রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪

যা হলে বুঝবেন হার্ট অ্যাটাক...

বলা হয় বিপদ কখনো বলে–কয়ে আসে না। বলা নেই কওয়া নেই, হুট করে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু—এমনটা আমরা প্রায়ই শুনি। এই রকম হঠাৎ হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়াকে বলে ‘মুভি হার্ট অ্যাটাক’। তবে বেশির ভাগ সময় হার্ট অ্যাটাকের আগে আমাদের শরীর সংকেত দেয়। প্রথমে বুকে অল্প ব্যথার সঙ্গে একটা অস্বস্তি থাকে। ওই সংকেত বুঝে দ্রুত পদক্ষেপ নিলে ভয়ংকর কোনো পরিণতি থেকে বেঁচে যাওয়া যায়।

বিভিন্ন কারণে হার্ট অ্যাটাক হয়। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, মানসিক চাপ ইত্যাদি অন্যতম কারণ। আবার অনেক সময় রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে করোনারি রক্তনালি ব্লক হয়ে জায়গাটি বন্ধ হয়ে যায়। কিছু লক্ষণ রয়েছে যা জানা থাকলে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক প্রতিরোধে আগে থেকেই সতর্ক হওয়া যায়। লক্ষণগুলো যদি দীর্ঘদিন বা অন্তত এক মাস ধরে ঘটতে থাকে, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ
১. বেশির ভাগ সময় হার্ট অ্যাটাকে বুকের মাঝখানে চাপ বোধ হয়, যা কয়েক মিনিটের বেশি সময় ধরে থাকে। ব্যথাটা মাঝেমধ্যে চলে যায়, আবার ফিরে আসে। একটা অস্বস্তিকর চাপ ও ঝাঁকুনি অনুভব হয়।
২. অনেক সময় বাহু, পিঠে, ঘাড়ে, চোয়ালে অথবা পাকস্থলীতেও অস্বস্তি অনুভব হয়।
৩. অনেক সময় বুকে অস্বস্তির সঙ্গে সঙ্গে শ্বাস ছোট হয়ে আসে।
৪. অন্য লক্ষণগুলোর মধ্যে ঘাম দিয়ে শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব বা হালকা মাথাব্যথা হতে পারে।

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো পুরুষ ও নারীদের ক্ষেত্রে আলাদা রকমের হয়ে থাকে। পুরুষ ও নারী উভয়ের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম লক্ষণ হলো বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি। তবে পুরুষের তুলনায় নারীদের ক্ষেত্রে অন্য লক্ষণগুলো বেশি দেখা যায়, যেমন ছোট শ্বাস, বমি বমি ভাব, পিঠে বা চোয়ালে ব্যথা।

স্ট্রোকের লক্ষণ
১. হঠাৎ করে মুখ, হাত-পা, বিশেষত শরীরের এক পাশে দুর্বলতা বা অচল অনুভূত হয়।
২. হঠাৎ করে বিভ্রান্ত হয়ে যাওয়া। কথা বলা বা কথা বুঝতে সমস্যা হওয়া।
৩. হঠাৎ করে চোখে দেখতে সমস্যা হওয়া বা ঝাপসা দেখা।
৪. হঠাৎ করে হাঁটতে সমস্যা হওয়া, মাথা ঘোরা বা শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা।
৫. কোনো কারণ ছাড়াই প্রচণ্ড মাথাব্যথা।

স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দিলে একটুও সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের সাহায্য নেওয়া উচিত। এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনে দ্রুত হাসপাতালে চলে যাওয়া সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত।

তথ্যসূত্র: ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশনের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: