দিনটি ঐতিহাসিক মহিমায় তাৎপর্যপূর্নঃ এই দিনে যুগের সুফীকূলশিরোমনি শায়খুল ইসলাম জামানার মুজাদ্দিদ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ও মাইজ ভান্ডার দরবার শরীফ তথা তরীকায়ে মাইজ ভান্ডারীয়ার সংস্কারক আওলাদে রাসুল শাহসুফী হযরত মাওলানা সৈয়দ মঈনউদ্দীন আহমদ আল হাচানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজ মাইজভান্ডারি (মাঃ জিঃ আঃ) ১০ই ফেব্রুয়ারী ১৯৩৮ঈসাব্দ২৭শে মাঘ১৩৪৪বঙ্গাব্দ মোতাবেক ৯ই জিলহজ্জ ১৩৫০ হিজরি রোজ বৃহস্পতিবার বিকাল৫টায় মাতৃ গর্ভথেকে পৃথিবীর বুকে তশরিফ আনয়ন করেন।
বিশ্ব আধ্যাতিক পরিমন্ডলে অন্যতম প্রান কেন্দ্র মাইজ ভান্ডার দরবার শরীফ।এ পবিত্র ভুমিতে শায়িত আছেন ইমামুল আওলিয়া গাউছুল আযম হযরত মাওলানা শাহসুফী সৈয়দ আহমদ উল্লাহ কেবলা আল হাচানী ওয়াল হোসাইনী মাইজভান্ডারি,ইমামুল আওলিয়া গাউছুল আযম শাহসুফী হযরত মাওলানা সৈয়দ গোলা মুর রহমান বাবা ভান্ডারী, সুলতানুল মশায়েখ হযরত মাওলানা সৈয়দ আবুল বশর আল মাইজ মাইজভান্ডারি। গাউছুল আযম মাইজভান্ডারি ওগাউছুল আযম বাবা ভান্ডারী কেবলা কাবার বেছালের পর বিংশ শতাব্দীর এমন এক যুগ সন্ধিক্ষণে তশরিফ আনয়ন করেন আমাদের প্রান প্রিয় মুর্শেদ বাবা ভান্ডারীর পৌত্র আওলাদে রাসুল ছাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম শায়খুল ইসলাম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ গাউছে দাওরাঁ
আল্লামা শাহসুফী সৈয়দ মঈনউদ্দীন আহমদ আল হাচানী ওয়াল হোসাইনী( মাঃ জিঃ আঃ)।
বিশ্ব মুসলিম যখন নানা বিধ সমাস্যয় জর্জরিত ইসলামের সঠিক রুপ রেখা সুন্নী মতাদর্শ থেকে
যখন বিচ্যুত হয়ে যাচ্ছিল আধুনিক জাহেলিয়াত ও বাতিল মতাদর্শের খপ্পরে পড়ে ইমান হারা হয়ে পড়ছিল
সাধারণ মানুষ শরিয়ত ও তরীকতের দিক নির্দেশনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল ঠিক এমনি নাজুক পরিস্থিতিতে
মহান আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ ছাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াছাল্লাম এর প্রদর্শিত আউলিয়া
কেরানের অনুসৃত পথেই সঠিক প্রতিনিধিত্ব করে বিশ্ব সুন্নী মুসলমানদের ঐক্যকের প্লাটফর্মে জমায়েত করার মানসে হযরত গাউসুল আযম বাবা ভান্ডারী কেবলার মেঝ শাহজাদা সৈয়দ আবুল বশর আল মাইজ মাইজভান্ডারি এর ঔরসে পৃথিবীতে ত্রানকর্তারুপে আমাদের প্রান প্রিয় মুর্শেদ কেবলা এক বিংশ শতকের
সুফী শিরোমণি, রাহনুমায়ে শরীয়ত ও ত্বরীকত হযরতুল আল্লামা শাহসুফী সৈয়দ মঈনউদ্দীন আহমদ
আল হাচানী ওয়াল হোসাইনী (মাঃ জিঃ আঃ) কে প্রেরন করেন।
সকলের কন্ঠে ধ্বনিত হচ্ছেঃ
"মারহাবা ইয়া মারহাবা ইয়া মারহাবা
গাউছে দাওরাঁ মইন বাবা মারহাবা।
ইলমে দ্বীনের খেদমতে মহিন বাবাঃ
ইলমে দ্বীনের খেদমতে মহিন বাবা, হাফেজে কুরআন তৈরির লক্ষ্যে ১৯৮৭ সালে মাইজ ভান্ডার দরবার শরিফে রহমানিয়া মইনিয়া হেফজখানা ওএতিম খানা প্রতিষ্ঠাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ১২৭টি মাদ্রাসা ও এতিমখানা, ১০টি ইসলামি পাঠাগার, ২২টি দাতব্য চিকিৎসালয়, ৩টি কর্ম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ৮ হাজার খানকা প্রতিষ্ঠা করেন।
এই সব খানকা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি বেলায়তের ও ফয়ুজাতের নহর ভারী করেছেন। বিপন্ন মানবতার পাশে মহিন বাবাঃ ১৯৮৮,১৯৯৮সালের ভয়াবহ বন্ন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে তিনি নিজে পাশে থেকে ব্যাপক ত্রান সামগ্রী বিতরন করেন। ১৯৯১ সালের জলোচ্ছ্বাস, ২০০৭র সিডর কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে তাদের ব্যপক সহযোগিতা করেন ইহাছাড়া, অসহায় গরীব দুঃখী মানুষের মাঝে রিকশা বিতরণ করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেন। আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে এই মহান ওলী ও ইমামের আহলে সুন্নাতের ফয়েজ ও বরকত হাসিল করার তৌফিক দান করুন আমিন।
আরজ গুজরে
শাহসুফী ডাঃ এস এম হাবিবুর রহমান
(আল মাইজ মাইজভান্ডারি)
(খলিফায়ে গাউছুল আযম মাইজভান্ডারি, মইন বাবা
0 coment rios: