বুধবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২৫

ঝংকার ললিতকলা একাডেমির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

ঝংকার ললিতকলা একাডেমির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

 

ঝংকার ললিতকলা একাডেমির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

ছায়ানট ভবনে জমকালো আয়োজনে মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা

ঢাকা,২৯ জানুয়ারি ২০২৫: ছায়ানট ভবনে আয়োজিত হলো ঝংকার ললিতকলা একাডেমির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এক আকর্ষণীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে দেশের খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন এবং অনুষ্ঠানের প্রতি তাদের গভীর আগ্রহ প্রদর্শন করেন।

প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কালারস্ মাল্টিমিডিয়ার ডিরেক্টর নাজমুল খান, প্রখ্যাত ফটো সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু, ঝংকার ললিতকলা একাডেমির নৃত্য পরিচালক তাবাসসুম আহমেদ, বাংলাদেশ বেতারের উপস্থাপক শেখ নজরুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠাতা শাহীন, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার একাউন্ট অফিসার সাদমান সাব্বির।

এছাড়া, উপস্থিত ছিলেন মো: আকবর হোসেন,, প্রতিষ্ঠাতা স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা ও স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন।

 অনুষ্ঠানে নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনার পাশাপাশি সংগঠনটির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং তাদের ধারাবাহিক সৃজনশীল কাজের প্রশংসা করা হয়।

ঝংকার ললিতকলা একাডেমির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এই অনুষ্ঠানটি দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা।

 
 

রবিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৫

সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের নিয়ে বার্ষিক বনভোজন সম্পন্ন।

সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের নিয়ে বার্ষিক বনভোজন সম্পন্ন।

 সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের নিয়ে বার্ষিক বনভোজন সম্পন্ন।

গাজীপুরের ফাল্গুন শুটিং স্পটে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য আয়োজিত বার্ষিক বনভোজন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। 
 
গত ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা আয়োজিত এই বিশেষ অনুষ্ঠানে শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
 
স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই আয়োজনের লক্ষ্য ছিল শিশুদের মাঝে আনন্দ ও শিক্ষা-বহির্ভূত অভিজ্ঞতা প্রদান। পুরো আয়োজনটিতে সহযোগিতা করেছেন ফিরোজ আহমেদ, জান্নাতুন নাঈম ইরা, হাত বাড়িয়ে দাও ফাউন্ডেশন, ফাল্গুন শুটিং স্পষ্ট এবং স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা।
 
দিনব্যাপী এই আয়োজনের মধ্যে ছিল প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুরে বেড়ানো, খেলাধুলা এবং শিক্ষার্থী ও অতিথিদের জন্য র্যাফেল ড্র। অংশগ্রহণকারীরা দিনটি অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে উপভোগ করে।
এই ধরনের উদ্যোগ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং তাদের জীবনে নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করে।
 
এ সময় উপস্থিত ছিলেন:
স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা ও স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন এর চেয়ারম্যান মোঃ আকবর হোসেন,
মহাসচিব ও প্রধান শিক্ষক তানিয়া শেখ।
 

সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা  উপদেষ্টা লায়ন ফিরোজ আহমেদ, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা ভাইস চেয়ারম্যান জান্নাতুল নাইম ইরা, তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক,সিরাজুল ইসলাম সাগর, অর্থ সম্পাদক, সাদমান সাব্বির, ও সাংগঠনিক সম্পাদক মশিয়ুর রহমান
 
হাত বাড়িয়ে দাও ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা আনোয়ার হোসেন শিবলু 
 
SEA ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান গোলাম রহমান, সমাজসেবক মোহাম্মদ মিঠু সাবাহ,
শিক্ষকবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন
 
ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবেশনায় সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়

 
সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরন।

সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরন।

 

স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন, কামরাঙ্গীরচর শাখার উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। 

এই মহতী উদ্যোগে সহযোগিতায় ছিল হাত বাড়িয়ে দাও ফাউন্ডেশন। উক্ত কার্যক্রমের লক্ষ্য ছিল সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা জীবনকে আরো সমৃদ্ধ করা এবং তাদের ভবিষ্যতের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করা। 

এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের  খাতা, কলম, পেন্সিলসহ প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ প্রদান করা হয়েছে। এমন একটি উদ্যোগ সমাজে সমতা ও শিক্ষার আলো ছড়ানোর পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

 হাত বাড়িয়ে দাও ফাউন্ডেশন-এর সহায়তায় এই কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সবাই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। 

সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এমন উদ্যোগ আরো অনেক শিশুর জীবন বদলে দিতে পারে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন:
স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা ও স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন এর চেয়ারম্যান মোঃ আকবর হোসেন,
হাত বাড়িয়ে দাও ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা আনোয়ার হোসেন শিবলু ও ইমরান আহমেদ . 
স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা ভাইস চেয়ারম্যান জান্নাতুল নাইম ইরা, অর্থ সম্পাদক, সাদমান সাব্বির, ও সাংগঠনিক সম্পাদক মশিয়ুর রহমান

 

 সাউথ সুদান এর ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলর হলেন  ড.জাহিদ আহমেদ চৌধুরী।

সাউথ সুদান এর ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলর হলেন ড.জাহিদ আহমেদ চৌধুরী।


বাংলাদেশে নিযুক্ত  সাউথ সুদান এর অনারারী  কনসাল এবং হেড ওফ দ্যা মিশন নুরুল ইসলাম এর ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলর পদে অফিশিয়ালি নিয়োগপত্র পেলেন সমাজসেবক ,  সংগঠক  সাংবাদিক  ড. জাহিদ আহমেদ চৌধুরী।  অনারারী  কনসাল জেনারেল  নুরুল ইসলাম এর সাক্ষরিত  উক্ত নিয়োগপত্র  পাওয়ার পর থেকে  সাউথ সুদান ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যকার সকল ধরণের  রাস্ট্রীয় ও ব্যবসায়ীক খবরাখবর  রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রচারের জন্য আনুষ্ঠানিক ভাবে  এই নিয়োগপত্র  প্রদান করা হয়।


ড. জাহিদ আহমেদ চৌধুরী বিপুল ও তার মাদকবিরোধী আন্দোলন।

মাদক এক সর্বনাশা নেশা। এই নেশা থেকে উত্তরণের উপায় খোঁজে যখন পরিবারের কেউ একজন নেশাগ্রস্ত হয় ।

ড. জাহিদ আহমেদ চৌধুরী এই কাজটি করছেন যা সবার জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় । ড. জাহিদ শৈশবকাল থেকে সংগঠন প্রিয়। তার মাদকবিরোধী সংগঠন ঝলক ফাউন্ডেশন সমাজে সচেতনতা এনেছে । তিনি মাদকবিরোধী আন্দোলন চালাচ্ছেন সুদীর্ঘ ৩০ বছর ধরে ।

সর্বনাশা নেশার চোরাবালিতে তলিয়ে যেতে বসেছে আমাদের যুবসমাজ, নেশার আগ্রসন ঠেকানোর জন্য চাই সম্মিলিত উদ্যোগ, এই উদ্যোগ নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি । মাদকের বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে তিনি সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি করার জন্য মাদকবিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে চাচ্ছেন।

তিনি মাদকবিরোধী আন্দোলন বছরজুড়ে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন । অনুষ্ঠানের মধ্যে প্রতিমাসে মাদক পরামর্শ সহায়তা গোলটেবিল শোভাযাত্রা মানব বন্ধন আলোচনা ও সামাজিক অনুষ্ঠান ।

 ২৬ জুন বিশ্ব মাদক মুক্ত দিবস উপলক্ষে সারাদেশে ব্যাপক আয়োজন করার জন্য তার ঐকান্তিকে ইচ্ছা রয়েছে । তার সবচেয়ে বড় কাজ হল মাদকবিরোধী সংগঠন ঝলক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা । তিনি এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি। মাদকমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তিনি বেশ কিছু সেমিনার করেছেন দেশে ও বিদেশে,  পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার।

 মাদক মুক্ত বাংলাদেশ চাই, নেশা সর্বনাশা, সর্বনাশা নেশা,  ড্রাগ ফ্রী বাংলাদেশ এই চারটি গ্রন্থ তিনি রচনা করেছেন ।
তিনি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর সদস্য

তিনি কয়েকটি সংগঠনের সাথে যুক্ত আছেন সেফ ফুড বাংলাদেশের সভাপতি,সিনিয়র সহসভাপতি বাংলাদেশ সাংবাদিক জোট, স্থায়ী সদস্য ঢাকা প্রেস ক্লাব, নিরাপদ সড়ক নিয়ে কর্মরত সংগঠন সেবক এর উপদেষ্টা,  সামাজিক সংগঠন শুদ্ধচিত্ত বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এর উপদেষ্টা, সম্পাদক মাদক প্রতিরোধ নিউজ, নির্বাহী সদস্য বাংলাদেশ  ক্রাইম  রিপোর্টার্স  সোসাইটি।
চেয়ারম্যান অবাক বাংলাদেশ {প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে কর্মরত}  সাধারণ সম্পাদক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ, ভাইস চেয়ারম্যান জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি বাংলাদেশ , উপদেষ্টা  মানবাধিকার খবর,উপদেষ্টা সম্পাদক  দৈনিক দেশের পত্র,

উপদেষ্টা  স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা, উপদেষ্টা  আলোকিত নারী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, সদস্য সিলেট স্টেশন ক্লাব লিমিটেড, আজীবন সদস্য বনানী সোসাইটি, আজীবন সদস্য জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন ঢাকা বাংলাদেশ,  সিনিয়র সহসভাপতি ঢাকা কালচারাল রিপোর্টার্স ইউনিটি, বাংলাদেশ প্রতিনিধি বেটার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন,

উপদেষ্টা ছায়াতল বাংলাদেশ [পথশিশুদের স্কুল ],  আজীবন সদস্য ও সহসভাপতি  জালালাবাদ সম্মাননা যুব অর্গানাইজেশন বাংলাদেশ। অনারারি ভাইস প্রেসিডেন্ট পূর্বাচল বোট ক্লাব লিমিটেড, উপদেষ্টা ডন গ্রামার স্কুল, 

 উপদেষ্টা টেলিভিশন রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ, উপদেষ্টা বাংলাদেশ উইমেন  ফ্যাশন ডিজাইনারস সোসাইটি , সাংস্কৃতিক সম্পাদক  সিলেট রত্ন ফাউন্ডেশন, কাউন্সিলার ইয়ুথ কাউন্সিল অব বাংলাদেশ, কর্মসংস্থান সম্পাদক সিলেট বিভাগ যোগাযোগ ও উন্নয়ন পরিষদ,  
ভাইস চেয়ারম্যান বাংলাদেশ পরিবেশ ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সোসাইটি, বাল্কান বাংলাদেশ ক্যাটালিস্ট অফ কুমার এন্ড ইন্ডাস্ট্রির  সহসভাপতি {বাংলাদেশ চেপ্টার}, অনারারী ট্রেইড ও ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলর অফ কনসুলেট অফ দ্যা রিপাবলিক অফ সাউথ সুদান, অনলাইন  জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ এর উপদেষ্টা, আজীবন সদস্য কেন্দ্রীয়  মুসলিম সাহিত্য সংসদ।

তিনি এরকম অনেক সংগঠনের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ।
ড. জাহিদ আহমেদ চৌধুরী   লায়ন্স ইনটারন্যাশনাল এর সাথে জড়িত। তিনি লায়ন্স ক্লাব অফ ঢাকা Meta4 এর সহসভাপতি।

ড. জাহিদ আহমেদ চৌধুরী আন্তর্জাতিক সংগঠক হিসেবে জাতিসংঘের সেমিনারে যুক্তরাস্ট্র,  যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, নরওয়ে, ফ্রান্স,  সংযুক্ত আরব আমিরাত, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সাউথ আফ্রিকা,কুয়েত, মিয়ানমার, সাউথ কোরিয়া, ভারত ও নেপাল ভ্রমণের সুযোগ পেয়েছেন ।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অমায়িক ভদ্র পরোপকারী এবং দানশীল।

বুধবার, ১ জানুয়ারী, ২০২৫

পথশিশু ও শীতার্তদের পাশে এগিয়ে আসুন

পথশিশু ও শীতার্তদের পাশে এগিয়ে আসুন

শীতের তীব্রতা দিন দিন বেড়েই চলেছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকদিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না, কুয়াশাচ্ছন্ন সূর্যবিহীন দিন যাচ্ছে। সূর্যের দেখা না পাওয়ায় প্রচণ্ড ঠান্ডায় লোকজন পথশিশুরা শুকনো কাঠ, ঘাস শুকনো ময়লা আবর্জনা স্তূপে আগুন জ্বালিয়ে শরীরে তাপ নিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।

কনকনে শীতে শীতবস্ত্রহীন অসহায় মানুষ এবং পথশিশুরা রাতযাপন করছেন ফুটপাতে। এমন দৃশ্য খবরের কাগজ টিভির পর্দায় দেখতে পাওয়া যায়। শীত আসে ধনীদের জন্য খুশির বার্তা নিয়ে আর অসহায় গরীব পথশিশুদের জন্য আসে দুঃখ হয়ে। সমাজের ধনী শ্রেণির মানুষের দামি লেপ কম্বল সহজেই শীতের রাত আরামদায়ক করছে। ঘুমও ভালো হয় শীতের সময়।

অন্যদিকে অসহায় গরীব-দুঃখী, পথশিশুদের জন্য চরম কষ্ট হয়ে দাঁড়ায়। কারণ দামি শীতবস্ত্র, লেপ-কম্বল কেনার সামর্থ্য নেই তাদের। পথশিশু ফুটপাতে জীবন অতিবাহিত করা লোকজনের শরীর ঢাকার মতো পোশাক পর্যন্ত থাকেনা। প্রচণ্ড ঠান্ডায় কাজে বের হতে পারেন না তারা। ফলে সারাদিন দুমুটো ভাত পর্যন্ত জোটে না। দুই-তিনদিন পার হয়ে যায় অর্ধাহারে,অনাহারে। কোনো এক উষ্ণ জায়গায় কুঁজো দিয়ে দিনরাত পার করে দেন।

সবচেয়ে বেশি কষ্ট পান বৃদ্ধ এবং শিশুরা। প্রচণ্ড ঠান্ডায় কাতরাতে থাকে। অনেকে ঠান্ডাজনিত রোগে অসুস্থ হয়ে পড়েন, এমনকি তীব্র ঠান্ডায় অনেকে মারাও যায়। এমতাবস্থায় তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

আমাদের দেশে আঞ্চলিক কিছু কথা আছে, ‘পৌষের শীতে ভূত কাপে আর মাঘের শীতে বাঘ ডোরে’(গর্জন)পৌষ গেল, মাঘ আইল শীতে কাঁপে বুক/দুঃখীর না পোহায় রাতি হইল বড় দুখ।গ্রামবাংলার কথাগুলোর মাধ্যমে আমাদের দেশের অসহায় হতদরিদ্র মানুষদের শীতকালীন দৃশ্য ফুটে উঠে। প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে ঋতুর পালাবদল ঘটে। এই পালা বদলের হাত ধরেই শীত আসে আবার যায়। এটা স্রষ্টা প্রদত্ত প্রকৃতির নিয়ম যা ঋতুর চক্রাকারে হতে থাকে।

দেশের গরীব দুঃখী অসহায় মানুষদের শীতবস্ত্র বিতরণে মাধ্যমে তাদের মুখে হাসি ফুটানো শীত থেকে বাঁচানোর ব্যবস্থা করা উচিত। সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তশালীদের শীতার্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে হবে। বিশেষ করে আমাদের নজর দিতে হবে ছিন্নমূল খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু বয়স্কদের প্রতি। মানবতার পাশে দাঁড়ানোই হচ্ছে সর্বোত্তম কাজ। যা একজন মানুষকে উদার বড় করে তোলে।

মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব, তাই গরিব-অসহায়, দুস্থের প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা প্রদর্শন সহানুভূতিশীল হওয়া অত্যাবশ্যক। সব মানুষের উচিত সমগ্র সৃষ্টির প্রতি দয়া-মায়া, অকৃত্রিম ভালোবাসা, সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি সহানুভূতি বজায় রাখা। তাই দেশের সর্বস্তরের ধনাঢ্য, বিত্তবান, শিল্পপতি ব্যবসায়ীদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি, আপনারা চলতি শীত মৌসুমে শীতার্ত গরিব, অসহায়, দুঃখী মানুষকে যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী পাড়া-মহল্লায় নতুন বা পুরোনো কিছু শীতবস্ত্র বিতরণে অকাতরে সাহায্য-সহযোগিতা প্রদান করুন।

সমাজের সামর্থ্যবান বিত্তশালীরা এসব শীতার্ত মানুষের প্রতি সাহায্য সহানুভূতির হাত সম্প্রসারিত করলেই হাড় কাঁপুনি শীত থেকে তারা মুক্তি পেতে পারে। পর্যাপ্ত পরিমাণে শীতবস্ত্র সরবরাহ করে সাধ্যমতো শীতার্তদের পাশে এসে মানবিক সহায়তায় এগিয়ে এলেই শীত নিবারণের পাশাপাশি তাদের মুখে হাসি ফোটানো সম্ভব। আসুন, আমরা সাধ্যমতো শীতার্তদের পাশে দাঁড়াই। এটি আমাদের মানবিক দায়িত্ব। আমাদের দায়িত্ববোধই হতে পারে অসহায়ের সহায়।