কৃষিবিদ ফাউন্ডেশন ফর হিউমিনিটি (কে এফ এইচ) এর
দরিদ্র শিশুদের নিয়ে ঈদ উৎসব উদযাপন এবং বৃক্ষ রোপন
গত ১লা জুলাই (শনিবার) বাগানবাড়ী এসইএল মডেল একাডেমি প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া
কৃষিবিদ যারা বর্তমানে দেশের সেরা প্রফেশনে নেতৃত্ব দিয়ে কাজ করছেন দেশ
সেবায়। তারাই ঈদ উদযাপনে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ছুটে চলে আসছেন তাদের
বন্ধু সহপাঠি সমমনাদের নিয়ে তৈরী করা সংগঠন কৃষিবিদ ফাউন্ডেশন ফর হিউমিনিটি
(কে এফ এইচ) এর ব্যানারে।
ময়মনসিংহ সদরে সিরতা ইউনিয়নের
আনন্দীপুর গ্রামের বাগানবাড়ী এসইএল মডেল একাডেমির ১৬৫ জন শিশুকে নিয়ে
দিনব্যাপি গান, নাচ, কবিতা, গল্প, রিমঝিম বৃষ্টি মুখর দিনে পালিত হলো ঈদ
উৎসব কৃষিবিদ ফাউন্ডেশন ফর হিউমিনিটি (কে এফ এইচ) এর সহযোগিতায় শিশুদের
জন্য ছিল বিরিয়ানি, মিস্টি খাবার।
ঈদ উৎসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন কেএফএইচ
এর মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, সহকারী প্রকল্প পরিচালক, দেশীয় প্রজাতির মাছ
এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প, মৎস অধিদপ্তর, গোপালগঞ্জ। প্রফেসর
এবিএম আরিফ হাসান খান রবিন, ফ্যাকাল্টি অব এগ্রিকালচার, বাংলাদেশ কৃষি
বিশ্ববিদ্যালয়। ডা. মো: আব্দুল মান্নান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা,
বক্সিগঞ্জ। প্রফেসর ড. আতিকুর রহমান, বাংলাদেশ কৃষিবিশ্ববিদ্যালয়। কৃষিবিদ
মোহাম্মদ জহিরুল হক , সিইও, ইনা এগ্রো বায়োটেক। কৃষিবিদ ফাউন্ডেশন ফর
হিউমিনিটি (কে এফ এইচ) এর বাগানবাড়ী শিশুদের জন্য ঈদ উৎসব উদযাপন
সমন্বয়কারী হিসাবে ছিলেন সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট কৃষিবিদ এবং চেঞ্জ
ইনিশিয়েটিভ এর উপদেষ্টা ড. দিলরুবা বেদেনা।
অনুষ্ঠানে অন্যতম আকর্ষন ছিলেন
জলবায়ু বিশেষজ্ঞ এবং চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ এর নির্বাহী পরিচালক জনাব এম জাকির
হোসেন খান।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন স্বদেশ
মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান জনাব আকবর হোসেন এবং বাংলাদেশ
কমিউনিটি হেলথ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী জনাব আবু সাঈদ সোহেল।
অতিথিদের আপ্যায়ন
ও রিসিভশনে ছিলেন বাগানবাড়ী এসইএল মডেল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা নিরাপদ
ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা র
নির্বাহী সদস্য জনাব ইবনুল সঈদ রানা।
বাগানবাড়ী এসইএল মডেল একাডেমির প্রধান
শিক্ষক নাসরিন আক্তার, সহকারী শিক্ষক ইঊয়ানুল আছাদ, মনির হোসেন, অনোয়ারুল
ইসলাম এবং হাফিজুল ইসলাম।
শিশুদের দুপরের খাবার পরিবেশন এর পর সম্মানিত
অতিথিরা বাগানবাড়ী চত্তরে বৃক্ষরোপন করেন।
অতিথিদের আলোচনায় উঠে আসে যে
আমাদের সমাজের ভারসাম্য রক্ষার জন্য শিক্ষার বিকল্প নাই, অবহেলিত শিশুরে
শিক্ষা সহযোগিতার মাধ্যমে আমাদেরই চার পাশ সমৃদ্ধ করতে হবে। যে যেখানে আছি
সাধ্যমতো সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে আমরাই পারি ছোট ছোট উদ্যোগ নিয়ে
অবহেলিত মানুষের কল্যানে নিবেদিত হতে। কৃষিবিদ ফাউন্ডেশন ফর হিউমিনিটি (কে
এফ এইচ) সে রকমটাই করতে চেষ্টা করছে – জনাব মনির হোসেন বলেন – বহুদিন পর
এমন একটি আনন্দময় পরিবেশে মন খুলে হাসতে পারছি, অসম্বব রকম ভাললাগা কাজ
করছে। এমন একটি উদ্যোগে না আসলে হয়তো বুজতেই পারতাম না যে কি বিশাল আনন্দ
এখানে রয়েছে। অতিথিরা সবাই শিশুদের সাথে গল্প করতে করতে নিজেদের পরিচয় তোলে
ধরেন।
জনাব ইবনুল সাঈদ রানা সম্মনিত অতিথিদের সম্মান জানিয়ে বলেন যে আমরা সবাই
এমন ছোট কাল পার করে এসেছি, তখন আমরা এনালগ যুগে ছিলাম, যেকজন ভাগ্যবান
তারাই বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত যেতে পরেছি। যদিও এখনকার মতো
শিক্ষগ্রহন এতো সহজ ছিল না। কিন্ত বর্তমানে ডিজিটাল যুগ, এ যুগে সব কিছুই
সহজ এবং সাধ্যের মধ্যে আনা যায়। তবে এর বিপরিতে রয়েছে বড় চ্যালেঞ্জ,
বিপদগামীতা এখানে নিত্য সাথী। ডিজিটাল যুগে বিপদগামী হওয়া খুবই সহজ বিষয় আর
এনালগ যুগে তা ছিল অনেক কঠিন। আমরা যারা সমাজে প্রতিষ্টিত তাদের সামনের
আগামীকে রক্ষা করতে হলে খুবই সর্তকতার সহিত দায়িত্ব নিতে হবে সমাজের
পিছিয়েপড়া লোকদের জন্য। পিছিয়েপড়া লোকজন ভালো থাকলে আমরা ভালো থাকবো। জনাব
রানা বলেন অতিথিদের এই নিরলস কাজ এর মাধ্যমে সমাজের আনাচে কানাচে অজানা
সমস্যাগলো সমাধানে আগামী দিরে আরো বেগবান হবেন প্রত্যাশা করি, আগামী দিনে
কৃষিবিদ ফাউন্ডেশন ফর হিউমিনিটি (কে এফ এইচ) বাগানবাড়ীর শিশুদের পাশে
থাকার জন্য আপনাদের সদয়দৃষ্টি অব্যহত থাকবে বলে প্রত্যাশা করি।
0 coment rios: