সোমবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৩

মল্লিকা বেগম হিফজুল কুরআন ২য় শাখা উদ্বোধন

স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে মল্লিকা বেগম হিফজুল কুরআন শাখা ২ উদ্বোধন করা হয়েছে।

“হাফিজুল্লাহ হায়দারের”  সহযোগিতায় আগারগাঁও, ঢাকা,  কুরআনিক সেবা প্রদানের জন্য মল্লিকা বেগম  হিফজুল কুরআন  শাখা ২, উদ্বোধন করা হয়েছে।  শাখা-১, আমিরগঞ্জ ,নরসিংদী ।

এ উপলক্ষে মতবিনিময় সভা শনিবার বিকেলে স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন  স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার উপদেষ্টা ও বিশেষ্ট ব্যাবসায়ী হাফিজুল্লা হায়দার।

সভাপতিত্ব করেন মল্লিকা বেগম হিফজুল কুরআন এর প্রতিষ্ঠাতা ও স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান মোঃ আকবর হোসেন।

 অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন লিলি সমাজ কল্যান সমিতির নির্বাহী পরিচালক আনিছা খাতুন টুনি, সমাজ সেবক মিসেস হায়দার, নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন শিবলু, নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চের ভাইস চেয়ারম্যান শাহাবাল আহমেদ জনি, যুগ্ম মহাসচিব ইমরান আহমেদ, জাহাংগীর আলম ও স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার প্রচার সম্পাদক, সাদমান সাব্বির 

স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের সিনিয়র শিক্ষক রাশিদা আক্তার, সহকারী শিক্ষক সোহাগি আক্তার ও চাদনী আক্তার। 
 
সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলে তানিয়া শেখ, মহাসচিব স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা। 
 
স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার উপদেষ্টা ও বিশেষ্ট ব্যাবসায়ী হাফিজুল্লা হায়দার বলেছেন, আমরা প্রত্যেকে ব্যক্তিগতভাবে অর্থসহ কোরআন অধ্যয়ন করলে প্রাথমিকভাবে আমাদের পরিবারের উপর, পর্যায়ক্রমে সমাজের উপর কোরআনের প্রভাব পড়বে। কোরআন শুধু মানুষের আত্মীক নয় শারিরীক সুস্থতার জন্য জরুরী। আল্লাহতাআলা কোরআনকে সহজ করে দিয়েছেন এবং বলেছেন এটা থেকে উপদেশ গ্রহন করার। 
মল্লিকা বেগম হিফজুল কুরআন এর প্রতিষ্ঠাতা মোঃ আকবর হোসেন বলেন, বর্তমানে আমরা মক্তব বিমুখ হয়ে পড়েছি এর জন্য আমাদের অধঃপতন হচ্ছে। অপসংস্কৃতি আমাদের গ্রাস করছে, তা থেকে মুক্তি পেতে হলে পারিবারিক মূল্যবোধ ও ধর্মীয় অনুশাসনে আমাদের ফিরে যেতে হবে।
 
তিনি আরো বলেন  ‘ইসলামের অন্যতম উৎস আল-কোরআন। কোরআন আরবি ভাষায় হলেও অনুবাদ করে পড়তে হবে এবং কোরআনের অর্থ বুঝতে হবে। কোরআন অর্থসহ বুঝলে আমাদের পথচলা আরো সহজ হবে। এতে ইসলামের সঠিক বার্তা সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া যাবে। কোরআন পাঠ আমাদের জীবনকে পরিবর্তন করে দেবে।’
মিসেস হাফিজুল্লা হায়দার বলেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে আমাদের জীবনাচার নিয়ে অনেক নেতিবাচক মনোভাব আছে। সমাজের প্রধান জনগোষ্ঠীর সঙ্গে আমরা সহজেই খাপ খাইতে পারি না। ফলে ক্ষেত্রে অবহেলা ও বঞ্চনার শিকার হতে হয়। তাই শিক্ষার মাধ্যমে আমরা ধর্মীয় মূল্যবোধ উন্নত করতে পারব বলে আমরা বিশ্বাস করি।
 
স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার মহাসচিব তানিয়া শেখ বলেন, কোরআন তেলাওয়াত, অধ্যয়ন ও কোরআনের বিধি-বিধান অনুশীলনে যুবসমাজকে অনুপ্রাণিত করা এবং বিশ্ববাসীর কাছে কোরআনের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে মল্লিকা বেগম হিফজুল কুরআন এর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
 
ইমরান আহমেদ বলেন কোরআনে কারিম মানব জাতির হেদায়েত, কল্যাণ, শান্তি ও পরকালীন মুক্তির নির্দেশনা। কোরআন তেলাওয়াতে মানুষের আত্মশুদ্ধি ঘটে, 
আনোয়ার হোসেন শিবলু বলেন, কোরআন মানুষকে উচ্চতর মর্যাদায় আসীন করে। তাই বিশ্বের তরুণ ও যুব সমাজকে বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত ও অধ্যয়নে মনোযোগী হতে হবে। 
অনুষ্ঠানে শুরুতেই  খতমে ইয়াসিন ও শেষে হিফজুল কোরআন বিভাগের সফলতা কামনা করে দোয়া করা হয়।
 



শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

1 টি মন্তব্য: