বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০২৩

সৌদিতে বাস দুর্ঘটনা: নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা বেড়ে ১৮

সৌদিতে বাস দুর্ঘটনা: নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা বেড়ে ১৮

ওমরাহ করতে যাওয়ার পথে সৌদি আরবে আকাবা শারে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা বেড়ে ১৮ জন হয়েছে।
বুধবার (২৯ মার্চ) জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের প্রথম সচিব (শ্রম) আরিফুজ্জামান দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বাড়ার এ খবর জানান। এই ১৮ জন হলেন- নোয়াখালীর সেনবাগের শরিয়তউল্লাহর ছেলে শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগরের আব্দুল আউয়ালের ছেলে মামুন মিয়া, নোয়াখালীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন, কুমিল্লার মুরাদ নগরের রাসেল মোল্লা, কক্সবাজারের মহেশখালীর মো. আসিফ, গাজীপুরের টঙ্গীর আব্দুল লতিফের ছেলে মো. ইমাম হোসাইন রনি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কালু মিয়ার ছেলে রুকু মিয়া, কক্সবাজারের মহেশখালীর শাফাতুল ইসলাম, কুমিল্লার দেবিদ্বারের গিয়াস হামিদ, যশোরের কোতোয়ালির মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, কক্সবাজারের রামু উপজেলার কাদের হোসাইনের ছেলে মোহাম্মদ হোসেন, খাইরুল ইসলাম, রুহুল আমিন, তুষার মজুমদার, মিরাজ হোসাইন, সাকিব এবং রানা মিয়া। সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন আল আখবারিয়া জানিয়েছে, ওমরাহযাত্রীদের বাসটি খামিস মুশাইত শহর থেকে রওনা হয়ে মক্কায় যাচ্ছিল। স্থানীয় সময় সোমবার বিকাল ৪টার দিকে আসির প্রদেশের আকাবা শার সড়কে সেটি দুর্ঘটনায় পড়ে। একটি সেতুর ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি পাহাড়ি দেয়ালে ধাক্কা খায় এবং আগুন ধরে যায়। বাসটির ব্রেকে সমস্যা হয়েছিল বলে জানানো হয়েছে সৌদি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে। ওই বাসের ৪৭ জন যাত্রীর মধ্যে ৩৪ জনই ছিলেন বাংলাদেশি। দুর্ঘটনায় মোট ২২ জন নিহত হন। আহত ১৬ বাংলাদেশির মধ্যে কয়েকজন এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধাাদের প্রতি জাহান আরা নিশি সাংস্কৃতিক ও সমাজকল্যাণ ফাউন্ডেশনের শ্রদ্ধা নিবেদন

বীর মুক্তিযোদ্ধাাদের প্রতি জাহান আরা নিশি সাংস্কৃতিক ও সমাজকল্যাণ ফাউন্ডেশনের শ্রদ্ধা নিবেদন

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৩ এ জাহান আরা নিশি সাংস্কৃতিক ও সমাজকল্যাণ ফাউন্ডেশন( রেজিঃ ঢ ০৮৫১০ ) ও ‘জাহান আরা নিশি বাংলা সংস্কৃতি বিদ্যাপীঠ’ এর পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়। সাভারের নবীনগরস্থ জাতীয় স্সৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার জন্য উপস্থিত হন সংস্থাটির নেতৃবৃন্দ ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ। জাহান আরা নিশি সাংস্কৃতিক ও সমাজকল্যাণ ফাউন্ডেসনের সাধারণ সম্পাদক ও জাহান আরা নিশি বাংলা সংস্কৃতি বিদ্যাপীঠের পরিচালক স্বপন কুমার হালদার এর নেতৃত্বে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জনাব আকবর হোসেন, লে. ক. বিভা রানী মিস্ত্রী(অব:),আফিয়া আক্তার আবেদা, প্রনব চক্রবর্তী জনাব নাহিদ হোসেন খান, তোফায়েল আহমেদ, মোঃ রিয়াজ উদ্ দিন, নিপু সরকার, সপ্রতিভ, সুপ্রিয়, পলাশ, গোলাম রাব্বানীসহ সংস্থার অন্যতম সদস্যবৃন্দ|
সংস্থার সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার হালদার তার অভিব্যক্তিতে বলেন “জাহান আরা নিশি সাংস্কৃতিক ও সমাজকল্যাণ ফাউণ্ডেসন ও জাহান আরা নিশি বাংলা সংস্কৃতি বিদ্যাপীঠ শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চায় কাজ করছে। দেশের জন্য যারা জীবন বাজী রেখে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তাঁদের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হবে। জাতীর পিতার ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তুলতে আমরা সবাই কাজ করছি। বাংলাদেশ আজ জাতির পিতার সুযোগ্য কণ্যার অতুলনীয় নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে অগ্রসর হচ্ছে। অবশ্যই আমরা একদিন আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছে যাব। আমাদের চিন্তা, চেতনা, মেধা ও মননে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে ধারণ করে ভবিষ্যত প্রজন্মকে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করে সচেতন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে এ ধরনের জাতীয় আয়োজনে সকলকে নিয়ে উপস্থিত থাকতে হবে। শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে মানুষের আত্মিক উন্নয়নের সাথে সাথে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য আমাদের আরও আন্তরিক হতে হবে।” তিনি জাহান আরা নিশি সাংস্কৃতিক ও সমাজকল্যাণ ফাউণ্ডেসনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়ে শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চায় অবদান রাখতে এবং জাহান আরা নিশি বাংলা সংস্কৃতি বিদ্যাপীঠে শুদ্ধ সঙ্গীত চর্চায় গর্বিত অংশীদার হতে সকলকে আহবান জানান।

শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০২৩

বঙ্গবন্ধু ও তাঁর মাকে নিয়ে কটূক্তি করায় বিএনপি নেতা আটক

বঙ্গবন্ধু ও তাঁর মাকে নিয়ে কটূক্তি করায় বিএনপি নেতা আটক

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর মাকে নিয়ে কটূক্তি করায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী রুবায়েত হাসান সায়েমকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাতে নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়া নয়াপাড়ার ৯৭/১ নম্বর বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ ডিবির কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ ও বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন

স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ ও বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন

পবিত্র রমজানুল মোবারক উপলক্ষে আজ শনিবার ঢাকা ঝলক ফাউন্ডেশন আয়োজিত মরহুমা জেসমিন রহমানের মৃত্যু বাষিকী উপলক্ষ্যে দোয়া মাহফিল ও স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ ও বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ২ রমজান (২৫ মার্চ ২০২৩), শনিবারে রাজধানীর আগারগাঁও, স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনে এ ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে ঝলক ফাউন্ডেশন। ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মনসুর আহমেদ চৌধুরী,প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি, ইমপ্যাক্ট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ,সভাপতিত্ব করেন লায়ন ড. জাহিদ আহমেদ চৌধুরী, প্রতিষ্ঠাতা ঝলক ফাউন্ডেশন, মিসেস জাহিদ, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন লায়ন গোলাম সরোয়ার মানিক, চেয়ারম্যান, প্রযুক্তি ও প্রজন্ম ফাউন্ডেশন, তানিয়া শেখ মহাসচিব, স্বদেশমৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা, সাদমান সাব্বির, প্রচার সম্পাদক, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা,হাফেজ মাওলানা আসাদুল্লাহ, শিক্ষক রাশিদা আক্তারসহ অন্যান্য ব্যাক্তরবর্গ্।

শুক্রবার, ২৪ মার্চ, ২০২৩

রমজানের প্রথম দিনেই জমে উঠেছে  ঢাকার ইফতার বাজার

রমজানের প্রথম দিনেই জমে উঠেছে ঢাকার ইফতার বাজার

বছর ঘুরে আবারও এলো পবিত্র মাহে রমজান। রমজানের প্রথম দিনেই প্রতি বছরের মতো এবারও দেখা গেল পুরান ঢাকার রাস্তায় চিরচেনা দৃশ্য। এমাথা থেকে ওমাথা, ভরে উঠেছে হরেক রকমের ইফতারির আইটেমে। চৈত্রের বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে তার ঘ্রাণ। ইতিহাস বলে, ঢাকার এই এলাকার ইফতারির এমন ঐতিহ্য চার শতাব্দীর। আদিকালে এখানে ইফতার করাকে বলা হতো ‘রোজা খোলাই’। রোজা খোলাই শব্দটি অনেক পাঠকের কাছে নতুন মনে হলেও রমজান মাসে পুরান ঢাকার আদি বাসিন্দারা এই শব্দটির ব্যবহারে এখনও অভ্যস্ত। ইফতারি বানানোর রেওয়াজ পুরান ঢাকা এলাকার প্রতি ঘরে ঘরে। তারপরও বাইরের খাবারে আকর্ষণ যেন ছাড়ে না। সে কারণেই বাইরের ইফতারির টান সেই আদিকাল থেকেই চলে আসছে। রমজান মাসজুড়ে তাই এই আদি জনপদে ইফতারির যেন মেলা বসে। পুরান ঢাকার চকবাজার, নাজিরাবাজার, রায়সাহেব বাজার, নারিন্দাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আজ শুক্রবার রোজার প্রথম দিনেই দেখা গেছে ইফতার ব্যবসায়ীদের হাঁকডাক। ইফতারি ব্যবসায়ী আলামিন মণ্ডল বলেন, ‘এ বছর দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য ইফতার তৈরির সামগ্রী কিনতে একটু কষ্ট হচ্ছে। তবুও আশা করছি বারবারের মতো এবারও জমজমাট ইফতারি উপহার দিতে পারব। কিছু ইফতারির দাম বেড়েছে, আর কিছুর দাম ঠিক রেখে আকারে ছোট করা হয়েছে।’

বুধবার, ২২ মার্চ, ২০২৩

স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন, কামারাঙ্গীচর স্কুল শাখায় দরিদ্র ও অসহায় ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ

স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন, কামারাঙ্গীচর স্কুল শাখায় দরিদ্র ও অসহায় ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ

স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন, কামারাঙ্গীচর স্কুল শাখায় দরিদ্র ও অসহায় ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ
[ঢাকা, ২২ মার্চ ২০২৩] পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে আজ ২২ মার্চ ২০২৩ বিকাল ৫ ঘতিকায়। স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন, কামারাঙ্গীচর স্কুল শাখায় দরিদ্র ও অসহায় ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবারের মাঝে - মা ও শিশু সংস্হার বাস্তবায়নে ও নিরাপদ চিকিৎসা চাই (নিচিচা) এর আয়োজনে প্রায় শতাধিক পরিবারের জন্য ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এই মহতি অনুষ্ঠানে উপস্হিত ছিলেন মা ও শিশু সংস্থার প্রতিনিধি ও নিচিচার মহাসচিব উম্মে সালমা, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা চেয়ারম্যান মো: আকবর হোসেন, মহাসচিব তানিয়া শেখ, স্বদেশ মৃত্তিকার অন্যতম উপদেষ্টা ও নিচিচার সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান এম.এ.এইচ. শিপলুসহ ব্রাকের এনজিওর কমকতা এবং স্কুলের শিক্ষক শাহনাজ পারভীন।
ইফতার উপহার পেয়ে খুব খুশি তারা বলেন আমাগো লাইগা অনেক কিছু করতাছে। আমাদের বাচ্চাদের লেখা-পড়া শিখাইতাছে আবার রোজা শুরুর আগেই ইফতারের জিনিস পাইলাম।’
দেশের কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি

দেশের কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি

দেশের আকাশে আজ বুধবার পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামী শুক্রবার দেশে রোজা শুরু হচ্ছে। আজ সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। পবিত্র রমজান মাস কবে শুরু হবে, এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক আজ অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সভাকক্ষে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকের পর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা শায়লা শারমীন প্রথম আলোকে বলেন, আজ দেশের আকাশে কোথাও চাঁদ দেখা যায়নি। তাই আগামী শুক্রবার রোজা শুরু হবে। এ হিসাবে আগামী ১৮ এপ্রিল দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে আজকের সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। এ সময় চাঁদ দেখা কমিটির অন্য সদস্য ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রমজান উপলক্ষে এফ২১ প্রো ফাইভজি এবং এ৭৭ স্মার্টফোনের দাম কমালো অপো

রমজান উপলক্ষে এফ২১ প্রো ফাইভজি এবং এ৭৭ স্মার্টফোনের দাম কমালো অপো

রমজান উপলক্ষে এফ২১ প্রো ফাইভজি এবং এ৭৭ স্মার্টফোনের দাম কমালো অপো
[ঢাকা, ২২ মার্চ ২০২৩] আসন্ন রমজান ও ঈদের আমেজ আরও বাড়িয়ে তুলতে, অপো এর জনপ্রিয় এফ২১ প্রো ফাইভজি ও এ৭৭ (৪জিবি র‌্যাম +৪জিবি পর্যন্ত র‌্যাম সম্প্রসারণ, মোট ৮ জিবি) এই দু’টি ডিভাইসে আকর্ষণীয় মূল্যছাড় দিচ্ছে। অপো ফ্যানদের মধ্যে রমজান ও ঈদের আনন্দ দ্বিগুণ করতে ব্র্যান্ডটি এফ২১ প্রো ফাইভজি ফোনের দাম ৩৭,৯৯০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩৪,৯৯০ টাকা এবং এ৭৭ ফোনের মূল্য ২২,৯৯০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৯,৯৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে। এই উৎসবের মৌসুমে ব্যবহারকারীরা সাশ্রয়ী মূল্যে সেরা স্মার্টফোন অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন। অপো এফ২১ প্রো ফাইভজি ডিভাইসে রয়েছে কোয়ালকম® স্ন্যাপড্রাগন™ ৬৯৫ ফাইভজি মোবাইল প্ল্যাটফর্ম। এটি ব্যবহারকারীদের জন্য সুপার-ফাস্ট ইন্টারনেট নিশ্চিত করবে। এই ডিভাইসে ভয়েস ওভার এলটিই আছে, যা ব্যবহারকারীদের ভয়েসের গুণমানকে প্রভাবিত না করে নেটওয়ার্কে একযোগে ভয়েস ও ডেটা পাঠাতে সক্ষম করে। এফ২১ প্রো ফাইভজি ডিভাইসটিতে রয়েছে নতুন আল্ট্রা-স্লিম রেট্রো ডিজাইন, সাথে ডুয়াল অরবিট লাইট। এফ২১ প্রো ফাইভজি ফোনে ৬৪ মেগাপিক্সেল হাই-রেজ্যুলেশনের মেইন ক্যামেরা, ২ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো ক্যামেরা, ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ ক্যামেরা ও ১৬ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা আছে। এছাড়া, চমৎকার ছবি তোলার জন্য আছে বেশ কিছু দুর্দান্ত ইমেজিং ফিচার। এই স্মার্টফোনে আরও আছে ৬.৪ ইঞ্চি পাঞ্চ হোল অ্যামোলেড এফএইচডি+ ডিসপ্লে সহ ৬০ হার্জ রিফ্রেশ রেট, ৪ হাজার ৫০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ও ৩৩ ওয়াট সুপারভুক ফ্ল্যাশ চার্জিং প্রযুক্তি। অন্যদিকে, অপো এ৭৭ ফোনে আছে ৩৩ ওয়াট সুপারভুক চার্জিং প্রযুক্তি, ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি এবং ৮জিবি পর্যন্ত র‌্যাম সম্প্রসারণ সুবিধা (সাথে ১২৮জিবি স্টোরেজ)। এই ফোনে আছে দৃষ্টিনন্দন প্রিমিয়াম অপো গ্লো ফ্ল্যাট-এজ ডিজাইন এবং সর্বোচ্চ সক্ষমতা নিশ্চিত করতে হেলিও জি৩৫ ১২এনএম (ন্যানোমিটার) চিপসেট। এর ক্যামেরা সেটআপ এক কথায় চমৎকার। এই ফোনে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল মেইন ক্যামেরা ও ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ ক্যামেরা, সাথে ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। সাশ্রয়ী মূল্যে সেরা ফিচারগুলোর সমন্বয় ঘটেছে এই স্মার্টফোনে। স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও উপভোগ্য ও আকর্ষণীয় করে তুলতে অপো এর ব্যবহারকারী ও ভক্তদের জন্য এই আকর্ষণীয় অফার নিয়ে এসেছে! গ্রাহকরা এখন অবিশ্বাস্য দামে এই ডিভাইসগুলো কিনে দুর্দান্ত সব ফিচার ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন। এই অফারটি ব্যবহারকারীরা বাংলাদেশের যেকোনো অপো স্টোর থেকে গ্রহণ করতে পারবেন। স্টক শেষ হওয়ার আগে ডিসকাউন্ট উপভোগ করতে আজই আপনার নিকটস্থ অপো আউটলেট ভিজিট করুন।
রিয়েলমি ও সোয়াপের চুক্তি স্বাক্ষর, স্মার্টফোনপ্রেমীদের জন্য আসবে আকর্ষণীয় অফার

রিয়েলমি ও সোয়াপের চুক্তি স্বাক্ষর, স্মার্টফোনপ্রেমীদের জন্য আসবে আকর্ষণীয় অফার

রিয়েলমি ও সোয়াপের চুক্তি স্বাক্ষর, স্মার্টফোনপ্রেমীদের জন্য আসবে আকর্ষণীয় অফার
[ঢাকা, ২২ মার্চ, ২০২৩] তরুণদের পছন্দের ব্র্যান্ড রিয়েলমি এর ব্যবহারকারী ও ফ্যানদের জন্য সবসময় ভালো কিছু নিয়ে আসার চেষ্টা করে। এই প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে, ব্যবহারকারীদের স্মার্টফোন অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে বিভিন্ন সময় আকর্ষণীয় অফার নিয়ে আসতে সচেষ্ট থাকে রিয়েলমি। এরই ধারাবাহিকতায়, বাংলাদেশের একমাত্র রি-কমার্স মডেলের অ্যাপ সোয়াপের সাথে সম্প্রতি একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে রিয়েলমি। সম্প্রতি রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত সোয়াপের অফিসে চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সোয়াপের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. পারভেজ হোসাইন, চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ও ক্যাটাগরি হেড অব ইলেকট্রনিকস মো. ইয়াসিন রকি। অন্যদিকে, রিয়েলমি’র পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন এর ব্র্যান্ডিং ম্যানেজার ড্যারেন ঝাং, মিডিয়া বাই অ্যান্ড ই-কম প্রোমোশন ম্যানেজার মো. ফারুক রহমান এবং সেলস ম্যানেজার মো. কাউসার আহমেদ মামুন। এই চুক্তির আওতায় স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য আকর্ষণীয় অনেক অফার নিয়ে আসা হবে, যা তাদের অভিজ্ঞতায় বাড়তি মাত্রা যোগ করবে। এই চুক্তির মাধ্যমে সামনের দিনগুলোতে রিয়েলমি ব্যবহারকারীদের নানান রকম ক্যাশব্যাক অফার দেয়া হবে। রিয়েলমি’র অথোরাইজড শপ ও সোয়াপ অ্যাপ দুই জায়গা থেকেই এই অফার গ্রহণ করা যাবে। রিয়েলমি’র নতুন ডিভাইস উন্মোচনের সময় এই অফারগুলো পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই পদক্ষেপ নেয়ার মধ্য দিয়ে রিয়েলমি ক্রেতাদের পছন্দকে অগ্রাধিকার দেয়ার ক্ষেত্রে এবং এই ব্রান্ডের সাথে ব্যবহারকারীদের পথচলা আরও বেশি উপভোগ্য করে তুলতে একধাপ এগিয়ে গেলো।
আইপিএল-এ পারফর্ম করতে প্রস্তুত বাংলাদেশী তিন খেলোয়াড়!

আইপিএল-এ পারফর্ম করতে প্রস্তুত বাংলাদেশী তিন খেলোয়াড়!

আইপিএল-এ পারফর্ম করতে প্রস্তুত বাংলাদেশী তিন খেলোয়াড়!
২০০৮ সালে শুরুর পর থেকেই সারা বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে বহুল প্রত্যাশিত টুর্নামেন্টে পরিণত হয়েছে আইপিএল। এবারের সংস্করণের নিলাম গত বছর শেষ হলেও আসরের পর্দা ওঠার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে এ বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এবারের আসরে তিনজন বাংলাদেশী খেলোয়াড় নিজেদের দক্ষতা দেখাতে প্রস্তুত আছেন। আর এ কারণেই হয়তো ক্রিকেটপ্রেমী বাংলাদেশীরা উত্তেজনায় অস্থির হয়ে আছে - কবে শুরু হবে আইপিএল ‘২৩! খেলার সর্বশেষ স্কুপ, খেলোয়ারদের রেকর্ড এবং টুর্নামেন্টের খুঁটিনাটি নিয়ে পারিম্যাচ নিউজ আছে আপনার পাশে। চলুন এবার নজর দেয়া যাক, আইপিএল ২০২৩ এর আসর মাতাতে প্রস্তুত বাংলাদেশের তিন টাইগারের দিকে! সাকিব আল হাসান দূর্দান্ত এক ‘বাংলাওয়াশ’ উপহার দেয়ার পর, বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রিয়মুখ সাকিব আল হাসান এবারও কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) থেকে তার কারিশমা প্রদর্শন করতে প্রস্তুত। ৬৩ উইকেট ও ১২৪.৪৯ স্ট্রাইক রেট-সহ ৭৯৩ রানের অনবদ্য রেকর্ড থেকে কেকেআরের সাথে সাকিবের পুরোনো কেমিস্ট্রি কিছুটা হলেও বোঝা যায়। ২০১১-২০১৬ আবার ২০২১ সালে অনবদ্য এই দলটির প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি, আইপিএলের পুরো আসর জুড়ে রাখেন প্রতিভার অনন্য স্বাক্ষর! লিটন দাস আইপিএলের আসরে এবারই প্রথম খেলতে নামবেন বাংলাদেশী ব্যাটসম্যান ও উইকেটকিপার লিটন দাস। ৫০ লাখ ভারতীয় রুপির বিনিমিয়ে তাকে কিনে নেয় কেকেআর। তার পুরো ক্যারিয়ার জুড়েই অনবদ্য সব পারফর্ম্যান্স, তবে এরমধ্যে সবচেয়ে স্মরণীয় বিজয়গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ভারতের বিপক্ষে ২-১ এ সিরিজ জয়। তিনি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও রাজশাহী রয়্যালস এবং পাকিস্তান সুপার লিগের করাচি কিংসের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলোয় অসামান্য দক্ষতা প্রদর্শন করেন। ফ্যানদের জন্য আইপিএলের আসরে তার দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্সের সাক্ষী হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র! মুস্তাফিজুর রহমান মনোমুগ্ধকর সুইং আর কাটারে দিল্লী ক্যাপিটালসের পিচ কাঁপাতে প্রস্তুত মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি ২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে আইপিএলে যাত্রা শুরু করেন। মাত্র ১৬ ম্যাচে ১৭ উইকেটের অসামান্য পারফর্ম্যান্সের জোরে তিনি প্রথম বাংলাদেশী ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসির ‘ইমার্জিং ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার’ স্বীকৃতি পান। তার এমন অসামান্য অবদানের কারণেই দলটি ফাইনালে জয়লাভ করে। কাটারের জন্য বিখ্যাত এই বাঁহাতি মিডিয়াম পেস বোলার আইপিএলে ৪৬টি ম্যাচ খেলে ৪৬ উইকেট সংগ্রহ করেছেন। আইপিএলে তিনি সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ, মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ও রাজস্থান রয়্যালসের মতো দলের হয়ে খেলেছেন। এবারে ফ্যানরা দিল্লী ক্যাপিটালসের হয়ে এই কাটার-মাস্টারের মনমাতানো কারিশমা উপভোগ করতে যাচ্ছেন। সাকিব, মুস্তাফিজ, লিটন-সহ আইপিএলের বাকি খেলোয়াড়দের দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্সের সব খবরাখবর ও আপডেট ফ্যানরা এখন পাবেন পারিম্যাচ নিউজ এ। আগের মৌসুমের মতো এবারও আইপিএলের দলগুলো দু’টি গ্রুপে খেলবে। গ্রুপ এ-তে রয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস, কলকাতা নাইট রাইডার্স, রাজস্থান রয়্যালস, দিল্লী ক্যাপিটালস ও লখনৌ সুপার জায়ান্টস। গ্রুপ বি-তে রয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর, গুজরাট টাইটানস, পাঞ্জাব কিংস ও সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। প্রতিটি টিম অপর গ্রুপের ৫টি টিমের সাথে দু’টি করে ম্যাচ খেলবে এবং নিজের গ্রুপের বাকি ৪টি টিমের সাথে একটি করে ম্যাচ খেলবে। এভাবে, প্রতিটি টিমকে খেলতে হবে মোট ১৪টি করে ম্যাচ। ৩১ মার্চ থেকে আরম্ভ হয়ে ২১ মে পর্যন্ত চলবে লিগ পর্যায়ের খেলা। ১২টি শহর জুড়ে ১৮টি ডাবল-হেডার-সহ (একই ভেন্যুতে একসাথে বা অল্প সময়ের ব্যবধানে পরপর দু’টি ম্যাচ) ৭০টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ম্যাচের নিয়মিত ভেন্যুগুলোর মধ্যে রয়েছে চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ, মুম্বাই, কলকাতা, লখনৌ, দিল্লী, আহমেদাবাদ, জয়পুর ও মোহালি। এছাড়া, গোয়াহাটি (রাজস্থান রয়্যালসের সেকেন্ড হোম ভেন্যু) ও ধর্মশালাতেও (পাঞ্জার কিংসের সেকেন্ড হোম ভেন্যু) কিছু ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ------

মঙ্গলবার, ২১ মার্চ, ২০২৩

একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাস্কর শামীম শিকদার মারা গেছেন

একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাস্কর শামীম শিকদার মারা গেছেন

একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাস্কর শামীম শিকদার মারা গেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার সাবেক অধ্যাপক। ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকালে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন শামীম সিকদারের ভাস্কর্যগুলোর কিউরেটর মো. ইমরান হোসেন। শামীম শিকদার চারুকলা ইনস্টিটিউটের ভাস্কর্য বিভাগের একজন অধ্যাপক ছিলেন। ১৯৮০ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ললিত কলা অনুষদের একজন ফ্যাকাল্টি মেম্বার ছিলেন।
লায়লাতুল ফেরদৌস মামলার রায় ঘোষণা করেন।

লায়লাতুল ফেরদৌস মামলার রায় ঘোষণা করেন।

মাদারীপুরে রাজিব সরদার (২৫) হত্যা মামলায় ২৩ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। একই সাথে ৬ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। এ মামলায় ৪ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকেলে মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস মামলার রায় ঘোষণা করেন।
সামাজিক ও মানবিক কাজের ব্যতিক্রমী এক অরাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বদেশ মৃত্তিকা !

সামাজিক ও মানবিক কাজের ব্যতিক্রমী এক অরাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বদেশ মৃত্তিকা !

অরাজনৈতিক, অলাভজনক ও সেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন “স্বদেশ মৃত্তিকা” “একটি সুন্দর জীবনের জন্য” এই স্লোগান নিয়ে ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সংগঠনটি তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরন,গরীব শিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপ সহযোগিতা করা,বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্য, অসহায় দুঃস্থদের মাঝে ইফতার সামগ্রীসহ ঈদবস্ত্র বিতরণ, শীতার্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী, মাদক-সন্ত্রাস-বাল্যবিবাহ ও সামাজিক অপরাধবিরোধী সচেতনতামূলক সভা, রক্তদান কর্মসূচিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কর্মকান্ড সফলভাবে সম্পন্ন করে বেশ সুনাম অর্জন করেছে । সংগঠনের চেয়ারম্যান মোঃ আকবর হোসেন বলেন,-সামাজিক জীব হিসেবে সমাজের জন্য,আমাদের আশেপাশের মানুষদের জন্য সামান্য কিছু করার মাঝে তৃপ্তি খুজে পাওয়ার চেতনা নিয়ে এই সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে,আমাদের সংগঠনের সদস্যরা বিশ্বাস করে ভোগে সুখ নেই ত্যাগেই প্রকৃত সুখ এবং দান করার জন্য ধনী হবার প্রয়োজন নেই সুন্দর ইচ্ছা শক্তিই যথেষ্ট।সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় সংগঠনটি সেবা ও মানবকল্যানমুখী কর্মকান্ডে সবসময় সক্রিয় থাকবে মর্মে আমি আশা করি সংগঠনটি সুনিদির্ষ্ট কতগুলো লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত হয়েছে।সংগঠনটির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ হলো-১.সংগঠনটি সর্বদা অরাজনৈতিক ও সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে কাজ করবে। ২. প্রতি উপজেলার গরীব ও অসহায় পথশিশুদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা এবং মেধাবীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ ও শিক্ষা সহায়তা প্রদান করা। ৩. অসহায় বেকাশ ছাত্র-ছাত্রীদের কারিগরী শিক্ষা প্রদান করা। ৪.সুবিধাবঞ্চিত মা-বোনদের হাতের কাজ শিখানো ৫.অসহায় ও দুস্থদের সার্বিক সহায়তা করা। ৬.দুরারোগ্য ও ব্যয়বহুল চিকিৎসার রোগে আক্রান্ত রোগীকে সহায়তা প্রদান। ৭.গরীবদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ। ৮.যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাড়ানো। ৯.মাদক,সন্ত্রাস,বাল্যবিবাহ রোধসহ সামাজিক অপরাধসমূহের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন করা ও খেলাধুলা ও সামাজিক কাজকর্মে ছাত্র-যুবকদের অংশগ্রহণে সাহায্য করা। ১০.যেকোনো ধরনের বিরোধ বা বৈষম্যের ক্ষেত্রে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানে সহায়তা করা। ১১.বৃক্ষরোপণ, পরিছন্ন ও পরিবেশবান্ধব কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করা। ১২.সংগঠনের সকল সদস্যদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববন্ধন সৃষ্টি করে ঐক্যবদ্ধভাবে সংগঠনটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করা এবং কল্যাণময় সবকিছুতে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করা।
উৎকর্ষে অনন্য পাঁচটি স্থাপত্যকে স্বীকৃতি দিল বার্জার

উৎকর্ষে অনন্য পাঁচটি স্থাপত্যকে স্বীকৃতি দিল বার্জার

[ঢাকা, ২১ মার্চ, ২০২৩] সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে বার্জার অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সেলেন্স ইন আর্কিটেকচার -এর ১০ম সাইকেলের পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থাপনার অভিনবত্ব ও অসামান্য উৎকর্ষের স্বীকৃতি হিসেবে পাঁচটি স্থাপত্য প্রকল্প পুরস্কৃত হয়। রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনের গ্র্যান্ড বল রুমে আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের (বিপিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালী চৌধুরী, ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের (আইএবি) সভাপতি স্থপতি প্রফেসর ড. খন্দকার সাব্বির আহমেদ, বিপিবিএলের চিফ সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং অফিসার মহসিন হাবিব চৌধুরী এবং বার্জার অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সেলেন্স ইন আর্কিটেকচার ২০২২ এর ১০ম সংস্করণের অ্যাওয়ার্ড ডিরেক্টর স্থপতি কাজী এম আরিফসহ বার্জারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, অ্যাওয়ার্ড কমিটির সদস্য, জুরি সদস্য, বিশিষ্ট স্থপতি ও দেশের নির্মাণ খাতের সাথে জড়িত অন্যান্য পেশাজীবীরা। ২০০৩ সালে প্রথম ‘বার্জার ইয়াং আর্কিটেক্ট অ্যাওয়ার্ড’ হিসেবে এ পুরস্কার প্রদান শুরু হয়। পরে দক্ষ ও উদীয়মান স্থপতিদের জন্য বিস্তৃত সুযোগ তৈরি করতে পুরস্কারের পরিসর বাড়িয়ে এর নামকরণ করা হয় — বার্জার অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সেলেন্স ইন আর্কিটেকচার (বিএইএ)। পুরস্কারের এবারের সংস্করনের মধ্য দিয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কারের ২০ বছরের যাত্রা উদযাপন করে বার্জার। পুরস্কারটি আরও বিশেষায়িত করে তুলতে ‘ওপেন ক্যাটাগরি’র আওতায় নতুন সম্ভাবনা তৈরিতে প্রকল্পগুলোকে একযোগে আমন্ত্রণ জানায় বার্জার ও আইএবি। বার্জার অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সেলেন্স ইন আর্কিটেকচার ২০২২ এর ১০ আবর্তনে অ্যাওয়ার্ড ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন স্থপতি কাজী এম আরিফ। পাশাপাশি, ডেপুটি অ্যাওয়ার্ড ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন স্থপতি ড. মাসুদ উর রশিদ ও স্থপতি মৌসুমী আহমেদ। জুরি প্যানেলের সদস্যরা হলেন: স্থপতি নওশাদ এহসানুল হক, স্থপতি নিশাত আফরোজ, স্থপতি এস এম নাজিম উদ্দিন, থাইল্যান্ডের স্থপতি দুয়ানগ্রিত বুন্নাগ ও বিখ্যাত ভাস্কর প্রফেসর হামিদুজ্জামান খান। বিএইএ পুরস্কারের স্থায়ী ট্রফিটির ডিজাইন করেছেন প্রফেসর হামিদুজ্জামান খান। জুরিদের বিবেচনায় দুইপর্বের পর্যালোচনার মাধ্যমে নির্বাচিত পাঁচটি প্রকল্পকে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। বিজয়ীরা হচ্ছেন- স্থপতি জিশান ফুয়াদ চৌধুরী (জ্যানাস আর্কিটেক্টস) এর নির' এ ভ্যাকেশন হাউস; স্থপতি মো ইশতিয়াক জহির (ভিত্তি স্থপতি বৃন্দ লিমিটেড) এর বন এর বাড়ি (এ ফরেস্ট রিট্রিট); এবং স্থপতি খান মো. মুস্তাফা খালিদ (ভিস্তারা আর্কিটেক্টস (প্রা.) লিমিটেড) এর র‌্যাংগস ব্যাবিলোনিয়া। স্টুডিও মরফোজেনেসিস লিমিটেডের স্থপতি শাহলা করিম কবির এবং স্থপতি শুভ্র শোভন চৌধুরীর দ্য স্টেটসম্যান; এবং চর্চা স্থপতিজোগের স্থপতি রুম্মান মাশরুর চৌধুরী ও স্থপতি শুভ্রা দাসের হাইড্রোপড ইন্টিগ্রেটেড ওয়াটার হার্ভেস্টিং এন্ড প্লেস্কেপ ফ্যাসিলিটিজ ইন হিল ট্র্যাক্টস- কমেন্ডেশন পেয়েছে। একই সময়, বার্জার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনকে স্থাপত্য- ক্ষেত্রে উতকর্ষ ও অবদানের আজীবন স্বীকৃতি হিসেবে মরনোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হয়। বিখ্যাত স্থপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সমাজ বিশ্লেষক মোবাশ্বের হোসেন তার অসামান্য কাজের মাধ্যমে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও খ্যাতি অর্জন করেন।

রবিবার, ১৯ মার্চ, ২০২৩

চীন দূতাবাসের উদ্যোগে চাঁদপুরে প্রথম স্মার্ট ক্লাসরুম

চীন দূতাবাসের উদ্যোগে চাঁদপুরে প্রথম স্মার্ট ক্লাসরুম

শুরু হলো চীন-বাংলাদেশ মেধা উন্নয়ন কর্মসূচি
[ঢাকা, ১৮ মার্চ, ২০২৩] বাংলাদেশে তরুণদের প্রতিভা বিকাশে একটি প্রকল্প চালু করেছে চীন দূতাবাস। এই প্রকল্পের প্রথম ধাপে শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের সর্বাধুনিক স্মার্ট শিক্ষা উপকরণসমৃদ্ধ একটি স্মার্ট ক্লাসরুম হস্তান্তর করেছে দূতাবাসটি। উদ্যোগের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে চাঁদপুরের ষোলঘরে অবস্থিত চাঁদপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে উন্নত প্রযুক্তির শিক্ষা সরঞ্জাম প্রদান করা হয়েছে, যা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উন্নত অনসাইট ও অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের সুযোগ করে দেবে। এ উপলক্ষে উক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের রাষ্ট্রদূত (হিজ এক্সিলেন্সি) ইয়াও ওয়েন। এছাড়া হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যান জুনফেং, চাঁদপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ মাহবুবুর রহমান-সহ সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি বলেন, “বাংলাদেশে এই ভবিষ্যতমুখী উদ্যোগ গ্রহণের জন্য আমি গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের দূতাবাস ও হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়াকে সাধুবাদ জানাই। স্মার্ট ক্লাসরুমে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের শিক্ষার্থীদের শেখার অভিজ্ঞতাকে আরো সমৃদ্ধ করবে; তাদের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ আইসিটি দক্ষতা বিকশিত করবে। আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে এই প্রজেক্ট শিক্ষার্থীদের সাহায্য করবে”। বাংলাদেশে নিযুক্ত গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের রাষ্ট্রদূত (হিজ এক্সিলেন্সি) ইয়াও ওয়েন বলেন, “বাংলাদেশের ভালো বন্ধু এবং শুভাকাঙ্ক্ষী প্রতিবেশী হিসেবে চীনের সরকার ও জনগণ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার অন্যতম প্রধান ক্ষেত্র হিসেবে শিক্ষাখাতকে বিবেচনা করেছে। তাছাড়া, চীন বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার অন্যতম শীর্ষ গন্তব্য। মোট ১৪ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশী শিক্ষার্থী চীনে অধ্যয়ন করছেন। ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে উচ্চতর বৃত্তিমূলক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে চীন দূতাবাস। ভবিষ্যতে আমরা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার আরও উন্নত সুযোগ তৈরি করব, যা দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে। পাশপাশি, হুয়াওয়ের মতো চীনের প্রতিষ্ঠানসমূহ বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণ ও সামাজিক উন্নয়নে এদেশে নিষ্ঠার সাথে বিভিন্ন কর্পোরেট সামাজিক দায়িত্ব (সিএসআর) পালন করে চলেছে। বাংলাদেশ ও চীনের আন্তসহযোগিতামূলক সম্পর্ক ও বাংলাদেশে হুয়াওয়ের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সম্প্রসারণের প্রতিজ্ঞার প্রতিফলন হিসেবেই এই স্মার্ট ক্লাসরুমটি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে”। হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান নির্বাহী প্যান জুনফেং বলেন, “চীন-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ ডোনেশন প্রজেক্ট বাংলাদেশের শিক্ষাখাতে রীতিমতো বিপ্লব ঘটানোর সম্ভাবনা রাখে। স্মার্ট ক্লাসরুম হল এমন একটি পদ্ধতি, যার মাধ্যমে প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের শেখার অভিজ্ঞতা আরো উন্নত করে তোলা হয়। স্মার্ট স্কুল সিস্টেম শিক্ষা প্রক্রিয়াকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার পাশাপাশি অল্প বয়স থেকেই শিক্ষার্থীদের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ আইসিটি দক্ষতার বিকাশে সহায়তা করবে। প্রকল্পটি শিক্ষার্থীদের দক্ষ এবং আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করবে, ফলস্বরূপ ভবিষ্যতে তারা বাংলাদেশকে আরো উন্নত অবস্থানে নিয়ে যাবে। প্রকল্পের অংশীদার হতে পেরে হুয়াওয়ে অত্যন্ত গর্বিত”। চাঁদপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে দুটি আইডিয়া হাব (হুয়াওয়ে’র ইন্টারঅ্যাকটিভ হোয়াইটবোর্ড), সম্পূর্ণ ক্লাসরুমে ওয়াইফাই সুবিধা এবং আইসিটি কোর্স সংশ্লিষ্ট উপকরণ, যেমন – ভিডিও, অনলাইন কোর্স ও শিক্ষামূলক কনটেন্ট যুক্ত অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম-সহ সম্পূর্ণ স্মার্ট ক্লাসরুম সমাধান দান করেছে বাংলাদেশে চীনা দূতাবাস। হুয়াওয়ে শিক্ষকদের ট্যাব প্রদান করেছে এবং ক্লাসরুমকে নতুন করে সাজিয়েছে।

শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০২৩

স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত।

স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত।

জমজমাট আয়োজনে শেষ হয়েছে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্কুল স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৩। শনিবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর পশ্চিম আগারগাঁও, ঈদঁ গা মাঠে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আলহাজ লায়ন এ কে এম আজম খান, সভাপতিত্ব করেন স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা ও স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের চেয়ারম্যান মো: আকবর হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লায়ন ইকবাল হোসেন, সভাপতি, লায়ন ক্লাব অব গ্লোবাল স্টার, ঢাকা, লায়ন ফিরোজ আহমেদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও উপদেষ্টা স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা, হাফিজুল্লাহ হায়দার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও উপদেষ্টা স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা, ড. মো: আবু তাহের তাহের, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ, লায়ন গোলাম সরোয়ার মানিক,চেয়ারম্যান, প্রযুক্তি ও প্রজন্ম ফাউন্ডেশন, স্বাগত ভাষন ডা:এস এম হাবিবুর রহমান, উপদেষ্টা স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা।
অনুষ্ঠান পরিচালনায় দায়িত্বে ছিলেন তানিয়া শেখ, মহাসচিব স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা ও প্রধান শিক্ষক স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন। আরো উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার রাশেদুল ইসলাম, মাস্টার আবুল হোসেন, সাহাবাল আহমেদ জনি, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চ, সিরাজুল ইসলাম সাগর, তথ্য অ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা, সাদমান সাব্বির, প্রচার সম্পাদক, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা, শিক্ষক রাশিদা আক্তার, সোহাগী আক্তার, মাওলানা আসাদুল, অভিবাবকবৃন্দ সহ অন্যান্য গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। স্কুল ব্যাগ উপহারঃ লায়ন ক্লাব অব গ্লোবাল স্টার শিক্ষা সামগ্রী উপহারঃপ্রযুক্তি ও প্রজন্ম ফাউন্ডেশন,
ঢাকায় হয়ে গেলো নিচিচার সদস্যদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান-২০২৩.

ঢাকায় হয়ে গেলো নিচিচার সদস্যদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান-২০২৩.

রিয়াজুল ইসলাম কাওছার
গত ১৭ মার্চ শুক্রবার নিরাপদ চিকিৎসা চাই (নিচিচা) সামাজিক সংগঠন কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় সংবর্ধনা ও আলোচনা অনুষ্ঠান-২০২৩। এতে নিরাপদ চিকিৎসা চাই'র বিভিন্ন জেলা,উপজেলা,মহানগর কমিটির কার্যক্রমে বিশেষ অবদানের জন্য মানবতার ফেরিওয়ালাদের সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। এতে অংশ নেয় সারা বাংলাদেশ থেকে আশা নিচিচার বিভিন্ন কমিটির সদস্যরা। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য রাখেন নিরাপদ চিকিৎসা চাই( নিচিচা) সামাজিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান যুবরাজ খান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মহাসচিব উম্মে সালমা। অনুষ্ঠান শুরু হয় কারী আহম্মদ হোসেনের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক ধর্ম ও পানি সম্পদ মন্ত্রী নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, এতে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন সাবেক উপমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা সাদেক সিদ্দিকী, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দৈনিক ভোরের আকাশের সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড.মনোরঞ্জন ঘোষল। অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তা ছিলেন নিচিচা'র ভাইস চেয়ারম্যান জমসেদ আলী খান, প্রধান বক্তা সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান এইচ এম শিপলু, বিশেষ আলোচক যুগ্ন সচিব মোঃ ইমরান হোসেন ও সার্বিক ব্যাবস্থাপনায় ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক তৌহিদ আক্তার, এছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার মোমিনুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক রিয়াজুল ইসলাম কাওছার, যুগ্ন সচিব রাইসুল ইসলাম লিটন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাদারীপুর জেলা নিচিচার সভাপতি এ্যাডঃ মসিউর রহমান পারভেজ, সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক বায়জিদ মিয়া,ঢাকা জেলার প্রতিনিধি, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি, সিলেট জেলার প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ জেলার প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ,মোলভীবাজারের প্রতিনিধিবৃন্দ। শেষে মানবতার সেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বিশেষ সম্মাননা ক্রেষ্ট হাতে তুলে দেন প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিরা। সম্মাননা ভূষিতরা হলেন নিচিচা'র কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান যুবরাজ খান,মহাসচিব উম্মে সালমা, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন শিপলু, ভাইস চেয়ারম্যান জামশেদ আলী খান,যুগ্ন সচিব মোঃ ইমরান,যুগ্ন সচিব রাইসুল ইসলাম লিটন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদা আক্তার, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও মিলান বাংলা প্রেসক্লাব ইতালির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম কাওছার,স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃমোঃমমিনুল ইসলাম, কার্যকরী সদস্য জিয়াউর রহমান জিয়া প্রমূখ। এছাড়াও ঢাকা, মাদারীপুর, সিলেট, মুন্সীগঞ্জ গোপালগঞ্জ সহ বেশ কয়েকটি কমিটিকে বিশেষ টপি সার্টিফিকেট সভাপতিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। গত ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শুভ জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান ও বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি চারণ করেন বক্তারা

শুক্রবার, ১৭ মার্চ, ২০২৩

স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা জাতির পিতার জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত

স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা জাতির পিতার জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত

‘স্মাট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্পপ্নে রঙিন ’ এই পতিপাদ্যে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মবাষিকী ও জাতিয় শিশু দিবস পালিত হয়েছে। শুক্রবার (১৭ মার্চ) বিকাল ৪ ঘটিকায় জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষের পাশাপাশি পালিত হয় জাতীয় শিশু দিবসও। স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা আয়োজিত স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশুদিবস উপলক্ষ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘরে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছলেন এম এ রব হাওলাদার, ডিস্ট্রিক্ট জাজ, জয়পুর হাট। হিসেবে উপস্থিত ছলেন এ কে এম লুৎফর রহমান, পরিচালক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘর, প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রুনা বেগম, উপপরিচালক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও উপদেষ্টা স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা, ডা: এস এম হাবিবুর রহমান, উপদেষ্টা উপদেষ্টা স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা, খোকন কুমার শীল, প্রিন্সিপাল অফিসার, অগ্রনী ব্যাংক লি:, সুজন রায়, জেনারেল ম্যানাজার, সন্ধানী লাইফ ইন্সুইরেন্স, এডভোকেট ফারুক হোসেন মোল্লা, মাস্টার আবুল হোসেন মিঠু, সাহাবাল আহমেদ জনি, ইঞ্জিনিয়ার রাশেদুল ইসলাম, মো: আসাদুল্লাহ, সাদমান সাব্বির, প্রচার সম্পাদক, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা, অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন তানিয়া শেখ, মহাসচিব, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা ও প্রধান শিক্ষক স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন। সভাপতিত্ব করেন মো: আকবর হোসেন, চেয়ারম্যান, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা ও স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন সব শেষে পুরস্কার শিশুদের নিয়ে তারা কেক বিতরণীর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

রবিবার, ১২ মার্চ, ২০২৩

আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস ২০২৩ পালন উপলক্ষে নাগরিক সমাবেশ- ডা. আজাদ খান,

আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস ২০২৩ পালন উপলক্ষে নাগরিক সমাবেশ- ডা. আজাদ খান,

তাং ১২ মার্চ ২০২৩ খ্রী. রবিবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জামালপুর জেলা, ওয়াটার কিপার বাংলাদেশ ও নাগরিক সমাজ, শেরপুর এর উদ্যোগে ১৪ মার্চ আন্তর্জাতিক নদী কৃত্য দিবস পালনের জন্য সমাজ উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (এসপিকে) মধ্যে শেরি, শেরপুর কার্যালয়ে ব্রহ্মপুত্র, চেল্লাখালি, ভোগাই নদী রক্ষায় নাগরিক সমাজের ভাবনা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত আলোচনা সভায় নাগরিক সমাজ শেরপুর এর পক্ষে সভাপতিত্ব করেন রাজিয়া সামাদ ডালিয়া। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, ইবনুল সাইয়্যিদ রানা, নির্বাহী পরিচালক, নিরাপদ ডেভলপমেন্ট সংস্থা, ও বাপা সমন্বয়ক, ময়মনসিংহ বিভাগ। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদ আল মামুন, সহকারী পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর, শেরপুর। উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন. মোঃ জালাল উদ্দিন, এক্স গুলজার ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন, শেরপুর, ডা. মোঃ শফিকুল ইসলাম আজাদ খান, গণমাধ্যম ও মানবাধিকার কর্মী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাপা, জামালপুর জেলা শাখা এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রধান, আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠন ই-প্রেস ক্লাব, তাপস চন্দ্র বিশ্বাস, আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সংস্থা, শেরপুর, জয়নাল আবেদীন, নির্বাহী পরিচালক, সেবা পরিষদ, শেরপুর, রুনা লায়লা, নির্বাহী পরিচালক, উত্তর নবীনগর মহিলা কল্যাণ সঞ্চয় সমিতি, শেরপুর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, মোহাম্মদ এনামুল হক, প্রধান নির্বাহী, সমাজ উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (এসপিকে) ও সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জামালপুর জেলা।

শনিবার, ১১ মার্চ, ২০২৩

পার্বত্য চট্টগ্রামে জিয়া বিভেদ করেছেন, শেখ হাসিনা শান্তি সম্প্রীতি গড়েছেন : খাগড়াছড়িতে তথ্যমন্ত্রী

পার্বত্য চট্টগ্রামে জিয়া বিভেদ করেছেন, শেখ হাসিনা শান্তি সম্প্রীতি গড়েছেন : খাগড়াছড়িতে তথ্যমন্ত্রী

খাগড়াছড়ি ১১ মার্চ ২০২৩:
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন,'জিয়াউর রহমান পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালি-পাহাড়িদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছেন আর শেখ হাসিনা সেই বিভেদ দূর করে পার্বত্য শান্তি চুক্তি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সম্প্রীতির বন্ধন সৃষ্টি করেছেন।' এখন বাঙালি-পাহাড়িদের মধ্যে আস্থার সঙ্কট নেই, সম্প্রীতি সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিচ্ছিন্ন যে সব ঘটনা, তা শুধু চাঁদাবাজির কারণে। শনিবার (১১ মার্চ) দুপুরে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ মাঠে জেলা কৃষক লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন। ড. হাছান বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পাহাড়ে-সমতলে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। বিশ্বে আয়তনের দিক দিয়ে ৯২তম ও মাথাপিছু সর্বনিম্ন কৃষিজমির দেশ হয়েও আমরা ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস মোকাবিলা করে পৃথিবীতে ধান উৎপাদনে ৩য়, মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে দ্বিতীয়-তৃতীয়তে ওঠানামা, সবজিতে ৪র্থ, আলুতে ৭ম, আম উৎপাদনে ২য়, ইলিশ উৎপাদনে ১ম। এটি শুধুমাত্র শেখ হাসিনা এবং শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বেই সম্ভব হয়েছে।' 'কিন্তু, বিএনপির পলাতক নেতা তারেক রহমানের দেশের এ পরিবর্তন সহ্য হচ্ছে না, খালেদা জিয়ার অন্তর জ্বলে যাচ্ছে আর মির্জা ফখরুল বকবক করছেন' মন্তব্য করেন তিনি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের 'সরকারকে দড়ি ধরে টান দেওয়ার সময় এসেছে' বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, '১০ ডিসেম্বর সরকারকে দড়ি ধরে টান দিতে গিয়ে তারা নিজেরাই চিৎপটাং হয়ে গেছে। এরপর টান দিলে দড়ি ছিঁড়ে তাদের হামাগুড়ি দিতে হবে। সরকারের ভিত অনেক গভীর প্রোথিত এবং আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল, কৃষক-শ্রমিকের দল, রাজপথ থেকে গড়ে ওঠা দল। আমরা রাজপথ কাউকে ইজারা দেইনি, রাজপথে আছি, রাজপথে থাকবো।' কৃষক লীগের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কৃষিপ্রীতি তুলে ধরে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, '২০০৯ সালে আমরা সরকার গঠনের পর প্রথম মন্ত্রিপরিষদ সভার প্রথম সিদ্ধান্ত ছিল কৃষি ও কৃষকের জন্য ভর্তুকি প্রদান। আর জননেত্রী শেখ হাসিনা কৃষক ও কৃষিকে কত ভালোবাসেন, গণভবনে কৃষি উৎপাদনের কথা আপনারা টিভিতে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছেন। গণভবনে মৌমাছির চাষ করে একশ' কেজি মধু হয়েছে। অন্যান্য শাকসবজি উৎপাদন হচ্ছে, ধানও হচ্ছে। সেখানে অন্য প্রধানমন্ত্রীরাও ছিলেন, খালেদা জিয়াও ছিলেন, তারা কেউ এটি করতে পারেননি।' 'বঙ্গবন্ধুকন্যা সেই প্রধানমন্ত্রী যিনি রাত বারোটার আগে ঘুমুতে যেতে পারেন না, ফজরের আজানের আগে উঠে তাহাজ্জুতের নামাজ পড়েন, আজানের পর ফজরের নামাজ পড়েন, কোরআন তেলাওয়াত করেন, দেশ পরিচালনা করেন, দল পরিচালনা করেন আবার কিষাণী হিসেবেও কাজ করেন' বলেন হাছান মাহমুদ। কৃষক লীগ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'কৃষক লীগ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন যা সমগ্র দেশে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সুসংগঠিত। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দেশে ফিরে কৃষক লীগের মাধ্যমে সারাদেশে বৃক্ষরোপণ অভিযান পরিচালনা করেছেন। সেই সময় থেকে প্রথমে বছরে এক মাস, পরে বছরে তিন মাসব্যাপী এ অভিযান চলে আসছে। আমরা যখন ক্ষমতায় ছিলাম না, তখনও কৃষক লীগ কৃষকের কল্যাণে কাজ করে গেছে।' এর আগে সকালে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী এবং খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন। খাগড়াছড়ি জেলা কৃষক লীগের আহবায়ক পিন্টু ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু প্রধান বক্তা এবং ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, বাসন্তি চাকমা এমপি, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আকবর আলী চৌধুরী বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। আরো বক্তব্য রাখেন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, আইন সম্পাদক এ্যাড. রাবেয়া হকসহ খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ। সম্মেলন শেষে পিন্টু আচার্য্যকে সভাপতি এবং খোকন চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক করে খাগড়াছড়ি জেলা কৃষক লীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। মিজানুর রহমান জুয়েল
চলচ্চিত্রের বিকাশে করোনার মধ্যেও জাতীয় পুরস্কার দিয়েছে সরকার : তথ্যমন্ত্রী

চলচ্চিত্রের বিকাশে করোনার মধ্যেও জাতীয় পুরস্কার দিয়েছে সরকার : তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা ৯ মার্চ ২০২৩:
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, করোনা মহামারির মধ্যেও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান থেমে থাকেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শে সিনেমা শিল্পী-কলাকুশলীদের উৎসাহ দিতে এবং এই শিল্পের বিকাশ অব্যাহত রাখতে করোনার সময়ে, এমন কি ২০২০ সালে মাত্র ২৫-২৬টি চলচ্চিত্র নির্মিত হলেও জাতীয় পুরস্কার দেওয়া হয়েছে, উল্লেখ করেন তিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে ২০২১ সালে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো থেকে জুরি বোর্ড নির্বাচিত ২৭ ক্যাটাগরিতে ৩৪টি পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে তুলে দেন। ড. হাছান তার বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, 'জাতির পিতা শেখ মুজিব শুধু স্বাধীন রাষ্ট্রই প্রতিষ্ঠা করেননি, বাঙালি শিল্প-সংস্কৃতি বিকাশেও তিনি ছিলেন সদানিবেদিত প্রাণ। বঙ্গবন্ধু ১৯৫৭ সালে প্রাদেশিক পরিষদে বিল উত্থাপনের মাধ্যমে ঢাকায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করে এ দেশে সিনেমার প্রাতিষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেন। সেই চলচ্চিত্র আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে, মুক্তিযুদ্ধে এবং পরবর্তীতে দেশ গঠনে ভূমিকা রেখেছে।' তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন, সিনেপ্লেক্স, সিনেমা হল নির্মাণ ও সংস্কারে এক হাজার কোটি টাকার সহজতম ঋণ তহবিল গঠন করেছেন। আমাদের সিনেমা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। বিশ্বে অনেক পুরস্কার অর্জন করেছে। আমাদের মেধাবী প্রাণেরা সিনেমা শিল্পকে আরও এগিয়ে নেবেন এটিই জাতির প্রত্যাশা। দেশের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরতে গিয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান বলেন, '২০০৯ সালে আমরা বিশ্বে ৬০তম জিডিপির দেশ ছিলাম। গত ১৪ বছরে ২৫টি দেশ পেছনে ফেলে আমরা এখন ৩৫তম এবং পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটিতে ৩১তম। পাকিস্তান এখন আমাদের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে, তাদের পার্লামেন্টে শেখ হাসিনার প্রশংসা হয়। এটিই বঙ্গবন্ধুর দেশ রচনার সার্থকতা, বঙ্গবন্ধুকন্যার দেশ পরিচালনার সার্থকতা।' তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এ বার্ষিক আয়োজনে মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর খোন্দকার স্বাগত বক্তব্য দেন। শেষে চলচ্চিত্র অঙ্গনের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ ও ‘নোনাজলের কাব্য’ যুগ্ম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, মো. সিয়াম আহমেদ ও মীর সাব্বির মাহমুদ যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা এবং আজমেরী হক বাঁধন ও তাসনোভা তামান্না যৌথভাবে ২০২১ সালের শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার অর্জন করেছেন।
ঢাকায় এগ্রি নেটওয়ার্কস'র  দু'দিন ব্যাপী বার্ষিক অগ্রগতি সভা শুরু  ধানের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইরি-ব্রি ও  অন্যান্য গবেষণা সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করছে

ঢাকায় এগ্রি নেটওয়ার্কস'র দু'দিন ব্যাপী বার্ষিক অগ্রগতি সভা শুরু ধানের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইরি-ব্রি ও অন্যান্য গবেষণা সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করছে

ঢাকা: ১১ মার্চ ২০২৩
আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি) বাংলাদেশ আয়োজিত এগ্রি (এক্সিলারেটেড জেনেটিক গেইন ইন রাইস) নেটওয়ার্কস ট্রায়াল ২০২৩-এর বার্ষিক অগ্রগতি সভা ঢাকায় শুরু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত দু'দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্ভোধনী সেশনে সভাপতিত্ব করেন ইরি বাংলাদেশ এর কান্ট্রি রিপ্রেসেন্টেটিভ ডঃ হোমনাথ ভান্ডারী । এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ডঃ মোঃ শাহজাহান কবীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা)’র মহাপরিচালক ডঃ মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইরি ফিলিপাইনের বিজ্ঞানি ডঃ সংকল্প ভোসালে । ইরি বাংলাদেশের সিনিয়র রাইস ব্রিডার এবং এগ্রি নেটওয়ার্কস প্রকল্প প্রধান ডঃ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এবং কর্মশালার এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বাংলাদেশে ইরি-ব্রি, অন্যান্য কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত এগ্রি নেটওয়ার্কস ট্রায়ালের গত এক বছরের হালনাগাদ তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন। বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের (বিএমজিএফ) এর অর্থায়নে ইরি ও ব্রি কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে ধানের জাত উদ্ভাবন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ পরিস্থিতিতে উন্নতজাতের ধান গবেষণার জন্য এগ্রি নেটওয়ার্কস ট্রায়ালের বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ কর্মসূচি নিয়ে মোট ১১ টি প্রবন্ধ কর্মশালায় উপস্থাপন করা হয়। সভায় ইরি, ব্রি, বিনা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কৃষিবিজ্ঞানীগন ও গণমাধ্যমকর্মীসহ শতাধিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিনা’র মহাপরিচালক ডঃ মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে এমন অভিনব উন্নত ও উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনের এখনই উপযুক্ত সময়। ব্রি, বিনাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে ধান উৎপাদন বৃদ্ধি এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষকদের সহায়তা করছে ইরি । তিনি জানান, এগ্রি নেটওয়ার্কস প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ধানের জেনেটিক গেইন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। বর্তমানে মাঠে প্রচলিত বেশিরভাগ জনপ্রিয় ধানের জাতের বয়স ২৮-৩০ বছরের বেশি। অনেকগুলো নতুন জাত উদ্ভাবন করা হলেও সেগুলো আগের জনপ্রিয় জাতগুলোকে প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম হয়নি। ধান উৎপাদনে জেনেটিক গেইন বাড়ানোর জন্য ধানের প্রজনন চক্রের সময়কাল সংক্ষিপ্ত করা, প্রজনন লাইন নির্বাচন নির্ভুল করা, প্রজনন তথ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিক কৌশল ব্যবহার এবং ব্যাপকভাবে সরেজমিন মাঠ গবেষণা করে ভৌগলকি স্থান, বাজার ও কৃষকের চাহিদা ভিত্তিক জাত উদ্ভাবনের লক্ষ্যেে ইরি’র নেতৃত্ত্বে কাজ করছে দেশীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান সমূহ। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্রি মহাপরিচালক ডঃ মোঃ শাহজাহান কবীর বলনে, বিএমজিএফ‘র আর্থিক সহায়তায় এবং ইরি’র কারিগরী সহায়তায় এগ্রি নেটওয়ার্কস ট্রায়ালের মাধ্যমে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ধানের জাত উদ্ভাবন প্রক্রিয়ার সময় ৫-৭ বছর কমিয়ে আনা হচ্ছে। আগে যেখানে একটি জাত উদ্ভাবনে ১০-১৫বছর লেগে যেত এখন তা ৮-১০বছরে সম্পন্ন করা যাবে। গবেষণা কার্যক্রমের আধুনিকীকরণের মাধ্যমে আগামী দিনের ধানের জাতে জেনেটিক গেইন (ফলন) অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। এর মাধ্যমে ভৌগলিক স্থান, বাজার ও কৃষকের চাহিদা মাফিক ধানের জাত উদ্ভাবনের ফলে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশে ইরি’র কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ডঃ হোমনাথ ভান্ডারী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করার জন্য আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। গবেষণা ও মানবসম্পদ এবং ভৌত সুবিধার উন্নয়নসহ সকল ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের গবেষণা খাতে ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন। বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি যেমন জিনোমিক্স, ফেনোমিক্স, প্রোটোমিক্স, বায়োইনফরমেটিক্স, জিনোম এডিটিং, স্পিড ব্রিডিং, অটোমেশন, ডিজিটাইজেশনে বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ইরির সহায়তা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে । মিজানুর রহমান জুয়েল
কুয়েটে হুয়াওয়ের ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট প্রোগ্রাম

কুয়েটে হুয়াওয়ের ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট প্রোগ্রাম

কুয়েটে হুয়াওয়ের ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট প্রোগ্রাম
[ঢাকা, ১১ মার্চ, ২০২৩] বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইসিটি অবকাঠামো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কাজ করার সুযোগ করে দিতে সম্প্রতি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট প্রোগ্রামের আয়োজন করে হুয়াওয়ে। কুয়েট থেকে রিক্রুটমেট প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান এবং ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমানসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ। অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সাউথ এশিয়া হিউম্যান রিসোর্স ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র ম্যানেজার মো. ফারা নেওয়াজ, ওমর হায়দার মুশফিক আহমেদ, মো. খালিদ হোসেন ও পাবলিক রিলেশন ডিপার্টমেন্টের ম্যানেজার মো. তৌফিকুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ। এ বিষয়ে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার এইচআর ডিরেক্টর হুয়াং বাওশিওং বলেন, “১৭০ টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে কাজ করার মাধ্যমে বৈচিত্র্যময় ও সমৃদ্ধ কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে পেরেছে হুয়াওয়ে। বিশ্বজুড়ে হুয়াওয়ের দুই লাখ কর্মী রয়েছে; এবং এক্ষেত্রে সবসময়ই স্থানীয় মেধা ও মানবসম্পদের ওপরে গুরুত্ব দেয়া হয়। বাংলাদেশ অফিসে স্থানীয়ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীর সংখ্যা এখন ৮০ শতাংশ এবং কর্মী তালিকায় আমরা সবসময় এই অনুপাত বজায় রাখার চেষ্টা করি। এছাড়া, আমরা প্রতিবছর বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটদের নিয়োগ দিয়ে থাকি। এটি হুয়াওয়ের বিশেষজ্ঞদের সাথে নতুনদের সমন্বয় করতে সাহায্য করে। অপরদিকে, সদ্য স্নাতক শেষ করা গ্র্যাজুয়েটরাও সর্বাধুনিক জ্ঞান ও বহুজাতিক কর্মপরিবেশের মধ্য দিয়ে নিজেদের সমৃদ্ধ করার সুযোগ পান।” এ উদ্যোগ সম্পর্কে কুয়েটের ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “বিশ্বজুড়ে হুয়াওয়ে কেবল আইসিটি সরঞ্জাম ও সমাধান দেয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে, এমনটা নয়; বরং উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসার ক্ষেত্রে গবেষণা ও উন্নয়নে বিস্তৃত বিনিয়োগ ও সুবিশাল টিমের মাধ্যমে সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। স্থানীয় শিক্ষার্থী ও মেধার মূল্যায়ন করার মাধ্যমে তারা দেশের শিক্ষার্থীদের সুযোগ করে দিচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে হুয়াওয়ে আমাদের শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দিতে এখানে এসেছে এবং এটি নিঃসন্দেহে একটি চমৎকার উদ্যোগ। আমাদের শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ারে উন্নতি করার মতো যথেষ্ট আকাঙ্ক্ষা ও যোগ্যতা রয়েছে। আমার বিশ্বাস, নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা সমাজ ও অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানেও কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখবে।” কুয়েটের সিএসই, ইইই ও ইসিই – এ তিনটি বিভাগ থেকে ২শ’ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্টের আওতায় লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। নির্বাচিতরা খুব শীঘ্রই হুয়াওয়েতে যোগদান করবে। ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট থেকে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত করা হুয়াওয়ের একটি নিয়মিত উদ্যোগ। পাশাপাশি, তরুণদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে আইসিটি স্কিলস কম্পিটিশন, সিডস ফর দ্য ফিউচার ও আইসিটি একাডেমির মতো বিভিন্ন প্রোগ্রাম পরিচালনা করে আসছে হুয়াওয়ে। এসব উদ্যোগ বাংলাদেশে আইসিটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে হুয়াওয়ের প্রতিশ্রুতির অংশ।
৪০০ শতাংশ বেশি বিক্রির রেকর্ড অপো রেনো এইট টি’র

৪০০ শতাংশ বেশি বিক্রির রেকর্ড অপো রেনো এইট টি’র

[ঢাকা, ১১ মার্চ, ২০২৩] রেনো সিরিজের নতুন সংযোজন পোর্ট্রেট এক্সপার্ট অপো রেনো এইট টি বাজারে এসেছে। দেশব্যাপী অপো’র যেকোনো আউটলেট থেকে ফোনটি কেনা যাচ্ছে। প্রি-অর্ডার করা গ্রাহকরা এখন থেকে তাদের পছন্দের ফোনটি সংগ্রহ করতে পারবেন। দৃষ্টিনন্দন ডিজাইন এবং চমৎকার ক্যামেরা সেটআপের জন্য ফোনটি স্মার্টফোন ও প্রযুক্তি প্রেমীদের মাঝে প্রশংসিত হচ্ছে। শুরু হয়েছে এই ফোনের ফার্স্ট সেল। একই সিরিজের আগের ফোনের তুলনায় ৪০০ শতাংশ বেশি বিক্রির রেকর্ড করেছে অপো রেনো এইট টি। হার্ডওয়্যার আপডেটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের জন্য অসাধারণ পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফি অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে এই ফোনে যুক্ত করা হয়েছে নতুন আল্ট্রা-ক্লিয়ার ইমেজিং সিস্টেম এবং বিভিন্ন পোর্ট্রেট ইমেজিং ফিচার। অপো রেনো এইট টি’তে রয়েছে ১০০ মেগাপিক্সেল পোর্ট্রেট ক্যামেরা, ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ ক্যামেরা, ৪০x মাইক্রোলেন্স, ৩২ মেগাপিক্সেল (f/২.৪) ফ্রন্ট ক্যামেরা সহ অসাধারণ সব স্টাইলিশ ও নান্দনিক ফিচার। ১০০ মেগাপিক্সেল পোর্ট্রেট ক্যামেরার সাথে আছে এডিটিং ও ক্রপিং ফিচার, যার সাহায্যে খুব সহজেই ব্যবহারকারীরা সুন্দর ছবি তুলতে পারবেন। ভালো ডিটেইলস সহ ওয়াইড প্যানোরামার ছবি তুলতে এই ফোনে আছে সেকেন্ডারি ক্রপিং সুবিধা। কম আলোতে তোলা আবছা ছবি আরও সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে এই ফোনে রয়েছে পোর্ট্রেট সুপার রেজোলিউশনের মতো বিভিন্ন এআই ফিচার। ফ্ল্যাশ স্ন্যাপশট কাজে লাগিয়ে চলন্ত (নড়াচড়া করছে এমন পরিস্থিতিতে) অবস্থায়ও পরিষ্কার ছবি তোলা যাবে। অনেকগুলো আলট্রা-শর্ট এক্সপোজার ফটোর মধ্যে থেকে ব্যবহারকারী নিজের পছন্দের ছবিটি নিতে পারবেন। অপো রেনো এইট টি ফোনে আছে সেলফি এইচডিআর প্রযুক্তি, যার সাহায্যে তোলা প্রতিটি ছবিতে থাকবে সঠিক এক্সপোজার ও ডিটেইলস। যার কারণে এই সেলফি ক্যামেরা দিয়ে তোলা ছবি খুব ন্যাচারাল মনে হয়। এছাড়া, সব পোর্ট্রেট ফটো ও ভিডিও আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে এই ফোনে আছে এআই পোর্ট্রেট রিটাচিং, যা ৩৯৩ ধরনের ফেসিয়াল ফিচার পয়েন্ট চিনতে পারে। এই ফোনের বোকেহ ফ্লেয়ার পোর্ট্রেইট ব্যবহার করে তোলা ছবি দেখতে ঠিক ডিএসএলআর ক্যামেরার মতো। ব্যবহারকারীরা মাইক্রোলেন্সের ৪০ গুণ ম্যাগনিফিকেশনের মাধ্যমে অদেখা সৌন্দর্য ক্যামেরাবন্দী করতে পারবেন। অপো রেনো এইট টি ফোনের সানসেট অরেঞ্জ রঙের ডিজাইনে রয়েছে ফাইবারগ্লাস-লেদার স্টিচ ডিজাইন। ফোনের চারপাশে প্লাস্টিক এজিং অপসারনের জন্য রেনো এইট টি তৈরি করার সময় অবলম্বন করা হয়েছে নতুন এক কৌশল, যার ফলে ব্যবহারকারীরা পাবেন প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতা এবং লেদারের মতো ব্যাটারি কভারের তুলনায় অনেক হালকা ও পাতলা কভার ব্যবহারের অনুভূতি। স্টারি ব্ল্যাক রঙের ডিজাইনে আছে অপো গ্লো টেকনিক, যার সাহায্যে ফোনটি ব্যবহারের সময় সিল্কের মতো মসৃণ অনুভূতি পাওয়া যাবে। এছাড়া, এই ফোনে আছে কাস্টমাইজেবল অরবিট লাইট ডিজাইন যা পাঁচটি ভিন্ন নটিফিকেশন সেটিংস সমর্থন করে এবং ব্যবহারকারীরা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন কালার অপশন পার্সোনালাইজ করতে পারবেন। এই ফোনের আল্ট্রা-স্লিম বডি ডিজাইন সবার জন্য উপযুক্ত। আপগ্রেডেড কালারওএস ১৩, ৯০ হার্জ রিফ্রেশ রেট, ৪৮ মাসের ফ্লুয়েন্সি প্রটেকশন ও ৩৩ ওয়াট সুপারভুক সহ ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার (এমএএইচ) ব্যাটারি ব্যবহারকারীদের জন্য নিশ্চিত করবে নিরবচ্ছিন্ন স্মার্টফোন অভিজ্ঞতা। এতোসব দুর্দান্ত ফিচারের কারণে অপো রেনো এইট টি ফোনটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সানসেট অরেঞ্জ ও স্টারি ব্ল্যাক এই দু’টি রঙে পাওয়া যাচ্ছে এই ফোন, যার মূল্য মাত্র ৩২,৯৯০ টাকা। আর দেরি না করে এখুনি কিনে ফেলুন রেনো এইট টি।

বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ, ২০২৩

দু’হাজার ইউনিয়নে নারী ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখবে গ্রামীণফোন

দু’হাজার ইউনিয়নে নারী ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখবে গ্রামীণফোন

স্টাফ রিপোর্টার আগামী দুই বছরে দুই হাজার ইউনিয়নে নারী ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখতে কাজ করবে গ্রামীণফোন। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের চেতনার সাথে একাত্ম হয়ে গ্রামীণফোন #ডিজিটাল প্রতিপাদ্যের অধীনে ‘ইন্টারনেট এর দুনিয়া সবার’ শীর্ষক একটি দীর্ঘমেয়াদী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যার লক্ষ্য লিঙ্গ সমতায় উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির ব্যবহার। দুই বছরব্যাপী এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে সারাদেশে উঠান বৈঠক আয়োজিত হবে। যার মাধ্যমে যেসব নারীদের প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ নেই কিংবা সীমিত সুযোগ রয়েছে তাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা হবে এবং তাদের ডিজিটাল স্বাক্ষরতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়ন করা হবে। ২ হাজার ইউনিয়নের গ্রাম ও প্রান্তিক অঞ্চলের নারীদের বিশেষ এ উঠান বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে যেখানে ইন্টারনেট তাদের জীবনকে কিভাবে উন্নত করতে পারে এবং সম্ভাবনা উন্মোচনে সাহায্য করতে পারে তা নিয়ে সচেতন করা হবে। সেশনগুলি বাস্তব জীবনের উদাহরণ উপস্থাপন করে নারীদের প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ে যে ট্যাবু ও ভুল ধারনা প্রচলিত রয়েছে তা ভাঙতে তাদের সচেতন করবে। এছাড়াও অনুপ্রেরণামূলক মহিলাদের সাথে তাদের সংযোগের মাধ্যমে নারীদের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা এবং প্রয়োজনীয়তাগুলি প্রদর্শন করবে। গ্রামীণফোনের কর্মী ও সংশ্লিষ্ট এলাকার অনুপ্রেরণাদায়ী নারীরা উঠান বৈঠকে তাদের মত ব্যক্ত করবেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কে শিক্ষা ও সচেতনতা তৈরি সম্পর্কে আলোচনা করবেন, যাতে অংশগ্রহণকারীরা ইন্টারনেটের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে তাদের ব্যক্তিগত জীবন ও কাজের ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে পারেন। অনলাইন নিরাপত্তার উপর অতিরিক্ত ফোকাস দিয়ে অনলাইন এবং অফলাইন মডিউল উভয়ই ব্যবহার করা হবে। উঠান বৈঠকের প্রথম রাউন্ড ৯ মার্চ থেকে শুরু হবে এবং লক্ষ্য পৌঁছানো পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে চলবে। গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, ‘আমাদের চারপাশে অনেক অনুপ্রেরণামূলক গল্প রয়েছে। যেমন দিনা মৃ যিনি মধুপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ফ্রিল্যান্সিং করছে কিংবা ফোয়ারা ফেরদৌস যিনি ঘরে বসে তার নিজস্ব এফ-কমার্স ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেছেন বা ড. তাসনিম জারা যিনি প্রতিদিন অনলাইনে চিকিৎসা সংক্রান্ত ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেন। কিন্তু এমন অনেক নারীও আছেন যাদেরকে আমরা এই গল্পগুলো বলে, তাদের হাতের মুঠোয় থাকা সম্ভাবনাগুলোকে উন্মোচনে অনুপ্রাণিত করতে পারি।’ তিনি আরও বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের নারীদের এই যাত্রায় সমানভাবে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। ডিজিটাল সাক্ষরতাকে ২০০০টি ইউনিয়নে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে, আমরা শুধুমাত্র দেশের আনাচে কানাচে থাকা মহিলাদের ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কে শিক্ষিত করতে চাই না বরং আমাদের অনুপ্রেরণাদায়ী মহিলাদের একটি প্ল্যাটফর্ম দিতে চাই যেখানে তারা পিছিয়ে পড়া মহিলাদের অনুপ্রাণিত ও ক্ষমতায়নের জন্য তাদের গল্পগুলি শেয়ার করতে পারে।’ জিএসএম’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো লিঙ্গ বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে – ২০২১ সালে যা ছিল ৪৮ শতাংশ। ডিজিটাল বৈষম্য দূর করা এবং প্রান্তিক নারীদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে গ্রামীণফোন। লিডিং প্রযুক্তি কোম্পানি হিসেবে ‘ইন্টারনেট এর দুনিয়া সবার’ গ্রামীণফোনের ডিজিটাল ডিভাইড কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে। সারাদেশে নারীদের জন্য ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির পক্ষে কথা বলে এবং তা ত্বরান্বিত করা এই প্রজেক্টের লক্ষ্য। ------
গুলশানে শুরু হলো ঢাকা উত্তর সিটি স্যানিটেশন ট্রেড ফেয়ার-২০২৩  অভিজাত এলাকায় পয়ঃবর্জ্যের অবৈধ সংযোগ দুঃখজনক: ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম

গুলশানে শুরু হলো ঢাকা উত্তর সিটি স্যানিটেশন ট্রেড ফেয়ার-২০২৩ অভিজাত এলাকায় পয়ঃবর্জ্যের অবৈধ সংযোগ দুঃখজনক: ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম

অভিজাত এলাকায় পয়ঃবর্জ্যের অবৈধ সংযোগ দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম। ঢাকা উত্তর সিটি স্যানিটেশন ট্রেড ফেয়ার-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। গুলশান-২ এর বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্কে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে ইউনিসেফের সহযোগিতায় ০৯-১০ মার্চ 'দুই দিনব্যাপী ঢাকা উত্তর সিটি স্যানিটেশন ট্রেড ফেয়ার-২০২৩' শুরু হয়েছে। এটি সকলের জন্য উন্মুক্ত। সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই ফেয়ার চলবে। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ ২০২৩) সকালে ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি। স্যানিটেশন ফেয়ার উদ্বোধন শেষে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এবং ডিএনসিসি মেয়র প্রতিটি স্টল ঘুরে দেখেন এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থা সম্পর্কে ধারণা নেন। নিরাপদ ও টেকসই পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিক ও উন্নত পরিষেবা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় আধুনিক পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রায় ২৫টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। আধুনিক পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে এই মেলায় রয়েছে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সমাধান ও পণ্যের ডেমোনেস্ট্রেশন, কস্ট, অপারেশন এবং ম্যানেজমেন্ট। ভবন-ইমারতে কার্যকর সোক ওয়েল, সেপটিক ট্যাংক ব্যবস্থা স্থাপন নিশ্চিত করার জন্য ভবনের মালিকদের অনুরোধ জানানো হয় এই স্যানিটেশন ফেয়ার থেকে। পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা (অনসাইট স্যানিটেশন) সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ ভবন, ইমারতে কার্যকর সোক ওয়েল, সেপটিক ট্যাংক ব্যবস্থা স্থাপন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে এই আয়োজনের মাধ্যমে। পাশাপাশি নিরাপদে অন-সাইট স্যানিটেশনের জন্য সঠিক, উপযুক্ত সেভ স্যানিটেশন টেকনোলজি ক্রয়ের সুযোগ রয়েছে এই স্যানিটেশন ট্রেড ফেয়ারে। স্টল পরিদর্শন শেষে অতিথিবৃন্দ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকায় নিরাপদ ও টেকসই পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত একটি প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি, ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম, ঢাকায় নিযুক্ত কিংডম অব নেদারল্যান্ডস এর রাষ্ট্রদূত এ্যানে ভ্যান লিউয়েন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান (সচিব) মো: আনিছুর রহমান মিঞা, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, ইউনিসেফ, বাংলাদেশ এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ সেলডন ইয়েট, নগর ও পরিবেশবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব, সাবেক সচিব হেদায়েতুল্লাহ মামুন এবং বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. মোঃ মুজিবুর রহমান। আলোচনায় অংশ নিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, 'গুলশান, বনানী ও বারিধারা অনেকটা ম্যানহাটন শহরের মতোই অভিজাত ও ব্যয়বহুল। কিন্তু এটি অত্যন্ত দুঃখজনক এসব এলাকায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে বাড়ি বানালেও সুয়ারেজের ব্লাক ওয়াটারের সংযোগ আমাদের সারফেস ড্রেনে দিয়ে রেখেছে। অভিজাত এলাকায় পয়ঃবর্জ্যের অবৈধ সংযোগ দুঃখজনক। এমনো অনেক বাড়ি আছে দুইটি বা তিনটি বিএমডব্লিউ গাড়ি রয়েছে। কিন্তু অল্প টাকা খরচ করে সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লাট করেনি।' মেয়র বলেন, 'আমরা চাই একটি সুন্দর শহর, একটি দূষণমুক্ত শহর। আমরা চাই শহরের খালগুলো হবে দূষণমুক্ত। এজন্য আমাদের সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি জনগণকেও সচেতন হতে হবে, দায়িত্ব পালন করতে হবে। বাসা-বাড়ির পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ সারফেস ড্রেন (স্ট্রম ড্রেন) অথবা খালে দেওয়া যাবে না। পয়-বর্জ্যের লাইন খালে গিয়ে প্রতিনিয়ত খালকে দূষণ করছে। দূষণের ফলে খালে মাছের চাষ না হয়ে সেখানে মশার চাষ হচ্ছে। সেটি আর হতে দেয়া যাবে না।' মেয়র আরও বলেন, 'পয়ঃবর্জ্যের অবৈধ সংযোগ বন্ধে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। কয়েকটি এলাকায় সুয়ারেজ লাইনে কলাগাছ দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি। কিন্তু আমরা অভিযান করবো, কলাগাছ দিয়ে বন্ধ করবো এটি সমাধান হতে পারে না। আমি অনুরোধ করছি আপনারা সচেতন নাগরিক হিসেবে, সচেতন ভবন মালিক হিসেবে, বিভিন্ন সোসাইটির সচেতন নেতা হিসেবে, হাউজিং প্রতিষ্ঠানের সচেতন মালিক হিসেবে অন সাইটে সঠিক পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থা করুন। এই ফেয়ার থেকে সমাধান পাবেন। এখান থেকে কারিগরি সহায়তা পাবেন। পছন্দ অনুযায়ী ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ করে বাড়িতে ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করুন। শহরকে দূষণমুক্ত করতে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করুন।' স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০৪১ সালের উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে নগরায়ন হতে হবে। বাসযোগ্য ঢাকার জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পয়ঃনিষ্কাশন, খোলা জায়গা, খেলার মাঠ থেকে শুরু করে জনসংখ্যার ঘনত্ব বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে।' তিনি বলেন, 'যত্রতত্র, খেয়ালখুশিমত স্থাপনা তৈরীর সংস্কৃতি থেকে আমাদেরকে বের হয়ে আসতে হবে। এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী নাগরিকদের ইতিবাচক মনোজাগতিক পরিবর্তনের উপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, আইন ও নিয়মকানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নাগরিকরাই উন্নত ও স্মার্ট নগরের প্রধান কারিগর। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নাগরিকদের সঠিক পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার বিষয়ে সচেতন করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সবার সচেতনতা এবং সহযোগিতা থাকলে বাসযোগ্য ঢাকা গড়া সম্ভব। মন্ত্রী আরও বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১২ সালে পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য ঢাকা শহরকে পাঁচটি ক্যাচমেন্ট এলাকায় ভাগ করেন। কারণ দুর্বল পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা বাসযোগ্য ঢাকার অন্তরায়। আমাদের Mizanur Rahman Jewel
জ্বালানির জন্য মানবসভ্যতা, আবার জ্বালানির জন্যই সারাবিশ্বে যুদ্ধ-বিগ্রহঃ ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস

জ্বালানির জন্য মানবসভ্যতা, আবার জ্বালানির জন্যই সারাবিশ্বে যুদ্ধ-বিগ্রহঃ ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস

জ্বালানির জন্য আজকের এই মানবসভ্যতা, আবার জ্বালানির জন্যই সারাবিশ্বে যুদ্ধ-বিগ্রহ অবস্থা বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। আজ বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব এনার্জি কর্তৃক ‘সাসটেইনেবল এনার্জি উইক-২০২৩’ উপলক্ষে আয়োজিত ‘সাসটেইনেবল এনার্জি পলিসি এন্ড আওয়ার লাইভলিহুড’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ কথা বলেন। ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "মানব সভ্যতার অভ্যদ্বয়ের জন্য, উত্থানের জন্য জ্বালানি ব্যবহৃত হয়। আবার এই সভ্যতাকে ধ্বংস করার জন্য জ্বালানি একটি নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। ভেনেজুয়েলা, নাইজেরিয়া জীবাশ্ম জ্বালানিতে ভরপুর। কিন্তু বর্তমানে ভেনেজুয়েলা, নাইজেরিয়া অনেকটাই দেউলিয়া রাষ্ট্র। আবার সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রগুলো এই জ্বালানের ওপরে দাঁড়িয়ে আজকে উন্নত রাষ্ট্র পরিণত হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত সারাবিশ্বে জ্বালানির মূল্য বহুগুণ বৃদ্ধি করেছে। সুতরাং জ্বালানির জন্যই মানব সভ্যতা আজকের এই পর্যায়ে এসেছে। আবার এই জ্বালানির জন্যই সারাবিশ্বে যুদ্ধ-বিগ্রহ অবস্থা বিরাজ করছে।" বায়ু দূষণের জন্য মানসম্মত নয় এ ধরনের জ্বালানি ব্যবহারকে সবচেয়ে বেশি দায়ী উল্লেখ করে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "ধুলার জালা সহ্য করা যায় না। কিন্তু লেড, ম্যাগনেসিয়ামসহ বিভিন্ন ধরনের যে বিষাক্ত পদার্থ আমরা প্রতিনিয়ত নিচ্ছি, সেটা কেউ খেয়াল করছে না। বাংলাদেশে যে জ্বালানি তেল আসে সেটা নিম্নমানের। যে ডিজেল আমরা ব্যবহার করি, তা কতটা বিপজ্জনক -- প্রতিদিন বায়ু দূষণের মাত্রায় সর্বোচ্চ ওপরে থাকার পরেও আমাদের উপলব্ধি আসছে না। উপলব্ধিতে আসছে শুধু ধুলা-বালি। এই ধুলা-বালি আমাদেরকে বিরক্ত করছে। কিন্তু বায়ু দূষণের ৮০ ভাগ কারণ হলো জীবাশ্ম জ্বালানি। আমরা যে তেলটা ব্যবহার করি সেটা অপরিশোধিত তেল। যেখানে লেড, ম্যাগনেসিয়াম, সালফারের মতো অনেক বিপদজ্জনক পদার্থ পাওয়া যায়। যার কারণে ঢাকা শহর ছোট শহর হওয়ার পরেও আমরা এখানে বায়ু দূষণের সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছি। মানসম্মত নয় এমন জীবাশ্ম জ্বালানি বেশি ব্যবহারের কারণে আজকে আমরা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ বায়ু দূষণগ্রস্থ শহরে পরিণত হয়েছি।" জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী উদ্যোগ তুলে ধরে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "জ্বালানি -- আমার সম্পদ, আমারই থাকবে। জাতির পিতা সেটা সর্বপ্রথম নির্ধারণ করেছিলেন। পাকিস্তান আমলে আমাদের বড় বড় গ্যাস ক্ষেত্রগুলো বহুজাতিক কোম্পানিকে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালে তিতাস গ্যাসসহ ৫টি বড় বড় গ্যাস ক্ষেত্র বহুজাতিক কোম্পানির কাছ থেকে কিনে নিয়েছিলেন। সে সময় আমাদের অর্থ ছিল না কিন্তু তিনি ভবিষ্যৎ জ্বালানি নিরাপত্তা উপলব্ধি করেই সেগুলো কিনে নিয়েছিলেন। যে কারণে আজ অবধি আমরা গ্যাস ব্যবহার করতে পারছি।" জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর নানামুখী উদ্যোগ উল্লেখ করে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "জ্বালানির মূল কার্যক্রমই হলো বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা। সৌর, পানি, বায়ু, পারমানবিক, কয়লা -- যে ধরনের জ্বালানিই হোক না কেন, এগুলোর সবই বৃহদার্থে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়। সে বিদ্যুৎ ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যায়, দেশকে উন্নত করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটাই করেছেন। তিনি সব ধরনের জ্বালানি ব্যবহার করে বাংলাদেশকে আজ বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছেন। বিগত ১৪ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ২৮০০ মেগাওয়াট থেকে তিনি ২৫ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করেছেন।" ইনস্টিটিউট অব এনার্জি'র পরিচালক ড. এম এস নাসিফ শামস এর সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি, ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের কার্যকরি সদস্য আদেলুর রহমান এমপি, ডিবিসি নিউজের প্রধান সম্পাদক মঞ্জরুল ইসলাম ও বিইপিআরসি'র সদস্য রতন কুমার ঘোষ প্রমুখ আগামীর জ্বালানি নিরাপত্তা ও বাংলাদেশের করণীয় সম্পর্কে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। সেমিনারে বক্তারা ২০০৮ সালে প্রণীত সাসটেইনেবল এনার্জি পলিসির আলোকে আগামীর জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। উল্লেখ যে, ঢাকার প্রায় ১৫০টি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হয়েছে সাসটেইনেবল এনার্জি উইক-২০২৩। আজকের সমাপনী সেমিনারের মাধ্যমে সপ্তাহব্যাপী এ আয়োজনের সমাপ্তি হলো Mizanur Rahman Jewel
স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন(রায়পুরায় ) এর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন(রায়পুরায় ) এর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিদ্যা বাড়ি সংগঠনের আর্থিক ব্যবস্থাপনায়, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে, নরসিংদী,রায়পুরা,বালুয়াকান্দী স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন এর সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে ব্যতিক্রমী বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৮ মার্চ ২০২৩) বেলা নরসিংদী,রায়পুরা,বালুয়াকান্দী এলাকায় স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন মাঠ প্রাঙ্গণে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ আকবর হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, সবুজ পরিবেশ আন্দোলনের জেলা সভাপতি প্রফেসর ড. শেখ আবুল হোসেন (হানিফ)। স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের মহাসচিব তানিয়া শেখ এর সঞ্চালনায় উদ্বোধন করেন, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও শিল্পপতি বি এম সেলিম। পৃষ্টপোষকতায় ছিলেন বিদ্যা বাড়ি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও হাজী আবেদ আলী কলেজের প্রভাষক বেলাল আহমেদ। বক্তব্য রাখেন, বাবুর হাট গ্রীণফিল্ড কলেজের প্রভাষক মারুফ হোসেন, আমীরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান কবির হোসেন, আমীরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত সদস্য শ্রী পরশ মনি, স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক শান্তা শেখ, সহকারী শিক্ষক কান্তা শেখ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আ: মোমেন, বালুয়াকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সদস্য ডা: ওবায়দুল্লাহ ও ওমর ফারুক প্রমূখ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন স্টুডেন্ট এডুকেশনাল এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সাগর, মো. খাইরুল আলম, সাধারণ সম্পাদক, বালুয়া কান্দি অনিবার্ণ সংগঠন, কোষাধক্ষ্য ,মোঃ মমিন মিয়া, মাসুদ রানা,নাঈম হাসানসহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। দৌড়, বস্তা দৌড়, কচ্ছপের গতিতে চলা, বাংলার নারী শাড়িতে মানায় , জলে ডাঙ্গায়, সতীনের ছেলে কেউ নেয়না কোলে, বল বল বাহু বল, বিস্কেট খেলা, বালিশ নিক্ষেপসহ ১৫ টি ইভেন্টে অংশ নেয় শতাধিক প্রতিযোগী। এছাড়াও নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি ও অভিনয় ইভেন্টে অংশ নেন অর্ধশত প্রতিযোগী। এবং আমন্ত্রিত মহিলাদের জন্য ‘বালিশ খেলা’ অনুষ্ঠানটি হয়েছিল বিশেষ উপভোগ্য। খেলা দেখতে শত শত মানুষের ভীড় জমে। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ। বিদ্যালয়ে আগত সকলে মিলে আনন্দের সঙ্গে সারা দিন দিন কাটান। আবার মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যা দেখে মেতে থাকে ছোট বড় সকল দর্শকেরা।
প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. শেখ আবুল হোসেন বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের এবং অভাবী পরিবারের জন্য একটি দুর্দান্ত উদ্যোগ। আমরা তাদের পাশে থাকবো থাকতে চাই, তা্রা যেনো লেখাপড়ার অভাবে খারাপ পথ বেছে না নেয় সে দিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।"
প্রভাষক বেলাল আহমেদ এসব সুবিধাবঞ্চিত শিশুর জন্য সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। তিনি বলেন, ‘এটা শুধু সরকারের করার বিষয় নয়। আমরা যে যেখানে আছি, সেখান থেকে তাদের সহযোগিতা করতে হবে।’ এই শিশুদের মধ্যে যত প্রতিভা আছে, সম্ভাবনা আছে, তার সবকিছুকে পরিপূর্ণ বিকাশের সুযোগ করে দেব। সেই সুযোগ যেন তারা কাজে লাগাতে পারে, সে জন্য পাশে থাকব।’
উল্লেখ্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠদান, পোশাক, শুকনো খাবার বিতরন করা হয়। প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আকবর হোসেন ও মহাসচিব তানিয়া শেখ বলেন, দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের আমরা লেখাপড়া করতে সহযোগিতা করছি। আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাই সকল শিশুকে শিক্ষা গ্রহণ করার সহজ ব্যবস্থাগ্রহণ করত হবে। এই স্কুলের ৩ টি শাখায় প্রায় ২ শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত ও হতদরিদ্র শিশু বিনা বেতনে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে।

রবিবার, ৫ মার্চ, ২০২৩

শুধু ভুলত্রুটি নয়, সাফল্যেরও প্রচার প্রয়োজন : টিভি বার্তা সম্পাদকদেরকে তথ্যমন্ত্রী

শুধু ভুলত্রুটি নয়, সাফল্যেরও প্রচার প্রয়োজন : টিভি বার্তা সম্পাদকদেরকে তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা, রোববার ৫ মার্চ ২০২৩: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘দেশ পরিচালনায় সাফল্যের পাশাপাশি কিছু ভুলত্রুটি থাকে কারণ কোনো সরকার পৃথিবীতে শতভাগ নির্ভুল কাজ করতে পারে না। অতীতেও পারে নাই, এখনও পারবে না, ভবিষ্যতেও না। সে কারণেই শুধু ভুলত্রুটি নয়, সাফল্যটাও তুলে ধরতে হয়।’ রোববার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোর বার্তা প্রধান ও সম্পাদকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি আরো বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যেও আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু বিরোধীদলের কথা শুনলে তা মনে হয় না। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ঐ পারে গিয়ে তারা বলে যে, ‘দেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি’। সেই বক্তব্যগুলো আবার সবক’টি টেলিভিশনে ভালোভাবে প্রচার হয়। সবার বক্তব্যই প্রচার হতে পারে, কিন্তু সত্যি ঘটনাটাও প্রচার হতে হবে, তাহলে মানুষ সঠিক উপসংহারে উপনীত হবে।’ তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এবং বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোর বার্তা প্রধান ও সম্পাদকবৃন্দ বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠক সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে মালিকদের কথা শুনতে হয়, কিন্তু প্রতিদিন ‘ডে-টু-ডে এফেয়ার, আওয়ার-টু-আওয়ার এফেয়ার’ বার্তা প্রধানরা, সম্পাদকরা করেন। কোন সংবাদটা যাবে বা যাবে না, কতটুকু যাবে, কোন বাইট যাবে, সেটি আপনারাই নির্ধারণ করেন। সুতরাং গণমাধ্যম কি পরিবেশন হচ্ছে সেই নিয়ন্ত্রণটা আপনাদের হাতে। এ জন্যই আপনাদের সাথে আমি বসতে চেয়েছি।’ ড. হাছান বলেন, ‘বাংলাদেশে বেসরকারি টেলিভিশনের যাত্রাটাই শুরু হয়েছে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করার পর তার হাত দিয়ে প্রথমে ইটিভি তারপর এটিএন বাংলা, চ্যানেল আইয়ের যাত্রা শুরু হয়। সেই ধারাবাহিকতায় এখন পর্যন্ত আমার জানামতে ৩৬টি প্রাইভেট টেলিভিশন সম্প্রচারে আছে আরো কয়েকটি খুব সহসা সম্প্রচারে আসবে।’ তিনি বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে আমাদের দেশে গত ১৪ বছরে বেসরকারি টেলিভিশন, রেডিও, পত্রিকা এবং অনলাইন সংবাদ পোর্টাল সবকিছুর এক্সপোনেনসিয়াল গ্রোথ হয়েছে এবং মেধাবীরা কাজের সুযোগ পেয়েছেন। প্রাইভেট টেলিভিশন ১০টি থেকে ৩৬টি, দৈনিক কাগজের সংখ্যা সাড়ে ৪শ’ থেকে সাড়ে ১২শ’, হাতেগোনা কয়েকটি থেকে অনলাইন পোর্টাল কত হাজার সেটা পরীক্ষা নিরীক্ষার বিষয়।’ সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যম মানুষের মনন তৈরি করে, মানুষের কাছে সমাজের বিশ্বের চিত্র পরিস্ফুটন করে এবং তা থেকে মানুষ তার ধারণাটা তার নিজের কল্পে সংগ্রহ করে। সে জন্য গণমাধ্যমে কিভাবে সংবাদ পরিবেশন হচ্ছে সেটি গুরুত্বপূর্ণ। একইসাথে টেলিভিশনের দায়িত্ব আমাদের সংস্কৃতিচর্চা এবং সমাজের অনুন্মোচিত বিষয়গুলো উন্মোচন করা। সমাজ যে দিকে তাকায় না রিপোর্টের মাধ্যমে সেগুলোকে তুলে আনা যাতে সমাজ ও সরকার সেদিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। অর্থাৎ মানুষের মনন, দেশ, সমাজ গঠনে ও রাষ্ট্র পরিচালনায় টিভি চ্যানেলের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব মন্দা পরিস্থিতি, যুদ্ধ ও করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ তার অর্থনীতিকে চাঙ্গা রেখেছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির চাকা শুধু সচল আছে তা নয়, আমাদের জিডিপিও বাড়ছে। ২০০৯ সালে আমাদের জিডিপির আকার ছিল ৭৬ কি ৮০ বিলিয়ন ডলার এখন তা পাঁচ গুণেরও বেশি বেড়ে হয়েছে প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলার। মাথাপিছু আয় ছিল ৬শ’ ডলার, এখন ২ হাজার ৮শ’ ৮৪ ডলার, যেটি ভারতকে ছাড়িয়েছে। আর সামাজিক, অর্থনৈতিক, স্বাস্থ্য, মানবউন্নয়নসহ সব সূচকে পাকিস্তানকে আমরা ৭-৮ বছর আগে ছাড়িয়েছি। বিশ্বের পত্রপত্রিকা-গণমাধ্যমে আমাদের প্রশংসা হচ্ছে, দেশে সব গণমাধ্যমে তেমনটি নেই।’ নিজ মন্ত্রণালয় সম্পর্কে মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার পর আমি চেষ্টা করেছি গণমাধ্যমকে সুরক্ষা দেওয়া জন্য। দেশের টেলিভিশনের কোনো সিরিয়াল ছিলো না, সেটা আমরা শুরুতেই ঠিক করেছি। বিদেশি টেলিভিশনে অবৈধ বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে পারবো কেউ ভাবেনি, টেলিভিশনের মালিক পক্ষও ভাবেনি। আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে এমনকি ভারতের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীকেও জানিয়ে সেটি আমরা কঠোর হস্তে করেছি। ৩০ বছর পর আমি দায়িত্ব নিয়ে সারা ভারতবর্ষে ফ্রি ডিটিএইচ ডিসের মাধ্যমে বিটিভি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করেছি। আমাদের শিল্পীদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য টিভি চ্যানেলগুলোতে বিদেশি সিরিয়ালের যথেচ্ছ প্রচার নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে, বিজ্ঞাপনে বিদেশি শিল্পীদের ক্ষেত্রে বাড়তি কর দেওয়ার বিধান চালু করেছি।’ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই : তথ্যমন্ত্রী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকরা বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না’ এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবরা ২০১৮ সালের আগেও একই ধরণের বক্তব্য রেখেছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত বিশাল জোট করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তখন মানুষ বলেছিল ‘গাধা জল ঘোলা করে খায়’। এবারও তারা একই কথা বলছেন।’ তিনি বলেন, ‘দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধিনে। আমরা চাই বিএনপিসহ সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এবং বিএনপি তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুক। নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকরাও থাকবে। সুতরাং তাদের নির্বাচন নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। আশা করবো তারা নির্বাচন ভীতি কাটিয়ে উঠে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।’ সংবাদপত্রে চাকরিরতদের জন্য ওয়েজবোর্ড আছে কিন্তু বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোতে নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো নেই -এ প্রশ্নে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘ওয়েজবোর্ড সংসদে পাশ করা আইন, যা পরিবর্তন করতে হলে আইনটিই পরিবর্তন করতে হবে। সম্প্রচারমাধ্যম সহ গণমাধ্যমকর্মীর আইনি সুরক্ষার জন্য গণমাধ্যমকর্মী আইনের খসড়া তৈরি হয়েছে। এটি পাস হলে সেই সুরক্ষা হবে।’
জাতীয় পাট দিবসে পুরস্কার পাচ্ছেন ১১ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান

জাতীয় পাট দিবসে পুরস্কার পাচ্ছেন ১১ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী,বীরপ্রতীক,এমপি, বলেন, “পাটখাত উন্নয়নে গবেষণা কার্যক্রম, পাটবীজ আমদানিতে নির্ভরশীলতা হ্রাস, পাটবীজ উৎপাদনে সয়ম্ভরতা অর্জন, প্রচলিত ও বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবদান রাখার জন্য এবছর পাট দিবসে ১১ (এগার)টি ক্যাটাগরিতে ১১ জন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও পাটসংশ্লিষ্ট অংশীজনদের ৭টি শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হবে।” আজ রবিবার (৫ মার্চ) দুপুরে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘জাতীয় পাট দিবস ২০২৩’ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানান বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী,বীরপ্রতীক, এমপি। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আব্দুর রউফ, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সেলিনা আক্তার, পাটকল করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো: রাহাত আনোয়ার, বস্ত্র অধিদপ্তরে মহাপরিচালক মোঃ নুরুজ্জামন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মাহমুদ হোসেন, তসলিমা কানিজ নাহিদা (অতি: সচিব)সহ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী বলেন, সোনালি আঁশ পাটের সাথে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। শুধু তাই নয়, বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির হাতিয়ার হিসেবে পাটের ভূমিকা একটি স্বীকৃত ইতিহাস। পরিবেশবান্ধব তন্তু হিসেবে পাটের গুরুত্ব বিবেচনায় পাট চাষে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি, দেশিয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাট ও পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক তন্তু হিসেবে সোনালি আঁশের উজ্জ্বল সম্ভাবনা তুলে ধরার লক্ষ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও ৬ মার্চ ‘জাতীয় পাট দিবস ২০২৩’ উদযাপন করতে যাচ্ছে। এবারের জাতীয় পাট দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে-¬¬¬¬ ‘পাট শিল্পের অবদান - স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পাটজাত পণ্যকে বর্ষপণ্য-২০২৩ এবং সোনালী আঁশ পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন। ইতোমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক পজ্ঞাপন জাড়ি করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে, পাটপণ্যকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করেছে। সে লক্ষ্যে পাটখাতের অংশীজনসহ বছরব্যাপী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রদর্শনী, সেমিনার, সভা ও প্রচারণামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের প্রত্যেকটি বিভাগীয় শহরের পাশাপাশি কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে ও পাটসমৃদ্ধ ফরিদপুর জেলায় পাট ‍ও পাটজাতপণ্য প্রদর্শনী ও মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। এছাড়াও ১২-১৬ মার্চ শিল্পকলা একাডেমিতে ০৫ (পাঁচ) দিনব্যাপী বহুমুখী পাটপণ্য প্রদর্শনী ও মেলা আয়োজন করা হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) এর মাধ্যমে পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকার বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্ভাবন ও ব্যবহার সম্প্রসারণে গুরুত্বারোপ করেছে। জেডিপিসির নিবন্ধিত উদ্যোক্তাগণ বিভিন্ন রকম দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য উৎপাদন করছেন - যার অধিকাংশই বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। বহুমুখী পাটজাত পণ্যকে জনপ্রিয় করতে প্রচার প্রচারণাসহ বিদেশে বিভিন্ন মেলার আয়োজন করার কাজ চলমান রয়েছে। এসব মেলা পাটজাত পণ্য উৎপাদনকারী, বিপণনকারী, ব্যবহারকারী এবং বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যে অধিক যোগাযোগ স্থাপনে সহায়ক হবে। তিনি বলেন, বিজেএমসি’র মিলগুলো সরকারি মালিকানায় রেখে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬টি জুট মিল ইজারা প্রদান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩টি মিলে বাণিজ্যিক উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। আরও ৫টি মিলের ইজারা প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে। তিনি জানান, উচ্চফলনশীল (উফশী) জাতের পাটবীজ ব্যবহারের মাধ্যমে অল্প জমিতে অধিক পাট উৎপাদন, পাটবীজের আমদানি নির্ভরতা হ্রাস করে পাটবীজ উৎপাদন পাটচাষিদের আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলা, পাটচাষের আধুনিক কলাকৌশল সম্পর্কে পাটচাষিদের প্রশিক্ষণ প্রদানের নিমিত্ত পাট অধিদপ্তরের অধীন ‘উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রাসারণ’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পটি দেশের ৪৬টি জেলার ২৩০টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। মানসম্মত পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে পাঁচবছরের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় যৌথ উদ্যোগে একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে । আশা করি, বাংলাদেশ উন্নত পাটবীজ উৎপাদনে স্বনির্ভর হবে। প্রয়োজনীয় পাটবীজ সংগ্রহে আমদানি নির্ভরতা আর থাকবে না। তিনি জানান, দেশের শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে পাটখাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় কর্তৃক পাটখাতে নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এর ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রপ্তানি আয়ে পাটখাত উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। দেশের প্রায় ৪ কোটি লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ খাতের উপর নির্ভরশীল। পাটশিল্পের পুনরুজ্জীবন ও আধুনিকায়নের ধারা বেগবান করার লক্ষ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ‘পাট আইন, ২০১৭’, ‘জাতীয় পাটনীতি, ২০১৮’ ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’, ‘চারকোল নীতিমালা, ২০২২’ প্রণয়ন করেছে। সংবাদ সম্মেলন জাননো হয়, আগামী ৬ মার্চ ২০২৩ তারিখ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন, ঢাকায় পাট দিবসের মূল অনুষ্ঠান এবং মতিঝিলস্থ করিম চেম্বারে বহুমুখী পাটপণ্যের প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন করা হবে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিল্প মন্ত্রী জনাব নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উক্ত অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ঘোষণার সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। মাননীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির মাননীয় সভাপতি মির্জা আজম এমপি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকব
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে কৃষিমন্ত্রী: উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়তে আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে কৃষিমন্ত্রী: উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়তে আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই

টাঙ্গাইল, ০৫ মার্চ ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে বাঙালিরা যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে সে ব্যবস্থা পাকিস্তানি শাসকেরা করে গিয়েছিলো। অবকাঠামোগত ধ্বংসযজ্ঞের পাশাপাশি এই জাতির অমূল্য সম্পদ বুদ্ধিজীবীদের তারা হত্যা করেছিলো। সে রকম একটি ভঙ্গুর অবস্থা থেকে জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার প্রসারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। আজ রবিবার সকালে টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো: আবদুল হামিদের পক্ষে কৃষিমন্ত্রী এই সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন ও ডিগ্রি প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন সিআরপি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক ভেলেরি অ্যান টেইলর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো: ফরহাদ হোসেন। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বিগত ১৪ বছরে শিক্ষার মানোন্নয়ন, অবকাঠামো নির্মাণ,গবেষণায় উৎকর্ষ সাধনে বিশাল বিনিয়োগ করেছে ও শিক্ষাবান্ধব নানান পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে। শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উদ্বুদ্ধকরণে ব্যাপক হারে ফেলোশিপ প্রদান করা হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি শিক্ষাখাতে এই বিশাল বিনিয়োগ দেশকে কাঙ্ক্ষিত সময়ের আগেই উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করবে। ছাত্র-ছাত্রীদেরকে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান বিশ্বে একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নে দক্ষ মানবসম্পদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। আমাদের মতো দেশে-যাদের প্রাকৃতিক সম্পদ খুব সীমিত, সেখানে দক্ষ মানবসম্পদ আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তরুণেরাই আমাদের দেশের বিরাট শক্তি ও প্রকৃত সম্পদ। এই তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগাতে বর্তমান সরকারও নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এই বাস্তবতায়, প্রায়োগিক ও সময়োপযোগী শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের গ্রাজুয়েটদের নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে। শিক্ষকদেরও এ বিষয়ে আরো এগিয়ে আসতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তার প্রসঙ্গে ড. রাজ্জাক বলেন, কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধ, অবরোধ-পাল্টা অবরোধের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বিশ্বব্যাপী ‘খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা’ বেড়েছে। বেড়েছে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে এবং বহুমুখী দুর্যোগের মধ্যেও বিশ্বে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এর আগে চ্যান্সেলরের পক্ষে কৃষিমন্ত্রী সমাবর্তন শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন এবং সমাবর্তনের উদ্বোধন করেন।