শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

নিরাপদ চিকিৎসা চাই (নিচিচা) মানববন্ধন কর্মসূচির

নিরাপদ চিকিৎসা চাই (নিচিচা) মানববন্ধন কর্মসূচির
নিরাপদ চিকিৎসা চাই (নিচিচা) সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে আজ ৪ঠা ফেব্রুয়ারী ২০২৩ইং রোজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। "চিকিৎসা সেবায় ব্যয় হ্রাসের জন্য স্বাস্থ্য বীমার গুরুত্ব" বীমা বা ইন্সুইরেন্স হচ্ছে একধরনের বিপদের সময় প্রাপ্ত আর্থিক সুবিধা আর স্বাস্থ্য বীমা হলো অসুস্থতা বা দুর্ঘটনায় প্রাপ্ত চিকিৎসা খরচ।স্বাস্থ্যসেবার জন্য চিকিৎসার আর্থিক যোগান খুবই গুরুত্বপূর্ণ অন্যথায় বিনা চিকিৎসায় ধুকে ধুকে খুবই কষ্ট পেতে হয় পরিশেষে মৃত্যু বরন করতে হয়।আবার চিকিৎসার জন্য প্রতিবছর দরিদ্র পরিবার আরো দরিদ্র হচ্ছে। চিকিৎসার ব্যয় হ্রাস এবং দেশের জনগনকে দারিদ্র্যসীমা থেকে রক্ষা করার জন্য স্বাস্থ্য বীমার গুরুত্ব অপরিসীম। একগবেষনায় জানা যায় বাংলাদেশের সরকার জনগনকে নুন্যতম স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকে আর বাকীটা জনগন বাংলাদেশের রোগীরা ৭৫% নিজ উৎস থেকে মেটায়। দিন দিন অসংক্রামক রোগ,,জটিল রোগ দিন দিন বেড়েই চলছে। যেমন-ক্যান্সার,হ্নদরোগ,স্ট্রোক,লিভার,কিডনি,ডাবেটিকস আর দুর্ঘটায় কবলিত অংগহানী সহনীয় রোগীর সংখ্যা প্রতি বছর তুলনামুলক বেড়েই চলছে।আবার অন্যদিকে জন্মের পর প্রতিবন্ধী অটিজম,শারীরিক এইসব রোগী একজন অসচ্ছল বা মধ্যবিত্ত পরিবারের থাকে তাহলে তারাই বুঝে চিকিৎসার জন্য অর্থ যোগান দেয়া কতটা কষ্টকর। চিকিৎসার ব্যয়, ঔষধ এর আকাশচুম্বী দাম,পরীক্ষা-নিরীক্ষার খরচ,হাসপাতালের এডমিশন চার্য,বেড চার্য,ডাক্তার ফি,অপারেশন চার্য,ডায়ালাইসিস এর উচ্চতর চার্য,আইসিইউ, সিসিইউ,লাইফসাপোর্ট এমন অনেক চিকিৎসা খাত আছে যার ব্যয় ভার বহন করতে করতে ভুক্তভোগী রোগীর পরিবার নি:স্ব হয়ে যায় পরর্বতীতে এই পরিবারগুলো অসহায় মানবেতর জীবনযাপন করে।অন্যদিকে প্রতিবন্ধী আর দুর্ঘটনায় কবলিত রোগীরা চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি। চিকিৎসার জন্য ব্যয় মেটাতে মেটাতে পরিবারগুলো অসহায় দরিদ্র হয়ে পরছে।এমতাবস্থায় এর প্রতিকারের জন্য স্বাস্থবীমা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসার আকাশচুম্বী মুল্যের জন্য দেশের জনগনের একাংশ হাসপাতাল বা চিকিৎসকের নিকট যাচ্ছে না।এখন নির্মম সত্য হলো এই চিকিৎসার জন্য অনেক পরিবার নিজেদের সব সম্পত্তি হারিয়ে পথে বসেছে।এই সব অনাকাঙ্ক্ষিত সময় থেকে রক্ষার জন্য স্বাস্থবীমার গুরুত্ব রয়েছে।
স্বাস্থ্যবীমা বা ইন্সুইরেন্স হচ্ছে,,,বীমা কোম্পানির সাথে ব্যাক্তির একটি চুক্তি, ব্যাক্তির প্রদত্ত, প্রিমিয়ামের বিনিময়ে বীমা কোম্পানি আকস্মিক আর্থিক ক্ষতির জন্য ক্ষতিপুরন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া।এখন স্বাস্থ্য বীমা করা থাকলে ব্যাক্তির প্রদত্ত অর্থের কারনে বীমার সুবিধা পাবে উল্লেখিত ব্যক্তি ফলে চিকিৎসার জন্য বিপদে পরতে হবে না এবং দারিদ্র্যতার কষাঘাতে থেকে রক্ষা পাবে।বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই স্বাস্থ্য বীমার গুরুত্ব থাকলেও বাংলাদেশে এর তেমন কোন ভুমিকা নাই।যদিও স্বাস্থ্যবীমা চিকিৎসার নিশ্চয়তা প্রদান করে তবুও আমাদের দেশে স্বাস্থ্যসেবা গুরুত্বহীন হয়ে আছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একটি নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে স্বাস্থ্যসেবার জন্য মাথাপিছু প্রয়োজন হবে ১৪৬ ডলার। সেখানে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে মাথাপিছু ব্যয় ৪৬ ডলার, যার ৭৫ শতাংশ ব্যক্তির নিজের ব্যয়। ফলে আকস্মিক স্বাস্থ্য ব্যয় নিজের পকেট থেকে মেটাতে গিয়ে বাংলাদেশে প্রতিবছর জনগণের বিশাল অংশ দরিদ্র হয়ে পড়ছে।প্রতি বছর সারা বিশ্বে ১০কোটি মানুষ এই চিকিৎসার জন্য দরিদ্র থেকে হতদরিদ্র হচ্ছে।তাই দেশের নাগরিকদের দারিদ্র্যের কবল থেকে রক্ষা করতে স্বাস্থ্যবীমার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে।আগে টাকা দিবো পরে চিকিৎসা নিবো এই মানসিকতা থেকে বের করতে হবে। এই দায়িত্ব বীমা কোম্পানি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং সরকারীভাবে উদ্দ্যেগ নিতে হবে।জনগনকে আগ্রহী ও সচেতন করে স্বাস্থবীমার প্রচলন করে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন করার প্রতিও জোর দিতে হবে। আজ মানববন্ধনের সভাপতি ছিলেন নিরাপদ চিকিৎসা চাই (নিচিচা) সামাজিক সংগঠন কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান যুবরাজ খান। সঞ্চালনে ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মোহাম্মদ জমসেদ আলী খান কিরন, বক্তব্য দিয়েছেন মো:আনোয়ার হোসেন শিপলু, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব উম্মে সালমা,ঢাকা মহানগর দক্ষিন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সালেহ আকবর এবং আরো অনেক নেতৃবৃন্দ।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: