শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০২৩

স্বদেশ মৃত্তিকার আদর্শ বিদ্যানিকেতন কামরাঙ্গীরচর শাখার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য লাইব্রেরী উদ্বোধন ও খাদ্য বিতরণ।

স্বদেশ মৃত্তিকার আদর্শ বিদ্যানিকেতন কামরাঙ্গীরচর শাখার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য লাইব্রেরী উদ্বোধন ও খাদ্য বিতরণ।

 

                                                                                         

 স্বদেশ মৃত্তিকার আদর্শ বিদ্যানিকেতন কামরাঙ্গীরচর শাখার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য লাইব্রেরী উদ্বোধন ও খাদ্য বিতরণ।
২৩ জুন ২০২৩ খ্রি. শুক্রবার বাদ জুম্মা স্বদেশ মৃত্তিকার আদর্শ বিদ্যানিকেতন কামরাঙ্গীরচর শাখা, হাজারীবাগ বালুর মাঠ, ঢাকা । হাত বাড়িয়ে দাও ফাউন্ডেশন এর সহযোগিতায় স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা আয়োজনে  স্বদেশ মৃত্তিকার আদর্শ বিদ্যানিকেতন কামরাঙ্গীরচর শাখার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য লাইব্রেরী উদ্বোধন ও খাদ্য বিতরণ করা হয়।
 
হাত বাড়িয়ে দাও ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন ধরে অসহায় মানুষের মাঝে বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায়  স্বদেশ মৃত্তিকার আদর্শ বিদ্যানিকেতন কামরাঙ্গীরচর শাখার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের লাইব্রেরী জন্য মূল্যবান বই উপহার প্রদান ও  সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য খাদ্য  বিতরণ করা হয়েছে। এসব খাদ্য পেয়ে খুশি গরীব-অসহায় শিশুগুলো।
 
 অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা ও স্বদেশ মৃত্তিকার আদর্শ বিদ্যানিকেতনের চেয়ারম্যান মোঃ আকবর হোসেন
 
এসময় উপস্থিত ছিলেন হাত বাড়িয়ে দাও ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়ক জনাব আমজাদ সুমন,
 
সামাজিক ও মানবিক ব্যক্তিত্ব মনির হোসেন সোহেল, সমাজ সেবক ও ব্যাংকার মোঃ রুবেল, সমাজ কর্মী শেখ ইমরান হোসেন।

নিরাপদ চিকিৎসা চাই ও নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চের ভাইস চেয়ারম্যান জমসেদ আলী খান কিরন,  
 
 নিরাপদ চিকিৎসা চাই ও নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন শিপলু,
 
অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার কামরাংগীর চর শাখার সভাপতি ও নিরাপদ চিকিৎসা চাই মহাসচিব  উন্মে সালমা।
 
 নিরাপদ চিকিৎসা চাই ও নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চের যুগ্ম-সম্পাদক ইমরান আহম্মেদ
 
আরো উপস্থিত ছিলেন স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার কামরাংগীর চর শাখার সাধারন সম্পাদক শামিমা আক্তার । স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার কামরাংগীরচর শাখার সহ-সভাপতি রাজিউদ্দিন রাজা,
 
 স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থাপ্রচার সম্পাদক সাদমান সাব্বির, 
 স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের শিক্ষক শাহনাজ পারভীন সহ গ্ন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ  
 
বাড়িয়ে দাও ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়ক জনাব আমজাদ সুমন বলেন এ স্কুল অন্যান্য স্কুল থেকে ব্যতিক্রম। এখানে সুবিধাবঞ্চিত  শিশুদের বিনা বেতনে লেখাপড়া শেখানো হচ্ছে।   স্কুল থেকে আনুষঙ্গিক খাতাপত্র ফ্রি দেওয়া হচ্ছে। যা সত্যি একটি দৃষ্টান্ত। বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার আলোর পথে নিয়ে আসার যে উদ্যোগ  স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা নিয়েছেন (স্বল্প পরিসরে) তা প্রশংসার দাবিদার।’
  
আমজাদ সুমন আরো বলেন বলেন স্বদেশ মৃত্তিকার সুখে দুঃখে সব সময় আমাকে এবং আমার বাড়িয়ে দাও ফাউন্ডেশন পাশে পাবেন।
 
সামাজিক ও মানবিক ব্যক্তিত্ব মনির হোসেন সোহেল বলেন এই শিক্ষার্থীদের ঝরেপড়াসহ প্রাথমিক শিক্ষার অন্য সমস্যাগুলোর যদি প্রতিকার করা যায়, তাহলে এ দেশের সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষার ভিতটি শক্তভাবে গড়ে উঠতে পারবে, যা একটি জাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মনির হোসেন সোহেল আরো বলেন এই শিশুদের পাশে আছি এবং থাকবো।
 
সমাজ সেবক ও ব্যাংকার মোঃ রুবেল তার বক্তব্য বলেন একটি উন্নত জাতিসত্তা নির্মাণে বইয়ের বিকল্প অন্য কিছুই হতে পারে না। একজন মানুষকে মানুষ হতে হলে তাকে যেমন হতে হয় মানবিক তেমনি একটি মানবিক হৃদয় গড়ে তুলতে বইয়ের কোনো বিকল্প আছে বলে মনে হয় না।  ভালো খাবার যেমন শিশুর শারীরিক বিকাশে ভূমিকা রাখে ঠিক একটি ভালো বই শিশুর মানসিক এবং চারিত্রিক বিকাশে ভূমিকা রাখে।
 
 
  
স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে মৌসুমী ফল উৎসব

স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে মৌসুমী ফল উৎসব

স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে মৌসুমী ফল উৎসব

 স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে মৌসুমী ফল উৎসব
 
শুক্রবার (২৩ জুন) সকালে  নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চের সহযোগিতায়, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার কার্যালয় ৪৫ পশ্চিম আগারগাঁওয়ে স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে মৌসুমী ফল উৎসব উপলক্ষে ফল খাওয়ানো হয়। 
 
মৌসুমী ফল উৎসবে সভাপতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান ও নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চের মহাসচিব মোঃ আকবর হোসেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার মহাসচিব তানিয়া শেখ। নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চের ভাইস চেয়ারম্যান ও স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার উপদেষ্টা জামশেদ আলী খান কিরণ , নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চে ক্রিড়া সম্পাদকও স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের নির্বাহী সদস্য শাহবাল আহমেদ জনি ও  রাজিউদ্দিন রাজা , প্রচার সম্পাদক সাদমান সাব্বির, শিক্ষক মন্ডলী, সিনিয়র শিক্ষক রাশেদা আক্তার, হাফেজ মাওলানামোঃ আসাদুল্লাহ, মুনিয়া মুন্নি, সোহাগী আক্তার সহ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। 
 
 এসময় স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা ও স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের চেয়ারম্যান মোঃ আকবর হোসেন বলেন- ফল উৎসবের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল আমাদের স্বদেশ মৃত্তিকা কর্তৃক পরিচালিত স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের ৩ টি শাখায় (ঢাকার আগারগাওঁ, কামরাংগীর চর ও নরসিংদী) দুই শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে মৌসুমী ফল বিতরণ করা। আমরা চাই এই আয়োজনের ধারা অব্যাহত থাকুক। পথশিশু ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় নানা কার্যক্রম পরিচালিত করে আসছে স্বদেশ মৃত্তিকা,। 

তিনি আরো বলেন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা আমাদের বাচ্চাদের চেয়েও স্বাধীন কিন্তু তাদের জীবন অনিশ্চয়তায় ভরা। এদের প্রতিভা আরও বিকশিত করতে স্বদেশ মৃত্তিকা কাজ করে যাচ্ছে ।

 
 
 
 
 
 
 
 
 
তে বক্তারা সামজিক কাজের পাশাপাশি পটিয়া এপেক্স ক্লাব মানবিক যে কাজ করে যাচ্ছেন তার প্রশংসা করেন এবং আগামীতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আহবান জানান।

Credit goes to: https://news71online.com/

Copyright © News71online.Com
 
 
 
 মৌসুমি ফল উৎসব স্বাগত ভাষন প্রধান করেন  স্কুলের  প্রধান শিক্ষক তানিয়া শেখ।  এ সময় তিনি বলেন, মৌসুমি ফল উৎসবের মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীরা দেশীয় নানা ফল এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবে। সুবিধা বঞ্চিত এসব শিশুরা ফল হাতে পাওয়ার পর তাদের মুখে মিষ্টি হাসিই বুঝিয়ে দেয় তারা কতটা খুশি। এমন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ফল পৌঁছে দিতে পেরে ‘স্বদেশ মৃত্তিকা’র প্রত্যেক সদস্যরাও খুশি হয়েছে।
 
জামশেদ আলী খান কিরণ জানান, মধুমাসের মৌসুমী ফলগুলো যেন কমলমতি শিশুদের কাছে মধুমাসের সুচনার স্বাদ বয়ে আনে।  এই সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা যদি সবার সহযোগিতা পায় তাহলে ভবিষ্যতে আরও ভালো করবে।
 
 শাহবাল আহমেদ জনি বলেন সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুরা রাস্তা রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়, তাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব রয়েছে। এই সংগঠনটি প্রতি বছর পথশিশুদের পুষ্টির কথা বিবেচনা করে মৌসুমি ফল উৎসব করে থাকে। আশা করছি এই ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকবে।
 
তে বক্তারা সামজিক কাজের পাশাপাশি পটিয়া এপেক্স ক্লাব মানবিক যে কাজ করে যাচ্ছেন তার প্রশংসা করেন এবং আগামীতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আহবান জানান।

Credit goes to: https://news71online.com/

Copyright © News71online.Com
 
হাফেজ মাওলানামোঃ আসাদুল্লাহ বলেন মানবতার কল্যাণে মানব সেবায় এই প্রতিষ্ঠানটির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করছি।
 

রবিবার, ১৮ জুন, ২০২৩

"পরিবেশ সমাবেশে" স্বদেশ মৃত্তিকাআদর্শ বিদ্যানিকেতনের সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা গান ও নাচ করে দর্শকদের মাতিয়ে দিলেন

"পরিবেশ সমাবেশে" স্বদেশ মৃত্তিকাআদর্শ বিদ্যানিকেতনের সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা গান ও নাচ করে দর্শকদের মাতিয়ে দিলেন

স্বদেশমৃত্তিকাআদর্শ বিদ্যানিকেতনের সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা গান ও নাচ করে দর্শকদের মাতিয়ে দিলেন

১৮ জুন ২০২৩ রবিবার, বিকাল ৩.০০ টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার-এ “প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশ সুরক্ষায় জাগো বাংলাদেশ” ¯শ্লোগান নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘পরিবেশ সমাবেশ’। পরিবেশ ও মানবাধিকার সুরক্ষায় কর্মরত ১৪টি সংগঠনের (এএলআরডি, বেলা, বারসিক, বাপা, নিজেরা করি, নাগরিক উদ্যোগ, সিসিডিবি, কাপেং ফাউন্ডেশন, আদিবাসী ফোরাম আইপিডিএস, ইনসিডিন- বাংলাদেশ, কারিতাস, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন, এবং রিভারাইন (পিপল) যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে এ কর্মসূচি। 

পরিবেশ সমাবেশের  উদ্ভোধনি অনুষ্ঠানের ছিলো বিশেষ চমক স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা পরিচালিত  স্বদেশ মৃত্তকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের  সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শিশুদের নাচ ও গানের মুগ্ধ দর্শক, দর্শকদের মাতিয়ে তুলে এই শিশুরা।

মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পরিবেশ সমাবেশে আয়োজক সংস্থাসমূহের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়ে শুনান পাভেল পার্থ, পরিচালক বারসিক। 

আলোচনা করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, প্রধান নির্বাহী, বেলা; শামসুল হুদা, নির্বাহী পরিচালক, এএলআরডি; আমিরুল রাজিব, সমন্ব য়কারি, তমসজিদ সড়ক গাছ রক্ষা আন্দোলন; শিরিন হক, মানবাধিকারকর্মী এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, নারীপক্ষ; ড. সোমা দে, সহযোগী অধ্যাপক, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়; 

অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান মজুমদার, চেয়ারম্যান, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় 

 এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাপার নির্বাহী সদস্য ও নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা। 

স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার মহাসচিব ও স্বদেশ মৃত্তকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক তানিয়া শেখ, রাশিদা আক্তার ও মুনিয়া মুন্নি প্রমুখ।

পরিবেশ সমাবেশঃ প্রকৃতিকে উন্নয়নের মাঝখানে রাখতে হবে

পরিবেশ সমাবেশঃ প্রকৃতিকে উন্নয়নের মাঝখানে রাখতে হবে

       প্রকৃতিকে উন্নয়নের মাঝখানে রাখতে হবে

যে কোন উন্নয়নের নামে প্রথম কোপটা পড়ে গাছ, নদী, বনভূমি, কৃষিজমি, জলাভূমি, পাহাড় কিংবা প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর। যার ফলে, নির্বিচার দখল ও দূষণে আক্রান্ত দেশের নদ-নদী, সবুজবলয়, উন্মুক্ত প্রান্তর এবং জলাভূমিগুলো আজ নিশ্চিহ্ন। বেড়েছে অপরিকল্পিত নগরায়ণ। আমরা হারিয়েছি ঋতুর বৈচিত্র্য। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বেড়েছে  লবণাক্ততা ও ঘূর্ণিঝড়, উত্তরাঞ্চলে তাপদাহ ও খরা, উত্তর-পূর্বে পাহাড়ি ঢল, মধ্যাঞ্চলে দীর্ঘস্থায়ী বন্যা, পার্বত্য অঞ্চলে পাহাড়ধ্বস, দেশজুড়ে নদীভাঙন, বজ্রপাত, অগ্নিকান্ড, রাসায়নিক বিস্ফোরণ, জলাবদ্ধতা এবং প্লাস্টিক দূষণ।

 উন্নয়নের নামে প্রাণ-প্রকৃতি পরিবেশ ধ্বংস বন্ধ করতে হবে এবং পরিবেশ সুরক্ষায় জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে। উন্নয়ন অবশ্যই চাই তবে পরিবেশ, প্রকৃতি, প্রাণ বৈচিত্র্য বিনাশের বিনিময় নয়। প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশ সুরক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে এবং পরিবেশ সুরক্ষায় সকলের দায়িত্বের প্রতি দায়বদ্ধ হওয়ার দাবিতে আজ ১৮ জুন ২০২৩ রবিবার, বিকাল ৩.০০ টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার-এ “প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশ সুরক্ষায় জাগো বাংলাদেশ” ¯শ্লোগান নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘পরিবেশ সমাবেশ’। পরিবেশ ও মানবাধিকার সুরক্ষায় কর্মরত ১৪টি সংগঠনের (এএলআরডি, বেলা, বারসিক, বাপা, নিজেরা করি, নাগরিক উদ্যোগ, সিসিডিবি, কাপেং ফাউন্ডেশন, আদিবাসী ফোরাম আইপিডিএস, ইনসিডিন- বাংলাদেশ, কারিতাস, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন, এবং রিভারাইন
পিপল) যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে এ কর্মসূচি। 

 এতে বিশিষ্ট সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, পরিবেশবিদ, শিক্ষক, গবেষক, মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক এবং পরিবেশ সুরক্ষায় আন্দোলনরত ব্যক্তি ও সংগঠন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সাস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গান, আবৃত্তি এবং নাটক পরিবেশনা করেছেন।

মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পরিবেশ সমাবেশে আয়োজক সংস্থাসমূহের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়ে শুনান পাভেল পার্থ, পরিচালক
বারসিক। 

আলোচনা করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, প্রধান নির্বাহী, বেলা; শামসুল হুদা, নির্বাহী পরিচালক, এএলআরডি; আমিরুল রাজিব, সমন্ব য়কারি, তমসজিদ সড়ক গাছ রক্ষা আন্দোলন; শিরিন হক, মানবাধিকারকর্মী এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, নারীপক্ষ; ড. সোমা দে, সহযোগী অধ্যাপক, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়; 

অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান মজুমদার, চেয়ারম্যান, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় 

 এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাপার নির্বাহী সদস্য ও নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা। স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার মহাসচিব ও স্বদেশ মৃত্তকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক তানিয়া শেখ প্রমুখ।

আদিবাসী নেতা সঞ্জিব দ্রং বলেন, উন্নয়ন মানে বড় বড় অট্ট্রালকা নয়, নদী দখল, বন উজার করে মুনাফা অর্জন নয়, এ উপলব্ধি থাকতে হবে আমাদের নীতি নির্ধারকদের। পাহাড় কেটে, বন বিনাশ করে, পরিবেশ ধ্বংস করে উন্নয়নের চিন্তা করা পাপ।

মানবাধিকারকর্মী শিরিন হক বলেন, আমরা যদি নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি পাই তবেই একটি জনবান্ধব পরিবেশবান্ধব নীতি ও আইন পাওয়া সম্ভব।

পরিবেশবিদ ও বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, জীবাশ্ম জা¦লানী ব্যবহার করে যতদিন আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন করবো ততদিন পর্যন্ত পৃথিবী উত্তপ্ত থাকবে। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য নিরাপদ পৃথিবী রেখে যেতে চাইলে পরিবেশ রক্ষা করতে হবে। প্রকৃতিকে মাঝখানে রেখে উন্নয়ন করতে হবে।

এএলআরডি’র নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা বলেন, লক্ষ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি, আজকে পরিবেশ রক্ষার যুদ্ধে আমরা হেরে যেতে পারি না। পাহাড় কেটে, নদী ভরাট করে, প্রকৃতি ধ্বংস করে যারা উন্নয়ন করছেন তারা কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। সচেতন হয়ে জবাবদিহিতা চাইতে হবে। আজ অথবা কাল আমাদের জিততেই হবে।

সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, মানুষ একা বাঁচতে পারে না। মানুষ হিসেবে বাঁচতে হলে সকল অনুষঙ্গই আমরা প্রকৃতি থেকে পাই। আদিবাসীদের মতো সবাইকেই প্রকৃতি নিয়ে বাঁচতে হবে। পরিবেশ বাঁচাতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি ।

অনুষ্ঠানের উদ্ভোধনিতে ছিলো বিশেষ চমক স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা পরিচালিত  স্বদেশ মৃত্তকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের  সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

শনিবার, ১৭ জুন, ২০২৩

 বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ’ বিষয়ক  শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ২০২৩

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ’ বিষয়ক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ২০২৩

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর সমকালীন শিল্পকলা ও বিশ্বসভ্যতা বিভাগ জাদুঘরের নলিনীকান্ত

ভট্টশালী প্রদর্শনী গ্যালারিতে বাংলাদেশের প্রবীণ ও নবীন শিল্পীদের আঁকা বঙ্গবন্ধু ও
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ৭৪টি শিল্পকর্ম নিয়ে “বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ” বিষয়ক শিল্পকর্ম
প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের
অতিরিক্ত সচিব ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব মোঃ কামরুজ্জামান
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সচিব জনাব গাজী মোঃ ওয়ালি-উল-হক। অনুষ্ঠানটি
সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সমকালীন শিল্পকলা ও বিশ্বসভ্যতা বিভাগের
কীপার (রুটিন দায়িত্ব) জনাব শক্তি পদ হালদার।

সুদীর্ঘকালের চর্চায় বাংলাদেশের শিল্পকলা নানা বৈচিত্র্যময় ধারায় সমৃদ্ধি লাভ করেছে।
সৃজনশীল ধারার সমকালীন শিল্পকর্মের সংগ্রহ, সংরক্ষণ, প্রদর্শন ও গবেষণা সমকালীন
শিল্পকলা ও বিশ্বসভ্যতা বিভাগের অন্যতম কাজ। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের
খ্যাতিমান চারুশিল্পী শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, পটুয়া কামরুল হাসান, এস.এম. সুলতান ও
ভাস্কর নভেরা আহমেদসহ দেশবরেণ্য প্রবীণ ও নবীন শিল্পীদের শিল্পসম্ভারে এ বিভাগের
সংগ্রহভাণ্ডার সমৃদ্ধ। সমকালীন দেশিয় শিল্পকর্মের পাশাপাশি জগৎ বিখ্যাত চিত্রশিল্পীদের
মূল্যবান চিত্রকর্মের অনুকৃতিসহ বিশ্বসভ্যতার মূল নিদর্শন এ বিভাগের সংগ্রহে রয়েছে। এ
বিভাগে ৩০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত মোট সংগ্রহভুক্ত নিদর্শনের সংখ্যা ৫,২০৫টি। স্বাধীনতার
মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ একসূত্রে গাঁথা।

বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরেছে এবং
শত্রুর মোকাবিলা করে দেশকে স্বাধীন করেছে। কেউ সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে
এবং কেউবা পরোক্ষভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের শক্তি, সাহস ও মনোবল জুগিয়েছে। তেমনি শিল্পী
সমাজও সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও পরোক্ষভাবে মুক্তিযোদ্ধাসহ সমগ্র দেশবাসীকে
মুক্তিযুদ্ধের শিল্পকর্মের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করেছেন। শিল্পীরা জাতির পিতা ও মহান
মুক্তিযুদ্ধকে বিষয় হিসেবে নিয়ে ক্যানভাসে ও ভাস্কর্যে তাঁদের ভাবকল্পনার বিকাশ ঘটিয়েছে
নানা মাত্রায়। সমকালীন শিল্পকলা ও বিশ্বসভ্যতা বিভাগের সংগ্রহের মধ্য থেকে ১৪ জন
শিল্পীর ‘বঙ্গবন্ধু’ বিষয়ক ২০টি শিল্পকর্ম ও ৩৩ জন শিল্পীর ‘মুক্তিযুদ্ধ' বিষয়ক ৫৪টি
শিল্পকর্মসহ মোট ৭৪টি শিল্পকর্ম নিয়ে এ প্রদর্শনীটি সাজানো হয়েছে। শিল্পকর্মগুলো
সৃষ্টিতে রয়েছে বিষয় ও উপস্থাপনার বৈচিত্র্য এবং দেশপ্রেমের এক অমর উপাখ্যান ।

প্রদর্শনটি ১৭ জুন ২০২৩ থেকে ২৬ জুন ২০২৩ পর্যন্ত শনিবার থেকে বুধবার সকাল ১০.৩০
মিনিট থেকে বিকাল ৪.৩০ মিনিট এবং শুক্রবার বিকাল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিট পর্যন্ত
দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বৃহস্পতিবার ও সরকারি ছুটির দিন প্রদর্শনী বন্ধ থাকবে।
সম্মানিত দর্শক ও নতুন প্রজন্ম প্রদর্শনীটি দেখে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে হৃদয়ে ধারণ
করলেই প্রদর্শনীটি সফল ও সার্থক হবে।

শুক্রবার, ১৬ জুন, ২০২৩

 চিকিৎসকদের ফি নির্ধারন এর দাবীতে নিরাপদ চিকিৎসা চাই এর মানববন্ধন ও র‍্যালী।

চিকিৎসকদের ফি নির্ধারন এর দাবীতে নিরাপদ চিকিৎসা চাই এর মানববন্ধন ও র‍্যালী।

স্বদেশসময়২৪.কম:

বেসরকারী হাসপাতাল, ক্লিনিক, ও চেম্বারের চিকিৎসকদের ফি নির্ধারন এর দাবীতে মানববন্ধন ও র‍্যালী।
আজ ১৬ই জুন ২০২৩ইং রোজ শুক্রবার সকাল ১০.০০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে নিরাপদ চিকিৎসা চাই সামাজিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে বেসরকারী হাসপাতাল, ক্লিনিক, ও চেম্বারের চিকিৎসকদের ফি নির্ধারন এর দাবীতে মানববন্ধন ও র্যালী আয়োজন করা হয়েছে।
 
মানববন্ধনটির উদ্ভোদক হিসাবে ছিলেন নিরাপদ চিকিৎসা চাই সংগঠনের উপদেষ্টা জনাব মো: আলী নিয়ামত।
সভাপতিত্বে ছিলেন নিরাপদ চিকিৎসা চাই (নিচিচার) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জনাব যুবরাজ খান।
 
পরিচালনায় ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব উম্মে সালমা,
 
সঞ্চালনে ছিলেন নিচিচার সিনিয়র সহ-সভাপতি জমসেদ আলী খান কিরন, 
 
বক্তব্য রাখেন নিরাপদ চিকিৎসা চাই সংগঠনের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ সভাপতি মো: আনোয়ার হোসেন শিপলু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আকবর হোসেন, যুগ্ম-সচিব মোঃ ইমরান আহমেদ, নিরাপদ চিকিৎসা চাই সামাজিক সংগঠনের সারা দেশের বিভিন্ন জেলা হতে জেলা,উপজেলা কমিটির পক্ষ থেকে নেত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 
 
ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির পক্ষ থেকে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগর দক্ষিন কমিটির পক্ষ থেকে ছিলেন প্রচার সম্পাদক জনাব রুবেল ভুইয়া,কার্য্যকরি কমিটির সদস্য জনাব ফোরকান হাওলাদার, শ্রীমংগল কমিটির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সহ- সভাপতি জনাব এনামুল হক ছোটন, গোপালগঞ্জ জেলা কমিটির পক্ষ থেকে ছিলেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, নোয়াখালী জেলা কমিটি পক্ষ থেকে সেচ্ছা সেবক ছিলেন এছাড়া আমাদের সংগঠনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন মানবতার ফেরিওয়ালা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ আব্দুল হান্নান,সাধারণ সম্পাদক মো: পলাশ হোসেন,উপদেষ্টা মো: মাসুম,
 
হিউম্যান হেল্পফুল অর্গানাইজেশনের সভাপহি জনাব আকিব হোসেন সহ অন্যান্য সদস্য বৃন্দ ও আমরা দেশের সেবক আদেস ব্লাড ডোনার সোসাইটি পক্ষ হতে বক্তব্য রাখেন মোঃ রাশেদুল ইসলাম।
চিকিৎসা আমাদের অন্যতম মৌলিক অধিকার।
 
সারা বাংলাদেশে বেসরকারি হাসপাতালে, ক্লিনিকএবং ডায়গনষ্টিক এর সংখ্যা প্রায় সতেরো হাজার দুই শত চুয়াল্লিশ (১৭২৪৪)টি আছে।যা আমাদের দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ চিকিৎসা স্বাস্থ্যসেবা জনগন গ্রহন করে থাকে আর সরকারী হাসপাতালগুলো থেকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে থাকে মাত্র ৩০ শতাংশ।
বুঝাই যাচ্ছে বাংলাদেশের এই বিশাল জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা যা শুধুমাত্র সরকারীভাবে দেয়া সম্ভব না।চাহিদার তুলনায় সরকারী হাসপাতাল গুলোতে যা খুবই অপ্রতুল।সুতরাং আরো সরকারী হাসপাতাল বৃদ্ধির প্রয়োজন। তাই সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলো স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে আসছে এছাড়া সরকারী হাসপাতালে বিভিন্ন সমস্যার কারনে বেসরকারি হাসপাতালে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা নিতে চলে যাচ্ছে।এছাড়া বেসরকারী হাসপাতাল, ক্লিনিকের চেম্বারের সাথে সাথে চিকিৎসক নিজেও চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য চেম্বার দিয়েছে কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, যে যেভাবে পারছে চিকিৎসা ফি গ্রহন করছে এখানে সাধারণ জনগন জিম্মি হয়ে পরছে।বর্তমানে রাজধানীসহ দেশের বড় বড় শহরে গড়ে উঠেছে উন্নতমানের অনেক বেসরকারি হাসপাতাল,ক্লিনিক, ডায়গনষ্টিক সেন্টার আর এই সব অত্যাধুনিকমানের অবকাঠামোতে রয়েছে বেসরকারি হাসপাতাল আর এখানেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন আছেন।উন্নতমানের চিকিৎসার আশায় রোগীরা সুস্থতার আশায় চলে যান বেসরকারি হাসপাতাল গুলোতে যেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগনের প্রাইভেট চেম্বার আছে এবং অনেক যত্ন নিয়ে সেবা দিয়ে থাকেন। আর এই সময়ই বাধে বিপত্তি একই রোগের চিকিৎসার জন্য একেকজন চিকিৎসক একেক রকম ভিন্ন ভিন্ন অংকের চিকিৎসা ফি আদায় করে থাকেন।বর্তমান সময়ে এক হাজার টাকা দুই হাজার বা তারও বেশিতে পৌছে গেছে এই চিকিৎসা ফি।রোগী ডাক্তার দেখানোর পর ঔষধ কিনতে হিমসিম খেয়ে থাকে এতে করে নিন্ম আয়ের মানুষের চিকিৎসা পেতে খরচ হয়ে যাচ্ছে আয়ের একটা বড় অংশ যা জীবিকা নির্বাহ ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।সরকারীভাবে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক,ডায়গনষ্টিক সেন্টার গুলোর চিকিৎসকদের চেম্বারের রোগীদের কাছ থেকে ফি আদায়ের একটা নীতিমালা তৈরীর পদক্ষেপের কথা বার বার বলা হলে, যে কোন কারনেই হোক সেটা বাস্তবায়ন হচ্ছে না।বেসরকারী স্বাস্থ্যখাতের বিকাশ ত্বরান্নিত করার জন্য সরকার বিভিন্ন সময়ে আর্থিক প্রনোদনা ও নীতি সহায়তা প্রদান করে থাকেন এর ফলে বেসরকারি হাসপাতালের মালিক এই সুবিধা পেয়ে থাকে।যেমন- করোনাকালীন সময় ২০২০-২০২১সালে। বিভিন্ন দুর্যোগের সময় সরকারী হাসপাতালগুলোর পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতাল গুলোর চিকিৎসকগন দেশের জনগনের সেবা করেছেন,অন্যদিকে কিছু বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের জিম্মি করে অধিক অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন এমন অনেক অভিযোগ আছে।বেসরকারী হাসপাতালগুলোর প্রতি চিকিৎসা সেবাপ্রার্থীর অধিক অর্থ আদায়ের অসন্তোষ দীর্ঘদিনের।তাই সরকারীভাবে একটা নীতিমালা প্রনয়ন খুবই জরুরী। বেসরকারী হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং ডায়গনষ্টিক সেন্টার গুলোর অতিরিক্ত চিকিৎসা ব্যয় নিয়ে বিপাকে সাধারন জনগন। জীবন বাচাঁনোর জন্য অসুস্থ অবস্থায় মানুষ নিরুপায়। এই বিষয়ে সরকারও চিন্তিত তাই বেসরকারী হাসপাতাল, ক্লিনিক গুলোর চিকিৎসকদের ফি নির্ধারণ করে দেয়ার বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলেও তা কখনো কার্যকর ভূমিকা পালন করে নাই।সর্বশেষ গতবছর ২০২২ইং সালের ৬ই অক্টোবর মাননীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মাননীয় মন্ত্রী মো: জাহিদ মালেক বলেছিলেন " বেসরকারী হাসপাতালগুলোকে মান অনুযায়ী শ্রেনীতে ভাগ করে সেই অনুযায়ী চিকিৎসকদের ফি নির্ধারণ করে দেয়া হবে।যে হাসপাতেলে যেমন সক্ষমতা আছে সেই সক্ষমতা অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে পারবে তেমন করে ফি নির্ধারিত হবে। " কিন্তু মাননীয় স্বাস্থ্য মন্তীর এমন বক্তব্যের কাজ বাস্তবে রুপ পেলে জনগনের অনেক উপকার হবে যা স্বাস্থ্যসেবায়। বেসরকারী হাসপাতাল, ক্লিনিকের স্বাস্থ্যখাতকে বাদ দিয়ে দেশের স্বাস্থ্যসেবার কথা যেমন চিন্তা করা যায় না তেমনী জনগনের জন্য সব কিছু মেনে নিতে হবে।রাষ্ট্রের স্বাস্থ্যসেবার মুল্য চুড়ান্ত করতে সর্বপ্রথম সরকারকে আন্তরিক হয়ে বেসরকারী হাসপাতালগুলোকে গ্রেডিং সিষ্টেমের আওতায় আনতে হবে স্বাস্থ্যখাত পন্য নয় সেবাই মুখ্য এমন চিন্তাধারা চিকিৎসকদের অন্তরে ধারন করতে হবে। বেসরকারী হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়গনষ্টিক এর ডাক্তারগনের ফি নির্ধারণ নিয়ন্ত্রণে সরকারকে নীতিমালা প্রনয়ন করে খুব দ্রুত বাস্তবায়ন করা খুব জরুরী এবং সময়ের দাবী।

শনিবার, ১০ জুন, ২০২৩

বন্ধন সোসাইটি হাজীপুর প্রবাসী ফোরামের উদ্যোগে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ

বন্ধন সোসাইটি হাজীপুর প্রবাসী ফোরামের উদ্যোগে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ

 স্বদেশ সময় প্রতিনিধি: 


১০জুন ২০২৩ বুধবার বন্ধন সোসাইটি হাজীপুর প্রবাসী ফোরামের উদ্যোগে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়। 
 
শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মোঃ ইমরান আহমেদ, কু্লাউড়া উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান সাহেদ, সাংবাদিক জয়নাল আবেদিন, শিক্ষক অনন্ত সুত্রধর, ইঞ্জিনিয়ার এমদাদুর রহমান, বিশিষ্ট সমাজসেবক তালুকদার সাইফুল ইসলাম, আক্কাস আলী, নাদির আহমদ, নিখিল সুত্রধর, এসআই জাহাঙ্গীর, লাল মিয়া মাষ্টার সহ প্রমূখ।

কোয়ালিটি এডুকেশন বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

কোয়ালিটি এডুকেশন বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

 

স্বদেশ সময় প্রতিনিধি: এসইএল আয়োজনে কোয়ালিটি এডুকেশন বিষয়ক সেমিনার করা হয়েছে।  ৭ জুন ২০২৩ বুধবার সন্ধায় এসইএল সেন্টারে  প্রধান অতিথি হিসেবে উস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার মো: আব্দুল আউয়াল,

এসময় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বি এম টি কিউ এম এর সভাপতি নুরুজ্জামান তালুকদার, সেক্রেটারি, নুরুল ইসলাম তালুকদার।
 
মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, খাইরুল ইসলাম বাসার।
 
 সেমিনারে আরো ছিলেন  উপস্থিত ছিলেন স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা্ ও স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের চেয়ারম্যান মোঃ আকবর হোসেন,  স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা্ মহাসচিব ও স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক তানিয়া শেখ ও যুগ্ম প্রচার সম্পাদক সাদমান সাব্বির সহ অন্যান্য সামাজিক সংগঠন অংশ গ্রহণ করে।

 

 


জেসিআই স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট, এক্সপো এবং সিওয়াইই অ্যাওয়ার্ড ২০২৩-এর পার্টনার গ্রামীণফোন

জেসিআই স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট, এক্সপো এবং সিওয়াইই অ্যাওয়ার্ড ২০২৩-এর পার্টনার গ্রামীণফোন

স্বদেশসময়২৪.কম:

                              
[ঢাকা, জুন ১০,২০২৩] গর্বিত টেলিকম পার্টনার হিসেবে জেসিআই স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট, এক্সপো
এবং সিওয়াইই অ্যাওয়ার্ড ২০২৩-এ যুক্ত হয়েছে গ্রামীণফোন। ০৯ এবং ১০ জুন, ২০২৩ তারিখে
ঢাকার আইসিসিবি’তে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে জাতির বহুল আকাঙ্খিত স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর
এবং এর সাথে সম্পৃক্ত নানা দিককে কেন্দ্র করে আলোচনা সহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা
হয়।
সংশ্লিষ্ট শিল্প খাতের অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণফোন "স্মার্ট বাংলাদেশ" রূপকল্প
বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। স্মার্ট রূপান্তরের দৃঢ় প্রত্যয়কে পুঁজি করে
গ্রামীণফোন গত বছর দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে সফলভাবে ফাইভজি ট্রায়াল পরিচালনা করেছে।
এ উপলক্ষে জিপিহাউসে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি উদ্বোধনের মাধ্যমে ফাইভজি অগ্রযাত্রার শুভ সূচনা
করেন বিটিআরসি’র সম্মানিত চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার। ট্রায়ালের মাধ্যমে গ্রামীণফোন
বর্তমানের ফোরজি সক্ষমতার তুলনায় বহুগুণ বেশি গতির কানেক্টিভিটি অর্জনের বিস্ময়কর
মাইলফলক স্পর্শ করে। গ্রামীণফোনের এই অনন্য অর্জন ফাইভজি সংযোগের সূত্র ধরে স্মার্ট
নাগরিক গঠন এবং স্মার্ট রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য একটি শক্ত ভিত্তি স্থাপনে সহায়তা করেছে।
অগ্রগতির নিরলস প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় গ্রামীণফোন গত বছর সর্বোচ্চ অনুমোদিত ৬০
মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম বরাদ্দ নেয়, যা দেশের মানুষের জন্য প্রতিষ্ঠানটির অনন্য ডিজিটাল
সম্ভাবনা তৈরির দৃঢ় প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে। পাশপাশি, নেটওয়ার্কের আধুনিকীকরণ, নতুন
টাওয়ার চালু করা, ক্রমান্বয়ে অতিরিক্ত স্পেকট্রাম কাজে লাগানো এবং গত বছর ফাইবারাইজেশন ও
দ্বিগুণ করেছে গ্রামীণফোন। অবকাঠামোগত বিনিয়োগের বাইরেও গ্রামীণফোন একটি সমৃদ্ধশালী
ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, মন্ত্রণালয়, এটুআই এবং অন্যান্য
সরকারি বিভাগের পাশাপাশি বেসরকারি নানা সংস্থার সাথে সক্রিয়ভাবে অংশীদারিত্বের সম্পর্ক
স্থাপন করে চলেছে। সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণফোন দেশের স্মার্ট রূপান্তর
এবং ডিজিটাল উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখছে।
সংশ্লিষ্ট খাতের সমমনা ব্যক্তিদের মাঝে আন্তঃসংযোগ স্থাপন ও উদ্ভাবনী ধারণা বিনিময়ের
সুযোগ তৈরির পাশপাশি প্রযুক্তির নতুন নতুন ধারা অনুসন্ধান এবং ভবিষ্যতে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ
গঠনের জন্য নিজেদের প্রস্তুতি ও দক্ষতা মূল্যায়নের অনন্য এক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছে
জেসিআই স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট। আয়োজনে তরুণ উদ্যোক্তা, পেশাদার, বিনিয়োগকারী, নীতি
নির্ধারক এবং ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্টরাও অংশগ্রহণ ছিল উন্মুক্ত। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি
প্রধান স্তম্ভকে কেন্দ্র করে আয়োজনে চারটি তথ্যবহুল সেশন পরিচালিত হয়। গ্রামীণফোনের
প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান একটি সেশনে প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায়
তিনি আগামীর বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির জন্য স্মার্ট নাগরিকদের আইসিটি জ্ঞানের
কার্যকরী প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব দেন।
ইয়াসির আজমান বলেন, “একটি স্মার্ট জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভের অন্যতম পূর্বশর্ত হল
কানেক্টিভিটির মত মৌলিক চাহিদার যথাযথ পূরণ – যে ক্ষেত্রে গ্রামীণফোন শতভাগ
প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রযুক্তিগত রূপান্তর এবং ডিজিটাল দক্ষতাসম্পন্ন স্মার্ট নাগরিকেরা একটি
ভবিষ্যতমুখী, দায়িত্বশীল সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারেন। শুরু থেকেই আমরা ডিজিটাল দক্ষতার

ক্ষেত্রে বিভাজন কমিয়ে আনার লক্ষ্যে, তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও ভবিষ্যতমুখী করে তুলতে,
ফ্রিল্যান্সার এবং আম-চাষী থেকে আরম্ভ করে হাতিয়ার মত বিচ্ছিন্ন ও প্রত্যন্ত জনপদে বিভিন্ন
মানুষের ক্ষমতায়নে কানেক্টিভিটি সুবিধা নিশ্চিত করেছি। পাশাপাশি, ব্যক্তি এবং ব্যবসায় উভয়
পরিসরে ই-সিম এবং ফাইভজি সেবার মতো নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে উদ্ভাবনের নেতৃত্ব দিয়েছি।
বিভিন্ন কমিউনিটিকে পরিবর্তনের চালিকাশক্তিতে রূপান্তরিত করে আমরা বাংলাদেশকে আগামীর
বিশ্বের জন্য প্রযুক্তিগতভাবে প্রস্তুত হয়ে উঠতে সক্ষম করে তুলতে চাই”।
তিনি আরও বলেন, “আমি আশাবাদী, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাফল্যকে কাজে লাগিয়ে এবং আমাদের
দীর্ঘদিনের স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ উন্নত ক্ষমতার
পাওয়ারহাউজ হয়ে উঠবে”।
আয়োজনে গ্রামীণফোনের নিজস্ব প্যাভিলিয়নে (প্যাভিলিয়ন নং এমপি০০৪) দর্শনার্থীরা ইমারসিভ
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ও রোবোটিক হাতের সাথে যোগাযোগের মত ফাইভজি প্রযুক্তি সমর্থিত নানা
প্রদর্শনীতে মুগ্ধ হন। চিকিৎসা, কৃষি, অবকাঠামো ও বিনোদনের মত বিভিন্ন খাতে ফাইভজি
প্রযুক্তির অনন্য রূপান্তর সক্ষমতা জানার পাশপাশি মাইজিপি অ্যাপের ডিজিটাল বইমেলা সহ
স্টলের নানা ফিচার উপভোগ করেন তারা।
জেসিআই স্মার্ট বাংলাদেশ সামিটে গ্রামীণফোনের অংশগ্রহণ মূলত উন্নত কানেক্টিভিটির অপার
সম্ভাবনাকে ভিত্তি করে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে। গ্রামীণফোন ব্যক্তি ও সমাজের সহযোগিতা, উদ্ভাবন এবং
ক্ষমতায়ন চালিয়ে যেতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, যা দেশকে ক্রমশ ইতিবাচক পরিবর্তনের দিকে পরিচালিত
করতে সক্ষম।

সোমবার, ৫ জুন, ২০২৩

 স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে বিভিন্ন এলাকায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৩ পালিত

স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে বিভিন্ন এলাকায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৩ পালিত

  স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে বিভিন্ন এলাকায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৩ পালিত

 আজ ৫ জুন ২০২৩ সোমবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস। এবারের  পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য ‘প্লাস্টিক দূষণ সমাধানে শামিল হই সকলে’, আর স্লোগান ‘সবাই মিলে করি পণ, বন্ধ হবে প্লাস্টিক দূষণ’।

 স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের অংশ গ্রহনে ঢাকা আগারগাঁও ও কামরাংগীর চর এবং নরসিংদী শাখার ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে  দিনটি নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয় ।

আয়োজনের মধ্যে ছিলো : ছবি আকা, বৃক্ষ রোপণ, পরিস্কার পরিছন্নতা, হাত ধোয়া, বৃক্ষ বিতরন, সচেতনতামূলক আলোচনা ও পরিবেশ বিষয়ক সংগীত পরিবেশনা।
 
পরিবেশ আমাদের সমাজের নতুন প্রজন্মের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা শিশুদের মাঝে তুলে ধরা হয়।গাছই একমাত্র পরিবেশকে রক্ষা করতে পারে তাই গাছ রোপনে উৎসাহিত করতে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছ বিতরন করা হয় পাশাপাশি প্লাস্টিকের পন্য, পলিথিন,চিপসের খোসা ব্যবহার করা রোধ করতে হবে এবং যেখানে সেখানে ফেলা যাবে না। এতে পরিবেশ দুষিত হয়। 
 
এই সময়  ঢাকা আগারগাওঁ উপস্থিত  ছিলেন স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার মহাসচিব ও স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তানিয়া শেখ, সিনিয়র শিক্ষক রাশিদা আক্তার, সোহাগী আক্তার ও মাওলানা আসাদুল্লাহ।

ঢাকা কাঃচর শাখায়  উপস্থিত ছিলেন শাখা কমিটির সভাপতি উম্মে সালমা, সাধারণ সম্পাদক শামীমা আক্তার এবং স্বদেশ মৃত্তিকার আদর্শ বিদ্যানিকেতন কাঃচর শাখা স্কুলের শিক্ষক শাহানাজ পারভীন।
 
 নরসিংদী শাখায়  উপস্থিত ছিলেন শাখা কমিটির সভাপতি কান্তা শেখ, স্বদেশ মৃত্তিকার আদর্শ বিদ্যানিকেতন নরসিংদী শাখা স্কুলের শিক্ষক শান্তা শেখ সহ অন্যন্যা শিক্ষক বৃন্দ।

রবিবার, ৪ জুন, ২০২৩

টিওডি সেমিনারে ঢাকার ভবিষ্যৎ নগর উন্নয়নের খসড়া নির্দেশিকার অগ্রগতি উপস্থাপন

টিওডি সেমিনারে ঢাকার ভবিষ্যৎ নগর উন্নয়নের খসড়া নির্দেশিকার অগ্রগতি উপস্থাপন


 টিওডি সেমিনারে ঢাকার ভবিষ্যৎ নগর উন্নয়নের খসড়া নির্দেশিকার অগ্রগতি উপস্থাপন

[ঢাকা, ০৪ জুন, ২০২৩] ঢাকার ভবিষ্যৎ নগর উন্নয়নের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে গত ০১ জুন ট্রানজিট ওরিয়েন্টেড ডেভেপলমেন্টের (টিওডি) দ্বিতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজউক ও জাইকা প্রকল্প দলের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে(বিআইসিসি) এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

জাইকার চলমান টেকনিক্যাল সহযোগিতা প্রকল্প ‘দ্য প্রজেক্ট ফর ডেভেলপমেন্ট অব পলিসি অ্যান্ড গাইডলাইন্স ফর ট্রানজিট ওরিয়েন্টেড ডেভেপল্পমেন্ট (টিওডি) অ্যালং মাস ট্রানজিট করিডরস’ শীর্ষক এই সেমিনারে টিওডি নির্দেশিকা ও পাইলট প্রকল্পের ভবিষ্যৎ গতিপ্রকৃতি ও অগ্রগতি উপস্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, রাজউকের চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিয়া, বিপিএএ এবং জাইকা বাংলাদেশ অফিসের মূখ্য প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহিদে ।

জাইকা বাংলাদেশ অফিসের মূখ্য প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহিদেএই প্রকল্পের ওপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করে জানান, টিওডি’র আওতা সম্প্রসারিত হলে ও তা প্রচার করা গেলে নগর পরিকল্পনা ও উন্নয়নের বিকাশের মধ্য দিয়ে ঢাকা বা স্মার্ট ঢাকার মানুষদের জীবন আরও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক ও কার্যকর করে তোলা যাবে। টিওডি’র সফলতার মূল চাবিকাঠি হিসেবে তিনি সমন্বিত লক্ষ্য ও অংশীদারিত্বের কথা উল্লেখ করেন এবং আলোচনা ও সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর বিশেষভাবে আলোকপাত করেন।

মূল অংশীদারদের সহযোগিতায় নিপ্পোন কোয়েইয়ের নেতৃত্বে জাইকার একটি পরামর্শক দল এই টিওডি নির্দেশিকাটি প্রস্তুত করছে। এতে ঢাকায় টিওডি’র সাধারণ রূপরেখা, মূল প্রক্রিয়া ও পরিকল্পনার বিষয়বস্তু এবং প্রয়োগের উপায়গুলো নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। নির্বাচিত সাইটের পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্তির জন্য দু’টি পাইলট প্রকল্প উন্মোচন করা হয়; যথা: উত্তরা সেন্টার স্টেশনে দেশের প্রথম এমআরটি লাইন ৬ এবং ভবিষ্যতের জন্য গাবতলী এলাকার এমআরটি লাইন ৫ ও ২। পাশাপাশি, দিল্লি মেট্রো রেল কো-অপারেশনের ক্ষেত্রে টিওডির সফলতার কথা তুলে ধরা হয়, যা ঢাকায়ও একইভাবে অর্জন করা সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন বলেন, “টিওডি নির্দেশিকার অগ্রগতি সকল অংশীজনদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে সেমিনারটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ফলস্বরূপ, প্রকল্পটি নগরায়ন ও মধ্যম- আয়ের দেশ হওয়ার দিকে বাংলাদেশের যাত্রাকে ত্বরান্বিত করবে।”
সেমিনারে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজউক, ডিটিসিএ, ডিএমটিসিএল, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, বিআর, বিআরটিএ, ডিবিআরটিসিএল, বিএডিসি, বুয়েট, এডিবি, এএফডি এবং বিশেষজ্ঞ ও পরামর্শক সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, সরকারি প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক দাতা ও অ্যাকাডেমিয়া সহ অংশীদাররা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, অংশীদাররা টিওডি উদ্যোগ সফল করার ক্ষেত্রে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সহযোগিতার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেন।



শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩

নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চের  বিষ ও ক্যামিকেল মুক্ত মৌসুমি ফলের দাবীতে র‍্যালী ও মানববন্ধন

নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চের বিষ ও ক্যামিকেল মুক্ত মৌসুমি ফলের দাবীতে র‍্যালী ও মানববন্ধন

 স্বদেশসময়২৪.কম:

 বিষ ও ক্যামিকেল মুক্ত মৌসুমি ফল এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার দাবীতে  র‍্যালী ও মানববন্ধন

০২ জুন ২০২৩ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, সঞ্চালনায় সংগঠনের মহাসচিব জনাব আকবর হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চেইঞ্জ ইনিশিয়েটিভ এর নির্বাহী পরিচালক এবং জলবায়ু বিশেষজ্ঞ জনাব এম.জাকির হোসেন খান, বক্তব্য রাখেন নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চ এর ভাইস চেয়ারম্যান জনাব ডাঃ এস এম হাবিবুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান জামশেদ আলী খান কিরন, ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন শিপলু, যুগ্ম-মহাসচিব এম. ইমরান আহমেদ,ক্রীড়া সম্পাদক শাহাবাল আহমেদ জনি,দপ্তর সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদন উম্মে সালমা, যুগ্ম প্রচার সম্পাদক সাদমান সাব্বির , সম্মানিত সদস্য রাজি উদ্দিন রাজা, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপার সদস্য পুরান ঢাকার হাজী আনছার আলী শেখ। মাওলানা আসাদুল্লাহ্,শামীমা আক্তার, মুন্সিগঞ্জ জেলার ইউপি সদস্য মোঃ রনি, আব্দুল্লাহ আল মামুন, শ্রীনগর থানার সদস্য সাংবাদিক মো: আল আমিন শেখ,সহ প্রমূখ।

 প্রতিদিন খাবার গ্রহণের সময় নানা প্রশ্নে জর্জরিত হচ্ছি আমরা। যা খাচ্ছি তা বিষ নয় তো? ফলমূলে কেমিকেল, মাছে ফরমালিন, মাংসে ক্ষতিকর হরমোন, শাকসবজিতে কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ- এ ধরনের অনেক সংশয় ও আতঙ্কের মধ্যেই আমরা বেঁচে আছি। শুধু অশিক্ষিত বা স্বল্পশিক্ষিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে নয়, অনেক সময় উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তিদের কাছ থেকেও আমরা এ ধরনের কথা শুনতে পাই। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ এক বিরাট চ্যালেঞ্জ আমাদের। তাই খাদ্যের যেসব ঝুঁকি নিয়ে আমরা সবসময় দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকি, দুর্ভাগ্যজনকভাবে সত্য, আমরা অনেকেই পরিমিত ও সুষম খাবারের দিকে খেয়াল করে খাবার গ্রহণ করি না। যারাও বা বোঝেন, তাদের একটি বিরাট অংশের ধারণা হল পুঁথিগত, যার সঙ্গে ব্যবহারিক জীবনের কোনো সম্পর্ক নেই। পরিমিত সুষম খাবার বিভিন্ন উৎস থেকে নিলে খাদ্যে ঝুঁকির পরিমাণ কমে যাবে।