সোমবার, ২ অক্টোবর, ২০২৩

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের নিয়ন্ত্রণাধীন স্বাধীনতা জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র ও চলচ্চিত্রের নিয়মিত প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের নিয়ন্ত্রণাধীন স্বাধীনতা জাদুঘর মিলনায়তনে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)
বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র ও চলচ্চিত্রের নিয়মিত প্রদর্শনীর উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রামাণ্যচিত্র ও
চলচ্চিত্রের নিয়মিত প্রদর্শনী;র শুভ উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি
বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব কে এম খালিদ, এমপি। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসন-৫ থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য জনাব নাহিদ ইজাহার  খান এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সচিব গাজী মো. ওয়ালি-উল-হক। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ  জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব মো. কামরুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন স্বাধীনতা জাদুঘরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব মো. গোলাম কাউছার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ইতিহাস ও ধ্রুপদী শিল্পকলা বিভাগের উপ-কীপার জনাব দিবাকর সিকদার।

২০১৫ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা জাদুঘর যাত্রা শুরু করে। জাদুঘরটি ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান
অর্থাৎ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে অবস্থিত। জাদুঘরটি বাঙালি ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে
ওতপ্রোতভাবে জড়িত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ এই ঐতিহাসিক
স্থান থেকেই বাঙালিদেরকে স্বাধীনতার মূলমন্ত্র শুনিয়েছিলেন। জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই
জাদুঘরের মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র ও চলচ্চিত্রের নিয়মিত
প্রদর্শনী চালু ছিলো। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এবং সংস্কৃতি
বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় পুনঃরায় প্রদর্শনীটি চালু করা সম্ভব হয়েছে। বঙ্গবন্ধু এবং
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র ও চলচ্চিত্রের নিয়মিত প্রদর্শনী জাদুঘর চলাকালীন দর্শনার্থীগণ
বিনামূল্যে শনিবার থেকে বুধবার সকাল ১০.৩০ মিনিট থেকে বিকাল ৪.৩০ মিনিট পর্যন্ত এবং শুক্রবার
বিকাল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত উপভোগ করতে পারবেন। বৃহস্পতিবার ও অন্যান্য সরকারি
ছুটির দিন প্রদর্শনী বন্ধ থাকবে।

জাদুঘরটিতে ১৪৪টি কাচের প্যানেলে ৩০০-এরও বেশি ঐতিহাসিক আলোকচিত্র প্রদর্শিত রয়েছে।
টেরাকোটা, ঐতিহাসিক আলোকচিত্র, যুদ্ধের ঘটনা সংবলিত সংবাদপত্রের প্রতিবেদনও প্রদর্শিত
হচ্ছে। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিভিন্ন বিদেশী পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিলিপি এবং
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিদেশে প্রচারণা সৃষ্টিতে তৈরিকৃত বিভিন্ন পোস্টারও জাদুঘরের প্রদর্শনীতে
রয়েছে। বাংলাদেশের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান এবং স্থাপনার চিত্রও রয়েছে। ১৯৭১
সালের ১৬ ডিসেম্বরে যে টেবিলে তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল
আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করেছিলেন, তার একটি অনুলিপিও রয়েছে
জাদুঘরটিতে। এটি বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র ভূ-গর্ভস্থ জাদুঘর। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও এর
পেছনের গল্পগুলো সম্পর্কে সম্যক ধারণা নিতে স্বাধীনতা জাদুঘর কমপ্লেক্স দর্শকদের জন্য এক
অনন্য স্থান। সবাইকে জাদুঘরটি পরিদর্শনের এবং বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র ও
চলচ্চিত্রের নিয়মিত প্রদর্শনী উপভোগের জন্য সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

উল্লিখিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি আপনার বহুল প্রচারিত সংবাদ মাধ্যমে প্রচার/প্রকাশ করার জন্য
আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: