ফুটবল দলবদলে নতুন রেকর্ড এখন চেলসির!
জানুয়ারি দলবদলে খরচে এগিয়ে যারা
আনুষ্ঠানিক ইতি টানা হয়ে গেল জানুয়ারির দলবদলের। তবে, অন্যবারের চেয়ে এবারের দলবদল ফুটবলপ্রেমীদের জন্য ছিল অনেক বেশি শ্বাসরুদ্ধকর – রোমাঞ্চকর অনেক দলবদলের সাক্ষী হয়েছে এবারের সিজন। এক্ষেত্রে, উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সৌদি ক্লাবে যাওয়ার করা। পাশাপাশি, চ্যাম্পিয়নস লিগকে সামনে রেখে নিজেদের দলকে শক্তিশালী করতে বিশ্বকাপের পর তারকাখ্যাতি পাওয়া উদীয়মান খেলোয়ারদের নিয়ে বড় দলগুলোর দড়ি টানাটানিতো ছিলোই!
আসুন দেখে নেয়া যাক, কোন পাঁচটি দল এবারের দলবদলে খেলোয়ার কেনায় সবচেয়ে বেশি খরচ করলো।
চেলসি এফসি (৩২৮ মিলিয়ন ইউরো)
সর্বশেষ দলবদলে চেলসি আটজন খেলোয়ার কিনেছে। নতুন খেলোয়ার কিনতে দলটি এবার খরচ করেছে সর্বমোট ৩২৮ মিলিয়ন ইউরো! যা এবারের দলবদলে সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করা ক্লাবে তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দলের চেয়ে প্রায় ২৬০ মিলিয়ন ইউরো বেশি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে দলবদলের রেকর্ড ভেঙে বিশ্বকাপ বিজয়ী আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজ দলে ভিড়িয়েছে চেলসি। অন্যদিকে, ইউক্রেনের মিখাইলো মাদ্রিককে কিনেছে ৭০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে। এবারের দলবদলে চেলসির কেনা অন্যান্য খেলোয়ার হচ্ছেন: মালো গাস্তো, ননি মাদুয়েকে, বেনোয়া বাদিয়াশিলে, ডেভিড দাত্রো ফোফানা এবং আন্দ্রেই সান্তোস। এছাড়াও, ক্লাবটি আতলেতিকো মাদ্রিদ থেকে ধারে এনেছে পর্তুগালের ফরোয়ার্ড জোয়াও ফেলিক্সকে।
সাউদাম্পটন এফসি – ৬৫.২৫ মিলিয়ন ইউরো
শুনতে অবাক লাগলেও, এবারের দলবদলে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সাউদাম্পটন। ইংলিশ এ ক্লাবটি এবারের দলবদলে ফ্রান্সের লিগ আঁ’র ক্লাব রেঁনে থেকে দলে ভিড়িয়েছে কামালদিন সুলেমানাকে। সুলেমানাকে নিজেদের করতে ক্লাবটিকে খরচ করতে হয়েছে ২৫ মিলিয়ন ইউরো। এছাড়াও, কে. আর. সি. জেঙ্ক থেকে ১৮ মিলিয়ন ইউরোতে কিনেছে পল অনুয়াচুকে এবং আর্জেন্টিনার উদীয়মান খেলোয়ার কার্লোস আলকারাজকে দলে ভিড়িয়েছে ১৩.৭ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে। পাশাপাশি, সাউদাম্পটন মিসলাভ ওরসিক ও জেমস ব্রি’কে কিনেছে যথাক্রমে ৫.৮ মিলিয়ন ইউরো ও ৯ লাখ ইউরো খরচ করে।
আর্সেনাল এফসি – ৬০.৩ মিলিয়ন ইউরো
এবারের সিজনজুড়েই দুর্দান্ত খেলছে আর্সেনাল। এখনও পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগের টাইটেল দৌড়ে খুব ভালোভাবেই আছে দলটি, লড়াই করছে নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে। এবারের দলবদলে আর্সেনাল কিনেছে ইয়াকুব কিভিওর, লিয়ানদ্রো ট্রোসার্দ ও জর্জিনহোর মতো দুর্দান্ত কিছু খেলোয়ার। এ তিন খেলোয়ারের ট্রান্সফার ফি’র পেছনে ক্লাবটি খরচ করেছে যথাক্রমে ২৫ মিলিয়ন, ২৪ মিলিয়ন ও ১১.৩ মিলিয়ন ইউরো। এ তিন খেলোয়ার নিয়ে ক্লাবের সমর্থকদের প্রত্যাশার পারদও অনেক উঁচুতে। এবার দেখা যাক, সিজনের দ্বিতীয়ার্ধে এ খেলোয়ারদের ওপর আর্তেতা ম্যাজিক কাজ করে কি না?
বোর্নমাউথ এফসি – ৫৬.২ মিলিয়ন ইউরো
এবারের দলবদলে বোর্নমাউথও রয়েছে সেরা খরুচে ক্লাবের তালিকায়। পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকলেও খেলোয়ার কেনায় পিছিয়ে নেই ক্লাবটি। ইউক্রেনের ডিফেন্ডার ইলিয়া জাবারনিকে কিনেছে ২২.৭ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে। লঁরিয়ে থেকে ড্যাঙ্গো ওউত্তারাকে কিনেছে ২২.৫ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে। এছাড়াও, ইংলিশ এ ক্লাবটি ব্রিস্টল সিটি থেকে ১০.৩ মিলিয়ন ইউরোতে কিনেছে আন্তোয়নি সেমেনিওকে। এখন বাকি শুধু পয়েন্ট টেবিলে উত্তরণ!
নিউকাসল ইউনাইটেড – ৪৯.৩ মিলিয়ন ইউরো
এবারের দলবদলে সবমিলিয়ে ৪৯.৩ মিলিয়ন ইউরো খরচ করেছে নিউকাসল ইউনাইটেড। এর মধ্যে অ্যান্থনি গর্ডনকেই কিনতে ক্লাবটি খরচ করেছে ৪৫ মিলিয়ন ইউরো! এছাড়াও, ক্লাবটি ওয়েস্ট হ্যাম থেকে দলে ভিড়িয়েছে হ্যারিসন অ্যাশবিকে, যাকে কিনতে ক্লাবটির খরচ হয়েছে প্রায় ৩ মিলিয়ন ইউরো।
ওপরের সংখ্যাগুলো দেখলেই মনে হয়, নিজেদের সামর্থকে আরও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে কোনো প্রচেষ্টাই বাদ দেয়নি এ ক্লাবগুলো। একইসাথে দলবদলে কিছু ক্লাবের ব্যয় তাদের ফাইন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। এবার অপেক্ষার পালা, সিজনের বাকি ম্যাচগুলো নিয়ে।
রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
Author: Swadeshsomoy24.com
Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.
0 coment rios: