রবিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৩

‘ক্ষমতার জন্য নয়, মানুষের কল্যাণে কাজ করে বিএনপি’

স্বদেশসময়২৪.কম
বিএনপি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে না, মানুষের কল্যাণে কাজ করে বলে দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। শনিবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে স্বাধীনতা ঐক্য পরিষদের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষে ‘ঈদ উপহার বিতরণ এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন। ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগ যখন জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করে, তখন সেটা জায়েজ হয়। অপরদিকে, বিএনপি কারও সাথে রাজনীতি করলেই সেটা অন্যায় হয়। ২০০১ সালের আগে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির একটা নির্বাচনী জোট ছিল। সেটা ছিল অঙ্কের বিষয়। বিএনপি জাতীয়তাবাদের রাজনীতি করে। শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশের সব মানুষকে নিয়ে একটি জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল গঠন করেছিলেন। তিনি বিশ্বজুড়ে সেটাই প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন বলে আমরা জাতীয়তাবাদের পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। তিনি বলেন, সংবিধানের জন্য মানুষ নয়, মানুষের জন্য সংবিধান রচিত হয়েছে। তাই, মানুষ সংবিধান পরিবর্তন করতে চাইলে পরিবর্তন করতে হবে। সংবিধান কোনো ধর্মগ্রন্থ নয় যে পরিবর্তন করা যাবে না। মানুষের কল্যাণের জন্যই সংবিধান সৃষ্টি হয়েছিল। আওয়ামী লীগ কি ভুলে গেছে, তারা সংসদের ভেতরে ১১ মিনিটে সংবিধান পরিবর্তন করে বাকশাল কায়েম করেছিল। আওয়ামী লীগ সব সময় সুযোগ বুঝে একনায়কতন্ত্র ও একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করে। তারা মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীকালে যেভাবে বাকশাল কায়েম করেছিল, একইভাবে এখন অলিখিত বাকশাল কায়েম করে চলেছে। আওয়ামী লীগ মানুষের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে ক্ষমতায় টিকে আছে। তাই, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে শহিদ জিয়া মানুষের কাছে ফিরে এসেছিলেন। বাংলাদেশের মানুষ তাকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করেছিলেন। এ দেশের মানুষ তাকে রাষ্ট্রের দায়িত্ব দিয়েছিল। তিনি রাষ্ট্রের দায়িত্ব নিয়ে সফলভাবে মানুষের কল্যাণ করেছেন। এটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস। মানুষের চাহিদার ভিত্তিতে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতার টিকে থাকার জন্য সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। এ সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা নেই। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে গেছেন। তারা মানুষকে হত্যা-গুম-নির্যাতন করে ক্ষমতায় টিকে আছে। দুর্নীতি করে সরকার লাখো কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। সরকার জানে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জনগণ কাকে ভোট দেবে। আর জানে বলেই তারা সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে চায় না। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য, মানুষের চাহিদার জন্য, মানুষের আস্থার জন্য সংবিধান একবার কেন, প্রয়োজনে দশবার পরিবর্তন করতে হবে। আব্দুল মঈন খান বলেন, ইনশাল্লাহ, আমরা আগামীতে এ দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব। দ্রব্যমূল্য বাড়ায় মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে, মানুষ কষ্টে আছে। সেই কষ্ট দূর করার জন্য বিএনপি কাজ করে যাচ্ছে। বিএনপি মানুষের পাশে আছে।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: