রবিবার, ৭ মে, ২০২৩

"ওয়াশ ফর আরবান পুওর প্রকল্প" এর রিতীয় ধাডপর চুরি স্বাক্ষর ও যাত্রা শুরু, উপকৃত হবেণ সহস্রারধক মানুষ

  স্বদেশসময়২৪.কম: 

 [ঢাকা, ০৭ মে’২০২৩] বাংলাদেশে সুইডেন দূতাবাসের সাথে অংশীদারিত্বে ‘ওয়াশ ফর আরবান পুওর (ওয়াশফরআপ) প্রকল্প’ এর দ্বিতীয় ধাপ উন্মোচন করেছে ওয়াটারএইড বাংলাদেশ। ‘ওয়াশফরআপ ফেইজ ২ প্রকল্প’ শীর্ষক প্রকল্পটি দেশের নির্দিষ্ট কিছু শহরাঞ্চলের পরিবেশের সামগ্রিক অবস্থা ও এর টেকসই-সক্ষমতার উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করবে। রাজধানীর গুলশান ২-এ অবস্থিত সুইডেন দূতাবাসে এই প্রকল্পেরচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

অনুষ্ঠানে সুইডেন দূতাবাসের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন এর হেড অব ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ও ডেপুটি হেড অব মিশন, মারিয়া স্ট্রিডসম্যান এবং ওয়াটারএইড বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনসংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান।


তিন বছর মেয়াদী এ প্রকল্পটি বিগত বছরগুলোয় ব্যবহৃত সর্বোত্তম অনুশীলনীগুলোকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ
দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করবে। প্রকল্পটি ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, পাইকগাছা, সখিপুর ও সৈয়দপুরে বাস্তবায়িত
হবে। প্রকল্পটির লক্ষ্য হল সমাজে পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াশ) সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং
জলবায়ু-সহনশীল এবং ওয়াশ কার্যক্রমে সকলের সুযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের সংশ্লিষ্ট
সমস্যা লাঘব করা।


প্রকল্পটি ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে বসবাসকারী মানুষ, বিশেষত নারীদের জীবনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।নারীদের প্রায়শই দীর্ঘ সময়ের জন্য পানি বোঝাই পাত্র বহন করতে হয়, যা তাদের স্বাস্থ্যের ওপর
নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এ প্রকল্পের লক্ষ্য হল সবাই, বিশেষ করে যারা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়
বসবাস করছেন, তাদের প্রয়োজনে জরুরি সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিতে ভূমিকা রাখা। সেই সাথে, প্রকল্পটি পথচারী ও নগরবাসীর সুবিধাতেও উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে। এর মাধ্যমে ৯৫ লাখ
পাবলিক-পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা ব্যবহারকারী এবং ১৮ হাজার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মী, সংশ্লিষ্ট
সম্প্রদায়ের মানুষ এবং তাদের পরিবারের সদস্যগণ উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ পাবেন। পাশপাশি, ১৫ হাজার মানুষ এর ফিকাল স্লাজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (এফএসটিপি)-র মাধ্যমে নিরাপদে পরিচালিত স্যানিটেশন পরিষেবা পাবেন, এবং ৪ হাজার পরিবার সরাসরি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সহায়তা পাবেন।
এ প্রসঙ্গে ওয়াটারএইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর, হাসিন জাহান বলেন, “বাংলাদেশে ওয়াশফরআপ প্রকল্পের
দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য সুইডেন দূতাবাসের সাথে আমাদের যৌথ প্রচেষ্টাকে আরো একধাপ এগিয়ে নিতে পেরে আমরা আনন্দিত। বিভিন্ন সামাজিক সম্প্রদায়ের জন্য উন্নত পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াশ)সুবিধা নিশ্চিত করা এবং এ প্রসঙ্গে সচেতনতা গঠনের লক্ষ্যে আমাদের প্রচেষ্টা সমূহের উল্লেখযোগ্যপ্রভাব ইতোমধ্যেই পরিলক্ষিত হচ্ছে, এবং দেশের মানুষের জীবনযাত্রাকে আরও উন্নত করতে এই অগ্রগতিঅব্যাহত রাখতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: