শুক্রবার, ১৬ জুন, ২০২৩

চিকিৎসকদের ফি নির্ধারন এর দাবীতে নিরাপদ চিকিৎসা চাই এর মানববন্ধন ও র‍্যালী।

স্বদেশসময়২৪.কম:

বেসরকারী হাসপাতাল, ক্লিনিক, ও চেম্বারের চিকিৎসকদের ফি নির্ধারন এর দাবীতে মানববন্ধন ও র‍্যালী।
আজ ১৬ই জুন ২০২৩ইং রোজ শুক্রবার সকাল ১০.০০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে নিরাপদ চিকিৎসা চাই সামাজিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে বেসরকারী হাসপাতাল, ক্লিনিক, ও চেম্বারের চিকিৎসকদের ফি নির্ধারন এর দাবীতে মানববন্ধন ও র্যালী আয়োজন করা হয়েছে।
 
মানববন্ধনটির উদ্ভোদক হিসাবে ছিলেন নিরাপদ চিকিৎসা চাই সংগঠনের উপদেষ্টা জনাব মো: আলী নিয়ামত।
সভাপতিত্বে ছিলেন নিরাপদ চিকিৎসা চাই (নিচিচার) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জনাব যুবরাজ খান।
 
পরিচালনায় ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব উম্মে সালমা,
 
সঞ্চালনে ছিলেন নিচিচার সিনিয়র সহ-সভাপতি জমসেদ আলী খান কিরন, 
 
বক্তব্য রাখেন নিরাপদ চিকিৎসা চাই সংগঠনের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ সভাপতি মো: আনোয়ার হোসেন শিপলু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আকবর হোসেন, যুগ্ম-সচিব মোঃ ইমরান আহমেদ, নিরাপদ চিকিৎসা চাই সামাজিক সংগঠনের সারা দেশের বিভিন্ন জেলা হতে জেলা,উপজেলা কমিটির পক্ষ থেকে নেত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 
 
ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির পক্ষ থেকে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগর দক্ষিন কমিটির পক্ষ থেকে ছিলেন প্রচার সম্পাদক জনাব রুবেল ভুইয়া,কার্য্যকরি কমিটির সদস্য জনাব ফোরকান হাওলাদার, শ্রীমংগল কমিটির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সহ- সভাপতি জনাব এনামুল হক ছোটন, গোপালগঞ্জ জেলা কমিটির পক্ষ থেকে ছিলেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, নোয়াখালী জেলা কমিটি পক্ষ থেকে সেচ্ছা সেবক ছিলেন এছাড়া আমাদের সংগঠনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন মানবতার ফেরিওয়ালা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ আব্দুল হান্নান,সাধারণ সম্পাদক মো: পলাশ হোসেন,উপদেষ্টা মো: মাসুম,
 
হিউম্যান হেল্পফুল অর্গানাইজেশনের সভাপহি জনাব আকিব হোসেন সহ অন্যান্য সদস্য বৃন্দ ও আমরা দেশের সেবক আদেস ব্লাড ডোনার সোসাইটি পক্ষ হতে বক্তব্য রাখেন মোঃ রাশেদুল ইসলাম।
চিকিৎসা আমাদের অন্যতম মৌলিক অধিকার।
 
সারা বাংলাদেশে বেসরকারি হাসপাতালে, ক্লিনিকএবং ডায়গনষ্টিক এর সংখ্যা প্রায় সতেরো হাজার দুই শত চুয়াল্লিশ (১৭২৪৪)টি আছে।যা আমাদের দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ চিকিৎসা স্বাস্থ্যসেবা জনগন গ্রহন করে থাকে আর সরকারী হাসপাতালগুলো থেকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে থাকে মাত্র ৩০ শতাংশ।
বুঝাই যাচ্ছে বাংলাদেশের এই বিশাল জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা যা শুধুমাত্র সরকারীভাবে দেয়া সম্ভব না।চাহিদার তুলনায় সরকারী হাসপাতাল গুলোতে যা খুবই অপ্রতুল।সুতরাং আরো সরকারী হাসপাতাল বৃদ্ধির প্রয়োজন। তাই সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলো স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে আসছে এছাড়া সরকারী হাসপাতালে বিভিন্ন সমস্যার কারনে বেসরকারি হাসপাতালে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা নিতে চলে যাচ্ছে।এছাড়া বেসরকারী হাসপাতাল, ক্লিনিকের চেম্বারের সাথে সাথে চিকিৎসক নিজেও চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য চেম্বার দিয়েছে কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, যে যেভাবে পারছে চিকিৎসা ফি গ্রহন করছে এখানে সাধারণ জনগন জিম্মি হয়ে পরছে।বর্তমানে রাজধানীসহ দেশের বড় বড় শহরে গড়ে উঠেছে উন্নতমানের অনেক বেসরকারি হাসপাতাল,ক্লিনিক, ডায়গনষ্টিক সেন্টার আর এই সব অত্যাধুনিকমানের অবকাঠামোতে রয়েছে বেসরকারি হাসপাতাল আর এখানেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন আছেন।উন্নতমানের চিকিৎসার আশায় রোগীরা সুস্থতার আশায় চলে যান বেসরকারি হাসপাতাল গুলোতে যেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগনের প্রাইভেট চেম্বার আছে এবং অনেক যত্ন নিয়ে সেবা দিয়ে থাকেন। আর এই সময়ই বাধে বিপত্তি একই রোগের চিকিৎসার জন্য একেকজন চিকিৎসক একেক রকম ভিন্ন ভিন্ন অংকের চিকিৎসা ফি আদায় করে থাকেন।বর্তমান সময়ে এক হাজার টাকা দুই হাজার বা তারও বেশিতে পৌছে গেছে এই চিকিৎসা ফি।রোগী ডাক্তার দেখানোর পর ঔষধ কিনতে হিমসিম খেয়ে থাকে এতে করে নিন্ম আয়ের মানুষের চিকিৎসা পেতে খরচ হয়ে যাচ্ছে আয়ের একটা বড় অংশ যা জীবিকা নির্বাহ ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।সরকারীভাবে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক,ডায়গনষ্টিক সেন্টার গুলোর চিকিৎসকদের চেম্বারের রোগীদের কাছ থেকে ফি আদায়ের একটা নীতিমালা তৈরীর পদক্ষেপের কথা বার বার বলা হলে, যে কোন কারনেই হোক সেটা বাস্তবায়ন হচ্ছে না।বেসরকারী স্বাস্থ্যখাতের বিকাশ ত্বরান্নিত করার জন্য সরকার বিভিন্ন সময়ে আর্থিক প্রনোদনা ও নীতি সহায়তা প্রদান করে থাকেন এর ফলে বেসরকারি হাসপাতালের মালিক এই সুবিধা পেয়ে থাকে।যেমন- করোনাকালীন সময় ২০২০-২০২১সালে। বিভিন্ন দুর্যোগের সময় সরকারী হাসপাতালগুলোর পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতাল গুলোর চিকিৎসকগন দেশের জনগনের সেবা করেছেন,অন্যদিকে কিছু বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের জিম্মি করে অধিক অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন এমন অনেক অভিযোগ আছে।বেসরকারী হাসপাতালগুলোর প্রতি চিকিৎসা সেবাপ্রার্থীর অধিক অর্থ আদায়ের অসন্তোষ দীর্ঘদিনের।তাই সরকারীভাবে একটা নীতিমালা প্রনয়ন খুবই জরুরী। বেসরকারী হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং ডায়গনষ্টিক সেন্টার গুলোর অতিরিক্ত চিকিৎসা ব্যয় নিয়ে বিপাকে সাধারন জনগন। জীবন বাচাঁনোর জন্য অসুস্থ অবস্থায় মানুষ নিরুপায়। এই বিষয়ে সরকারও চিন্তিত তাই বেসরকারী হাসপাতাল, ক্লিনিক গুলোর চিকিৎসকদের ফি নির্ধারণ করে দেয়ার বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলেও তা কখনো কার্যকর ভূমিকা পালন করে নাই।সর্বশেষ গতবছর ২০২২ইং সালের ৬ই অক্টোবর মাননীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মাননীয় মন্ত্রী মো: জাহিদ মালেক বলেছিলেন " বেসরকারী হাসপাতালগুলোকে মান অনুযায়ী শ্রেনীতে ভাগ করে সেই অনুযায়ী চিকিৎসকদের ফি নির্ধারণ করে দেয়া হবে।যে হাসপাতেলে যেমন সক্ষমতা আছে সেই সক্ষমতা অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে পারবে তেমন করে ফি নির্ধারিত হবে। " কিন্তু মাননীয় স্বাস্থ্য মন্তীর এমন বক্তব্যের কাজ বাস্তবে রুপ পেলে জনগনের অনেক উপকার হবে যা স্বাস্থ্যসেবায়। বেসরকারী হাসপাতাল, ক্লিনিকের স্বাস্থ্যখাতকে বাদ দিয়ে দেশের স্বাস্থ্যসেবার কথা যেমন চিন্তা করা যায় না তেমনী জনগনের জন্য সব কিছু মেনে নিতে হবে।রাষ্ট্রের স্বাস্থ্যসেবার মুল্য চুড়ান্ত করতে সর্বপ্রথম সরকারকে আন্তরিক হয়ে বেসরকারী হাসপাতালগুলোকে গ্রেডিং সিষ্টেমের আওতায় আনতে হবে স্বাস্থ্যখাত পন্য নয় সেবাই মুখ্য এমন চিন্তাধারা চিকিৎসকদের অন্তরে ধারন করতে হবে। বেসরকারী হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়গনষ্টিক এর ডাক্তারগনের ফি নির্ধারণ নিয়ন্ত্রণে সরকারকে নীতিমালা প্রনয়ন করে খুব দ্রুত বাস্তবায়ন করা খুব জরুরী এবং সময়ের দাবী।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: