেদ জনি,যুগ্ম প্রচার সম্পাদক সাদনাম সাব্বির,সাংগঠনিক সম্পাদক উম্মে সালমা, মোঃ শামীম হোসেন,অর্থ বিষয়ক সম্পাদক, ঢাকা জেলা শাখা, প্রভাত সমাজকল্যান সংস্থা ও মোঃ রইস উদ্দীন প্রভাত সমাজকল্যান সংস্থা।
উপস্থিত ছিলেন স্বদেশমৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের শিক্ষক বৃন্দ ও ছাত্র-ছাত্রী বৃন্দ।
বক্তাগণ বলেন, সুস্বাস্থ্য ছাড়া জীবনের সকল অর্জনই বৃথা। বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য যেমন প্রয়োজন, সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্যসম্মত নিরাপদ খাদ্য। যে খাদ্য দেহের জন্য ক্ষতিকর নয় বরং দেহের বৃদ্ধি, ক্ষয় পূরণ ও রোগ প্রতিরোধ করে তাই স্বাস্থ্যসম্মত বা নিরাপদ খাদ্য।
নিরাপদ খাদ্য মানুষের মৌলিক অধিকার। নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। তাই খাদ্য উৎপাদনকারী কৃষক, কোম্পানি, ভোক্তা থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ের মানুষকে সচেতন হতে হবে। খাদ্য উৎপাদন করতে কিটনাশক, স্যার বা অন্যান্য ক্যামিক্যালসহ যা ব্যবহার করছি তা অনুমোদিত কিনা, উৎপাদন, সংরক্ষণ, পরিবহণ বিপণন যথাযথ ও স্বাস্থ্যসম্মত প্রক্রিয়ায় হচ্ছে কিনা তার জন্য সবাইকে দায়িত্বশীলের ভূমিকা রাখতে হবে।
আমরা সবাই ভোক্তা প্রতিটি ভোক্তাকে উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদ আছে কিনা, কিকি উপাদান দিয়ে খাদ্যটি তৈরী ইত্যাদি বিষয় নিজ দায়িত্বে জানার মাধ্যমে নিজে সচেতন হতে হবে এবং অন্যকে সচেতন করার চেষ্টা করতে হবে।
নিরাপদ চিকিৎসা চাই (নিচিচা) মানববন্ধন কর্মসূচির
নিরাপদ চিকিৎসা চাই (নিচিচা) মানববন্ধন কর্মসূচির
নিরাপদ চিকিৎসা চাই (নিচিচা) সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে আজ ৪ঠা ফেব্রুয়ারী ২০২৩ইং রোজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। "চিকিৎসা সেবায় ব্যয় হ্রাসের জন্য স্বাস্থ্য বীমার গুরুত্ব"
বীমা বা ইন্সুইরেন্স হচ্ছে একধরনের বিপদের সময় প্রাপ্ত আর্থিক সুবিধা আর স্বাস্থ্য বীমা হলো অসুস্থতা বা দুর্ঘটনায় প্রাপ্ত চিকিৎসা খরচ।স্বাস্থ্যসেবার জন্য চিকিৎসার আর্থিক যোগান খুবই গুরুত্বপূর্ণ অন্যথায় বিনা চিকিৎসায় ধুকে ধুকে খুবই কষ্ট পেতে হয় পরিশেষে মৃত্যু বরন করতে হয়।আবার চিকিৎসার জন্য প্রতিবছর দরিদ্র পরিবার আরো দরিদ্র হচ্ছে। চিকিৎসার ব্যয় হ্রাস এবং দেশের জনগনকে দারিদ্র্যসীমা থেকে রক্ষা করার জন্য স্বাস্থ্য বীমার গুরুত্ব অপরিসীম। একগবেষনায় জানা যায় বাংলাদেশের সরকার জনগনকে নুন্যতম স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকে আর বাকীটা জনগন বাংলাদেশের রোগীরা ৭৫% নিজ উৎস থেকে মেটায়। দিন দিন অসংক্রামক রোগ,,জটিল রোগ দিন দিন বেড়েই চলছে। যেমন-ক্যান্সার,হ্নদরোগ,স্ট্রোক,লিভার,কিডনি,ডাবেটিকস আর দুর্ঘটায় কবলিত অংগহানী সহনীয় রোগীর সংখ্যা প্রতি বছর তুলনামুলক বেড়েই চলছে।আবার অন্যদিকে জন্মের পর প্রতিবন্ধী অটিজম,শারীরিক এইসব রোগী একজন অসচ্ছল বা মধ্যবিত্ত পরিবারের থাকে তাহলে তারাই বুঝে চিকিৎসার জন্য অর্থ যোগান দেয়া কতটা কষ্টকর। চিকিৎসার ব্যয়, ঔষধ এর আকাশচুম্বী দাম,পরীক্ষা-নিরীক্ষার খরচ,হাসপাতালের এডমিশন চার্য,বেড চার্য,ডাক্তার ফি,অপারেশন চার্য,ডায়ালাইসিস এর উচ্চতর চার্য,আইসিইউ, সিসিইউ,লাইফসাপোর্ট এমন অনেক চিকিৎসা খাত আছে যার ব্যয় ভার বহন করতে করতে ভুক্তভোগী রোগীর পরিবার নি:স্ব হয়ে যায় পরর্বতীতে এই পরিবারগুলো অসহায় মানবেতর জীবনযাপন করে।অন্যদিকে প্রতিবন্ধী আর দুর্ঘটনায় কবলিত রোগীরা চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি। চিকিৎসার জন্য ব্যয় মেটাতে মেটাতে পরিবারগুলো অসহায় দরিদ্র হয়ে পরছে।এমতাবস্থায় এর প্রতিকারের জন্য স্বাস্থবীমা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসার আকাশচুম্বী মুল্যের জন্য দেশের জনগনের একাংশ হাসপাতাল বা চিকিৎসকের নিকট যাচ্ছে না।এখন নির্মম সত্য হলো এই চিকিৎসার জন্য অনেক পরিবার নিজেদের সব সম্পত্তি হারিয়ে পথে বসেছে।এই সব অনাকাঙ্ক্ষিত সময় থেকে রক্ষার জন্য স্বাস্থবীমার গুরুত্ব রয়েছে।
স্বাস্থ্যবীমা বা ইন্সুইরেন্স হচ্ছে,,,বীমা কোম্পানির সাথে ব্যাক্তির একটি চুক্তি, ব্যাক্তির প্রদত্ত, প্রিমিয়ামের বিনিময়ে বীমা কোম্পানি আকস্মিক আর্থিক ক্ষতির জন্য ক্ষতিপুরন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া।এখন স্বাস্থ্য বীমা করা থাকলে ব্যাক্তির প্রদত্ত অর্থের কারনে বীমার সুবিধা পাবে উল্লেখিত ব্যক্তি ফলে চিকিৎসার জন্য বিপদে পরতে হবে না এবং দারিদ্র্যতার কষাঘাতে থেকে রক্ষা পাবে।বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই স্বাস্থ্য বীমার গুরুত্ব থাকলেও বাংলাদেশে এর তেমন কোন ভুমিকা নাই।যদিও স্বাস্থ্যবীমা চিকিৎসার নিশ্চয়তা প্রদান করে তবুও আমাদের দেশে স্বাস্থ্যসেবা গুরুত্বহীন হয়ে আছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একটি নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে স্বাস্থ্যসেবার জন্য মাথাপিছু প্রয়োজন হবে ১৪৬ ডলার। সেখানে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে মাথাপিছু ব্যয় ৪৬ ডলার, যার ৭৫ শতাংশ ব্যক্তির নিজের ব্যয়। ফলে আকস্মিক স্বাস্থ্য ব্যয় নিজের পকেট থেকে মেটাতে গিয়ে বাংলাদেশে প্রতিবছর জনগণের বিশাল অংশ দরিদ্র হয়ে পড়ছে।প্রতি বছর সারা বিশ্বে ১০কোটি মানুষ এই চিকিৎসার জন্য দরিদ্র থেকে হতদরিদ্র হচ্ছে।তাই দেশের নাগরিকদের দারিদ্র্যের কবল থেকে রক্ষা করতে স্বাস্থ্যবীমার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে।আগে টাকা দিবো পরে চিকিৎসা নিবো এই মানসিকতা থেকে বের করতে হবে। এই দায়িত্ব বীমা কোম্পানি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং সরকারীভাবে উদ্দ্যেগ নিতে হবে।জনগনকে আগ্রহী ও সচেতন করে স্বাস্থবীমার প্রচলন করে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন করার প্রতিও জোর দিতে হবে।
আজ মানববন্ধনের সভাপতি ছিলেন নিরাপদ চিকিৎসা চাই (নিচিচা) সামাজিক সংগঠন কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান যুবরাজ খান। সঞ্চালনে ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মোহাম্মদ জমসেদ আলী খান কিরন, বক্তব্য দিয়েছেন মো:আনোয়ার হোসেন শিপলু, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব উম্মে সালমা,ঢাকা মহানগর দক্ষিন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সালেহ আকবর এবং আরো অনেক নেতৃবৃন্দ।